অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার
নদীর পানিসহ অন্যান্য জলাধারের পানি দূষিত বলেই আমরা নিজেদের চাহিদার তাগিদে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করতে বাধ্য হচ্ছি

সুস্থ থাকতে প্রতিদিন দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। পান করা ছাড়াও পানির রয়েছে শত ব্যবহার। এক কথায় পানি ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা দায়। কখনো কি ভেবেছি, পানি আসে কোথা থেকে বা এমন কোনো দিন কি আসবে, যেদিন ভূপৃষ্ঠের সব পানি শেষ হয়ে যাবে? মরুকরণেই কি অস্তিত্ব হারাতে মানবজাতি!

আমরা প্রতিদিন যে পানি ব্যবহার করি, তার সিংহভাগ আসে মাটির নিচ বা ভূগর্ভস্থ উৎস থেকে। শঙ্কার কথা হলো, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অনেক স্থানে কমছে ভূগর্ভস্থ পানির পরিমাণ। সর্বশেষ সরকারি হিসাব মতে, সারা দেশের নানা জায়গায় পানির স্তর ৪ থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত কমে গেছে। এমন অবস্থায় খুব নিকটেই তীব্র সুপেয় পানির সংকটের আশঙ্কা করছেন বিশেজ্ঞরা। পাশাপাশি ভূগর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে জলস্তর নিচে নেমে যাওয়ায় প্রাকৃতিক পরিবেশে বা ইকোসিস্টেমে ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এতে বাড়ছে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি।

এই সংকটের সমাধান সম্পর্কে নিজের ভাবনার কথা জানিয়েছেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশদূষণ নিয়ে কাজ করছেন। তাঁর গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে দেশি-বিদেশি অনেক জার্নালে। তিনি বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক এবং প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) নামক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের। গুণী এ শিক্ষাবিদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাইফুল হক মিঠু

বন্ধন: রাজধানীসহ দেশের বড় শহরগুলোতে বিপুল পরিমাণে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করায় আশঙ্কাজনক হারে নামছে পানিস্তর, এখানে ঝুঁকির জায়গাটা কোথায়?
বাড়তি জনসংখ্যার জন্য ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য শহরে প্রতিনিয়ত বাড়ছে পানির চাহিদা। চাহিদা মেটাতে ওয়াসাসহ ব্যক্তিগতভাবে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করা হচ্ছে। ঢাকায় প্রতিবছর পাঁচ ফুট করে পানির স্তর নিচে নামছে। গণমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে ওয়াসা দিনে যে পরিমাণ পানি সরবরাহ করছে, তার ৬৬ শতাংশই মাটির নিচের। এভাবে অবিরাম ভূগর্ভস্থ থেকে পানি উত্তোলন করতে থাকলে ঢাকায় ভূমিকম্পসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়বে।

ডুবে যাবার আশঙ্খায় জাকার্তা নগরী ইন্দোনেশিয়া

ভূগর্ভস্থ পানি অপরিকল্পিত ব্যবহারে পানিস্তর নেমে যাওয়ার ফলে জাকার্তা (ইন্দোনেশিয়া), লাগোস (নাইজেরিয়া), ভেনিস (ইতালি), ব্যাংককসহ (থাইল্যান্ড) বিভিন্ন দেশের শহর দেবে ইতিমধ্যে পরিত্যক্ত শহরে পরিণত হয়েছে। পানি উত্তোলনের সঙ্গে পানির স্তর নেমে যাওয়ার সম্পর্কটা কোথায়?
বিভিন্ন দেশের শহর দেবে পরিত্যক্ত শহরে পরিণত হওয়ার সংবাদটি দুঃখজনক। এটি অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বিষয়ও বটে। কারণ বর্তমানে ঢাকাসহ দেশের অন্য শহরগুলোতে মাত্রাতিরিক্ত ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করা হচ্ছে, এর ফলে ভেতরের দিকে ঢুকে যাচ্ছে মাটি। ঢাকা শহরে ওয়াসার ১০টি জোনে গভীর নলকূপের সংখ্যা প্রায় ৯০৬টি। এই গভীর নলকূপগুলো প্রায় প্রতিবছরই নতুন করে বসাতে হয়। কারণ এক বছরের বেশি একই গভীরতায় পানি পাওয়া যায় না। নলকূপের গভীরতা বাড়াতে হয়। অন্যদিকে ভূগর্ভ থেকে যেভাবে খনিজ পদার্থ তোলা হয়, এখন সেই প্রক্রিয়ায় ভূগর্ভ থেকে পানিও তোলা হচ্ছে। কারণ ভূগর্ভ থেকে সাধারণভাবে যে পানি তোলা হয়, তা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় পূরণ হচ্ছে না। এই ভূগর্ভস্থ পানির স্তর শুধু ঢাকা শহরেই নিচে নামছে তা নয়, ঢাকার বাইরেও নামছে। তবে ঢাকা শহরে নিচে নামার হার বেশি। বাংলাদেশের অধিকাংশ ভূমি নবীন পলিমাটি দিয়ে গঠিত। ভূগর্ভের পানি নিচে নামার ফলে ঢাকা শহরও ধীরে ধীরে নিচে নেমে যাচ্ছে। ঢাকার পলিমাটির নিচে আছে বালুর স্তর। আর সেই স্তরেই আটকে থাকে পানি। এই পানি তুলে ফেললে বালু নিচে নেমে যাচ্ছে। আর তার ফলে যে ফাঁকা জায়গা তৈরি হয়, তা ভরাট করতে মাটি আরও গভীরে নেমে যাচ্ছে ঢাকাও। এর ফলে ঢাকার উপরিভাগে একধরনের ভারসাম্যহীনতা তৈরি হচ্ছে।

