রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় যাঁরা থাকেন, ঈদের ছুটিতে একটু বিনোদনের খোঁজে সপরিবারে ছুটে যান চিড়িয়াখানা, জাদুঘর, শিশুপার্কসহ নানা বিনোদন কেন্দ্রে। পশুপাখিদের বিচিত্র আচরণ ছোটরা কিন্তু খুবই উপভোগ করে। শুধু ছোটরা বললে ভুল হবে, পরিবারের বড় সদস্যরাও কিন্তু কম যান না; পশুপাখিকে আসলে সবাই ভালোবাসে। তবে চিড়িয়াখানার দশাসই ঝিমিয়ে পড়া প্রাণী দেখতে কারই-বা ভালো লাগে! বছর বছর একই বিনোদন থেকে রেহাই পেতে এবার ঘুরে আসুন প্রাণীদের উপস্থিতিতে সদা প্রাণচঞ্চল সাফারি পার্কে। এ পার্কে চিড়িয়াখানার মতো খাঁচাবন্দী প্রাণী নয়, বরং উন্মুক্ত বন্যপ্রাণী দেখে আসুন খুব কাছ থেকে। তবে হ্যাঁ, বাঘ, সিংহ, ভাল্লুকের মতো হিংস্র প্রাণীদের ডেরায় যেতে কিন্তু স্বয়ং আপনাকেই খাঁচায় ভরা হবে! চমকে ওঠার কিছু নেই, আসলে খাঁচার গাড়িতে চড়িয়ে আপনাকে নিরাপদে ঘোরানো হবে। অন্যান্য প্রাণী দেখাটাও হবে চিড়িয়াখানার থেকে অনেক বেশি সুখকর। তাহলে ঘুরে আসুন গাজীপুর জেলার শ্রীপুরের মাওনায় শালবনে গড়ে ওঠা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক থেকে।
সাফারি পার্ক বন্যপ্রাণীর অবাধ বিচরণক্ষেত্র। প্রাণীরা এ পার্কে খোলামেলাভাবে ঘুরে বেড়ায়। সাফারি পার্ক এক ধরনের মানবসৃষ্ট অভয়ারণ্য, যেখানে প্রাকৃতিক পরিবেশেই বন্যপ্রাণীর আবাস ব্যবস্থাপনা করা হয়। এই পার্ককে এক ধরনের প্রাকৃতিক চিড়িয়াখানায়ও বলা যায়। তবে এখানে এমন কিছু নিরাপত্তাব্যবস্থা রয়েছে, যাতে আগত দর্শনার্থী থাকেন সুরক্ষিত। জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণ, ইকোটুরিজম উন্নয়ন, পর্যটনশিল্পের বিকাশ, শিক্ষা, গবেষণা ও চিত্তবিনোদনের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যেই গাজীপুরের ভাওয়ালগড়ের ছোট ছোট টিলা ও নিচু ভূমি (বাইদ) সমৃদ্ধ শালবনে গড়ে উঠেছে পার্কটি। ২০১১ সালে শুরু হয় পার্কটির আনুষ্ঠানিক নির্মাণকাজ। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় আন্তর্জাতিক মানের সাফারি পার্কে উন্নীত করার লক্ষ্যে একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হয়। পার্কটির আয়তন ৩ হাজার ৮১০ একর।

সাফারি পার্কে যা যা দেখবেন
- কোর সাফারি
- প্যারট এভিয়ারি
- ক্রাউন ফিজেন্ট এভিয়ারি
- ধনেশ এভিয়ারি
- ম্যাকাউ ল্যান্ড
- ছোট পাখিশালা
- ফেন্সি ডাক গার্ডেন
- ফেন্সি কার্প গার্ডেন
- কুমির পার্ক
- ইমু/অস্ট্রিচ গার্ডেন
- লিজার্ড পার্ক
- কচ্ছপ ও কাছিম প্রজনন কেন্দ্র
- প্রাইমেট হাউজ
- মেরিন একুরিয়াম
- অর্কিড হাউস
- প্রজাপতি বাগান
- পেলিকেন আইল্যান্ড
- হাতিশালা ও অন্যান্য।
সাফারি পার্কের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ কোর সাফারি। পার্কের এ অংশে বাঘ, সিংহ, ভালুক আলাদা আলাদা সীমানার বেষ্টনীতে প্রাকৃতিক পরিবেশে মুক্ত অবস্থায় ঘোরে। এ ছাড়া অন্যান্য বন্যপ্রাণীর মধ্যে রয়েছে চিত্রা হরিণ, সাম্বার, গয়াল, মায়া ও প্যারা হরিণ, নীলগাই, জিরাফ, জেব্রা, ব্লু ওয়াইল্ডবিস্ট, ব্ল্যাক ওয়াইল্ডবিস্ট, ব্লেসবক, অরিক্স ও ব্ল্যাকবাক। কোর সাফারি পার্কে ঢুকতে টিকিট কাটতে লাইনে দাঁড়াতে হয়। কারণ, মানুষের কোর সাফারি পার্কের প্রতি আগ্রহটাই সবচেয়ে বেশি। কোর সাফারিতে