লবণাক্রান্ত ভবনের সুরক্ষা

বিশ্বের এ মুহূর্তের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় জলবায়ু পরিবর্তন। জলবায়ু শুধু নিজেই পরিবর্তিত হচ্ছে না, পরিবর্তন ঘটাচ্ছে পারিপার্শ্বিক পরিবেশেরও। বাড়ছে ভূপৃষ্ঠের উষ্ণতা, হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়, সাইক্লোনের মতো প্রাকৃতিক সব বিপর্যয়। তবে ভয়াবহতায় সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে উপকূলীয় এলাকার লবণাক্ততা বৃদ্ধি, যার প্রভাব পড়ছে কৃষি ও আবাসনে। মাটির উর্বরতা কমে লবণাক্ততা, অম্লতা, পানি ধারণক্ষমতা হ্রাসের ফলে বদলে যাচ্ছে জমির বৈচিত্র্য। লবণাক্ততার মারাত্মক শিকার হচ্ছে আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনও।

লবণ একটি প্রাকৃতিক উপাদান। বিশ্বের অনেক দেশের ভূমিতে অন্যান্য উপাদানের তুলনায় লবণের পরিমাণ বেশি। বর্তমানে বাংলাদেশের কিছু অঞ্চলে লবণাক্ততার পরিমান বেড়েছে কয়েক গুণ। যার সুস্পষ্ট প্রভাব পড়ছে ওই অঞ্চলে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জলাবদ্ধতা ও লবণাক্ততা জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে। সাধারণ লবণ ও ঘনীভূত লবণ যখন পানির সঙ্গে মেশে, তখন এটা বিভিন্ন ভবন নির্মাণ সামগ্রীর কর্মক্ষমতা ও স্থায়িত্বের ওপর দারুণ প্রভাব ফেলে। কাজেই লবণাক্তপ্রবণ অঞ্চলে নির্মাণকাজের আগে নির্মাণসামগ্রীর ওপর লবণাক্ততার প্রভাব কীভাবে কমিয়ে আনা যায়, যাতে করে ভবনের কাঠামো অনেক বেশি স্থায়িত্ব পায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। লবণাক্ততার কারণে ভবনে নানামূখী ক্ষতি হচ্ছে। যেমন- কলামে ও বিমে ফাটল ধরছে, পলেস্তারা ফেটে বেরিয়ে আসছে ভেতরের মরিচা ধরা রড, সিমেন্ট-বালুর পলেস্তারাও খসে পড়ছে। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার ও লবণাক্ততার কারণে ফুলছে ভবনের কলাম, ভেতরের রডও বেরিয়ে পড়ছে। ফলে রড কংক্রিটকে ধরে রাখতে পারছে না। এ অবস্থায় ঝুলে পড়ছে ভবনের বিম। ভবন হচ্ছে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যবহারের অনুপযোগী। 

পানি ও লবণের উৎস

লবণ খুব সহজেই পানিতে মিশে যায় ফলে লবণাক্ত পানি সহজেই ভবনের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে। এটা হতে পারে দুই ধরনের উৎস থেকে। ভবনের ভেতর কিংবা বাইরের পানির উৎস থেকে।

লবণের আক্রমণে খসে পড়ছে পলেস্তারা

ভবনের বাইরের পানির উৎস

যেসব স্থানের ভূমিতে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকে, সেই সব স্থানের বিল্ডিংয়ের নির্মাণসামগ্রীতে কৈশিক আকর্ষণ (Capillary Attraction)-এর প্রভাবে ভবনের গায়ে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে যায়। অন্য কথায়, ভবনের গায়ে স্যাঁতসেঁতে ভাব দেখা দেয়।

যেসব ভবনে জলীয় বাষ্প বা পানি প্রবেশের বিভিন্ন ছিদ্র, ভবনের পাইপ নেটওয়ার্ক সিস্টেম, ছাদ ইত্যাদি ভবনের মধ্যে পানির প্রবেশকে সহজ করে, সেসব ভবনের গায়ে খুব সহজেই ড্যাম্প (Damp) হতে দেখা যায়।

ভবনের অভ্যন্তরীণ পানির উৎস

ভবনের অভ্যন্তরের যেসব দেয়ালের বাষ্পীকৃত পানি ঘনীভূত হওয়ার সুযোগ পায়, সেসব দেয়াল খুব সহজেই ড্যাম্প হয়ে যায়। যেমন : জামা, কাপড়, রান্নাবান্না, গোসল, মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসের ফলে যে ঈষৎ ভেজা বাতাস বের হয়, তা দেয়ালের পৃষ্ঠদেশে ঘনীভূত হয়ে ভবনকে ড্যাম্প করে ফেলে।

