প্রারম্ভিকা
বহুমাত্রিক শহর রাজধানী ঢাকা। একই ঢাকার মধ্যে রয়েছে আরেক ঢাকার অস্তিত্ব। ঢাকা শহরে একাধিক নগরকাঠামো লক্ষ করা যায়, যাদের প্রত্যেকের স্বকীয় সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা প্রাতিবেশিক পরিচয় রয়েছে। এর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত পুরান ঢাকা- যার কোল ঘেঁষে বয়ে চলেছে বুড়িগঙ্গা নদী, রংবেরঙের বাড়ির বর্নিল উপস্থিতি, আঁকাবাঁকা রাস্তা আর ঐতিহ্য জড়ানো পাড়া-মহল্লা। বায়ান্ন বাজার তেপ্পান্ন গলির পুরান ঢাকার রয়েছে স্বতন্ত্র নগরকাঠামো, নিজস্ব ঐতিহ্য, নান্দনিক অলংকরণ আর শিল্পগুণসমৃদ্ধ স্থাপত্যশৈলী।
যাঁদের সহযোগিতায়
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশবিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের চতুর্থ বর্ষের প্রজেক্ট ‘আরবান ডিজাইন’ বিষয় নিয়ে ভেবেছেন অধ্যাপক ড. খন্দকার সাব্বির আহমেদ, অধ্যাপক খালেদা একরাম, আমরীন শাহজাহান মনামী, সামিন মজুমদার তুলি।
বিষয়টির আওতায় ৫৫ জন শিক্ষার্থীকে ১১টি গ্রুপে ভাগ করে পুরান ঢাকার তিনটি রাস্তা নিয়ে কাজ করতে দেওয়া হয়। রাস্তা তিনটি হলো বি কে দাস রোড, প্যারী দাস রোড ও শাঁখারী বাজার।
কাজের আওতায় ছিল প্রথমে সাইটের সার্ভে ও অ্যানালাইসিস করে বর্তমান প্রেক্ষিত বিবেচনা করে ভবিষ্যতের জন্য কিছু নীতিমালা নির্ধারণ করা। এ জন্য শিক্ষার্থীরা ১:১০০ স্কেলে তৈরি করে পুরো সাইটের বিশাল মডেল।

গ্রুপভিত্তিক কাজ করেছে যারা
শাঁখারী বাজার নিয়ে কাজ করেছে চারটি গ্রুপ। গ্রুপগুলো হলো-
- সাকিব, রুবামা, সালিমা, সারাহ, অনন্যা;
- ফারিবা, উদয়, বাখতি, মানাল, পিয়াস;
- শাম্মা, তারিন, সাউদা, ইমা, সানজানা;
- রিমুন, ফাহিম, আদিত্য, রাজীব, লিজা।
- বি কে দাস রোড নিয়ে কাজ করেছে অপর চারটি গ্রুপ
- তন্ময়, সামিহা, তৃষা, হৃদিতা, মৌমিতা;
- সৃজন, সামায়িন, ফাহিম, মাজাহার, মৌনতা;
- সুমিত, তাহালীল, নুহা, তন্ময়, সামিন, তৃণা;
- ইমরান, সাদিয়া, ইমেজ, নবনীতা, তাপস, সুপেন।
প্যারী দাস রোড নিয়ে কাজ করেছে তিনটি গ্রুপ
- অনি, আরিফ, এনাম, হিমেল, কেয়া;
- প্রিন্স, মুমু, ওয়াসিম, মেহনাজ, তাসমিয়া, তৃণা;
- প্রৈতী, নাতাশা, দীপা, মৌটুশি, মনিকা ।
প্যারী দাস রোড