ঢুকে অপেক্ষা এবার বাসের। খুব কাছ থেকে হিংস্র প্রাণী দেখার জন্য রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সাফারি জিপ ও মিনিবাস। সারিবদ্ধ হয়ে বাস বা জিপে উঠে বসলেই যানগুলো আপনাকে নিয়ে যাবে মূল বেষ্টনীতে। প্রথমেই যাবে বাঘের বেষ্টনীতে। যেখানে বাঘ থাকবে, সেখানে কিছু সময়ের জন্য যানগুলো থেমে আপনাকে ভালোমতো দেখার সুযোগ করে দেবে। ভাগ্য ভালো (কারও জন্য খারাপ) থাকলে জানোয়ারগুলো হয়তো পথ আগলে দাঁড়িয়েও থাকতে পারে। সেগুলোর ছবিও তুলতে পারবেন। তবে ভুল করেও কেউ গাড়ির জানালা খুলবেন না। এভাবে একটির পর একটি বেষ্টনীতে যানগুলো আপনাকে নিয়ে যাবে আর একটু পরপর থামবে প্রাণীগুলোর কাছাকাছি। বাসে অবশ্য জানিয়ে দেওয়া হবে কোন প্রাণী দেখতে কোন দিকে তাকাতে হবে। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে শেষ হবে কোর সাফারি ভ্রমণ। যেখান থেকে উঠেছেন সেখানে নামিয়ে দেবে গাড়ির ড্রাইভার। তবে ভ্রমণ শেষ হলেও উত্তেজনা কিন্তু রয়েই যাবে।

এ পার্কের অন্যতম আকর্ষণীয় অংশ পাখি সাফারি। পার্কের কিংডমের পশ্চিমাংশে নির্মাণ করা হয়েছে আলাদা আলাদা বিশাল তিনটি পাখিশালা। এসব পাখিশালাতে প্রাকৃতিক বনের পরিবেশ বজায় রাখার জন্য গাছপালাসহ জাল দিয়ে ঢাকা হয়েছে। অবমুক্ত করা হয়েছে প্যারট, ফিজেন্ট ও ধনেশ পাখি। ধনেশ পাখিশালায় রয়েছে প্রায় আট প্রজাতির পাখি। এরই মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির প্যারট, ফিজেন্ট ধনেশ, ফ্লেমিংগো, ব্ল্যাক সোয়ান ও বিরল প্রজাতির মান্ডারিন ডাক ছাড়া হয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে ম্যাকাও ল্যান্ড। এখানে আছে নীল-সোনালি ম্যাকাও, সবুজ ম্যাকাও, পেলিকেন, লুটিনো রিংনেক প্যারটসহ প্রায় ৩৪ প্রজাতির পাখি। পাখিদের সঙ্গে ছবি তুলতে নিশ্চয় মন্দ লাগবে না। তবে চাইলে ম্যাকাওকে কাঁধে নিয়ে ছবিও তুলতে পারবেন। ফেন্সি ডাক ও কার্প গার্ডেনে দেখা মিলবে বেশ কিছু সাদা ও কালো রাজহাঁসসহ কয়েক প্রজাতির হাঁস। এখানকার অন্যতম আকর্ষণ উন্মুক্ত ময়ুর। ঘেরা উঁচু বেষ্টনীর মধ্যে নির্মিত সেতুর ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে দেখা মিলবে বেশ কয়েক প্রজাতির ময়ূরের। কিছু সাদা ময়ূরও রয়েছে সেখানে। এই বেষ্টনীর অদূরেই শকুন পুনর্বাসনকেন্দ্র, যেখানে দেখা মিলবে বেশ কিছু শকুনের।
উটপাখি, ইমু, লামা, কুমির, বানর, হনুমান, অজগর, গুইসাপ ও অন্যান্য সাপ, কচ্ছপ, বনবিড়াল, পাহাড়ি মোরগ, ঈগলসহ আরও কয়েক প্রজাতির প্রাণী। বন্যপ্রাণী ও পাখির পাশাপাশি এই পার্কে সামুদ্রিক ও নদীর বিচিত্রসব মৎস্যভান্ডার নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে মেরিন অ্যাকুরিয়াম। এই অ্যাকুরিয়ামে রয়েছে প্রায় ২০ প্রজাতির মাছ। এগুলোর মধ্যে অন্যতম টাইগার ফিশ, ক্রোকোডিল ফিশ, লুকিয়ে থাকা ব্ল্যাক গোস, অস্কার প্রভৃতি। রয়েছে আকর্ষণীয় চিকলেট মাছ, যা ২০ সেকেন্ড পর পর রং বদলায়। এসব মাছ দেখে মনে হবে জীবন্ত অ্যাকুরিয়াম। এ ছাড়া পার্কে গড়ে তোলা হয়েছে বর্ণিল প্রজাপতি সাফারি। এই সাফারিতে রয়েছে প্রায় ২৬ প্রজাতির বিচিত্র সব প্রজাপতি।