একটি ভবন নির্মিত হয় নানা ধরনের উপকরণে। যেমন- বালু, পানি, রড, এগ্রিগেট প্রভৃতি যা সহজেই লবণ দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। অপর দিকে ফিনিশড প্রোডাক্টকে যে স্থানে সংরক্ষণ করা হয়, সেখানে মাটি, পানি ও বাতাসের মাধ্যমে অতিরিক্ত লবণ এসব ফিনিশিং উপাদানে যুক্ত হতে পারে। বিভিন্ন ধরনের কোটিং ও প্রতিকারব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে লবণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, ১৯৬০ ও ১৯৭০ সালের দিকে অ্যাপার্টমেন্টের ফ্লোর Blocking হিসেবে ম্যাগনেসাইট (Magnisite) ব্যবহার করা হতো ফ্লোরগুলোকে শব্দ-প্রতিরোধী করতে। এতে লবণ বা লবণাক্ততা চুঁইয়ে চুঁইয়ে ভবনের নির্মাণসামগ্রীর সংস্পর্শে চলে আসে। এমনকি এটা কংক্রিটের মধ্যস্থিত স্টিলের সংস্পর্শে চলে এসে এর কার্যক্ষমতার ওপর প্রভাব বিস্তার করে। বিল্ডিং উপাদানের লবণের উৎস বা উৎসসমূহ সম্বন্ধে ভালো করে জানা খুব দরকারি। কেননা এর ওপর ভিত্তি করে গ্রহণ করা হয় ব্যবস্থা। অনেক সময় লবণকে ইটের পৃষ্ঠদেশে ফুলের মতো দেখা যায়। ইট প্রস্তুত করার সময় ইটের পৃষ্ঠদেশে লবণ থাকায় এ ধরনের সমস্যা হয়। যদিও এটা শুধু দৃশ্যমান সমস্যা। এর ফলে ভবনের কাঠামোতে কোনো ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে না। 

পানি অনুপ্রবেশ হার

সাধারণত তিনটি প্রধান কারণ ভবনের মধ্যে পানি প্রবেশের হারকে নিয়ন্ত্রণ করে। তা হলো-

  • পর্যাপ্ত পরিমাণে পানির উপস্থিতি। এটা সাধারণত ভূগর্ভস্থ পানির গভীরতা, চুঁইয়ে প্রবেশকারী পানি, বাগানে অধিক সময় এবং অতিরিক্ত পরিমাণে পানির প্রয়োগ এবং মুষলধারে বৃষ্টির দ্বারা প্রভাবিত হয়।
  • পানির বাষ্পে পরিণত হওয়ার হার। এটা সাধারণত বায়ু চলাচল, তাপমাত্রা, বাতাসে আর্দ্রতা এবং ভবনটি কী পরিমাণ সারফেস এক্সপোজ বা বাতাস ও পানির সংস্পর্শে আসার মতো অবস্থায় রয়েছে তার ওপর নির্ভর করে।
  • বিল্ডিং উপাদানের ভেদনযোগ্যতা (Permeability)। এটা সাধারণত বিল্ডিং উপকরণের ছিদ্রের আকারের পাশপাশি সব স্থানে সমানসংখ্যক ছিদ্রের বিন্যাসের ওপর নির্ভর করে।
  • যেকোনো নির্মাণসামগ্রী ছিদ্রযুক্ত হতে পারে কিন্তু এটা যে ভেদ্যতা গুণসম্পন্ন হবে এমন কোনো কথা নেই। এর কিছু নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। তা হলো-
  • যদি ছিদ্রগুলো সম্পূর্ণ আলাদা আলাদা হয়ে বদ্ধ থাকে।
  • যদি এর মধ্যে এমন কোনো উপাদান থাকে, যা পানির স্বাভাবিক অনুপ্রবেশকে নিরুৎসাহিত করে।
  • যদি ছিদ্রগুলো পানি প্রবেশের জন্য খুব বেশি ছোট হয় এবং ছিদ্রগুলোতে অবস্থিত বায়ু সম্পূর্ণ জায়গা দখল করে রাখে এবং পানির প্রবেশে বাধা দেয়। তাই বিল্ডিং উপকরণগুলোতে যদি এ ধরনের অবস্থা থাকলে  তা  কম ভেদ্য হয়। 
ভবনে লবণের প্রভাব

