প্রতিদিন একই ধরনের খাবার খেতে কার না ভালো লাগে! তাই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভিন্ন স্বাদের খোঁজে অনেকেই ছুটে যান রেস্টুরেন্টে। খাবারের সঙ্গে সঙ্গে রেস্টুরেন্টের সুন্দর পরিবেশও প্রাধান্য পায় অনেকের কাছে। কারণ, নান্দনিক পরিবেশে সুস্বাদু খাবার গ্রহণের স্বাদই আলাদা! শৃঙ্খলিত জীবনের নিত্যদিনের রুটিন ছেড়ে অনেকেই কিছুটা সময় কাটাতে চান বিনোদন আর খাবারের সঙ্গে। রেস্টুরেন্ট আর ভোজনরসিক মানেই সুস্বাদু খাবার সঙ্গে সুরেলা মূর্ছনা। সে জন্য রেস্টুরেন্টের ইন্টেরিয়রে মাথায় থাকে চারপাশের পরিবেশকে খাবারের পাশাপাশি নান্দনিক রূপ দেওয়ার। আর এর সাজানো-গোছানো পরিবেশটি আপনাকে পৃথিবীর জাগতিক ভাবনা থেকে নিয়ে যাবে ভিন্ন এক দুনিয়ায়, যেখানে খাবার আর আপনি ছাড়া সব কিছুই ঝাপসা। অনেকেই আবার পেটপুজো করতে করতে রেস্টুরেন্টে বসেই সেরে ফেলেন তাঁর প্রয়োজনীয় কাজটি। মিটিং, পড়াশোনার আলোচনা অথবা ব্যবসা-বাণিজ্যের ছোটখাটো বিষয়গুলো খুব সহজেই সেরে নেন অনেকেই রেস্টুরেন্টে বসে। আজকাল বাচ্চাদের বিনোদন কিংবা খেলার জায়গা বলতেই প্রথমে মাথায় আসে রেস্টুরেন্টের কথা। ইট-পাথরের শহরে একটু বিনোদন যেন মানুষ এখানেই মেলে। তা ছাড়া গেট টুগেদার ছোটখাটো পার্টির জন্যও আদর্শ জায়গা হিসেবে অনেকের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রেস্টুরেন্ট।
রেস্টুরেন্টের মূল সজ্জা নির্ভর করে রেস্টুরেন্টের খাবার (বাংলা, থাই, চায়নিজ) কী ধরনের হবে তার ওপর। রেস্টুরেন্টের ইন্টেরিয়র কেমন হবে এবং কোন বিষয়গুলো মাথায় রেখে ডিজাইন করতে হবে, আসুন জেনে নিই।
লে-আউট
রেস্টুরেন্ট ডিজাইনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লে-আউট। নান্দনিক কমফোর্টেবল ফ্লুইড এবং ফাংশনাল লে-আউটের গুরুত্ব অপরিসীম রেস্টুরেন্ট ডিজাইনের ক্ষেত্রে। গুরুত্ব বিবেচনায় সার্কুলেশন, টেবিল থেকে টেবিলের দূরত্ব, চেয়ার এবং মানুষের মুভমেন্ট নির্ধারণ করে তবেই ঠিক করতে হবে আউট প্ল্যান। আগে থেকেই জানা ভালো এর পর্যাপ্ত পরিমাণ সিটিং ক্যাপাসিটি এবং বিজনেসের ধরন সম্পর্কে। যদি কোনো ধরনের ইভেন্ট কিংবা পার্টি করার ফ্যাসিলিটি কাস্টমারকে দেওয়ার ইচ্ছে থাকে, তবে সেই পরিকল্পনা আগে থেকে চিন্তা করেই লে-আউট প্ল্যান করলে সুবিধা হয়।

কনসেপ্ট
ইন্টেরিয়র ডিজাইনে প্রথমে যে কথাটি মাথায় আসে তা হলো বিজনেসের কনসেপ্ট কী হবে? রেস্টুরেন্টে কী ধরনের সার্ভিস দেওয়া হবে। শুধুই কি রেস্টুরেন্টভিত্তিক খাবার পরিবেশন করা হবে, নাকি পার্টির ব্যবস্থা, স্পেশাল কোনো ইভেন্ট অথবা শুধু রাতের খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। এই বিষয়গুলো নির্ধারণ করতে হবে আপনার কাস্টমারকে বেইজ করে। প্রতিটি পদক্ষেপ ডেভেলপ করতে হবে আপনার রেস্টুরেন্টের কনসেপ্টের ওপর নির্ভর করেই। একবার যদি আপনি আপনার কনসেপ্ট নির্ধারণ করতে পারেন, তাহলে পরে সেটিই হবে আপনার রেস্টুরেন্টের ইন্টেরিয়র ডিজাইন গাইড।
