বিস্ময়কর ইউনিভার্সাল স্টুডিওস

অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও প্রযুক্তির মেলবন্ধনে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সিঙ্গাপুর। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এমন অনেক পর্যটন এলাকা আছে, যা বিশ্বের লাখ লাখ পর্যটক ও দর্শনার্থীর মন কেড়ে নিয়েছে। এসব পর্যটন আকর্ষণের মধ্যে বিস্ময়কর এক স্থান সিঙ্গাপুরের সানেতাসা দ্বীপে অবস্থিত ‘ইউনিভার্সাল স্টুডিওস সিঙ্গাপুর’। এই থিম পার্ক যেন এক সত্যিই স্বপ্নপুরী! ছেলে-বুড়ো সবাই বিমোহিত হয় জাদুময় এ জগৎ দেখে। সিঙ্গাপুরের ইউনিভার্সাল স্টুডিওর বিস্তারিত তুলে ধরছেন মারিয়া মিম

ইউনিভার্সাল স্টুডিও বিশ্বের পাঁচটি বিখ্যাত থিম পার্কের একটি। কখনো কখনো এই থিম পার্কটিকে ইউনিভার্সাল পিকচারস বা ইউনিভার্সাল সিটি স্টুডিও নামেও ডাকা হয়। হলিউডের অন্যতম প্রধান চলচ্চিত্র স্টুডিও এটি; এনবিসি ইউনিভার্সালের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। প্যারামাউন্ট পিকচার্সের পর এটি হলিউডের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্টুডিও। সিঙ্গাপুরের সানেতাসা দ্বীপে অবস্থিত এ ইউনিভার্সাল স্টুডিওটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয় ২০১১ সালের ২৮ মে। উদ্বোধনী বছরে ৩ মিলিয়নের বেশি অতিথি পার্কটি পরিদর্শন করেছিলেন। তার পর থেকে প্রতিবছর প্রায় ৪ মিলিয়ন দর্শক এসেছেন।

ইউনিভার্সাল স্টুডিওয়ের আয়তন ২৫ হেক্টর (৬২ একর)। এটি ইউনিভার্সাল পার্কগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ছোট। এখানে মোট ২৪টি আকর্ষণীয় বিনোদনকেন্দ্র রয়েছে। পার্কটি একটি উপহ্রদকে ঘিরে সাতটি থিমযুক্ত অঞ্চল নিয়ে গঠিত, যেখানে রয়েছে আকর্ষণীয় ও লোমহর্ষক সব রাইড ও প্রদর্শনী। প্রতিটি অঞ্চল বেশির ভাগই সিনেমা এবং টেলিভিশনের বিভিন্ন জনপ্রিয় চরিত্রের ওপর ভিত্তি করে তৈরি।

জুরাসিক পার্কের লোমহর্ষক রাইড। ছবি: শ্যুটিংগ্যালারিএশিয়া

শুরুতে টিকিট কেটে দীর্ঘ লাইন ধরে ভেতরে প্রবেশের পথে চোখে পড়বে বিশাল গেটের ওপরে লেখা ইউনিভার্সাল স্টুডিওস সিঙ্গাপুর। এরপর প্রবেশমুখেই দেখতে পাবেন ইউনিভার্সাল স্টুডিওসের সেই বিখ্যাত লোগো। ঘূর্ণমান পৃথিবীর ( গ্লোব) গায়ে লেখা ‘ইউনিভার্সাল স্টুডিওস’। সাতটি জোনে ভাগ করা পুরো স্টুডিওস। জোনগুলো হচ্ছে-

  • হলিউড
  • নিউইয়র্ক
  • সাইফাই সিটি
  • অ্যানশিয়েন্ট ইজিপ্ট
  • দ্য লাস্ট ওয়ার্ল্ড
  • ফার ফার অ্যাওয়ে
  • ওয়েলকাম টু মাদাগাস্কার।