দেশের প্রকাশনা ও মুদ্রণশিল্পের প্রাণকেন্দ্র বাংলাবাজার এলাকার গুরুত্বপূর্ণ অংশ পুরান ঢাকার প্যারী দাস রোড। এই এলাকার ইতিহাস ২০০ বছরের বেশি পুরোনো। ঔপনিবেশিক আমলে সরকারি আমলা এবং সমাজের অভিজাত শ্রেনীর বাসিন্দাদের আবাসিক এলাকা হিসেবে পত্তন হয় এলাকাটির। ঘরের সামনে বা ভেতরে খোলা প্রাঙ্গণ ছেড়ে অনেকটা বাংলো ধাঁচে তৈরি এখানকার বাড়িগুলো। স্থাপত্যশৈলীতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক ধারা সুস্পষ্ট; মোগল প্রভাবও দেখা যায় কিছু ভবনে। সুচারু নকশা অলংকরণ এবং আভিজাতিক স্থাপত্যভাবনায় বৈশিষ্ট্যপূর্ণ এ বাড়িগুলোর অনেকই এখন অতীত। যার নামে এই রাস্তার নামকরণ রায় বাহাদুর প্যারী দাস, তিনি ছিলেন একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। তাঁর বাড়িটিই এখন আর নেই। ২০০৯ সালে বাড়িটি ভেঙে ফেলা হয় এবং তার পরপরই এ নিয়ে হয় প্রতিবাদ, আন্দোলন ও মামলা। মামলাটি এখনো বিচারাধীন। ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক চাপ এবং আবাসনসংকট উপেক্ষা করে এখনো যেসব ঐতিহ্যবাহী দালান অত্র এলাকায় টিকে আছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- বিউটি বোর্ডিং, সুধীর দাস লজ, মানিকগঞ্জের ধানকড়া জমিদারের কাছারিবাড়ি, বাণী ভবন, গৌর-নিতাই মন্দিরসহ আরও কিছু স্থাপনা। শিক্ষার্থীদের এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল এই ভবনগুলোকে সংরক্ষণের পাশাপাশি এলাকার উন্নয়ন এবং বাস্তুপরিকল্পনার জন্য কিছু নীতিমালা নির্ধারণ এবং তার প্রযোজ্যতা যাচাই।

শুরুতেই শিক্ষার্থীরা এলাকাটি জরিপ করে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করে। এই প্রতিবেদনে উঠে আসে এলাকার ইতিহাস, সময়ের সঙ্গে এর বিবর্তন, ঐতিহ্যবাহী ভবনগুলোর শৈল্পিক এবং স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্য এবং এই এলাকার নাগরিক সুযোগ-সুবিধার বর্তমান পরিস্থিতি। সাথে অনুষঙ্গ হিসেবে আসে ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি, স্কেচ, ডায়াগ্রাম ও ড্রয়িং। সংগৃহীত তথ্য ও উপাত্ত পরিবেশনের জন্য শিক্ষার্থীরা Matthew Carmona‘র Six Dimension Analysis পদ্ধতি অবলম্বন করে। এলাকার বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ উন্নয়ন নিয়ে এলাকার মানুষের ভাবনাও উঠে আসে শিক্ষার্থীদের এই প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত ছক আকারে সাজিয়ে শিক্ষার্থীরা এলাকার একটি ‘আরবান মেট্রিক্স’ তৈরি করে। এই ‘আরবান মেট্রিক্স’ই দিকনির্দেশনা দেয় এলাকার ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং উন্নয়নের জন্য কী উপায় অবলম্বন করা উচিত, এর ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীরা এই এলাকার জন্য তৈরি করে ফরম বেইজ কোড (Form Based Code).