দেবে যাওয়া ছাড়াও বিশ্বের অনেক স্থানে সিংকহোল বা ভূমিধসের যে ঘটনাগুলো ঘটছে, সেগুলোর সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক আছে কি? যদি থাকে তাহলে বাংলাদেশে এমন ঘটনা ঘটার আশঙ্কা কতটা?
ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় সামান্য ভূমিকম্পে মারাত্মক ভূমিধসের শঙ্কার সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া বাড়ছে আর্সেনিক বিষক্রিয়া এবং আয়রনের পরিমাণ। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে গেলে নিচে ‘ক্যাভিটি’ বা গর্তের সৃষ্টি হয়। সে ক্ষেত্রে ভূমিধসের আশঙ্কা থাকে প্রবল। তা ছাড়া ভূমিকম্প হলে মাটি দেবে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

নদীমাতৃক দেশ হওয়া সত্তে¡ও ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনকারী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ কেন শীর্ষে?
জাতিসংঘের সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা অনুযায়ী, ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের দিক দিয়ে শীর্ষে থাকা দেশের তালিকায় এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ১০টি দেশ স্থান পেয়েছে। দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৭ম। সত্যি বলতে, আমরা সঠিকভাবে আমাদের নদী এবং জলাধারগুলোকে সংরক্ষণ করছি না। যার ফলে আমাদের সম্পূর্ণরূপে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীল হতে হচ্ছে। মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কম‍‍রকােন্ডর মাধ্যমে প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে ঢাকার চারপাশের নদী। নদীর পানিসহ অন্যান্য জলাধারের পানি দূষিত বলে আমরা নিজেদের চাহিদার তাগিদে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করতে বাধ্য হচ্ছি।

শিল্পকারখানার দূষিত বর্জ্যে ব্যবহার অনুপযোগী হচ্ছে ভূপৃষ্ঠের পানি

সুপেয় পানির সংকট দেখা দিচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে ‘সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট’-এর কথা বলা হচ্ছে। বিষয়টা কী, এটা কীভাবে কাজ করে?
ভূগর্ভস্থ পানির সংকট থেকে উত্তরণের একটি উপায় হলো ‘সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট’। আমাদের ভূগর্ভস্থ পানির ওপর চাপ কমাতে হলে ভূপৃষ্ঠস্থ পানিকে ট্রিটমেন্ট করে ব্যবহার করতে হবে। সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট আমাদের অন্যান্য ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের মতোই কাজ করে। কয়েকটি কেমিক্যাল ও বায়োলজিক্যাল প্রক্রিয়ায় পানিকে বিশুদ্ধ করে। এর জন্য পানিতে কয়েক স্তরে রাসায়নিকভাবে বিশুদ্ধ করা হয়। বর্তমানে ঢাকা ওয়াসা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, কক্সবাজারসহ (উখিয়া) দেশের বিভিন্ন জেলায় সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট রয়েছে।

সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ব্যবহারের বাংলাদেশের সক্ষমতা রয়েছে কি? যদি থাকে তাহলে চ্যালেঞ্জগুলো আসলে কী কী আসবে?
প্রথমত যেকোনো নতুন প্রযুক্তি ব্যয়বহুল। এটি রক্ষণাবেক্ষণ একটু জটিল। অন্যভাবে বলা যায়, ব্যবস্থাপনা করার জন্য একাধিক মানুষ প্রয়োজন।

রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিংয়ের মাধ্যমে বিশ্বের অনেক দেশে বৃষ্টির পানির ব্যবহার বেড়েছে। বাংলাদেশে এটার কি কোনো কাজ হচ্ছে?
উন্নত বিশ্বে সুপেয় পানির চাহিদা মেটানোর জন্য রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং ব্যবহার করছে। বাংলাদেশে বিভিন্ন জায়গায়ও বর্তমানে রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিংয়ের মাধ্যমে পানির চাহিদা মেটাতে দেখা যাচ্ছে। এটি একটি উন্নত প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করে রাখা হয় এবং পরবর্তী সময়ে প্রয়োজন অনুযায়ী সেই পানি ব্যবহার করা হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে বর্তমানে এমনভাবে পরিকল্পনা করে তৈরি করা হচ্ছে, যাতে তারা বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করতে পারে এবং পরবর্তী সময়ে ব্যবহার করতে পারে। এ ছাড়া অনেকেই নিজ উদ্যোগে বাসাবাড়ি তৈরি করার সময় এমন একটি স্পেস তৈরি করে, যাতে সহজেই বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করে রাখা যায়, যা পরে পানির চাহিদা মেটাতে কাজে লাগতে পারে।

পানি বিশুদ্ধকরণ প্ল্যান্ট

সংকট মেটাতে কি উপায়ে ভূগর্ভস্থ পানির রিজার্ভের পরিমাণ বাড়ানো যেতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
কৃষি সেচের চাহিদা মেটাতে পল্লি অঞ্চলের মানুষ ডিপটিউবওয়েলের ওপর এখনো নির্ভরশীল। এর সমাধান কী? পল্লি অঞ্চলে নদীর পানি ব্যবহার করা যাচ্ছে না কেন?