হলিউড
হলিউড হলো পার্কের প্রধান প্রবেশপথ। এটি ইউনিভার্সাল স্টুডিওসের ৭টি থিম অঞ্চলের মধ্যে অন্যতম। ১৯৭০-এর হলিউড বুলেভার্ডের আদলে থিমযুক্ত ‘গতিশীল’ স্থাপত্য খেজুরগাছ ও ‘ওয়াক অব ফ্রেম’-এর অনুরূপে তৈরি। লস অ্যাঞ্জেলেস ক্যালিফোর্নিয়ার হলিউডের এক প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা হয়েছে এখানে। এখানে দেখা মিলবে বিখ্যাত সব হলিউড অভিনেতার প্রতিকৃতি। রয়েছে বিখ্যাত নিনিয়ন রাজ্য এবং দুষ্টুমিতে ভরা সিশেমি স্ট্রিট, যা অনেকটাই যেন বাংলাদেশের সিসিমপুর। কিছুদূর হেঁটে যেতেই চোখ পড়বে হলিউডের বিখ্যাত পরিচালক স্টিভেন স্পেলবার্গ পরিচালিত কিছু অ্যানিমেশন ইফেক্ট। তার পাশেই ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াসখ্যাত বিখ্যাত অভিনেতা ভিন ডিজেলের ভাস্কর্য। মজার ব্যাপার হলো, এটা আসল না মমি দিয়ে বানানো তা শনাক্ত করাও বেশ কঠিন ব্যাপার।

হলিউডের সিনেমার জন্য বানানো সেটের রেপ্লিকা স্টুডিওর অন্যতম প্রধান আকর্ষণ সাইফাই সিটির ট্রান্সফরমার রাইড। হলিউডের আদলেই বানানো ‘ওয়াক অব ফেম’ আর অন্যান্য রাস্তায় হলিউডের নায়ক-নায়িকা বেশে অনেককেই ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। ১৯৭৩ সালে জর্জ লুকাস নির্মিত ‘আমেরিকান গ্রাফিটি’ ছবির ‘মেলস ড্রাইভ ইন’ রেস্তোরাঁর একটি ক্ষুদ্র সংস্করণও পাওয়া যাবে স্টুডিওতে। এ ছাড়া এখানকার অন্যতম আকর্ষণ, একটি ব্রডওয়ে-শৈলীর থিয়েটার, যেখানে লাইভ শো দেখারও সুযোগ রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ এবং শপিং জোন।

ট্রান্সফরমারখ্যাত সেনা অপ্টিমাস প্রাইম। ছবি: হোটেল ডট কম

নিউইয়র্ক সিটি
মূল নিউইয়র্ক শহরের ওপর ভিত্তি করে পোস্ট-মডার্নাইজেশনের যুগের নিউইয়র্ক সিটি তৈরি করা হয়েছে। এই অঞ্চলটিতে বিভিন্ন ল্যান্ডমার্ক রয়েছে, যা সাধারণত শহরের আকাশপথ, নিয়ন লাইট, সম্মুখভাগ এবং ফুটপাতসহ চলচ্চিত্রে চিত্রিত করা হয়। এখানেই বিশ্বখ্যাত পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গের ‘লাইট! ক্যামেরা! অ্যাকশন!’ শীর্ষক আয়োজনে একটি শুটিংয়ের অংশবিশেষ দেখার সুযোগ মেলে। নিউইয়র্ক সিটিতে প্রচন্ড ঝড় আঘাত হানায় কীভাবে সব ভেঙেচুরে পড়ে, তা সরাসরি দেখানো হয় এখানে। আর বড় পর্দায় ভিডিও বার্তায় স্টিভেন স্পিলবার্গের মুখে শোনা যায় শুটিংয়ের নেপথ্যের কিছু বিষয়। এখানকার আরেকটি প্রধান আকর্ষণ হলো, ‘সিসেমি স্ট্রিট স্প্যাগেটি স্পেস চেজ’ ফ্যামিলি রাইড। সিসেমি স্ট্রিট চরিত্রের উপস্থিতির মধ্যে রয়েছে এলমো, বিগ বার্ড, কাউন্ট ভন কাউন্ট, অ্যাবি ক্যাডাবি, বার্ট, আর্নি, গ্রোভার, কুকি মনস্টার এবং অস্কার দ্য গ্রোচ। এ ছাড়া নিউইয়র্কের বিখ্যাত লাইব্রেরির রেপ্লিকাও পাওয়া যায় এই জোনে।