ফরম বেইজ কোড
নগর এলাকার উন্নয়নের জন্য Smart Code বা Form Based Code একটি আধুনিক ও যুগান্তকারী ধারণা। এই কোড বা নীতিমালার মাধ্যমে প্রথাগত ‘জোনিং’ বা ‘ল্যান্ড ইউজ’ভিত্তিক ভবন আলাদা না করে ভবনের আকার এবং আবির্ভাবে কিছু নীতিমালা প্রয়োগের মাধ্যমে একটি উন্নত Public Realm বা নাগরিক ক্ষেত্র তৈরি হয়। প্যারী দাস রোডে Form Based Code প্রয়োগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যে উদ্দেশ্য অর্জনের চেষ্টারত ছিল তা হলো-
- এলাকার হারানো নাগরিক ঐতিহ্য যতটা সম্ভব পুনরুদ্ধার
- ঐতিহাসিক ভবন সংরক্ষণ
- নির্মিতব্য ভবনের জন্য বিধিমালা প্রণয়ন
- এলাকার প্রবৃদ্ধি অনুমান এবং নিয়ন্ত্রণ
- সর্বোপরি সুস্থ নাগরিক পরিবেশ নিশ্চিত করা।
মূলত তিনটি স্তরে এই নীতিমালা প্রস্তাব করা হয় রাস্তা, বিল্ডিং ইন্টারফেস, বিল্ডিং লে-আউট।
রাস্তা কিংবা সড়ক পর্যায় মূলত যানবাহন এবং পথচারীর জন্য পৃথক লেন প্রস্তাব করা হয়, যা জরুরি প্রয়োজনে আবার একীভূত করা যায়। প্যারী দাস রোডে দিনের নির্দিষ্ট সময় একমুখী যান চলাচল প্রস্তাব করা হয়। বিদ্যুৎ, টেলিফোন, গ্যাস এবং পানির লাইন রাস্তার নিচে স্থাপনের জন্য প্রস্তাবনা করা হয়। এর ফলে রাস্তার ওপর কোনো বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকবে না। রাস্তার নির্দিষ্ট দূরত্ব পরপর ফায়ার হাইড্রেন্ট এবং ডাস্টবিন স্থাপনার জন্য নীতিমালা দেওয়া হয়।

বিল্ডিং ইন্টারফেস লেভেলে সব ভবন রং, উচ্চতা, প্রবেশ্যতা, দরজা-জানালার মাপের অনুপাত, ধরন, বারান্দা, শেডিং ডিভাইস, প্যারাপেট ইত্যাদির মাপ এবং ধরন নির্ধারণ করা হয়। সাইনেজের আকার এবং অনুপাত এমনভাবে নির্ধারণ করা হয় যেন তা ভবনের সৌন্দর্য বাধাগ্রস্ত না করে।
বিল্ডিং লে-আউট পর্যায়ে মূলত সেটব্যাক, কোর্টইয়ার্ড (প্রাঙ্গণ)-এর মাপ এবং অনুপাত নির্ধারণ করা হয়। বর্তমান ভবনসমূহে ভবিষ্যতে কীভাবে সম্প্রসারণ হবে দেওয়া হয় তার নীতিমালা।
পুরান ঢাকার অন্যান্য অনেক এলাকায় উন্নয়ন ও সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ‘পঞ্চায়েত কমিটি’ রয়েছে। কিন্তু প্যারী দাস এলাকায় বর্তমানে কোনো পঞ্চায়েত নেই। এই প্রকল্পে প্যারী দাস এলাকার উন্নয়ন ও সামাজিক কাজের অভিভাবক হিসেবে একটি কমিটি প্রস্তাব করা হয়। এ কমিটি কীভাবে নির্ধারিত হবে এবং কীভাবে পরিচালিত হবে সে বিষয়ে করা হয় নীতিমালা প্রস্তাব।
শাঁখারী বাজার
শাঁখারী বাজার আরবান ডেভলপমেন্ট প্রজেক্টের উদ্দেশ্য ছিল শাঁখারী বাজার এলাকার নগরভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি করা। আরবান ডেভেলপমেন্ট বা নগর পরিকল্পনা বিষয়টি স্থাপত্য কারিকুলামে থাকলেও, এর বিস্তৃতি স্থাপত্য থেকে শুরু করে সমাজ, সংস্কৃতি এবং মানুষের জীবনযাত্রা, এ সবকিছু নিয়েই। বিষয়টিতে ডিজাইন বা পরিকল্পনার চেয়ে, অ্যানালাইসিস অর্থাৎ পর্যালোচনা বেশি দরকার। শাঁখারী বাজারের অ্যানালাইসিস রিপোর্টে ভবন, সড়ক, অবকাঠামো ইত্যাদির অবস্থা তুলে ধরার সঙ্গে সঙ্গে বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে এখানকার মানুষ কী চায়, তাদের বর্তমান জীবনযাত্রা নিয়ে তারা সন্তুষ্ট কি না, তারা কোন কোন বিষয়ে পরিবর্তন চায়, আর কোন কোন বিষয়ে পরিবর্তনে তাদের আপত্তি রয়েছে।