নির্মাণসামগ্রীর ছিদ্রগুলোর আকার উপাদানভেদে বিভিন্ন ধরনের হয়। এমনকি একই ম্যাটেরিয়ালের মধ্যে ছিদ্রের আকার ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। যদি বিল্ডিংয়ের সংস্পর্শে থাকা পানিতে লবণের উপস্থিতি থাকে, তাহলে পানির Surface Tension বেড়ে যায় এবং বিল্ডিং উপাদানের পানি শোষনের পরিমাণ বাড়ে। তা ছাড়া পানিতে লবণের উপস্থিতির কারণে বৃদ্ধি পায় পানির ওজন। ইটের গাঁথুনি এবং মর্টারের ছিদ্রগুলোর আকার সাধারণত 0.1µ (0.0001 mm) থেকে 10 µ (0.01 mm) হয়ে থাকে। কংক্রিটে উপস্থিত বিভিন্ন উপাদান এবং এর Crack-গুলো Capillary Tube হিসেবে কাজ করে। যার ফলে ভবনের দেয়াল যদি সরাসরি পানির সংস্পর্শে থাকে, তাহলে পানি ভবনের দেয়ালের মধ্য দিয়ে অনেক দূর পর্যন্ত যেতে পারে। ভবনে যেসব সারফেসে বাষ্প ঘনীভূত হয়, পানির বাষ্প সেই সব সারফেসের দিকে অগ্রসর হয়। যার কারণে দেখা যায় যে পানি ও লবণ ভবনের যতটুকু সারফেস পর্যন্ত পৌঁছায়, বাস্তবে তার থেকে অনেক বেশি সারফেসকে ড্যাম্প করে ফেলে।

বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালের সঙ্গে লবণের বিক্রিয়া

যখন লবণ এবং পানি বিল্ডিং ম্যাটেরিয়াল দ্বারা শোষিত হয়, তখনই এর কেমিক্যাল এবং ফিজিক্যাল ক্ষতি হয়। বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালের কেমিক্যাল আক্রমণের ধরন এবং প্রকৃতি নির্ভর করে কোনো লবণের উপাদানগুলোর ওপর। বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালের ফিজিক্যাল আক্রমণ সাধারণত হয় আর্দ্র বা ভেজা এবং শুকনো পদ্ধতির মধ্য দিয়ে। লবণগুলো সাধারণত আর্দ্র পরিবেশের ঘনীভূত বাষ্পে স্ফটিক তৈরি করে। এভাবে সৃষ্ট বৃহৎ আকারের লবণের স্ফটিকগুলো বিল্ডিংকে ঘিরে বা এর চারপাশের ম্যাটেরিয়ালগুলোকে চাপ প্রয়োগ করে। পরবর্তী সময়ে ভেজা স্ফটিকগুলো পানিতে মিশ্রিত হতে সাহায্য করে। যার ফলে লবণকে ভবনের মধ্যে প্রবেশ করতে এবং পরবর্তী সময়ে অধিক লবণ উৎপন্নে সহায়তা করে, যা পরবর্তী সময়ে ভবনে প্রবেশকারী পানিতে লবণ সরবরাহ করে।

লবণভেদে বিভিন্ন আকারের স্ফটিক (Crystal) তৈরি হয়, এমনকি বিভিন্ন অবস্থায় একই লবণ বিভিন্ন ধরনের স্ফটিক তৈরি করে। এসব স্ফটিক আবার ছড়িয়ে পড়ে। বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালের ওপর এসব স্ফটিকের প্রভাব এদের অবস্থানের ওপর নির্ভর করে। তা ছাড়া বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালের ফিজিক্যাল প্রপার্টিজ এবং আন্ত-আণবিক বন্ধন শক্তির ওপরও এটা নির্ভরশীল।

ইটের গাঁথুনিবিশিষ্ট বিল্ডিং এবং পাশের দেয়ালগুলোতে সাধারণত বাষ্পীভবন অনেক বেশি হয়। আবার অধিক মাত্রায় বাষ্পীভবন মানেই অধিক মাত্রায় লবণের মিশ্রণ এবং সর্বোপরি ভবনের বেশি মাত্রায় ক্ষতিসাধন। কিন্তু এর জন্য ভবনের ভেতরে এবং বাইরে পানি ও লবণের সরবরাহ থাকা একান্ত জরুরি।

ইটের দেয়ালে অতিরিক্ত লবণের প্রভাব

কংক্রিট (Concrete)