সাইফাই সিটি
ইউনিভার্সাল স্টুডিও সিঙ্গাপুরের সম্ভবত সবচেয়ে জনপ্রিয় জোন হলো সাইফাই সিটি। এই জোনটি একটি জনপ্রিয় কল্পবিজ্ঞান ফ্রাঞ্চাইজি অনুসারে শহর এবং মহামগর ভবিষ্যতে কেমন হতে পারে সেই আদলে থিমেটিক সাজে সাজানো। হলিউডের রাস্তা শেষ হতেই প্রবেশ করা যায় বিশাল সাই সিটিতে। এখানে আছে ট্রান্সফরমারখ্যাত সব সেনারা। আছে অপ্টিমাস প্রাইম এবং বাম্বেল বি এবং অসাধারণ ফোর-ডি ডার্ক রাইড মোশন সিমুলেটরের ট্রান্সফরমার রাইড। এ যেন এক লোমহর্ষক অভিজ্ঞতা। ফোর-ডি ডার্ক রাইড মোশন সিমুলেটরের ট্রান্সফরমার রাইডে উপভোগ করা যায়, অপ্টিমাস প্রাইম বেপরোয়া গতিতে ছুটে চলে আরোহীদের নিয়ে! তখন সবার মুখেই আতঙ্কের ছাপ ফুটে ওঠে। দূর থেকে আক্রমণের জন্য ছুটে আসে দানবাকৃতির গাড়ি অটোবট! আর রক্ষাকর্তা হিসেবে হাজির হয় অপ্টিমাস প্রাইম! দুই পক্ষের সংঘাত চলে বেশ কিছুক্ষণ। সুউচ্চ ভবনগুলো ভেদ করে সব ভেঙেচুরে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলে অপ্টিমাস প্রাইম! কখনো ওড়ার অনুভ‚তি, কখনো অনেক ওপর থেকে নিচে পড়া! পরাক্রমশালী দুই এলিয়েন গ্রুপের যুদ্ধের মাঝে রীতিমতো নাস্তানাবুদ অবস্থা উপভোগকারীদের। অপ্টিমাস প্রাইম সবাইকে বাঁচানোর জন্য একের পর এক আক্রমণ প্রতিহত করে চলে। কখনো-বা প্রাইমের নিরাপত্তাবেষ্টনী গলে গোলা এসে আঘাত হানে দর্শকদের ওপর। আতঙ্কে সবাই তখন চিৎকার করে ওঠে। ফোর-ডি এই রাইড ভিজ্যুয়ালি এতই বাস্তবসম্মত যে এটি একটি স্রেফ ভার্চুয়াল রাইড জানা সত্তে¡ও ভয়ে সবার চোখ ছানাবড়া অবস্থা!

অ্যানশিয়েন্ট ইজিপ্ট। ছবি: জিওভিউ

সাইফাই সিটির আরও ভয়ংকর রাইড হলো ব্যাটেলস্টার গ্যালাক্টিকের আদলে নির্মিত ‘হিউম্যান’ ও ‘সাইক্লোন’ নামের রোলারকোস্টার দুটো। এগুলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম ভয়ংকর রোলারকোস্টার রাইড। তবে দুর্বল চিত্তের মানুষের জন্য এগুলোতে চড়া পুরোপুরি মানা।

