বিশ্বে দ্রুত নগরায়ণের প্রভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ বাড়ছে ক্রমেই। তদুপরি ক্রমবর্ধমান হারে জনসংখ্যা বাড়ায় আবাসনঘাটতি মেটাতে বহুতল ভবনের চাহিদা এখন আকাশচুম্বী। আর এ সমস্যা সমাধানে ঢাকার মতো অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ নগরে বহুতল ভবন নির্মাণের কোনো বিকল্প নেই। বিপুল এ জনগোষ্ঠীর আবাসনসুবিধা নিশ্চিতকরণ শুধু বহুতল ভবন নির্মাণেই সম্ভব। তাই বহুতল ভবন তৈরির প্রয়োজনীয়তা ইচ্ছা করলেও আমরা অস্বীকার করতে পারব না। কাজেই প্রতিটি ভবন যেন সবার জন্য নিরাপদ হয় সে বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। চাহিদা এবং অর্থনৈতিক দিক বিবেচনায় ভবন নির্মাণ দ্রুত সময়ে শেষ করা যেমন প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন কাজের গুণগতমান বজায় রাখা। স্বল্প সময়ে নির্মাণ শেষ করতে গিয়ে অনেক সময়ই কাজের যথাযথ মান নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। নির্মাণকাজের জন্য নিয়োগ করা ঠিকাদার বেশি লাভের আশায় নির্মাণকাজের যথাযথ মান নিয়ন্ত্রণ করেন না। কিন্তু একটি ভবনের দীর্ঘস্থায়িত্ব ও সুরক্ষায় প্রয়োজন সতর্কতার সঙ্গে ভবন নির্মাণ।
যেকোনো স্থানে বহুতল ভবন নির্মাণে প্রয়োজনীয় কিছু বিষয় এবং সাধারণ সতর্কতা রয়েছে। বহুতল ভবন নির্মাণে এগুলো খুবই প্রয়োজন। তাই নির্মাণকাজের আগেই এই বিষয় সম্পর্কে ধারণা থাকা একান্ত জরুরি। বহুতল ভবন নির্মাণে কতিপয় প্রয়োজনীয় বিষয় :
- বাড়ি নির্মাণের আগে নির্মাণের নিয়মাবলি সম্পর্কে ধারণা নেওয়া উচিত।
- বহুতল ভবন নির্মাণ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান অর্জন একান্ত জরুরি।
- ভবনের নির্মাণকাজ শুরুর আগেই যথাযথভাবে ব্যয় নিরূপণ করে নির্মাণ শুরু করা উচিত।
- নির্মাণ সামগ্রী সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকা একান্ত জরুরি।
- বাড়ি নির্মাণের সময় সাধারণ ভুল-ত্রুটি দূরীকরণ ও সাবধানতা সম্পর্কে ধারণা নেওয়া উচিত।
- ভবন নির্মাণ এবং মেরামত সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান অর্জন একান্ত জরুরি।
- নির্মাণকাজের জন্য ভালো ও অভিজ্ঞ নির্মাণ শ্রমিক নিয়োগ করা উচিত।
- নির্মাণকাজ মানসম্মতভাবে শেষ করার জন্য একজন দক্ষ প্রকৌশলীর প্রত্যক্ষ সুপারভিশনে থাকা জরুরি।

নির্মাণকাজে যত সতর্কতা
যেকোনো ধরনের নির্মাণকাজের জন্য কিছু সতর্কতা বা সচেতনতা একান্ত জরুরি। না হলে নির্মাণকাজের যথাযথ মান নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। যেকোনো ধরনের নির্মাণকাজ যথাযথ মান নিয়ন্ত্রণ, নিরাপদ ও দীর্ঘস্থায়ী রূপে শেষ করতে যেসব কাজে বা বিষয়ে সতর্কতা বা সচেতন থাকা জরুরি তার মধ্যে রয়েছে-
- সাইট বা প্লটে লে-আউট সময়
- সাইট বা প্লটে মাটি কাটার সময়
- সাইটে বা প্লটে পাইলিংয়ের সময়
- ফাউন্ডেশন ঢালাইকালীন
- গাঁথুনির সময়
- সাটারিং করার সময়
- কলাম ঢালাইয়ের সময়
- ছাদ ঢালাইয়ের সময়
- প্লাস্টারিং কাজে
- রড বাইন্ডিংয়ে।