কংক্রিট হচ্ছে অ্যাগ্রিগেট, সিমেন্ট এবং এর সঙ্গে সংযোজনকৃত দ্রব্য যেমন ফ্লাই অ্যাশ, স্লাগ এবং এর সঙ্গে অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্যর সংমিশ্রন। যদিও উপাদানগুলো নিজেদের মধ্যেই বিক্রিয়া করে থাকে। যেমন তারা কংক্রিটের মিশ্রণে অ্যালকাইলি ও ক্লোরাইড যোগ করে। তদুপরি কংক্রিটের জন্য সিমেন্টের কেমিক্যাল কম্পোজিশন অধিক গুরুত্বপূর্ণ। সিমেন্ট সাধারণত রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে এর দৃঢ়তা অর্জন করে সর্বোচ্চ শক্তি লাভ করে। যেখানে পানি সিমেন্টের সঙ্গে বিক্রিয়া করে গঠন করে নতুন ধরনের যৌগ।

সিমেন্ট (Cement)

সিমেন্টকে অনেক সময় পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট (Portland Cement) হিসেবে অভিহিত করা হয়। সিমেন্ট সাধারণভাবে প্রস্তুত হয়-

লাইমস্টোন (Limestone)-এর ক্যালসিয়াম কার্বনেট (Calcium Carbonates)

Clay এবং Shale-এর অ্যালুমিনা (Alumina)

বালুর সিলিকা (Silica)

আয়রন অক্সাইড (Iron Oxide) থেকে।

এই সব উপাদানকে খুব মিহি করে উচ্চ (প্রায় ১৫০০০ সে.) তাপমাত্রায় মিশ্রিত করে একটি নতুন যৌগ হিসেবে সিমেন্ট প্রস্তুত করা হয়।

সাধারণত কেমিক্যালসমূহ শুষ্ক অবস্থায় কংক্রিটকে আক্রমণ করে না। কিন্তু যখন এগুলো পানিতে মিশানো হয় তখন ফিজিক্যাল এবং কেমিক্যাল আক্রমণ সংঘটিত হয়।

অ্যাসিড (Acid)

অ্যাসিড কংক্রিটের অ্যালকাইল উপাদানসমূহকে মুক্ত করে দ্রবীভূত লবণ তৈরি করে। এগুলো কংক্রিটে প্রবেশ করে ছিদ্রের আকার ও সংখ্যা বৃদ্ধি করে কমিয়ে দেয় কংক্রিটের শক্তি।

সালফেট (Sulphate)

সালফেট সিমেন্টের ক্যালসিয়াম অ্যালুমিনেট এর সঙ্গে বিক্রিয়া করে। এই বিক্রিয়ার ফলে উৎপন্ন দ্রব্য এর উৎপাদনকারী উপাদানসমূহের পরিমাণের থেকে বেশি আয়তন পাওয়ায় তা কংক্রিটের ওপর অতিরিক্ত চাপ ফেলে।

ইটের দেয়ালে লবণাক্ততার প্রভাব

ক্লোরাইড (Chloride)

ক্লোরাইড কংক্রিটের সঙ্গে কোনো কেমিক্যাল বিক্রিয়ায় অংশ নেয় না। কিন্তু সিক্ততা এবং শুকানোর ফলে আর্দ্রতা ও তাপমাত্রার পরিবর্তন হয়, যা লবণের স্ফটিক সৃষ্টিতে সাহায্য করে এবং কংক্রিটে বেশি চাপ সৃষ্টিতে প্রভাব বিস্তার করে থাকে।

কার্বনেট (Carbonate)

কার্বনেট সিমেন্টের ক্ষারতা (Alkalinity) ph12 থেকে PH9.5 পর্যন্ত কমিয়ে আনতে সক্ষম। যার ফলে অনেক কংক্রিট স্ট্রাকচারের কংক্রিটের মধ্যে অবস্থিত স্টিলে গিয়ে এর প্রতিরোধক ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই যে সাইটে ভবন নির্মাণ করা হবে, সেই সাইট সম্বন্ধে খুব ভালো করে জানা একান্ত জরুরি। তা ছাড়া ভবন কী ধরনের কেমিক্যালের সংস্পর্শে আসতে পারে তা জানাও দরকার। যাতে ওই সাইটের জন্য উপযুক্ত নির্মাণ উপকরণ পছন্দ ও ব্যবহার করা যায়। পরবর্তী সময়ে যথাযথ সাইট সুপারভিশন ও মান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সঠিক শক্তিমাত্রার মর্টার (Mortar) তৈরি ও ব্যবহারের মাধ্যমে বিল্ডিং কাঠামোকে সঠিক শক্তি ও স্থায়িত্ব প্রদান সক্ষম হয়।