অ্যানশিয়েন্ট ইজিপ্ট
সাইফার সিটি পেরোলেই দর্শনার্থীদের পা পড়বে অতীতের মিসরের উঠানে। এটা পুরোনো মিসর নামেও পরিচিত। পুরো এলাকা সাজানো হয়েছে মমির মূর্তি দিয়ে। ১৯৩০-এর দশকে মিসরীয় পুরাকীর্তি অন্বেষণের স্বর্ণযুগের সময় পাওয়া মিসরীয় স্থাপত্য এবং নিদর্শনগুলোর ওপর ভিত্তিকরে পুরো পার্কটিতে রয়েছে ছয়টি স্বপ্নরাজ্য। এ ছাড়া আছে নানা ধরনের রাইড। এনক্লোজড স্টিল রোলারকোস্টারের ‘রিভেঞ্জ অব দ্য মমি’ এখানকার আকর্ষণীয় একটি রাইড। আলো-আঁধারির খেলা আর ভয়ংকর সাউন্ড ইফেক্টে প্রচন্ড উত্তেজনাপূর্ণ এটি।

দ্য লস্ট ওয়ার্ল্ড
মিসরের পরেই পা দিতে হবে ডাইনোসর রাজ্যে ‘দ্য লস্ট ওয়ার্ল্ড’ জুরাসিক পার্ক। প্রধান ফটক দেখে মনে হবে সত্যিই ছায়াছবির মতো এক অপূর্ব দৃশ্য। বিশাল ডাইনোসরের মূর্তি আর গাছগাছালিঘেরা জুরাসিক পার্কের আনন্দ বাড়িয়ে দেবে বিভিন্ন ওয়াটার রাইড। স্টিভেন স্পিলবার্গের বিখ্যাত ‘জুরাসিক পার্ক’ ছবির আদলে বিশাল বিশাল সব ডাইনোসরের অতিকায় মূর্তি, কৃত্রিম লেক ও গাছপালা দিয়ে এই অদ্ভুত সুন্দর জোনটি সাজানো। সেই সঙ্গে রয়েছে দারুণ সব ওয়াটার রাইড। বিশেষ করে ‘জুরাসিক পার্ক র‌্যাপিডস অ্যাডভেঞ্চার’ রিভার রাইডের কথা না বললেই নয়। জলপথে একটি নৌকা করে আমাদের নিয়ে যাওয়ার পথে ভয়ংকর সব ডাইনোসর আক্রমণ করে বসে। সব বাধা অতিক্রম করে আমরা নিরাপদস্থলে পৌঁছে যাওয়ার পরেই ফাঁদে আটকা পড়তে হয়। এরপরই সবচেয়ে বড় ডাইনোসরের আক্রমণ আর তা থেকে বাঁচতে পানির মধ্যে ভয়ংকর এক পতন! ঘাবড়াবেন না। যতটা ভয়ের শোনাচ্ছে, ব্যাপারটা আসলে ততটা নয়। বরং অনেক মজার একটা অভিজ্ঞতা। রাইডটির পুরো আবহ এমনভাবে সৃষ্টি করা যেন জুরাসিক ওয়ার্ল্ডে সবাই হারিয়ে যায়। এ ছাড়া এই জোনে কেভিন কস্টনারের ‘ওয়াটার ওয়ার্ল্ড’ ছবির আদলে নির্মিত জল সেটে প্রদর্শিত লাইভ শোও বেশ জনপ্রিয়।

সিসেমি স্ট্রিট স্প্যাগেটি স্পেস চেজ। ছবি: এইটডেইজ

ফার ফার অ্যাওয়ে
জুরাসিক পার্কের গন্ডি পেরিয়ে দেখা মিলবে বিখ্যাত অ্যানিমেশন মুভি শ্রেক-এর স্বপ্নরাজ্য। এখানে শ্রেক, ফিওনা, ডঙ্কি ও পিটার প্যানদের নিয়ে রয়েছে থ্রি-ডি ও লাইভ শো। এই চরিত্রগুলো সবার মাঝেই জনপ্রিয়। এই রাজ্যের ৪০ ফুট উঁচু রাজপ্রাসাদটি সত্যিই মনোমুগ্ধকর। এখানকার ছোট ছোট রাইড মূলত শিশুদের কথা মাথায় রেখে ডিজাইন করা।

