পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইয়ুব খানের শাসনামলে ১৯৬১-৬২ সালে ঢাকায় পশ্চিম পাকিস্তানের ইসলামাবাদের আদলে পূর্ব পাকিস্তানে তাঁর নামে (‘আইয়ুব নগর’) একটি Second Capital প্রতিষ্ঠার প্রয়াসে পরিকল্পনা প্রণীত হয়। অথচ ঢাকার মূল মহাপরিকল্পনায় (১৯৫৯ সালের) এ ধরনের কিছু নির্মাণে বুড়িগঙ্গা নদীর ওপারে জিনজিরা-কেরানীগঞ্জকে উপযুক্ত স্থান হিসেবে উল্লেখ করা হয়। মহাপরিকল্পনায় তেজগাঁও বিমানবন্দরের পশ্চিমে এই জায়গাটিকে Experimental Farms হিসেবে উন্নয়নের জন্য সুপারিশ করা হয়। সে সময় সেখানে ধান-পাট ও অন্যান্য কৃষিজ সামগ্রীর গবেষণাকেন্দ্র, কৃষি কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং সে থেকে সার্বিকভাবে জায়গাটিও খামারবাড়ি বা Farm Gate নামে পরিচিত হতে থাকে। অথচ ১৯৬০ সালে ঢাকার মহাপরিকল্পনা অনুমোদনের পর সরকারিভাবে প্রথম এখানে পরিকল্পনাটির ব্যত্যয় ঘটানো হয়। যদি তখন মহাপরিকল্পনার সুপারিশ মোতাবেক বুড়িগঙ্গা নদীর ওপারে Second Capital স্থাপিত হতো, আজ নিশ্চয় বুড়িগঙ্গা নদীর এই দশা হতো না এবং নগরীর উত্তর-দক্ষিণে Balanced Growth হতো।
মতান্তরে জানা যায়, ঢাকায় Second Capital স্থাপন ও পার্লামেন্ট কমপ্লেক্স নির্মাণে স্থপতি লুই কানের পরিকল্পনাটি ছিল অনেকটা Conceptual এবং তেজগাঁওস্থ বিমানবন্দর সড়কের পশ্চিমে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের দক্ষিণ পার্শ্বস্থ ধান-পাট গবেষণা কেন্দ্র থেকে উত্তরে আগারগাঁওস্থ কৃষি কলেজ পর্যন্ত ছিল তাঁর পরিকল্পনার পরিধি। এরই ভিত্তিতে পাকিস্তান আমলেই দক্ষিণাংশে লুই কানের পরিকল্পনা ও স্থাপত্য ডিজাইনের ভিত্তিতে সংসদ ভবনের কাঠামো (Civil Structure) নির্মাণ সম্পন্ন হলেও সেখানে জাতীয় কবরস্থান প্রতিষ্ঠা ও উত্তরাংশের জায়গায় নির্মিত বিভিন্ন স্থাপনাগুলো তাঁর প্রস্তাবনা ও পরিকল্পনা মোতাবেক করা হয়েছে কি না, তা নিয়ে বরাবর বিতর্ক চলছে। লুই কান কর্তৃক আদৌ উত্তরাংশের জায়গার উন্নয়নে কোনো পরিকল্পনা প্রণীত হয়েছে কি না এবং হলেও এর কোনো কপি সরকার বা স্থাপত্য অধিদপ্তরের কাছে নেই। এর পেছনে প্রধান কারণ হলো, ১৯৬৪-৬৫ সাল থেকে পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধিকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ধারাবাহিক রাজনৈতিক অস্থিশীলতায় পাকিস্তান সরকার পূর্ব পাকিস্তানের উন্নয়নে অনাগ্রহী হয়ে পড়ে, তখন অর্থাভাবে সংসদ ভবন নির্মাণের কাজও বন্ধ হয়ে যায়। ওই সময় স্থপতি লুই কানকে তাঁর প্রাপ্য পরামর্শক ফি পরিশোধ না করায় তিনিও তাঁর লোকজন নিয়ে ঢাকা ত্যাগ করেন এবং প্রকল্পের নকশা কারও কাছেই হস্তান্তর করেননি।