বাজেট
একজন দক্ষ ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের মাথায় প্রথম যে প্রশ্নটি আসবে সেটি হলো বাজেট। মানে কত টাকা লাগবে? যদিও বাজেটের নাটকীয় পরিবর্তন ঘটে প্রজেক্ট অনুযায়ী। রেস্টুরেন্ট ডিজাইনের ক্ষেত্রে বাজেট অনেক সময় নির্ভর করে বিল্ডিং কনস্ট্রাকশনের ধরনের ওপর। কিছু খরচ বাড়ার কারণ এ ধরনের সিভিল ওয়ার্ক। ইন্টেরিয়রের সঙ্গে যদি সিভিল ওয়ার্কও যুক্ত থাকে সে ক্ষেত্রে সাধারণত খরচ বেশি হয়। এ জন্য একজন ক্লাইন্ট যখন ইন্টেরিয়রের কথা চিন্তা করবেন তখন অবশ্যই একজন ডিজাইনের কাজ হবে সিভিল পার্ট এবং ইন্টেরিয়র পার্ট দুই দিকে আলাদা করে ফেলা। এতে শুধু ক্লাইন্টই নয় বরং ডিজাইনারের জন্যও সুবিধা বাজেট সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নিতে। বাজেট মূলত নির্ভর করে ম্যাটেরিয়ালের কোয়ালিটি এবং দামের ওপর। সে জন্য বাজেটকে প্রাধান্য দিয়ে তবেই রেস্টুরেন্টের ম্যাটেরিয়ালস এবং ডেকোরেশন আইটেম নির্বাচন করুন। রেস্টুরেন্ট ডিজাইনের জন্য ১০০ অথবা এক হাজারেরও বেশি এলিমেন্টস নির্বাচন করা যায়। বর্তমানে সফল রেস্টুরেন্ট কনসেপ্ট মানে ভালো খাবার, ভালো সার্ভিস, ভালো পরিবেশ। কমন এবং প্রফেশনাল রেস্টুরেন্ট ডিজাইনের ক্ষেত্রে অনেক পার্থক্য দেখা যায় এখন। একজন দক্ষ ইন্টেরিয়র ডিজাইনার সব সময় চেষ্টা করেন সফল কিন্তু নতুন রেস্টুরেন্ট কনসেপ্ট দিতে।
ব্র্যান্ডিং
মানুষের মতো রেস্টুরেন্টের ব্র্যান্ডিংও সমান গুরুত্বপূর্ণ। একজন মানুষ যেমন তার ব্যবহার এবং কাজের মাধ্যমে পরিচিত লাভ করে, তেমনি একটি ব্র্যান্ডও পরিচিতি লাভ করে তার মান এবং বৈচিত্র্যের ওপর। একটি রেস্টুরেন্টের মূল উদ্দেশ্য মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। একটি ব্র্যান্ডকে উদ্দেশ্য করে তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শুধু রেস্টুরেন্টের ইন্টেরিয়র ডিজাইনই নয় বরং পাশাপাশি রেস্টুরেন্টের মেনু ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, ওয়েবসাইট ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ইউনিফর্ম ডিজাইন করা উচিত। সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্র্যান্ডিং বিশাল ভূমিকা রাখে। একটি শৈল্পিক ব্র্যান্ডিং আপনার রেস্টুরেন্টের মান বাড়িয়ে দেবে কয়েকগুণ। আপনার পছন্দ, রুচিবোধ এবং রেস্টুরেন্টের খাবারকে গুরুত্ব দিয়ে খুব সহজেই একজন ডিজাইনার তাঁর ক্রিয়েটিভিটিকে কাজে লাগিয়ে আপনাকে দিতে পারে ক্রিয়েটিভ ব্র্যান্ডিংয়ের আইডিয়া।