ওয়েলকাম টু মাদাগাস্কার
সবশেষে রয়েছে ড্রিমওয়ার্কসের নামকরা অ্যানিমেশন ফ্রাঞ্চাইজি মাদাগাস্কার নিয়ে ‘মাদাগাস্কার’ থিম জোন। মাদাগাস্কারের মার্টি (জেব্রা), অ্যালেক্স (সিংহ), গ্নোরিয়া (জলহস্তী) আর মেলমান (জিরাফ) সাদরে সবাইকে বরণ করে নেয় তাদের বন-বনানীতে। এখানকার ‘মাদাগাস্কার: অ্যা ক্রেট অ্যাডভেঞ্চার’ নামক ওয়াটার বোট রাইড পুরো মাদাগাস্কারের গল্পটির মধ্য দিয়ে অতিক্রম করা দারুণ উপভোগ্য এক বোট জার্নি। রাইডের শেষে যখন বেজে ওঠে, ‘আই লাইক টু মুভ ইট, মুভ ইট’, তখন দর্শনার্থীদের উল্লাস বলে বোঝানো যাবে না। সুরের তালে তালে একটুখানি নেচে নিতে ভুল হয় না কারও। আর কিছু দূরেই আছে মাদাগাস্কারের পেঙ্গুইন, সিংহ, জলহস্তী ও জিরাফদের নৃত্য।

হাজারও দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় এই থিম পার্কের নিত্য চিত্র। আর শনি ও রোববার হলে তো কথাই নেই। ওই দুই দিন ও বিশেষ দিবসে (যেমন হ্যালোউইন, বড়দিন) আরও বাড়তি চমক থাকে এই থিম পার্কে। প্রতিটি রাইডের প্রবেশমুখেই থাকে বিশাল লাইন। ৩০টির বেশি রেস্তোরাঁ ও শপিং জোন রয়েছে পার্কের মধ্যে। ডিসকভারি ফুড কোর্টের সামনে ডাইনোসরের মূর্তি পুরো থিম পার্কটি এতই বড় যে এক দিনে পুরোটা ঘুরে দেখা সত্যিই কষ্টের।

ড্রিমওয়ার্কসের নামকরা অ্যানিমেশন ফ্রাঞ্চাইজি মাদাগাস্কার। ছবি: ইউটিউব

সিঙ্গাপুরের ইউনিভার্সাল স্টুডিওতে প্রবেশমূল্য ৬০-৮০ মার্কিন ডলার। বিভিন্ন সময়ে অফারের কারণে মূল্যের এমন তারতম্য। এক টিকিট দিয়েই পুরো পার্কটি সারা দিন ঘুরে দেখা যাবে আর প্রতিটি রাইড চড়া যাবে যতবার খুশি ততবার। পার্কে ঢোকার মুখেই ম্যাপ আর স্টুডিও গাইড সংগ্রহ করে নিলে সারা দিনের ট্যুর প্ল্যান করতে সুবিধা হয়। দিনের বিশেষ প্রদর্শনীগুলো কোথায় ও কখন, সব বিস্তারিত দেওয়া থাকে স্টুডিও গাইডে। মেট্রোরেলের ভিভোসিটি মলের সেন্তোষা স্টেশন থেকে যাওয়া যাবে সহজেই। সিঙ্গাপুর ভ্রমণকে এক আলাদা আনন্দময় করে তুলবে ইউনিভার্সাল স্টুডিও ভ্রমণের মাধ্যমে।

প্রকাশকাল: বন্ধন ১৬৬ তম সংখ্যা, জুন ২০২৪

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top