লবণ ও পানি প্রতিরোধী ইট

যেসব ইট পানি ও লবণের প্রভাবের প্রতি কম সংবেদনশীল; তাদের বৈশিষ্ট্য-

  • এসব ইট কম ভেদ্য হওয়ায় লবণ ও পানিকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয় না।
  • অতিরিক্ত কোনো লবণ ধারণ না করায় নির্মাণকাজের সময় ভবনে কোনো অতিরিক্ত লবণ সরবরাহ করে না।
  • অনেক বেশি শক্তিশালী হওয়ার ফলে বৃহৎ আকারের লবণের স্ফটিক ভবনে যে অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করে, তা ধরে রাখতে সক্ষম।
  • ইট পরীক্ষার কিছু পদ্ধতি আছে, যা দ্বারা ইটটি লবণের আক্রমণে কেমন আচরণ করবে তা নির্ণয় করা যায়। এই পদ্ধতিতে ইটগুলোকে সোডিয়াম সালফেট (Sodium Sulphate) বা সোডিয়াম ক্লোরাইড (Sodium Chloride)-এর লবণের দ্রবণে ডুবিয়ে নিয়ে পরবর্তী সময়ে শুকানো হয় এবং এই পদ্ধতিটির প্রায় ৪০ বার পুনরাবৃত্তি করা হয়। অতঃপর পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা হয়, এটা কী পরিমাণ ক্ষতিসাধন করেছে এবং পরীক্ষার আগে এবং পরে ইটের ওজন নেওয়া হয়। অতঃপর ইটটি লবণ আক্রমণে কত দূর পর্যন্ত প্রতিরোধী, তার রেটিং করা হয়।

লবণ ও পানি প্রতিরোধী কংক্রিট

যেকোনো কংক্রিটের স্থায়িত্ব নির্ভর করে অন্তর্বর্তী বিষয়ের ওপর। যেমন- কংক্রিটের উপাদান এবং বাইরের ফ্যাক্টর। যেমন- নকশা এবং নির্মাণপদ্ধতির ওপর।

ভবনে লবণের ভয়াবহ প্রভাব

কংক্রিট ড্যাম্প বৃদ্ধির জন্য এর ভেদ্যতা একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। যেসব কংক্রিটের ভেদ্যতা যত বেশি, তার স্থায়িত্ব তত কম। আবার কংক্রিটে ছিদ্রের আকার এবং এদের বিস্তার কংক্রিটের ভেদ্যতার মানকে নিয়ন্ত্রণ করে। কংক্রিটে সাধারণত ছিদ্র সৃষ্টি হয় Mix Design-এর সময়। সঠিকভাবে কমপ্যাকশন (Compaction) এবং কিউরিং (Curing) না করার কারণে কংক্রিটসমূহ পর্যাপ্ত শক্তি অর্জনের আগেই শুকিয়ে যায়। যেসব জায়গায় এবং পরিবেশে লবণের উপস্থিতি অনেক বেশি, সেই সব স্থানের কংক্রিটকে নিম্নলিখিত উপায়ে স্থায়িত্ব বৃদ্ধি করা সম্ভব-

  • কংক্রিটের যথাযথ কমপ্যাকশন নিশ্চিত করা।
  • পানি ও সিমেন্টের অনুপাত (Water Cement Ratio)  কমানো। 
  • কিউরিংয়ের সঠিক পদ্ধতি ও এর স্থায়িত্বকাল নিশ্চিত করা। 
  • সাইটের ওপর নির্ভর করে কংক্রিটের সঠিক উপাদানগুলো ব্যবহার করা।
  • কংক্রিটে অবস্থিত স্টিল বারকে যথাযথ সুরক্ষা প্রদানের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে ক্লিয়ার লুভার (Clear Luver) রাখা।
  • Cracks এর পরিমাণ যত দূর সম্ভব কমানো।
  • কংক্রিটের ওপরের পাশে পানি জমে থাকা কমিয়ে আনা বা নিয়ন্ত্রণ করা।
  • কংক্রিটের ওপরের সারফেস যত দূর সম্ভব মসৃণ করা।
  • কংক্রিটে সিমেন্টের পরিমাণ বৃদ্ধি করা।
  • ভালো সরবরাহকারীর কাছ থেকে কংক্রিটের উপাদানসমূহ সংগ্রহ করা।