কালার
রেস্টুরেন্টের ইন্টেরিয়রের ক্ষেত্রে কালার বা রং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একটি কালার চার্ট ব্যবহার করার সময় রেস্টুরেন্টের ব্র্যান্ড এবং কনসেপ্টকে প্রাধান্য দিয়ে তা নির্বাচন করতে হবে। কালার নির্বাচন খুব সতর্কতার সঙ্গে করতে হবে। মনে রাখবেন, কালার মানুষের মনের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। সঠিক কালার নির্বাচন করতে না পারলে সেটা কাস্টমারের জন্য বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মনে রাখবেন, সঠিক কালার আপনার মনের ওপর, খাবারের ওপর এবং চারপাশের পরিবেশের ওপর প্রভাব ফেলে। রেস্টুরেন্ট মানেই আনন্দময় পরিবেশ। রেস্টুরেন্টের কালার নির্বাচন করার সময় সব সময় উজ্জ্বল কালারকে প্রাধান্য দেওয়া ভালো। যেমনÑ লাল, হলুদ, কমলা, সবুজ ইত্যাদি। যেগুলো কিনা আমাদের খাবারের রংকে রিপ্রেজেন্ট করে। কারও পছন্দের তালিকায় যদি ডার্ক কালার থাকে তাহলে খুব দক্ষতার সঙ্গে কালারগুলো রেস্টুরেন্টে ফুটিয়ে তুলতে হবে। খাবার মেনুর সঙ্গে এবং রেস্টুরেন্টের থিমকে মাথায় রেখে কালার নির্বাচন করুন। কালারের ছোঁয়া যে শুধু দেয়ালেই থাকবে তা কিন্তু নয়। কালার ছড়িয়ে থাকতে পারে সর্বত্রই। ফলস সিলিং থেকে শুরু করে দেয়ালের পেইন্টিং, আসবাব, লাইটিং, পর্দা, টেবিলক্লথ, টেবিল রানার এমনকি ন্যাপকিনেও।
মেঝের সজ্জা
রেস্টুরেন্টের মেঝেতে সাধারণত টাইলসই বেশি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু একটু ভিন্নতা আনতে আজকাল গøাস মার্বেল, গ্রানাইট, উডেন টাইলস, উডেন ফ্লোর বিভিন্ন ধরনের ম্যাটেরিয়ালসের ব্যবহার চোখে পড়ে। যেহেতু রেস্টুরেন্টে লোকজনের সমাগম বেশি হয়, তাই সিøপারি টাইলস না লাগানোই ভালো। টাইলস নির্বাচনের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করাটাই শ্রেয়।
লাইটিং বা আলো-ছায়া
রেস্টুরেন্টে লাইটিং মানেই আলো-আঁধারির খেলা। কাস্টমাররা, সাধারণত সরাসরি স্পটলাইটের আলো পছন্দ করেন না, যখন তাঁরা খাবার খান। পরিবারের সবাই অথবা বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে আড্ডা দেওয়ার জায়গাটি হোক আরও আন্তরিক ও অনুভূতিপ্রবণ। রেস্টুরেন্টে ঢুকতেই যেন উষ্ণ অভ্যর্থনার অনুভূতি পান কাস্টমার। সেটাকে লক্ষ রেখেই আলো-ছায়ার খেলা খেলতে হয় ইন্টেরিয়র ডিজাইনের সময়। ডিম লাইট, ঝাড়বাতি, ডিফিউস লাইট এবং বিভিন্ন ধরনের কালারফুল বাল্ব ব্যবহারে রেস্টুরেন্ট হয়ে উঠে রহস্যময়। কারও পছন্দের তালিকায় থাকে ক্যান্ডেলাইট ডিনার। সে ক্ষেত্রে সুন্দর মোমদানিতে প্রেজেন্ট করুন মোমসহ ফুলদানিতে তাজা কিছু ফুল। ফুলের ম-ম গন্ধে পুরো পরিবেশনাটিই হয়ে ওঠে আরও বেশি আকর্ষণীয় ও রোমান্টিক। রেস্টুরেন্টে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ জানালা থাকে, সে ক্ষেত্রে দিনের বেলায় আর্টিফিসিয়াল আলোর চেয়ে ন্যাচারাল আলো সব সময়ই ওয়েলকামিং।
