পরিবেশবান্ধব নগরায়ণে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

স্থপতি খালিদ মাহমুদ

দ্রত নগরায়ণ, জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও অপর্যাপ্ত অবকাঠামোর কারণে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে সীমিত সম্পদ এবং পরিবেশগত অবনতি সম্পর্কিত অসংখ্য প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। দুর্বল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শহর ও শহরের নান্দনিকতা এবং বসবাস বিঘ্নিত করে। নোংড়া রাস্তা, উপচে পড়া আবর্জনা ও দূষিত জলাশয় বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার মান হ্রাস করে এবং পর্যটন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে নিরুৎসাহিত করে। কঠিন বর্জ্যরে অনুপযুক্ত নিষ্পত্তি ভূপৃষ্ঠস্থ ও ভূগর্ভস্থ পানির উৎসকে দূষিত করতে পারে, যা মানুষের স্বাস্থ্য ও বাস্তুতন্ত্রের জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করে। এতে করে বিস্তার ঘটে কলেরা, ডেঙ্গু ও ডায়রিয়ার মতো রোগের, বিশেষ করে ঘনবসতিপূর্ণ শহুরে এলাকায়, যেখানে স্যানিটেশন অবকাঠামো প্রায়ই অপর্যাপ্ত। বিশ্বব্যাপী পরিষ্কার পানি সরবরাহ একটি বড় চ্যলেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ পানিবেষ্টিত দেশ হলেও পরিষ্কার নিরাপদ পানির প্রবাহ মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। খোলা বর্জ্য পোড়ানো মিথেন ও অন্যান্য গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনে অবদান রাখে, যা বিশ্ব উষ্ণায়নকে বাড়িয়ে তোলে।

সামগ্রিকভাবে, বাংলাদেশের শহর ও গ্রামীণ উভয় এলাকাই কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন, যদিও বৈশিষ্ট্য ও মাত্রা একরকম নয়। সুতরাং এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার জন্য প্রতিটি অঞ্চলের নির্দিষ্ট চাহিদা ও অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কৌশল প্রয়োজন, যার মধ্যে অবকাঠামোতে বিনিয়োগ, নানা গোষ্ঠীর সম্পৃক্ততা ও টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অনুশীলনের প্রচারে সচেতনতামূলক প্রচারণা অন্তর্গত।

ডাম্পিং ইয়ার্ড

জনসংখ্যার ঘনত্ব, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও আর্থসামাজিক বিষয়গুলো বিবেচনায় নিলে শহর ও গ্রামাঞ্চলের মধ্যে কঠিন বর্জ্য পরিস্থিতি কিছুটা আলাদাভাবে বিবেচনা করা যায়। শহুরে এলাকা, বিশেষ করে ঢাকা, চট্টগ্রাম কিংবা জনবহুল শহরগুলোতে জনসংখ্যার উচ্চ ঘনত্ব রয়েছে, যার ফলে প্রচুর পরিমাণে কঠিন বর্জ্য তৈরি হয়। পৌর এলাকায় কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কিছু স্থানীয় আয়োজন আছে, তবে অপর্যাপ্ততার পাশাপাশি অসম্পূর্ণতা এবং নানা ধরনের অদক্ষতা ও সমস্যা নিয়ে এর কাজ চলমান। মূল সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি হলো উৎসে যথাযথ বর্জ্য পৃথকীকরণের অভাব, যা পুনর্ব্যবহার এবং কম্পোস্টিংকে কম কার্যকর করে তোলে। উপরন্তু, সীমিত ল্যান্ডফিল সাইট আছে এবং যেগুলো ব্যবহার করা হয়, সেগুলো প্রায়ই ক্ষমতার বাইরে কাজ করে। অপর্যাপ্ত বর্জ্য সংগ্রহ ও যথাযথ নিষ্পত্তি কাঠামোর অভাবে বর্জ্য খোলা জায়গা, জলাশয় বা রাস্তায় ফেলা হয়। এই অব্যবস্থাপনা মাটি ও পানিদূষণ, পরিবেশ বিপর্যয়, স্বাস্থ্যের ঝুঁকি এবং রোগের বিস্তারে অবদান রাখে। জমে থাকা বর্জ্য নিষ্কাশনব্যবস্থাকে আটকে রাখে, যা বর্ষা মৌসুমে বন্যার দিকে পরিচালিত করে।