স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর আমন্ত্রণে লুই কান ঢাকা এলেও তিনি আর প্রকল্পটির সঙ্গে নিজেকে তেমনভাবে সম্পৃক্ত করেননি। তবে তাঁর মনোনীত David Wisdom and Associates (DWA) নামক একটি মার্কিন নির্মাণ উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে সংসদ ভবনের ফিনিশিং কাজ শুরু হয়। সে সঙ্গে মূল প্রকল্পস্থ অন্য স্থাপনাসমূহের বিস্তারিত নকশা প্রণয়নসহ উত্তরাংশের জায়গার পরিকল্পনা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও ১৯৭৫-উত্তর রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নিয়োজিত উপদেষ্টাদেরকে তাঁদের কাজের ফি পরিশোধ না করায় তাঁরা (DWA) দেশ ছেড়ে চলে যান। যার প্রেক্ষিতে সরকার বা স্থাপত্য অধিদপ্তরের কাছে লুই কানের পরিকল্পনার মূল কপিটি নেই। অর্থাৎ ৪০ বছর ধরে যে সরকার যেভাবে ও যা চেয়েছে সেভাবে লুই কানের প্রস্তাবনা ও পরিকল্পনার ছায়া কপির ওপর ঘষামাজা করে আইয়ুব খানের Second Capital বা আজকের শেরেবাংলা নগর এলাকার উন্নয়ন ও বিস্তার ঘটেছে।
প্রসঙ্গক্রমে, লুই কানের মুল পরিকল্পনা বা প্রস্তাবনায় আজকের গণভবনটিও হওয়ার কথা ছিল কি না, তাও অস্পষ্ট! কারণ, একটা অতীব ব্যস্ত সড়ক (মিরপুর সড়ক) ঘেঁষেই কখনো পরিকল্পনাবিদ কিংবা স্থপতিরা এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নির্মাণের সুপারিশ করতে পারেন না। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপতি থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং আবার রাষ্ট্রপতি হলেও অজ্ঞাত কারণে তিনি বঙ্গভবনে অফিস না করে প্রথমে রমনা পার্কের পূর্বদিকে বেইলি-মিন্টুর সংযোগস্থলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনটিকে (সুগন্ধা) প্রথমে ‘গণভবন’ হিসেবে আখ্যায়িত করে সেখানে বৈকালিক অফিস করতেন। অতঃপর ১৯৭৩-৭৪ সালে শেরেবাংলা নগরে গণভবনের স্থানে বিদ্যমান (যা প্রকৃত কী উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত হয়েছিল তা অজ্ঞাত) স্থাপনাকে সংস্কার ও অধিকতর স¤প্রসারণ করে সেখানে বঙ্গবন্ধু তাঁর বৈকালিক অফিস স্থাপন করেন এবং সংলগ্ন জলাশয়ে (ক্রিসেন্ট লেকে) তিনি মৎস্য চাষ করতেন ও মাছ ধরতেন বলে জানা যায়। ওই সময় তিনি গণভবনের উত্তর-পূর্ব দিকের বিস্তীর্ণ খালি জায়গায় একটি পূর্ণাঙ্গ সচিবালয় কমপ্লেক্স নির্মাণের সম্ভাবনা যাচাই-বাছাই করার জন্য উপদেষ্টা নিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু তৎপরবর্তী সময়ে ওই এলাকায় বিভিন্ন সরকারের আমলে লুই কানের লাল ইটের ডিজাইনে পরিকল্পনা কমিশন/সচিবালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল (পূর্বের ‘আইয়ুব হাসপাতাল’), শিশু হাসপাতাল ইত্যাদির উন্নয়ন ও অধিকতর স¤প্রসারণের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা/প্রতিষ্ঠানকে (বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক প্রভৃতি) তাদের অফিস নির্মাণের জন্য জমিও বরাদ্দ করা হয়। এভাবে বিভিন্ন সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের অভিপ্রায় ও নির্দেশনায় স্থাপত্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রণীত নকশার ভিত্তিতে পুরো জায়গাটি সার্বিকভাবে আজকের এই অবস্থায় রূপ নেয়।

