বিদ্যুৎ ও জ্বালানি আধুনিক জীবনযাত্রার অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাসাবাড়ি, অফিস-আদালত, কলকারখানা, কৃষি, যানবাহনসহ যাবতীয় কিছুই বিদ্যুৎ ও জ্বালানিনির্ভর। বিদ্যুৎ ও জ্বালানিকে কাজে লাগিয়ে উন্নত দেশগুলো শিল্প-কারখানার প্রসার ঘটিয়ে উন্নতি ও অগ্রগতির চরম শিখরে পৌঁছালেও তারা পরিবেশ, প্রকৃতিকে তোয়াক্কা করেনি। তাই তো প্রকৃতি এখন রুদ্র ও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। শিল্প-কারখানার নির্গত কার্বন বায়ুমন্ডলের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করছে। উষ্ণ হয়ে উঠছে জলবায়ু। হুমকির মুখে পৃথিবীর অস্তিত্ব। তা ছাড়া কয়লা, গ্যাস, তেল ও ইউরেনিয়ামের মতো জ্বালানি নবায়নযোগ্য নয়। এসবের মজুদ দিন দিন শেষ হয়ে আসছে। সেই ভাবনা থেকেই পৃথিবীর অনেক দেশ নবায়নযোগ্য ও বিকল্প জ্বালানি উৎপাদনের দিকে ঝুঁকছে। এসব জ্বালানি একদিকে পরিবেশবান্ধব, অন্যদিকে সাশ্রয়ী। সূর্যরশ্মি, বায়ু, সমুদ্রের ঢেউ, ভূপৃষ্ঠের তাপ ইত্যাদি প্রাকৃতিক শক্তিকে সবুজ প্রযুক্তির মাধ্যমে বিদ্যুতে রূপান্তরিত করা হচ্ছে। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদন মতে, নবায়নযোগ্য জ্বালানি তথা সবুজ বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ছে। আর এ বিনিয়োগের সুবিধা পর্যাপ্ত করতেই ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ইডকল) প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রতিষ্ঠাকাল
বর্তমানে দেশে মোট বিদ্যুতের চাহিদা প্রচুর। এই বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রধান জ্বালানি গ্যাস ও আমদানিকৃত তেল। গ্যাস দেশীয় হলেও তেল আমদানি করতে বছরে বড় অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়। প্রতিবছর এ ব্যয় বাড়ছে। এ কারণে সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর জোর দিচ্ছে। সে লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ১৪ মে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ইডকল) প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৮ সালের ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক লাইসেন্স প্রাপ্ত হয়।
যে উদ্দেশ্যে ইডকল
চীন, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে ঝুঁকছে। আমাদেরও উচিত এই অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো। এসব কথা চিন্তা করেই মূলত প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে। তার ওপর আছে দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি-সংকট। বিদ্যুতের অভাবে আবাসিক, অফিস-আদালত, শিল্প-কারখানা, কৃষির সেচের জন্য পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ কম হওয়ায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। একদিকে সরবরাহ বাড়ালে অন্যদিকে কমাতে হচ্ছে। মোট কথায় জোড়াতালি দিয়ে চলছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। সরকার দেশে প্রচুর বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হলেও চাহিদার তুলনায় তা যথেষ্ট নয়। বর্তমান সরকারকে দেশের নাজুক বিদ্যুৎ খাতকে টেনে তুলতে বহু বেগ পেতে হয়েছে। নিতে হয়েছে অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত। কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে গিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি গুনতে হচ্ছে। এর চাপও পড়ছে দেশের অর্থনীতিতে। সরকার বড় বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পাশাপাশি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র, সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে হাঁটছে। পরমাণু ও জ্বালানিনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন একদিকে যেমন ব্যয়বহুল, অন্যদিকে পরিবেশের জন্যও ক্ষতিকর। এই বাস্তবতায় পৃথিবীর বহু দেশ আস্তে আস্তে নবায়নযোগ্য সবুজ বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে মনোনিবেশ করছে। দেশের মানুষও চাইছে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার সহজলভ্য হোক। এসব দিক বিবেচনা করেই ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ইডকল) এগিয়ে চলা।