গ্রামীণ এলাকায় সাধারণত শহুরে এলাকার তুলনায় জনসংখ্যার ঘনত্ব কম থাকে, যার ফলে বর্জ্য উৎপাদনের পরিমাণ কম হয়। অর্থনৈতিক সামর্থ্য বিবেচনায় দরিদ্র এলাকায় পণ্যের ভোগ কম এবং সে কারণে মাথাপিছু বর্জ্য উৎপাদনও কম হবে। এখানে কঠিন বর্জ্য বলতে কৃষিবর্র্জ্য এবং গৃহস্থালির জৈব বর্জ্যই প্রধান। তবে পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে। বিশেষ করে গ্রামীণ বাজারগুলোকে এখন বর্জ্যরে ক্রমবর্ধমান উৎস হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া জরুরি। গ্রামীণ এলাকায় আনুষ্ঠানিক বর্র্জ্য সংগ্রহ এবং নিষ্পত্তি পরিষেবার চূড়ান্ত রকমের অভাব আছে। বাসিন্দারা প্রথাগত পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে যেমন খোলা জায়গায় পোড়ানো, মাটিচাপা দেওয়া। এখনো এর দৃশ্যমান প্রভাব কম মনে হলেও চূড়ান্ত অর্থে কঠিন বর্জ্যরে অনুপযুক্ত নিষ্পত্তি মাটির অবক্ষয়, ভূগর্ভস্থ পানিদূষণ এবং স্থানীয় বাস্তুতন্ত্রের ওপর বিরূপ প্রভাব তৈরি করছে বা করবে। খোলা বর্জ্য পোড়ানো বায়ুদূষণ ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা সৃষ্টি করে।

পুড়ানো হচ্ছে নগরের বর্জ্য

কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ার বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন পরিকাঠামোর প্রয়োজন। পুরো প্রক্রিয়াকে কয়েকটা ধাপে ভাগ করা যায়। প্রথম ধাপ হচ্ছে একেবারেই প্রান্তিক পর্যায় থেকে বর্জ্য যথাযথভাবে সংগ্রহ করা। এ জন্য সাধারণভাবে ঘনবসতিপূর্ণ বা বাজার এলাকায় বর্জ্য সংগ্রহের সুবিধার্থে কৌশলগত স্থানে সংগ্রহ পয়েন্ট বা বিন স্থাপন করা দরকার হয়। পৌর এলাকায় ক্ষেত্রবিশেষে বাড়ি থেকে গৃহস্থালির বর্জ্য সংগ্রহ করে তিন চাকার বাহনে পরিবহন করে নির্দিষ্ট পয়েন্ট বা বিনে ফেলা হয়। দ্বিতীয় ধাপ হচ্ছে বর্জ্য পৃথকীকরণ। আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বর্জ্যকে জৈব ও অজৈব এই দুই ক্যাটাগরিতে আলাদা করে নিতে জোর দেওয়া হয়। এ জন্য পৃথকীকরণ কেন্দ্র বা সেগ্রিগেশন সেন্টার৬ থাকতে হবে, যেখানে বর্জ্যকে বিভিন্ন বিভাগে বাছাই করা যায় (যেমন, জৈব, পুনর্ব্যবহারযোগ্য, অপুনর্ব্যবহারযোগ্য)। কিছু ইকুইপমেন্ট যেমন কনভেয়র বেল্ট, বাছাই মেশিন এবং ম্যানুয়াল বাছাই স্টেশনের মতো সরঞ্জামের দরকার হয় আলাদা করতে সহজ করার জন্য।

কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার চূড়ান্ত ও গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হচ্ছে বর্জ্য শোধন এবং নিষ্পত্তি পরিকাঠামো। এ জন্য মূল অবকাঠামো হচ্ছে ল্যান্ডফিল। অপুনর্ব্যবহারযোগ্য বর্জ্য নিরাপদে নিষ্পত্তি করার জন্য একটি পরিকল্পিত ল্যান্ডফিল সাইটের প্রয়োজন হয়, যেখানে যথাযথ আস্তরণ, লিচেট সংগ্রহের ব্যবস্থা এবং ল্যান্ডফিল গ্যাস ব্যবস্থাপনাসহ সব প্রযোজনীয় কারিগরি সুবিধার সন্নিবেশ করা হয়। ল্যান্ডফিল সাইটের বর্জ্যকে শক্তিতে রূপান্তর করা লাভজনক হতে পারে যদি বর্জ্যরে পরিমাণ প্রচুর হয়। বর্জ্য থেকে শক্তি (ওয়েস্ট টু এনার্জি) প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য কিছু অবকাঠামো ও প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা দরকার হয়। আবার জৈব বর্জ্যকে প্রাকৃতিক সার হিসেবে প্রক্রিয়াজাত করার জন্য কম্পোস্টিং প্ল্যান্ট স্থাপন করা যায়। প্লাস্টিক, কাচ, কাগজ, বিভিন্ন ধাতব বস্তুকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য পদার্থ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এসব পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপকরণকে প্রক্রিয়াজাত করার জন্য সেগ্রিগেশন সেন্টার থেকেই প্রক্রিয়াকেন্দ্রে পাঠিয়ে দিতে হয়।

নগরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা

ল্যান্ডফিলে যাওয়ার আগে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হচ্ছে বর্জ্য স্থানান্তর। প্রাথমিকভাবে বাড়ি থেকে বা বিনে সংগৃহীত বর্জ্যকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পৃথক করা এবং তারপর ল্যান্ডফিল সাইটে পাঠানোর আগে সেগুলো অপেক্ষার জন্য দরকার হয় ট্রান্সফার স্টেশন, যেটাকে সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন বলে। বর্র্জ্য নিষ্পত্তি সুবিধায় পরিবহনের আগে এখানে বর্র্জ্যকে অস্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা যেতে পারে। এসটিএস থেকে ল্যান্ডফিল সাইটে বর্জ্য প্রেরণের জন্য যানবাহন যেমন কমপ্যাক্টর, ট্রাক বা ট্রাইসাইকেল ব্যবহার করা হয়।

বর্র্জ্য ব্যবস্থাপনাকে আপাতদৃষ্টিতে প্রযুক্তিবিমুখ প্রক্রিয়া মনে হলেও এর চূড়ান্ত ধাপ পুরোপুরি পরিকল্পনা ও প্রযুক্তিনির্ভর। একটি ল্যান্ডফিল সাইট যথাযথ পরিকল্পনা এবং পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দক্ষ জনশক্তির অংশগ্রহণ প্রয়োজন। যাদের মধ্যে আছেন প্রকৌশলী, পরিবেশবিশেষজ্ঞ, বর্র্জ্যবিশারদ, রসায়নবিদ ইত্যাদি। পাশাপাশি এখানে নগর পরিকল্পনাবিদ এবং স্থপতির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাও জরুরি। প্রাথমিক পরিকল্পনা এবং নকশা প্রস্তুতের সময় কিংবা তারও আগেই স্থপতিরা নগর পরিকল্পনাবিদ, প্রকৌশলী এবং পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে একটি নির্দিষ্ট এলাকার বর্র্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা মূল্যায়ন ও ভবিষ্যৎ কৌশল নিয়ে কাজ করতে পারেন। জনসংখ্যার ঘনত্ব, বর্র্জ্য উৎপাদনের হার এবং পরিবেশগত প্রবিধানের মতো বিষয়গুলো বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর ধরন এবং আকার নির্ধারণ করতে হয়। বর্র্জ্য ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে ল্যান্ডফিল, পুনর্ব্যবহার কেন্দ্র এবং পাওয়ার প্ল্যান্ট বা কম্পোস্টিং প্ল্যান্টের জন্য উপযুক্ত এলাকা শনাক্ত করতে স্থপতিরা সহায়তা করেন। সহজগম্যতা, পরিবেশগত প্রভাব এবং স্থানীয় সাধারণের গ্রহণযোগ্যতার মতো বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়েই তাঁরা এই সুবিধাগুলোকে শহুরে ফ্যাব্রিকের সঙ্গে একীভ‚ত করেন। বর্র্জ্য ব্যবস্থাপনা সুবিধার বিশদ নকশার চূড়ান্ত ফলাফল হবে এমন, যা কার্যকরী, দক্ষ ও নান্দনিকভাবে আনন্দদায়ক।