এ ছাড়া কংক্রিটের অন্য বিষয়গুলো সাধারণত স্থির থাকে। কংক্রিটের ভেদ্যতার হার কমালে কংক্রিটের শক্তি ও স্থায়িত্ব বাড়ে। যেহেতু কংক্রিটের ভেদ্যতা পরীক্ষার কোনো আদর্শ পদ্ধতি নেই, তাই কংক্রিটে শক্তিমাত্রা পরীক্ষা একটি নির্দেশক হিসেবে ধরা হয়।

ভবনের ভেতরে লবণ ও পানি প্রবেশ প্রতিরোধ 

ভবনকে ড্যাম প্রতিরোধী করার জন্য বিল্ডিংয়ের গ্রাউন্ড লেভেলের কাছাকাছি স্থানে অভেদ্য উপাদানের একটা প্রলেপ দেওয়া হয়, যাতে করে পানি বিল্ডিয়ের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না। পূর্বে ভবনকে ড্যাম প্রতিরোধী করে নির্মাণ করার জন্য নির্মাণসামগ্রীতে কয়লা, পিচ, স্লেট, ধাতু ইত্যাদি ব্যবহার করা হতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে ইটের গাঁথুনিতে ড্যাম প্রতিরোধী হিসেবে মর্টারের মধ্যে পলিইথিলিনের শেডিং ব্যবহার করা হয়। নির্মাণকাজে ড্যাম প্রতিরোধী উপকরণ ব্যবহার অতিরিক্ত ক্ষতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। নির্মাণকাজে Damp Proof Course ব্যবহারের পরেও বিল্ডিং নিম্নলিখিত কারণে ড্যাম্প হতে পারে-

  • ড্যাম প্রতিরোধী হিসেবে ব্যবহৃত কেমিক্যাল পচে কিংবা পৃথক হওয়ার কারণে ভেঙে যেতে পারে।
  • ড্যাম প্রতিরোধী Course-এর প্রয়োগের আগেই যদি কোনো Crack থাকে বা আগে থেকে পানি ও লবণ ভবনের ভেতরে প্রবেশ করে থাকে।
  • ভবনের বিভিন্ন স্থানে সেটিং বিভিন্ন হওয়ার কারণে যদি ভেঙে পড়ে।
  • যদি ড্যাম প্রতিরোধী উপাদান সঠিকভাবে প্রয়োগ করা না হয়।
  • যদি দেয়ালের মধ্যে মর্টার দিয়ে সেতুবন্ধন তৈরি করা হয়।

জরাজীর্ণ ভবন যদি সঠিকভাবে সংস্কার করা না হয়। যদি ড্যাম প্রতিরোধী পানি ও লবণের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে, তখন এই দুই উপাদান খুব সহজে ভবনের ভেতরে প্রবেশ করে এবং এর অতিরিক্ত ড্যাম্প সৃষ্টি করে। লবণ ও পানির আক্রমণে সৃষ্ট ক্ষতস্থান ঠিক করতে অতিরিক্ত খরচের প্রয়োজন হয়। সে জন্যই ভবনকে লবণ ও পানির আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য সঠিক ড্যাম প্রতিরোধী উপকরণ বাছাই করা এবং সঠিকভাবে এর প্রয়োগ একান্ত জরুরি।

লবণাক্রান্ত দেয়াল হচ্ছে বিব‍‍র্ণ

Austrialian Salt Damp Research Committee-এর গবেষণা অনুযায়ী লবনাক্ততার আক্রমণ থেকে ভবনকে রক্ষা করার প্রক্রিয়া নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। সেগুলোকে একটি নির্দিষ্ট Chain Maintain করে ব্যবহার করা উচিত। যেমন : সঠিক নকশা ও নির্মাণ পদ্ধতি। যথাযথভাবে তত্ত্বাবধান ও নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার পরে সঠিকভাবে এর পরিচর্যা। ভবনের মালিক, নির্মাণকারী ও এতে বসবাসকারী সবার সঠিক পদক্ষেপই একটি ভবনকে দীর্ঘস্থায়ী করে তুলতে পারে। সাধারণত কংক্রিটের স্লাবের নিচে একটা বালুর স্তর এবং বাষ্প প্রতিরোধী প্লাস্টিকের স্তর থাকে, যা কংক্রিটের ড্যাম প্রতিরোধী কোর্স হিসেবে কাজ করে। ভবনের ইটের গাঁথুনিতে প্রতিরোধক হিসেবে মর্টার ব্যবহার করা হয়।