সাইট বা প্লট লে-আউটে সতর্কতা
সঠিকভাবে লে-আউট দেওয়া না হলে বিল্ডিংয়ের আকৃতি পরিবর্তিত হয়ে যায়, যা পরে ঠিক করা দুঃসাধ্য।
লে-আউট দেওয়ার সময় বাড়ির বাইরের মাপ ঠিক আছে কি না পরীক্ষা করতে হবে।
সাইট বা প্লটে মাটি কাটার সময় সতর্কতা
মাটি কাটার কাজ শুরুর আগেই পাশের দেয়ালগুলো সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রয়োজনে সাইটের অবস্থান অনুযায়ী সিট পাইলিং ব্যবহার করতে হবে।
পাইলিং করার সময় সতর্কতা
আমাদের দেশে সাধারণত কাস্ট-ইন-সিটু পাইল করা হয়। তাই ডিজাইন অনুযায়ী পাইলগুলো স্থাপন করতে হবে।
অবশ্যই পাইলের সেন্টার ঠিক রেখে পাইলিং করতে হবে। অন্যথায় কলামের অবস্থান ঠিক থাকবে না।
পাইলের ঢালাইয়ের সময় অবশ্যই লক্ষ রাখতে হবে যে ট্রিমি পাইপ কমপক্ষে পাঁচ ফুট কংক্রিটের মধ্যে থাকে। অন্যথায় কাঁদা বা পানি কংক্রিটের মধ্যে প্রবেশ করে কংক্রিটের শক্তিমাত্রার ক্ষতি করতে পারে।
ফাউন্ডেশন ঢালাইয়ে সতর্কতা
কলাম ফুটিং বা কম্বাইন্ড ফুটিংয়ের ঢালাইয়ের আগে অনেকে গর্তের মধ্যে পলিথিন দিয়ে থাকেন। কিন্তু গর্তে পলিথিন দেওয়া ঠিক নয়। কারণ, পলিথিন মাটি ও ফাউন্ডেশনের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে বাধা হয়ে দাঁড়ায় এবং ভূমিকম্পের সময় বিল্ডিং উল্টে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ায়।

গাঁথুনির কাজে সতর্কতা
ইটের গাঁথুনির সময় অবশ্যই লক্ষ রাখতে হবে যেন ইটের ফাঁকা (Frog Mork) ওপরের দিকে থাকে।
একবারে ৪.৫ ফুটের বেশি গাঁথুনি করা উচিত নয়।
দুই ইটের মাঝখানে পরিপূর্ণভাবে মসলা দিতে হবে।
ইটগুলো ভালোভাবে ভিজিয়ে নিতে হবে, যাতে তা মসলার পানি শোষণ করে না নেয়।
সাটারিং তৈরির সময় সতর্কতা
নির্মাণকাজে সাটারিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশে সাধারণত তিন ধরনের সাটার পাওয়া যায়। কাঠ, বাঁশ ও স্টিল সাটারিং।
বারবার ব্যবহার করার ফলে এসব সাটারিংয়ের ভারবহন ক্ষমতা কমে যায় এবং বাঁশের ঠেকনা দুর্বল হয়ে যায়। ফলে ঢালাইয়ের মসলার ওজনে সাটারিং ভেঙে পড়ে যেতে পারে। তাই কয়েকবার ব্যবহার করার পরেই সাটারিংগুলো Replace করা উচিত।
সাটারিংসমূহ অনেক সময় যথাযথভাবে পানিরোধী করে তৈরি করা হয় না। ফলে ঢালাইয়ের মসলা থেকে পানি চুইয়ে বেরিয়ে যায়। যার দরুন কংক্রিট পর্যাপ্ত শক্তি অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় পানি পায় না।
সাটারিংয়ের ঊর্ধ্বমুখী সাপোর্ট হিসেবে যে বাঁশ ব্যবহার করা হয় তা সাধারণত ১০ ফুট হয় না। এ জন্য বাঁশের নিচে কাঠ বা ইট দিয়ে উঁচু করা হয়, যা ঠিক নয়। এতে সাটারিং দুর্বল হয়ে পড়ে। তা ছাড়া অনেক ক্ষেত্রে এই ইট বা কাঠ সরে যায়। ফলে বাঁশগুলো তাদের ভারবহন ক্ষমতা হারায়।
বাঁশগুলোতে কোনো ধরনের বাঁধন দেওয়া চলবে না
ছাদের সাটারিং কমপক্ষে ২২ দিন পর্যন্ত রাখতে হবে।
কলাম ঢালাইয়ে সতর্কতা