গৃহস্থালী বর্জ্য

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অবকাঠামোর পরিবেশগত নেতিবাচক প্রভাব কমাতে এবং সীমিত সম্পদের ব্যবহার উপযোগিতা সর্বাধিক করার জন্য পরিকল্পনা ও নির্মাণের টেকসই নকশা নীতিগুলো অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। স্থপতি ও পরিকল্পনাবিদের অংশগ্রহণ বর্র্জ্য ব্যবস্থাপনা অবকাঠামো অন্যান্য শহুরে অবকাঠামো যেমন পরিবহন নেটওয়ার্ক, ইউটিলিটি ও পাবলিক পরিসরগুলোর সঙ্গে নির্বিঘেœ সমন্বয় করা সম্ভব হয়। তাঁরা এমন সুবিধা ডিজাইন করেন, যা যানজট, শব্দদূষণ এবং আশপাশের এলাকায় দৃশ্যমান প্রভাব কমিয়ে দেয়।

স্থপতিরা তাঁদের পেশাগত কারণেই বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক ও প্রভাবশালী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেন। সুতরাং বর্র্জ্য ব্যবস্থাপনা সুবিধাগুলো স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করে এবং বিভিন্ন নীতিমালা ও বিধান মেনে বাস্তবায়নে তাঁরা সহায়ক কর্মশক্তি হিসেবে বিশেষ ভ‚মিকা পালন করতে পারেন। পরিবেশগত এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি প্রশমিত করার জন্য গন্ধ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা, লিচেট (একধরনের ছত্রাকনাশক) চিকিৎসাসুবিধা এবং সুরক্ষাব্যবস্থার মতো বৈশিষ্ট্যগুলো অন্তর্ভুুক্ত করা অবশ্যম্ভাবী। একইভাবে স্থানীয় স¤প্রদায়ের সঙ্গে তথ্য সংগ্রহ করতে, জন-উদ্বেগের গঠনমূলক সমাধান করতে এবং সার্বিকভাবে বর্র্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পগুলো ঘিরে নাগরিক ঐকমত্য গড়ে তুলতে নিযুক্ত হন। স্টেকহোল্ডারদের প্রয়োজনীয়তা এবং পছন্দগুলোকে বিবেচনায় নেওয়া হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য তাঁরা জনসভা, কর্মশালা, প্রদর্শনী ইত্যাদি কর্মকৌশল প্রণয়নে বাস্তবভিত্তিক পরামর্শ দিতে পারেন।

বর্র্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকীকরণে স্থপতির ভ‚মিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে করে স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ সুরক্ষা সহজে নিশ্চিত করা যেতে পারে। স্থপতিরা বর্র্জ্য ব্যবস্থাপনা নীতি এবং পরিকল্পনা তৈরি করতে সহায়তা করতে পারেন, যা বর্র্জ্য পরিস্থিতির মান, সময়ের মধ্যে সামঞ্জস্য এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা প্রয়োগ করে। বর্র্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থার মধ্যে সংঘবদ্ধতা স্থাপনে সহায়ক হতে পারেন, যাতে ব্যবস্থাপনার কাজ সম্পাদনে সহজ হয়। স্থপতিরা প্রায়ই সরকারি সংস্থা, অভ্যন্তরীণ সংস্থা, ব্যক্তি উদ্যোগ, সামাজিক সংগঠন ইত্যাদির মধ্যে সহযোগিতা এবং সহনশীলতা স্থাপনে সহায়ক হতে পারেন।

নগরের গৃহস্থালী বর্জ্য

সামগ্রিকভাবে, কঠিন বর্র্জ্য ব্যবস্থাপনা অবকাঠামোর উন্নয়নে স্থপতির ভ‚মিকা বহুমুখী, কৌশলগত পরিকল্পনা, সৃজনশীল নকশা, প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং স¤প্রদায়ের সম্পৃক্ততাকে অন্তর্ভুক্ত করে। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজšে§র চাহিদা মেটাতে পারে এমন টেকসই এবং স্থিতিস্থাপক বর্র্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা তৈরির জন্য তাঁদের অবদান অপরিহার্য। এসব কাজের মাধ্যমে স্থপতিরা বর্র্জ্য ব্যবস্থাপনাকে আধুনিকীকরণ করে জনগণের জীবনযাত্রা ও পরিবেশের গুণগত উন্নতির মাধ্যমে দেশের উন্নতির পথে অবদান রাখতে পারেন।

লেখক
স্থপতি, নগর উন্নয়ন পরামর্শক,
এসসিআরডি প্রকল্প, এলজিইডি

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top