কাজল ও অনন্যা দম্পতির বাস ঢাকার ধানমন্ডিতে। কাজল পেশায় ব্যাংকার আর তার মিসেস একজন স্থপতি। দীর্ঘদিন থেকেই আছেন ভাড়া ফ্ল্যাটে। সফল এ দম্পতির অনেক দিনের স্বপ্ন নিজের একটি বাড়ির। কিন্তু ঢাকায় নেই তাঁদের নিজস্ব কোনো জমি। তা ছাড়া রাজধানীতে দামি এসব জমি কেনার সামর্থ্যও তাদের নেই। ফ্ল্যাটের চিন্তা করলেও পছন্দানুযায়ী ফ্ল্যাটের দাম তো আকাশছোঁয়া! ফলে ক্রমেই ফিকে হয়ে আসছে তাঁদের স্বপ্ন। দীর্ঘদিন চাকরির সুবাদে জমানো কিছু টাকা আছে, যা দিয়ে নগরের অভিজাত এলাকায় না হোক ঢাকার অদূরে কিংবা নিজের শহর ঝিনাইদহে একটা আকর্ষণীয় স্বপ্নের বাড়ি নির্মাণ করা যায়। তা ছাড়া ঢাকার যান্ত্রিকতা আর যানজটে যারপরনাই বিরক্ত ওরা। আর তাই তো ফিরতে চায় নিজভূমে। অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বাড়ির পাশেই গড়তে চায় ছোট একটি কনসালটেন্ট ফার্ম। যার পাশেই হবে নতুন বসত। গ্রামের বাড়ির পাশাপাশি কাজের সুবিধার্থে শহরে গড়ে উঠবে তাদের স্বপ্ন আবাসটি।
একজন স্থপতি হিসেবে অনেকের বাড়ির নকশাই করেছেন অনন্যা। কিন্তু আজ করবেন নিজেদের বাড়ির ডিজাইন। দুই সন্তান সুমহান ও হৃদির কথা চিন্তা করে বাড়িটি হবে চারতলা ফাউন্ডেশনের। আপাতত দুইতলার কাজ শেষ করে নিজেরা থাকবেন। পরে ছেলেমেয়ে বড় হলে বাকি দুই তলা শেষ করে দুই ভাই-বোনকে বুঝিয়ে দেবেন তাদের আলাদা আলাদা ফ্ল্যাট। কাজ শুরুর প্রথমেই আসে বাড়িটির নির্মাণব্যয়। তাই প্রথমেই বাড়িটি তৈরিতে কেমন খরচ হতে পারে তার একটা এস্টিমেট করে ফেলেন। কারণ, সঠিক এস্টিমেটের মাধ্যমেই বাড়ি তৈরির সঠিক হিসাব পাওয়া সম্ভব। সে ক্ষেত্রে বর্তমান সময়োপযোগী দাম জানাটা জরুরি। আসুন, জেনে নিই কাজল ও অনন্যার স্বপ্নের বাড়ি তথা পূর্ণাঙ্গ একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি তৈরির বিস্তারিত এস্টিমেট-







এখানে উল্লেখিত বিস্তারিত এস্টিমেটে বিভিন্ন আইটেমের কাজের পরিমাণ নির্ণয় করে অতঃপর ওই সব আইটেমের কাজের লেবারদের মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে। আনুষঙ্গিক খরচ উল্লেখিত সামগ্রীর মূল্য, লেবার চার্জ ইত্যাদি মিলিয়ে ইমারতের মোট খরচ হিসাব করা হলেও তা সম্পূর্ণ বাজারদরের ওপর এবং নির্মাতার রুচির ওপর নির্ভরশীল। কেননা উভয়ই সময়ভেদে পরিবর্তনশীল।
- প্রকৌশলী সুবীর কুমার সাহা
প্রকাশকাল: বন্ধন ৪৬ তম সংখ্যা, ফেবু্রুয়ারি ২০১৪