প্রতি ফ্লোরে কলামগুলো সাধারণত ১০ ফুট উচ্চতার হয়ে থাকে। নির্মাণ শ্রমিকগণ দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য কলামগুলো একত্রে নয় ফুট ঢালায় করে ফেলে, যা নির্মাণকাজের মান ও স্থায়িত্বের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
কলাম ঢালাই করতে হবে দুই ধাপে। প্রথমে ৪.৫ ফুট ঢালাই করতে হবে এবং পরবর্তী ধাপে ৪.৫ ফুট ঢালাই করতে হবে।
প্রতি এক ব্যাগ সিমেন্টের জন্য সর্বোচ্চ ২৫ লিটার পানি ব্যবহার করা উচিত। কোনোভাবেই এর থেকে বেশি পরিমাণে পানি ব্যবহার করা যাবে না।
ছাদ ঢালাইয়ে সতর্কতা
ছাদ ঢালাইয়ের কাজে প্রথমত, নির্মাণ সামগ্রীর গুণগতমান নিশ্চিত করতে হবে। যেমন-
- বালু হতে হবে দানাদার (সিলেটের বালু)
- ব্যবহারের আগে বালু ধুয়ে ছেঁকে নিতে হবে
- খোয়া হতে হবে সাইজ অনুযায়ী
- ব্যবহারের আগে খোয়া ভালোভাবে ভিজিয়ে নিতে হবে
- নির্মাণকাজে অবশ্যই পরিষ্কার পানি ব্যবহার করতে হবে
- নির্মাণ উপাদানের মিশ্রণের অনুপাত ঠিক রাখতে হবে
- পানি ও সিমেন্টের অনুপাত ঠিক রাখতে হবে।

প্লাস্টারিং কাজে সতর্কতা
- নির্মাণ সাইটের যেকোনো স্থানে কখনোই প্লাস্টার ১.৫ ইঞ্চির বেশি হওয়া উচিত নয়।
- প্লাস্টারিংয়ের আগে ইটগুলোর গা থেকে মসলা পরিষ্কার করে নিতে হবে।
- প্লাস্টারের আগে সিলিং ভালো করে চিপিং করতে হবে।
- ইটের দেয়াল প্লাস্টারিংয়ের সময় দেয়ালগুলো পানি দিয়ে সম্পূর্ণরূপে ভিজিয়ে নিতে হবে। যাতে দেয়াল প্লাস্টার থেকে পানি শোষণ করতে না পারে।
রড বাইন্ডিংয়ে সতর্কতা
- অবশ্যই ডিজাইন অনুযায়ী রড বাইন্ডিং করতে হবে।
- দুটি রডের মাঝখানে ফাঁকা জায়গা বা স্পেসিং রাখতে হবে ডিজাইন অনুযায়ী।
- ঠিকভাবে Clear Cover রাখতে হবে। ঢালাইয়ের সময় লেবারের গায়ের চাপে ও ধাক্কায় বøকগুলো সরে যেতে পারে সেই জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
- রডের জালির মধ্যে যেন প্রয়োজনীয় দূরত্ব বজায় থাকে।
এ ছাড়া নির্মাণকাজ সম্পর্কিত কিছু জরুরি বিষয় রয়েছে যে সম্পর্কে সচেতন হওয়া বা জ্ঞান রাখা খুবই জরুরি।
জমি নির্বাচন
ভবন নির্মাণে জমি নির্বাচনের সময় বিবেচ্য-
জমির অবস্থান ও আকার
জমির সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন সুবিধা
সামাজিক বিষয়াবলি
জমি ক্রয় করার আগে মালিকানা তথ্য ইত্যাদি।
মাটি পরীক্ষা
- মাটি পরীক্ষা (Soil Test) করার আগে অবশ্যই সাইট পরিদর্শন করা উচিত।
- সাইটের ভৌগোলিক অবস্থা
- মাটি কেটে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে কি না
- ভূমিধসের আশঙ্কা আছে কি না
- সাইটের মাটিতে লবণের উপস্থিতি আছে কি না
- আশপাশের পানির উচ্চতা (নদী বা পুকুরের)
- পানি নিষ্কাশনব্যবস্থা ইত্যাদি।
নির্মাণ শ্রমিক নিয়োগ
নির্মাণকাজে নির্মাণ শ্রমিক বা রাজমিস্ত্রি নিয়োগের সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে-
- অভিজ্ঞ শ্রমিক বা মিস্ত্রি নিয়োগ করতে হবে
- অদক্ষ শ্রমিক দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা
- ডিজাইন অনুযায়ী কাজ করার সামর্থ্য
- কোনো ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ আছে কি না তা যাচাই করতে হবে।
রডমিস্ত্রি নিয়োগ