পার্কে আগত ছোট-বড় সবার অন্যতম আকর্ষণ হাতির পিঠে ভ্রমণ। হাতিশালায় বেশ কিছু প্রশিক্ষিত হাতি রয়েছে, যেগুলো পরিচালনা করেন সুদক্ষ মাহুতরা। তবে হাতির পিঠে চড়ে সুখযাত্রা মাত্র কয়েক মিনিটে। এ ছাড়া এখানে গড়ে তোলা হয়েছে শিশুদের জন্য শিশু পার্ক ও রাইড জোন। সেখানে ঢুকতে বিশাল এক কুমিরের মুখের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এখানে আরও রয়েছে মিনি রোলার কোস্টার, মিনি ট্রেন, নাগর দোলা, হাওয়ার বিছানা, দোলনা প্রভৃতি। তবে প্রতিটির জন্য রাখা হয়েছে আলাদা আলাদা টিকিট।

এ পার্কে নির্মাণ করা হয়েছে ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম। এখানে প্রায় দুই হাজার প্রজাতির মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর দেহাবশেষ, স্পেসিমেন ও স্টাফিং সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া প্রাকৃতিক বনাঞ্চলে রয়েছে অসংখ্য গাছপালা। প্রায় ৩০০ প্রজাতির গাছপালার হারবেরিয়াম সিট তৈরি করে মিউজিয়ামে সংরক্ষণ করা হয়েছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে গণসচেতনতা বৃদ্ধি, শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে এ মিউজিয়ামটি গড়ে তোলা হয়েছে। এতে পর্যটক, শিক্ষার্থী ও গবেষকবৃন্দ বিপদাপন্ন ও বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী সম্পর্কে বাস্তব ধারণা লাভ করতে পারবেন। তা ছাড়া সংরক্ষিত ডেটাবেইস থেকে শিক্ষার্থী ও গবেষকবৃন্দ বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদ জগতের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য পাবেন।
বন্যপ্রাণী বেষ্টনী ও গ্যালারি ছাড়াও এখানে গড়ে তোলা ও নির্মাণ করা হয়েছে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, জলাধার ও লেক, ফোয়ারা, অর্কিড ও ক্যাকটাস হাউস, তথ্যকেন্দ্র, পার্ক অফিস, ডরমেটরি, বিশ্রামাগার, ডিসপ্লে ম্যাপ, আর্কষণীয় মুরাল, আরসিসি বেঞ্চ ও ছাতা, বন্যপ্রাণীর মডেল কর্নার ইত্যাদি। প্রকৃতি বীক্ষণ কেন্দ্রে বাংলাদেশের প্রায় সব ধরনের বনাঞ্চলের গাছপালা ও বন্যপ্রাণীর মডেল, মুরাল ও স্টাফিং তৈরি করে আলো ও শব্দধ্বনি প্রবাহের মাধ্যমে বন্যপ্রাণী ও বনাঞ্চল সম্পর্কে দর্শকদের সম্যক ধারণা দেওয়া হয়। প্রকৃতি বিক্ষণ কেন্দ্রে প্রায় ৯৮০ ধরনের বন্যপ্রাণী ও অসংখ্য গাছপালার মডেল মুর্যাল তৈরি করা হয়েছে। বিনোদনের মাত্রা বাড়াতে ব্যবস্থা করা হয়েছে নৌকা ভ্রমণের। চাইলে আপনি নৌকা করে লেকে ঘুরতে পারবেন। এতসব সাফারি পর্যবেক্ষণ শেষে ঘুরে ঘুরে নিশ্চয় আপনি হবেন ক্লান্ত; ক্ষুধার্ত। ঠিক তখন আপনার জন্য অপেক্ষা করছে অন্য আকর্ষণ। আর সেটা বাঘ ও সিংহ পর্যবেক্ষণ রেস্তোরাঁ। এ দুটি আলাদা কাচঘেরা রেস্তোরাঁয় রসনা বিলাস করতে করতে আপনি দেখতে পাবেন বাঘ-সিংহকে খুবই কাছ থেকে। হয়তো প্রাণীগুলো খুব কাছেও চলে আসতে পারে।

এসব বিচিত্র বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদরাজি দেখা শেষে এবার ফেরার পালা। এই পার্কটিকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই গড়ে তোলা হয়েছে। বুদ্ধিদীপ্ত বন্যপ্রাণীর নৈপুণ্য ও খেলাধুলা প্রদর্শন, বন্যপ্রাণীসংক্রান্ত যাবতীয় শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি, মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি, বন্যপ্রাণীকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা এ রকম নানা সুচিন্তা থেকেই শুরু এর ব্যবস্থাপনার কাজ। তবে এখনো অসমাপ্ত রয়েছে অনেক প্রস্তাবিত প্রকল্প। পার্কের অনেক অব্যবস্থাপনা ও বিভিন্ন বেষ্টনীতে ঢুকতে টিকিট কাটা, দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা হয়তো আপনাকে কষ্ট দেবে, হবে ক্ষোভের কারণ। তারপরও এ দেশে এমন একটি পার্ক রয়েছে, এটিও কম কিসের! এই সাফারি পার্ককে বন্যপ্রাণীর বন্দীজীবনের মুক্তিখানা বলা যায়। সেই সঙ্গে দেশের সব চিড়িয়াখানাগুলো সাফারি পার্কের মতো উন্মুক্ত হোক, এটাই কাম্য। সাফারি পার্কে যে শুধু ঈদ বিনোদনের জন্যই যেতে হবে তা কিন্তু নয়, বরং আপনার সন্তানকে বন্যপ্রাণী সম্পর্কে বাস্তব জ্ঞান লাভ ও তাদের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনে উদ্বুদ্ধ করতে ঘুরে আসুন দেশের বন্যপ্রাণীর একমাত্র সাফারি পার্কটি।
যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাঘের বাজার থেকে ৩ কিলোমিটার পশ্চিমে সাফারি পার্কটির অবস্থান। বাঘের বাজারেই চোখের পড়বে সাফারি পার্কের বিশাল সাইনবোর্ড। ঢাকা বা গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে সরাসরি বাসে বাঘের বাজার। সেখান থেকে রিকশা বা অটোরিকশায় সোজা পার্কের গেইট। তবে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়েও সরাসরি যেতে পারবেন।
পার্কে প্রবেশ ও ফি
পার্কে প্রবেশের জন্য প্রাপ্ত জনপ্রতি প্রবেশমূল্য ৫০ টাকা এবং ১৮ বয়সীদের নিচে প্রবেশ ফি ২০ টাকা। শিক্ষা সফরে আসা বা সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের প্রবেশমূল্য ১০ টাকা। গাড়িতে করে কোর সাফারি পার্ক পরিদর্শন প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রতিজনের টিকিট ফি ১০০ টাকা। অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ৫০ টাকা। এ ছাড়া ক্রাউন্ড ফিজ্যান্ট এভিয়ারি পরিদর্শন ১০ টাকা, ধনেশ এভিয়ারি ১০ টাকা, প্যারট এভিয়ারি ১০ টাকা, ময়ূর এভিয়ারি ১০, হাতির পিঠে চড়া ৩০, নৌকায় ঘোরা প্রতি ৩০ মিনিট ১০০ টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন খাঁচা ও ন্যাচারাল হিট্রি মিউজিয়ামসহ বিভিন্ন রাইডে প্রবেশ ও চড়তে ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত গুনতে হবে। মিনিবাস বা মাইক্রোবাস পার্কিং ২০০ টাকা। (দর্শনার্থী আগমনের ভিত্তিতে দর্শন ও অন্যান্য মূল্য কম-বেশি হতে পারে)

টিপস
- কোনোভাবেই প্রাণীদের উত্ত্যক্ত করবেন না।
- বন্যপ্রাণীকে কোনো ধরনের খাবার দেবেন না।
- যতটা পারেন নিঃশব্দে চলাচল করবেন।
- বন্যপ্রাণীর খুব কাছে যাওয়া ঠিক নয়।
- নিবিড়ভাবে বন্যপ্রাণী ও পাখি দেখতে সঙ্গে দুরবিন রাখুন।
- পার্কের আয়তন বিশাল, সবখানে পানি পাবেন না। এ জন্য সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি নিন।
- কোর সাফারি পার্কে প্রবেশে ঈদের ভিড়ে অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়াতে হতে পারে, সেখানে কোনো গাছপালা না থাকায় রোদে কষ্ট পাবেন। এ জন্য সঙ্গে নিন রোদটুপি ও ছাতা।
- পলিথিন ও অপচনশীল পদার্থ যেখানে-সেখানে না ফেলে ডাস্টবিনে ফেলুন।
- নিজ নিরাপত্তার স্বার্থে জনবিরল এলাকা পরিহার করাই শ্রেয়।
মারুফ আহমেদ
প্রকাশকাল: বন্ধন ৭৫ তম সংখ্যা, জুলাই ২০১৬