বালুর স্তরের প্রলেপ লবণাক্ততার সঙ্গে সম্পর্কিত। প্রথমত, এটা মাটির নিচে অবস্থিত শক্তিশালী উপাদানকে রক্ষা করে। তা ছাড়া এটা মাটিস্থ পানির Capillary Rise হতে প্রতিরক্ষা প্রদান করে। তাই বালুর এই স্তর বিল্ডিংকে লবণাক্ততার আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখে। আগে ভবনগুলো Pier-এর দ্বারা সাপোর্ট দিয়ে স্থায়িত্ব বাড়ানো হতো। এ ধরনের নির্মাণ পদ্ধতির ফলে ভবনের নির্মাণসামগ্রীসমূহ পানি ও লবণের সংস্পর্শে অনেক কম আসত, যার ফলে প্রাকৃতিক লবণ ও পানির প্রভাব ভবনের ওপর থাকত অনেক কম।

ড্যাম প্রতিরোধী উপাদান প্রয়োগের সময় এবং গ্রাউন্ড লেভেলের পলেস্তারার কাজ করার সময় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। এটা লবণকে পানি ও বাষ্পের সঙ্গে মিশ্রিত হয়ে বিল্ডিংয়ের অভ্যন্তরে প্রবেশের হাত থেকে রক্ষা করে। এর জন্য যা কিছু করণীয় তা অবশ্যই মেনে চলা দরকার। যেমন ভবনের স্যানেটারী পাইপের সংযোগস্থলগুলোকে Lopping করে ড্যাম প্রতিরোধী করে তোলা উচিত। সাধারণ মানুষ লবণাক্ততা আক্রমণের ক্ষতিকর দিকসমূহ এবং এর প্রতিরোধে করণীয় সম্বন্ধে নাও জানতে পারে।

কংক্রিটের মধ্যে রিইনফোর্সমেন্ট স্থাপনের সময় ও কংক্রিট প্রয়োগ করার পরে এর ওপর হাঁটাচলায় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ, কংক্রিট যথাযথ শক্তি অর্জনের আগে এর ওপর হাঁটাহাঁটি করলে এর মধ্যে ছিদ্র সৃষ্টি হতে পারে, যা ভবনে লবণাক্ততার আক্রমণকে উৎসাহিত করে। তা ছাড়া দ্রুতগতিতে Curing করাও খারাপ। কারণ অপর্যাপ্ত কিউরিং এর কারণে কংক্রিট যথাযথ শক্তিমাত্রা অর্জনে সক্ষম হয় না। যার ফলে ছিদ্রযুক্ত কংক্রিট উৎপন্ন হয়। এতে কংক্রিটে লবণাক্ততার আক্রমণ দেখা দেয়। ভবনের নির্মাণ চলাকালে ও পরবর্তী সময়ে কংক্রিটের ছিদ্রযুক্ত ছিদ্র পানি ও লবণকে ভবনে প্রবেশের কারণ হতে পারে।

কৃষিজমিতে লবণাক্ততার প্রভাব

ভবন ও সাইটের ড্রেনেজ সিস্টেম

ভবনের ভেতরে পানি প্রবেশের মাত্রা পানিতে দ্রবীভূত লবণের পরিমাণের ওপর নির্ভর করে। কোনো একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে গ্রাউন্ড ওয়াটার কয়েক কিলোমিটার পরিভ্রমণ করে অবশেষে আবার সারফেসে ফিরে আসে। গ্রাউন্ড ওয়াটারের চলার ফলে এটা অনেক সময় লবণকে দ্রবীভূত অবস্থায় নিয়ে আসে।

কোন অঞ্চলে কী পরিমাণ সেফটিক ট্যাংক ব্যবহার হয়, বৃষ্টির পানি প্রবাহের সময় যে পরিমাণ মাটির মধ্য দিয়ে গ্রাউন্ড ওয়াটার-এ পৌঁছায় সেচকাজের জন্য, কী পরিমাণ চাষাবাদ ও ফসল উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে- এর সবকিছু লবণ ও পানির চলাচলকে প্রভাবিত করার সঙ্গে সঙ্গে ওই অঞ্চলের লবণাক্ততার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। পানিতে লবণের যথাযথ পরিমাণ On Site এবং Off Site দুই ধরনের স্যালাইনিটির উন্নতি সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদি পানিতে অধিক পরিমাণে লবণের উপস্থিতি সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগতভাবে জীবনধারণ অনেক বেশি খরচ সাপেক্ষ হয়ে পড়ে, তাহলে অবশ্যই এর বিকল্প চিন্তা করা উচিত এবং স্যালাইনিটির প্রভাবে কমাতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা উচিত। তা ছাড়া মারাত্মক প্রভাব থেকে মুক্তির জন্য দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনা ও কার্যক্রম গ্রহণ করা উচিত। এ ক্ষেত্রে প্রত্যেককে নিজের অবস্থান থেকেও সচেতনভাবে গ্রহণ করা উচিত সঠিক উদ্যোগ।