ভূগর্ভস্থ পানির রিজার্ভের পরিমাণ বাড়ানোর বিষয়টি একটি প্রাকৃতিক বিষয়। এই ক্ষেত্রে বর্তমানে আমরা যে পরিমাণ ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করছি, তা বন্ধ করতে হবে এবং একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সারফেস ওয়াটার ব্যবহার করে চলতে হবে। সে ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে প্রাকৃতিকভাবেই ভূগর্ভস্থ পানির পরিমাণ বাড়তে থাকবে।

শুধু যে ঢাকার চারপাশের নদীগুলো দূষিত হচ্ছে তা কিন্তু নয়। সারা বাংলাদেশের সব নদী দখল-দূষণের ফলে নদীর নাব্যতা হারিয়ে ফেলেছে। এর ফলে দিন দিন পানির পরিমাণ কমে আসছে ও ব্যবহারও অনেকাংশে কমছে। তা ছাড়া নদীর পানিতে মিশে যাচ্ছে ইন্ডাস্ট্রিগুলোর রাসায়নিক বর্জ্য পদার্থ। এর ফলে মানুষ আগে যেমন সেচকাজে নদীর পানি নিশ্চিতে ব্যবহার করত, এখন তা ব্যবহার করতে ভয় পায়।

ব্যাপক নদীদূষণ, ফসলে কীটনাশক, রাসায়নিক সারের ব্যবহার, কলকারখানার বর্জ্য, ক্ষতিকর রাসায়নিক মিশে ভূপৃষ্ঠের পানিরাশি দূষিত হচ্ছে, যার কিছু প্রবেশ করছে আমাদের শরীরে, এটা আমাদের জন্য কতটা হুমকি?
নদীদূষণের ফলে প্রতিনিয়তই পরিবেশ, প্রতিবেশ, অর্থনীতি, জনস্বাস্থ্য ও জীবন-জীবিকা মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন। দেশের নদীগুলোর প্রায় প্রতিটিরই একই দশা।

টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার তাগিদ রয়েছে। এখন সুপেয় পানির সংকটে এসডিজি গোল কতটা পূরণ করা সম্ভব হবে?
প্রকৃতপক্ষে ঢাকার আশপাশের, ঢাকার বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ, বালু নদসহ অন্যান্য জলাধার থেকে যদি আমরা পর্যাপ্ত পানি নিশ্চিত করতে পারি, সেক্ষেত্রে নিরাপদ পানির লক্ষ্যমাত্রা নিশ্চিত করা সম্ভব। ঢাকার পশ্চিমের খালগুলো হলো আবদুল্লাহপুর, দিয়াবাড়ি, দেবুর, কল্যাণপুর ইত্যাদি খাল ও ধানমন্ডি লেক। অন্যদিকে আগের খালগুলো হলো গোবিন্দপুর, রামপুরা, বাড্ডা ইত্যাদি। গুলশান-বনানী লেক, হাতিরঝিলসহ আমাদের খাল ও নদীর পানির উৎস নিয়ে ভাবতে হবে। সেগুলো থেকে ব্যবহার উপযোগী পানি নিশ্চিত করতে হবে।

বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ব্যবস্থা

পানিসম্পদ নিয়ে দেশের পর্যাপ্ত গবেষণা হচ্ছে কি না, ভবিষ্যতে সংকট মোকাবিলায় করণীয় কী বলে আপনি মনে করেন?
পানি নিয়ে সেই নব্বইয়ের দশক থেকে গবেষণা হচ্ছে। তবে ঠিক কতখানি হচ্ছে এই নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে? কারণ পর্যাপ্ত গবেষণার জন্য প্রয়োজন বিজ্ঞলোক এবং ফান্ডের। যার একটি আমাদের দেশে সহজলভ্য থাকলেও অন্যটির অভাব উপলব্ধি করা যায়। আর ভবিষ্যৎ সংকট মোকাবিলায় পুরো নদী ও পানি ব্যবস্থাপনাকে ঢেলে সাজাতে হবে। পানির চাহিদা ও জোগানের নিরিখে পরিকল্পনা সাজাতে। সর্বোপরি নদী বাঁচাতে হবে। নদী বাঁচলেই বাঁচবে প্রাণ!

আপনাকে ধন্যবাদ, সময় দেওয়ার জন্য।
ন্ধন ম্যাগাজিনকেও ধন্যবাদ।

  • প্রকাশকাল: বন্ধন ১৪১ তম সংখ্যা, মে ২০২২

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top