রডমিস্ত্রি নিয়োগের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় লক্ষ রাখতে হবে-
- নকশা অনুযায়ী রড কাটতে পারে কি না
- নকশা বা ডিজাইন অনুযায়ী রড বাঁধতে পারে কি না
- পূর্বঅভিজ্ঞতা আছে কি না।
সাইটে বিল্ডিং লে-আউট
সাইটে বিল্ডিংয়ের লে-আউট দেওয়ার নিয়ম-
আয়তকার বা বর্গাকার একটি বাড়ির জন্য যেকোনো একটি কর্নার ঠিক করে লে-আউট শুরু করা
প্রথমে ৩ : ৪ : ৫ পদ্ধতিতে একটি কর্নার বিন্দু ঠিক করতে হবে। এ জন্য বাড়ির যেকোনো দিকে ৩ ফুট বা ৩ মিটার নেওয়া হয় এবং অপর দিকে ৪ ফুট বা ৪ মিটার নেওয়া হয়। প্রান্তদ্বয় যদি ঠিক থাকে, দুই বিন্দুর মধ্যবর্তী দূরত্ব অবশ্যই ৫ ফুট বা ৫ মিটার হবে।
কিউরিং
নির্মাণকাজের জন্য কিউরিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভালোভাবে কিউরিং করা না হলে কংক্রিট ও মটার যথাযথ শক্তি অর্জনে সক্ষম হয় না। কিউরিং করার বিভিন্ন উপায় বা প্রকরণ আছে। তা হলো-
- সম্পূর্ণ ছাদ পানি দিয়ে ডুবিয়ে কিউরিং করা
- পুকুর তৈরি করে কিউরিং করা
- পানি ছিটিয়ে কিউরিং করা
- ভেজা আবরণ জড়িয়ে কিউরিং করা
- বাষ্পের মাধ্যমে কিউরিং করা।
বাড়ির সিন্থ লেভেল নির্মাণ
বাড়ির সিন্থ লেভেল (P.L) নির্ণয়ের পদ্ধতি-
যেকোনো বিল্ডিংয়ের সিন্থ লেভেল নির্ণয়ের জন্য কতগুলো বিষয় লক্ষ রাখতে হবে।
- বন্যার পানির সর্বোচ্চ উচ্চতা
- নিকটস্থ রাস্তার সর্বোচ্চ উচ্চতা
- নিকটস্থ বাড়ির সিন্থ লেভেল
মাটির লেভেল
সিন্থ লেভেল সাধারণত নিকটস্থ রাস্তার উচ্চতা থেকে এক ফুট ছয় ইঞ্চি থেকে দুই ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট হয়ে থাকে।

ইংরেজিতে একটা প্রবাদ আছে, ‘Prevation is better than cure’ কোনো ধরনের নির্মাণকাজসম্পন্ন করার পরে ওই বিল্ডিংয়ে কোনো ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হলে তা প্রতিরোধ বা সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণের থেকে ভবনের নির্মাণকাজ শুরুর আগে তথা নির্মাণকাজ চলাকালীন যথাযথ সাবধানতা ও জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য ও কার্যকরী। কাজেই নির্মাণকাজের সঙ্গে সম্পর্কিত সতর্কতা ও জরুরি বিষয়ে সচেতন থাকা একান্ত জরুরি। এতে নির্মাণকাজ যেমন হয় অনেক বেশি মানসম্মত। ঠিক তেমনি নির্মাণ হয় অনেক বেশি ঝুঁকিমুক্ত ও নিরাপদ।
কখনো ভুলে গেলে চলবে না যে একটি ভবন কিন্তু শুধু নাম ধারণকারী একটি বস্তু নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে এতে বসবাসকারী সবার নিরাপত্তাও। কাজেই যেকোনো ধরনের নির্মাণকাজের আগে সব ধরনের প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা ও সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। যাতে করে নির্মাণকাজ শুরুর আগে এবং নির্মাণকাজ চলাকালীন সম্ভব হয় যথাযথ মান নিয়ন্ত্রণ করে সুন্দর ও সবার জন্য নিরাপদ ভবন নির্মাণ। যাতে কোনো মানুষের নিরাপদ আশ্রয়স্থলটি যেন তার জীবন সংহারের কারণ না হয়ে দাঁড়ায়।
প্রকৌশলী সনজিত সাহা
প্রকাশকাল: বন্ধন ৪৯ তম সংখ্যা, মে ২০১৪