উইনডো ডিসপ্লে
উইনডো ডিসপ্লে কাস্টমারকে আকর্ষণ করার অন্যতম উপায়। যেসব কাস্টমার আগে কখনো রেস্টুরেন্টে আসেননি তাঁদের আকৃষ্ট করতে। কারণ, প্রথমবার তাঁরা আপনার রেস্টুরেন্ট ভিজিট করছেন। আর এর মূল কারণ হলো, বাইরে দিয়ে যাওয়ার সময় এর ইউনিক, নান্দনিক আকর্ষণীয় উইনডো বাধ্য করছে তাঁদের রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করতে। একটি উইনডো ডিসপ্লে অবশ্যই ট্রান্সপারেন্ট হতে হবে, যাতে কাস্টমার খুব সহজেই দেখতে পান যে রেস্টুরেন্টে কী ধরনের খাবার আছে। ডিসপ্লে একটু বড় এবং নান্দনিক হতে পারে। তবে লক্ষ রাখতে হবে অতিরিক্ত আলোর জন্য তা যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, যাতে কাস্টমারকে আকর্ষণ করে এবং খুব সহজেই যাতে তার চোখে উইনডোতে আটকা পড়ে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ফেস্টিভ্যালকে রিপ্রেজেন্ট করতে উইনডোর জুড়ি নেই। বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট তখন শশব্যস্ত হয়ে পড়ে উইনডো সাজাতে। তাই একদল দক্ষ ইন্টেরিয়র ডিজাইনার যখন রেস্টুরেন্ট ডিজাইন করেন, তখন চেষ্টা করেন যতটা সম্ভব উইনডোকে কাজে লাগাতে।

থিম
রেস্টুরেন্ট ডিজাইনের ক্ষেত্রে অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের থিমকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। যেমন- মর্ডান, কন্টেম্পরারি, অ্যারাবিয়ান, ইতালিয়ান, মরোক্কান, ভিক্টোরিয়া, দেশীয় ইত্যাদি। সাধারণত খাবারের মেনুর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই থিম নির্বাচন করা হয়। যেমন- ইতালিয়ান খাবারের ক্ষেত্রে ইতালিয়ান থিম, ইন্ডিয়ান খাবারের ক্ষেত্রে ইন্ডিয়ান থিম আবার দেশীয় খাবারের ক্ষেত্রে দেশীয় থিম ইত্যাদি। আবার রেস্টুরেন্টের মালিকের পছন্দ অনুযায়ীও আবার অনেক সময় থিম নির্বাচন করা হয়। থিম যা-ই হোক না কেন, সবকিছু চিন্তাভাবনা করে কী ধরনের রেস্টুরেন্ট হবে সেই বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েই তবে একজন ডিজাইনার ইন্টেরিয়রের মাধ্যমে পুরো কনসেপ্টকে ফুটিয়ে তোলেন অত্যন্ত সুনিপুণভাবে। হায়দরাবাদী বিরিয়ানির ক্ষেত্রে যেমন মোগল সম্রাটদের গুরুত্ব দেওয়া হয়, ডিজাইনের ক্ষেত্রে তেমনি পুরান ঢাকার বিখ্যাত খাবারের ক্ষেত্রে রিকশাপেইন্ট, জমিদারবাড়ি ইত্যাদিকে গুরুত্ব দেওয়া হয় রেস্টুরেন্টের ইন্টেরিয়র ডিজাইনে। দেয়ালে টাঙানো একটি পেইনটিং অনেক সময় বলে দেয় আপনি আসলে কী ধরনের রেস্টুরেন্টে বসে আছেন এবং তার খাবারের ধরন কী রকম।