এই অবস্থায় শেরেবাংলা নগর এলাকায় নতুন সচিবালয় কমপ্লেক্স নির্মাণ, নগরীর সার্বিক পরিস্থিতি ও দৃষ্টিকোণ থেকে কতটুকু গ্রহণযোগ্য ও উপযুক্ত হবে তা নিয়ে সর্বমহলে আলোচনা চলছে। লুই কানের মূল পরিকল্পনা বা ১৯৭৪ সালের সংশোধিত পরিকল্পনায় সেখানে সচিবালয় নির্মাণের প্রস্তাব বা জমি চূড়ান্তভাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল কি না এবং নগরীর বর্তমান অবস্থায় সেখানে নতুন সচিবালয় নির্মাণ করা ঠিক হবে, নাকি এটি অন্যত্র নির্মাণ করা উচিত তা নিয়েও কথাবার্তা হচ্ছে। আরও অদ্ভুতভাবে সরকারের বর্তমান পরিকল্পনামন্ত্রীর আজব ধরনের কথা-লুই কানের নকশায় জিয়াউর রহমানের মাজার নির্মাণের জন্য জায়গা সংরক্ষিত ছিল কি না (মন্ত্রীর ভাষায়, ‘লুই কানের নকশায় জিয়ার কবর আছে কি না’), তাও নাকি পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন! দুর্মুখ লোকজনের কথা-Second Capital বা ‘আইয়ুব নগর’-এর পরিকল্পনা প্রণয়নকালে লুই কান কি জানতেন সেখানে একসময় জেনারেল জিয়াউর রহমানকে কবর দেওয়া হবে!! সত্যিকার অর্থে, সরকারের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের লোকজনের এ ধরনের কথাবার্তা সাধারণ মানুষজনের মধ্যে হাস্যরসেরই সৃষ্টি করে বটে! এমনিতে সচেতন মানুষ জাতির অহংকারের এই জায়গাটিতে কবরস্থান বানানো ও অন্যান্য বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণসহ সেগুলোর নাম পরিবর্তনের এ খেলায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ।
নগর বিশেষজ্ঞদের মতে, এই স্থানটিতে সচিবালয় নির্মাণ করা হলে যানজট সমস্যার প্রকটতা আরও বাড়বে। কারণ, ওই স্থানের সঙ্গে কোনো দিকে সরাসরি সংযোগ সড়ক নেই। রোকেয়া সরণি তথা বঙ্গবন্ধু কনভেনশন সেন্টারের সম্মুখ থেকে তেজগাঁওস্থ পরিত্যক্ত বিমানবন্দরের নিচ দিয়ে জাহাঙ্গীর গেটের সম্মুখ পর্যন্ত টানেল নির্মাণের মাধ্যমে যেই সংযোগ সড়কটি হওয়ার কথা ছিল, তাও একটি মহল বিশেষের প্রভাবে আটকে আছে। বর্তমানে ওই সড়কটি পশ্চিম দিকে মিরপুর সড়কের সঙ্গেও সরাসরি সংযুক্ত করার সুযোগ নেই। এ ছাড়া দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন যেসব লোকজন এই জায়গায় (সচিবালয়ে) আসবেন, তাঁদের থাকার জন্যও আশপাশে প্রয়োজনীয় হোটেল নেই, যা বিদ্যমান সচিবালয়ের আশপাশে দেখা যায়। এতদভিন্ন সংসদ ভবন ও গণভবনের অতি সন্নিকটে বহুতলবিশিষ্ট সচিবালয় নির্মাণ করা হলে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার (Key Performance Indicator-KPI) ঝুঁকির বিষয়টিও রয়েছে। এমতাবস্থায় ২৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে (যা প্রচলিত নিয়মে বাস্তবায়নকালে বেড়ে দ্বিগুণ-ত্রিগুণ হয়ে যেতে পারে) সমস্যাসঙ্কুল এই জায়গায় নতুন সচিবালয় নির্মাণ না করে নগরবিদেরা এটি পূর্বাচল নতুন শহরে বা অন্য কোনো উপযুক্ত স্থানে নির্মাণের জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ঢাকার আশপাশে যোগাযোগব্যবস্থার দৃষ্টিতে পূর্বাচল সবচেয়ে উত্তম জায়গা। রাজউকের অধীনে বাস্তবায়নাধীন এই নতুন শহরে একটি সেক্টর প্রশাসনিক ব্লক হিসেবে চিহ্নিত। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন নির্মাণের জন্যও সেখানে সংরক্ষিত জায়গা আছে। ইতিমধ্যে সেখানে প্লটবরাদ্দ প্রদান সম্পন্ন করে বর্তমানে প্রকল্পের বিবিধ উন্নয়নকাজ চলছে। কুড়িল মোড়ে একটি দৃষ্টিনন্দন ট্রাফিক ইন্টারচেঞ্জ ৩০০ ফুট চওড়ায় পূর্বাচল সংযোগ সড়কের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে। অতি সম্প্রতি সড়কটির উভয় পাশে ১০০ ফুট চওড়ায় দুটি খাল খননের জন্য আরেকটি প্রকল্প গৃহীত হয়েছে, যা নিঃসন্দেহে পূর্বাচল শহরে প্রবেশে বৈচিত্র্যতা আনবে যা আকৃষ্ট করবে সবাইকে। পূর্বাচল প্রকল্পের ওপর দিয়ে ঢাকা বাইপাশ সড়কটিও ক্রস করেছে, যেটিকে অধিকতর চওড়া ও সম্প্রসারণ করে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগসহ দেশের অন্যান্য বিভাগ ও জেলার সঙ্গে যোগাযোগ সহজীকরণের পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে। পূর্বাচল সংযোগ সড়কের ওপর দিয়ে মেট্রোরেলের একটি রুট নির্মাণেরও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যাতে নগর অভ্যন্তর থেকে পূর্বাচলে অনেকটা সহজ হবে যাওয়া-আসা। অন্যদিকে, ইতিমধ্যে সরকার চীন সরকারের আর্থিক সহায়তায় পূর্বাচলে নতুন একটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকেন্দ্র নির্মাণের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। তা ছাড়া ইতিমধ্যে সেখানে একটি নতুন ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণেরও ঘোষণা এসেছে। অনুরূপ সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়, গলফ কোর্স, ইকো পার্ক, লেক উন্নয়নসহ অন্যান্য বিভিন্ন সুবিধাদির সংস্থান রয়েছে। এলাকাটি ঢাকা সিটি করপোরেশন ও ঢাকা ওয়াসার পরিধির বাইরে বিধায় সেখানে ভিন্নভাবে একটি পৌরসভা বা সিটি করপোরেশন ও ওয়াসা প্রতিষ্ঠার সুপারিশ রয়েছে এবং এসব কার্যক্রমের জন্য সেখানে জায়গার সংস্থান রয়েছে।

কাজেই, পূর্বাচল ও এর চতুর্দিকে প্রস্তাবিত বেসরকারি প্রকল্পগুলোকে যদি যৌথ প্রয়াসে সমন্বিতভাবে Re-Planning করে উন্নয়নের ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে এখনো সেখানে একটি Self-Contained Town গড়ে তোলা ও ঢাকার বিকল্প নগর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। এভাবে পূর্বাচলকে ঢাকার বিকল্প প্রশাসনিক শহর হিসেবে গড়ে তুলে সেখানে মতিঝিল-দিলকুশা-হাটখোলা-গুলিস্তানে আবদ্ধ রাষ্ট্রপতি ভবন, তেজগাঁও-বিমানবন্দর সড়ক-বিজয় সরণির মহা যানজটস্থল থেকে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, বেইলি-মিন্টু রোড থেকে মন্ত্রীপাড়া, গুলশান-বনানী-বারিধারার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের দপ্তর ও বাসভবনকে সুপরিকল্পিতভাবে পূর্বাচলে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা যায়। যার মাধ্যমে Push & Pull Factors হিসেবে পূর্বাচল শহরটির উন্নয়নও ত্বরান্বিত হবে। এ জন্য যথাযথভাবে পূর্বাচল প্রকল্পের পুনঃপরিকল্পনা প্রণয়ন ও সমন্বিতভাবে উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তাদের সমন্বয়ে একটি New Capital Development Authority (NCDA) গঠনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
মো. এমদাদুল ইসলাম, নগর ও উন্নয়ন বিশ্লেষক
প্রকাশকাল: বন্ধন ৭০ তম সংখ্যা, ফেব্রুয়ারি ২০১৬