প্রতিটি বাড়ির নির্মাণ এ পরিচর্যার সিদ্ধান্তগুলো যেমন হওয়া উচিত। সেগুলো হচ্ছে-

  • নির্মাণকাজের জন্য ব্যবহৃত সাইটটি কি Cut অথবা Fill করে Level Surface-এ নিয়ে আসা হয়েছে।
  • নির্মাণ সাইটের ভূমির স্পকে (Slope) কি আকার দিয়ে ভবনের নির্মাণকাজ শেষ করা হয়েছে?
  • নির্মাণসাইটের ল্যান্ডস্কেপ কেমন?
  • ওই জমিতে পানির উপস্থিতি কেমন?
  • সাইটের সারফেসের প্রকৃতি কেমন?
  • নির্মাণ সাইটের চারপাশে চলাচলের রাস্তা কতটুকু?
  • টেপ এবং পাইপের নেটওয়ার্ক কি নিয়মিত পরীক্ষা করা হয়? যাতে কোনো ধরনের ছিদ্র না থাকে।
  • এর সবকিছুই সাইটের পানির পরিমাণ এবং ভবন কাঠামোর চারপাশের চলাচলকে প্রভাবিত করে। উপরিউক্ত বিষয়গুলোর প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপের মাধ্যমে ভবনকে লবণের আক্রমণ ও ক্ষতির হাত থেকে সুরক্ষা করা সম্ভব।

ভবন এবং এ চারপাশে পানির উৎস, ভবনে পানি প্রবেশের আশঙ্কা বাড়ায়। পানি ও বাতাসের সঙ্গে মিশ্রিত হয়েই ভবনে লবণাক্ততা ছড়িয়ে পড়ে ভবনের সারফেসেকে ড্যাম্প করে তোলে। লবণাক্ততা যে শুধু ভবনের বাহ্যিক সৌন্দর্য নষ্ট করে, তা-ই নয়। এটা ভবনটিকে কাঠামোগত দিক দিয়েও দুর্বল করে ফেলে। তা ছাড়া লবণ মিশ্রিত পানি ভবনে প্রবেশ করে চাপ বৃদ্ধি করে। আর তাই নির্মাণকাজ পরিচালনার আগে সাইট সম্পর্কে ভালোভাবে তথ্য সংগ্রহ করে ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করা উচিত। আর যদি সাইটে লবণাক্ততার প্রভাব বেশি থাকে, তাহলে ভবন নির্মাণ উপকরণ হিসেবে লবণাক্ততায় বেশি কার্যক্ষম নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে ভবনটিকে ভালোভাবে ড্যাম্প প্রতিরোধী করে নির্মাণ করা উচিত, যাতে করে নির্মিত ভবনটি দীর্ঘ স্থায়ীত্ব লাভ করে। 

লবণাক্রান্ত দেয়ালের পৃষ্টদেশ

নিরাপদ নির্মাণ নিশ্চিত করতে বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন অ্যাক্ট ১৯৫২, বাংলাদেশ জাতীয় বিল্ডিং কোড ১৯৯৩, ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ১৯৯৬ এবং ঢাকা মহানগর ইমারত (নির্মাণ) বিধিমালা ২০০৮ এবং দেশের সামগ্রিক গৃহায়ণ সমস্যা সমাধানের জন্য দিকনির্দেশনামূলক বাংলাদেশের জাতীয় গৃহায়ণনীতি প্রণীত হয়েছে। এসব বিধিমালায় ভবন নির্মাণে যথাযথভাবে নকশা প্রণয়ন, নির্মাণ উপকরণের গুণগত মান নিশ্চিতকরণসহ দুর্যোগকালীন ঝুঁকির বিষয়সমূহ প্রাধান্য পেলেও জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি রয়েছে উপেক্ষিত। একটি ভবনের শক্ত ও মজবুত কাঠামো নিশ্চিত করার পাশাপাশি লবনাক্ততার বিষয়টিও বিবেচনা রাখতে হবে। নইলে ভবনে লবনাক্ততার আক্রমন রূপ নেবে ভয়াবহতায়।

প্রকৌশলী সনজিত সাহা

[email protected]

প্রকাশকাল: বন্ধন ৪২ তম সংখ্যা, অক্টোবর ২০১৩

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top