কমফোর্ট
রেস্টুরেন্টের ফার্নিচার সব সময় আরামদায়ক হওয়া বাঞ্ছনীয়। কারণ, মানুষ সেখানে বসে রিলাক্সভাবে এবং আনন্দের সঙ্গে খাবার গ্রহণ করতে পারে। ফার্নিচারের ডিজাইন করার সময় অবশ্যই রেস্টুরেন্টের থিমকে প্রাধান্য দিয়ে ডিজাইন করতে হবে। ফার্নিচার ডিজাইনের ক্ষেত্রে যে দিকটিতে বিশেষ লক্ষ দিতে হবে তা যেন কমফোর্ট হয় এবং আরগোনো মিক্স মেইনটেইন করে। কাস্টমাররা রেস্টুরেন্টের সুস্বাদু খাবারের পাশাপাশি তাঁর কমফোর্টও আশা করেন, যখন তাঁরা আপনার রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করেন। রেস্টুরেন্টের খাবারের মেনুর সঙ্গে মিল রেখে ফার্নিচার নির্বাচন করুন। যেমন- আইক্রিম বা কর্পারে যে ধরনের টুল নির্বাচন করবেন, অবশ্যই সেটা লাঞ্চ বা ডিনারের এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। সুতরাং সঠিক জায়গায় সঠিক ফার্নিচার নির্বাচন করাটাও একজন দক্ষ ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের ক্রিয়েটিভিটি তথা সৃজনশীলতা।

টিপস
১. ইন্টেরিয়র ডিজাইন শুধু রেস্টুরেন্টের ভেতরেই নয়, এর ছোঁয়া রেস্টুরেন্টের বাইরের চারপাশেও থাকতে হবে। প্রবেশপথের আশপাশে সম্ভব হলে গাছ লাগিয়ে দিন, দেখতে ভালো লাগবে।
২. বিভিন্ন ধরনের ফলস সিলিং, ডিজাইন করে তার সঙ্গে নানা ধরনের লাইটিং যুক্ত করে রেস্টুরেন্টের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলুন দ্বিগুণ।
৩. যারা খাবার পরিবেশন করে, তাদের ইউনিফর্ম যাতে সব সময় পরিষ্কার থাকে, সেদিকে লক্ষ রাখুন।
৪. রেস্টুরেন্ট ডিজাইন করার সময় সম্ভব হলে কাচ দিয়ে ঘেরা রান্নাঘর তৈরি করুন, যাতে কাস্টমাররা খুব সহজেই দেখতে পায় কতটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে তাদের খাবার পরিবেশন করা হয়।
৫. যেহেতু অনেকেই রেস্টুরেন্টে বসে স্মোকিং করেন, তাই যতটা সম্ভব স্মোকিং জোনের ব্যবস্থা করুন।
৬. রেস্টুরেন্টের বাথরুম সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। মনে রাখবেন, বাথরুম হচ্ছে আপনার রুচি বোধের প্রথম বহিঃপ্রকাশ।
৭. রেস্টুরেন্টে যথেষ্ট পরিমাণ স্টোরেজের ব্যবস্থা রাখুন। যেখানে সযত্নে কাটরিং, ন্যাপকিন, টিসু, টেবিল ক্লথ ইত্যাদি সযতেœ রাখতে পারেন।
৮. রুফ টপ রেস্টুরেন্টের ক্ষেত্রে খুব সতর্কতার সঙ্গে আসবাব নির্বাচন করুন। যতটা সম্ভব ধুলাবালু এবং বৃষ্টি-বাদল থেকে মুক্ত রাখুন।
৯. রেস্টুরেন্টে এমন ফার্নিচার নির্বাচন করুন, যাতে দম্পতিরাও বসতে পারেন আবার বড় ধরনের কোনো পার্টির সময় বসার সুব্যবস্থাও করা যায়।
ফারজানা গাজী, চিফ অপারেটিং অফিসার, ইকো ইনোভেটরস
[email protected]
প্রকাশকাল: বন্ধন ৭৩ তম সংখ্যা, মে ২০১৬