বৈশিষ্ট্য যা কিছু
এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকল্পে অর্থায়ন ও কারিগরি-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। সৌরবিদ্যুতের জন্য আমদানিকৃত যন্ত্রাংশের ওপর কর সম্পূর্ণ মওকুফ করা হয়েছে। এ ছাড়া ইডকলের মাধ্যমে সহজ শর্তে ঋণ ও ভর্তুকি প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মানুষের দোরগোড়ায় ক্লিন এনার্জি পৌঁছে দিতে বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইডকল মাঝারি ও বড় মাপের অবকাঠামো এবং পুনরায় বিকিরণযোগ্য শক্তির প্রকল্পে উন্নয়নের জন্য বড় অর্থ জোগানদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে। ফলে বেসরকারি খাতের শক্তি ও বাংলাদেশে অবকাঠামো অর্থায়ন বাজারে অভিভাবক হিসেবে কাজ করছে।
লক্ষ্য ও বহুমুখী কর্মকান্ড
বাংলাদেশের মতো একটি বিশাল জনসংখ্যার দেশে ইডকলের লক্ষ্য হচ্ছে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ উৎসাহিত করে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাকে গতিশীল করা। বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সহায়তা প্রদান করা। এই সব উদ্দেশ্য নিয়ে ইডকল নানামুখী কাজ করে যাচ্ছে-
১. অবকাঠামো প্রকল্পে আন্তর্জাতিক মান ও কর্মদক্ষতা বজায় রেখে গ্রাহকদের আর্থিক পরিষেবা দানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
২. ইডকল পরিচালিত সকল কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও সততা নিশ্চিত করা, যাতে গ্রাহক বা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সেবার মান নিশ্চিত থাকে।
৩. যেহেতু সামাজিক পরিসেবার আওতায় সমগ্র দেশের জনগণ সেহেতু আর্থিক উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান হিসেবে সবার সেবা নিশ্চিত করা।
নিজস্ব সম্পদ
বর্তমানে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ইডকল) কাছে যে পরিমাণ সম্পদ আছে, তা হচ্ছে-
পরিশোধিত মূলধন হিসেবে বর্তমানে মজুদ আছে এক হাজার ৭২০ মিলিয়ন সমপরিমাণ টাকা।
রিজার্ভ হিসেবে ১.০৪৭ মিলিয়ন টাকা।
বর্তমানে ইডকলের পরিচালনা আছে-
– ৮০ মিলিয়ন ডলার ঋণে ৪৫০ মেগাওয়াট মেঘনা পাওয়ার লিমিটেডের প্রকল্প।
– পল্লী বিদ্যুতায়ন এবং পুনরায় বিকিরণযোগ্য শক্তি উন্নয়ন প্রকল্প (আরইআরইডিপি) বাস্তবায়নের জন্য ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) সাথে ৩০৮ মিলিয়ন ডলার চুক্তি হয়েছে। এর মধ্য ৫৬ মিলিয়ন ডলার আসেছে দ্বিতীয় ধাপে ৮০ মিলিয়ন ডলার এবং পরে ১৭২ মিলিয়ন ডলার।
– বেসরকারি অবকাঠামো উন্নয়ন-সুবিধা (পিপিআইডিই) অধীনে পুনরায় বিকিরণযোগ্য শক্তির প্রকল্পের জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে ১৫৬ মিলিয়ন ডলার প্রাপ্তি।
– ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) থেকে বাংলাদেশে সৌরশক্তি প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ পরিবারে জীবনযাপন উন্নতি জন্য আর্থিক সহায়তা ১৮ মিলিয়ন ডলার।
– পুনরায় বিকিরণযোগ্য শক্তির প্রকল্পে উন্নয়নের জন্য জাইকার কাছ থেকে ১১ হাজার ৩৩৫ মিলিয়ন ইয়েন প্রাপ্তি।
– নতুন করে পুনরায় বিকিরণযোগ্য শক্তি প্রকল্পের জন্য ১৬ দশমিক ৫ মিলিয়ন ইউরো প্রাপ্তি।
– উন্নয়নের জন্য জিইএফ থেকে ৭ মিলিয়ন ডলার প্রাপ্তি।
এ ছাড়া বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের জন্য আন্তর্জাতিক উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের কাছে পুনরায় বিকিরণযোগ্য শক্তির প্রকল্পে উন্নয়নের জন্য নগদ অর্থ প্রাপ্তি।
পুনরায় বিকিরণযোগ্য শক্তি প্রকল্প
ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ইডকল) বিভিন্ন প্রকার শক্তি প্রকল্পের কাজ করে। এর মধ্যে-
ইডকল সৌরশক্তি প্রোগ্রাম
ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ইডকল) বিশ্বব্যাংক, গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফাউন্ডেশন (জিইএফ), জিটিজেড, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এবং ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক থেকে আর্থিক সহায়তায় সৌরশক্তি প্রোগ্রাম মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে সোলার হোম সিস্টেম গঠনের কাজ করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটি ২০০৩ সালের জানুয়ারি থেকে প্রোগ্রাম শুরু করে ২০০৮ সালের জুনে শেষ করে। এতে প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা ৫০ হাজার এসএইচএসএস পূর্ণ করে। বিশ্বের দ্রুততম ক্রমবর্ধমান পুনরায় বিকিরণযোগ্য শক্তির প্রোগ্রামের মধ্য ইডকলের সৌরশক্তির প্রোগ্রাম অন্যতম। এই প্রোগ্রামের আওতায় বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে জীবন-জীবিকা ইতিবাচক পরিবর্তন আনা হয়েছে। ২০০৯ সালে ১৯ নভেম্বর বিশ্বব্যাংকের এক বক্তৃতায় জন কেরি জীবন পরিবর্তনকারী প্রকল্পের একটি ভালো উদাহরণ হিসেবে ইডকল সৌর হোম সিস্টেম (এসএইচএস) প্রকল্পকে উল্লেখ করেছেন। প্রতিষ্ঠানটি গ্রামীণ শক্তি, ব্র্র্যাক ফাউন্ডেশন, সৃজণী বাংলাদেশ, সেন্টার ফর ম্যাস এডুকেশন ইন সায়েন্স, রুরাল এনার্জি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (রিডি), পল্লী বিকাশ কেন্দ্র (পিবিকে), পল্লীশক্তি ফাউন্ডেশন লিমিটেডসহ ৪৬টি সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে। এ ছাড়া নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ে যথাযথ প্রচার ও প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন বিষয়ে সহায়তা দিয়ে থাকে। এর মধ্য অন্যতম বায়োগ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন প্লান্ট। ইডকল তিনটি বায়োগ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন প্লান্ট তৈরি করেছে। এর একটি ময়মনসিংহে ও দুটি গাজীপুরে।

সৌর সেচপাম্প
গ্রামীণ শক্তি ও পল্লী সার্ভিসেস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নওগাঁয় ১১ দশমিক ২ সৌরপাম্প স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার ২৭৫ মিলিয়ন টাকা। এ পাম্পগুলো দিয়ে প্রতিদিন দুই লাখ ৫০ হাজার লিটার পানি ওঠানো সম্ভব হবে, যা দিয়ে তিন হেক্টর জমিতে পানি দেওয়া যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
সৌর মাইক্রো গ্রিড
ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ইডকল) বোর্ড সম্প্রতি স›দ্বীপ, চট্টগ্রাম এলাকায় পূরবী গ্রিন এনার্জি লিমিটেড (পিজিইএল) দ্বারা পরিচালিত মাইক্রো গ্রিড-ভিত্তিক একটি ১০০ কিলোওয়াট সৌর ফোটোভোলটাইক (পিভি) আর্থিক অনুমোদন দিয়েছে। এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৫ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন টাকা। প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হলে এর সংলগ্ন ৩৯০টি দোকান, পাঁচটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং পাঁচটি বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব।
পরিচালনা পরিষদ
ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ইডকল) সরকারি প্রতিষ্ঠান হলেও সর্বসাধারণের সমন্বয়ে গঠিত একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটিতে চারজন সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা, বেসরকারি খাত থেকে তিনজন উদ্যোক্তা, একজন নির্বাহী পরিচালক ও একজন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সমন্বয়ে গঠিত। পরিচালনা কমিটি আট সদস্যের স্বাধীন পরিচালনা বোর্ড দ্বারা পরিচালিত হয়। পরিচালনা কমিটিতে অর্থনীতিবিদ, আর্থিক ও বাজার বিশ্লেষক, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী, আইটি বিশেষজ্ঞ এবং হিসাবরক্ষক সমন্বয়ে গঠিত। কাজগুলো ছোট ছোটভাবে ভাগ করা হলেও সবার সমন্বয়ে একটি দক্ষ পরিচালনা পর্ষদ কাজ করছে। ইডকল সরকারের আর্থিক প্রতিষ্ঠান হলেও এর সাথে আছে প্রাইভেট সেক্টর, এনজিও, বহুপক্ষীয় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাবিদ সর্বোপরি বাংলাদেশের জনগণ।
যোগাযোগ
ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ইডকল)
ইউটিসি ভবন, ১৬ তলা, ৮ পান্থপথ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন : ৯১০২১৭১-৮
ফ্যাক্স: +৮৮০-২-৮১১৬৬৬৩
ই-মেইল: contact@idcol.org
ম. শাফিউল আল ইমরান
প্রকাশকাল: বন্ধন ৫২ তম সংখ্যা, আগস্ট ২০১৪