শাঁখারী বাজারের অ্যানালাইসিস রিপোর্টের পর ডিজাইনের কাঙ্খিত লক্ষ্যগুলো ছিল, শাঁখারী বাজারের বর্তমান জীবনযাত্রা, তাদের পেশা ও সংস্কৃতিতে চাপিয়ে দেওয়া কোনো পরিবর্তন না এনে যে নাগরিক সুবিধাগুলোর অভাব রয়েছে, সেগুলো পূরণ করা। শাঁখারী বাজারের রয়েছে শত বছরের পুরোনো ঐতিহ্য, তারচেয়েও গুরুত্বপূর্ণ, আছে সেই ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখার মতো জনগোষ্ঠী। তাই শাঁখারী বাজার হয়ে উঠতে পারে ঢাকার জীবন্ত স্মৃতিবাহক। এ ছাড়া স্থাপত্যিক দিক থেকেও শাঁখারী বাজারের গুরুত্ব অপরিসীম। কোর্ট বেইসড হাউজিং বা ওঠানভিত্তিক আবাসনব্যবস্থা শাঁখারী বাজারের একটি মৌলিক বৈশিষ্ট্য। এই বৈশিষ্ট্যই হয়ে উঠতে পারে নগরায়ণ সমস্যার একটি সম্ভাব্য সমাধান।
ডিজাইনের মূল অংশে মূলত সড়কভিত্তিক পরিকল্পনা, অবকাঠামোগত পরিকল্পনা ও ভবিষ্যৎ আবাসিক ভবনের জন্য দেওয়া হয় একটি সমন্বিত নীতিমালা বা বিল্ডিং কোড।
বি কে দাস রোড
বি কে দাস রোডকে হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়েছে এর ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যশৈলী ও Urban Fabric-এর জন্য। কিন্তু এই ঘোষণার পরবর্তীতে নির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়নি। এ জন্য ওই এলাকায় বসবাসরত মানুষ নতুন স্থাপনা তৈরিতে বিপাকে পড়েছে।
যে ঐতিহ্যের জন্য অত্র এলাকাকে সংরক্ষণের বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে, সেই স্থাপত্যের অবস্থা যত্নের অভাবে ভঙ্গুর প্রায়। এ ক্ষেত্রে দেখা যায়, পুরোনো মালিকদের এই জায়গার প্রতি এক ধরনের মায়া ছিল, তাঁদের পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে রাখার ব্যাপারে তাঁদের এক ধরনের সচেতনতা ছিল কিন্তু ’৪৭ ও ’৭১-এর পর অনেকেই দেশত্যাগ করেন এবং তা নিয়ে অর্পিত সম্পত্তির নানা জটিলতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে নতুন মালিকদের ঐতিহ্য সংরক্ষণের তুলনায় বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গি বেশি দেখা যায়। বি কে দাস রোডে প্রায় পাঁচটি জমিদারবাড়ি রয়েছে। এই রোডে বড়বাড়ি, বাইজিবাড়ি, মঙ্গলালয়ের মতো স্থাপত্য রয়েছে। রয়েছে বিবি কারউজা, বঙ্কুবিহারি জেউ মন্দিরসহ অনেক প্রাচীন স্থাপত্য। এ ছাড়া এই রোডের পুরোনো বাড়িগুলোতে দেখা যায় এক বা একাধিক Court Yard রয়েছে। বর্তমানে আরো দেখা যায়, বেশির ভাগ বাসা Mixed Use অবস্থায় রয়েছে, নিচতলায় দোকান ও ওপরে আবাসিক। এ এলাকায় গড়ে উঠেছে কাঠ ও মসলার আড়ৎ।

এই এলাকার পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন কতগুলো নীতিমালা। এই এলাকার উন্নয়নের জন্য এলাকাবাসীর নৈতিক সহায়তাও একান্ত প্রয়োজন। অত্র এলাকা যদি Heritage Walk হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, তবে এলাকাবাসী যেমন লাভবান হবে তেমনি এই ঐতিহ্য সংরক্ষণের সম্ভাবনা জেগে উঠবে। পর্যটন এলাকা হিসেবে উন্নয়ন করার জন্য কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন যেমন এই এলাকায় দেখা যায় যে প্রতিটি বাড়িতে উঁচু Plinth আছে। এই জায়গাটিকে কীভাবে ব্যবহারের উপযোগী আড্ডা দেয়ার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করা যায় সেটা খেয়াল করা উচিত। এই জায়গাটি অভিনব উপায়ে চা-খাওয়ার জায়গা বা Outdoor Restaurant হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এ ছাড়া রাস্তার Material পরিবর্তন করে হাঁটার উপযোগী করা যায়। বিদ্যুৎ বাতির পোস্টগুলো সরিয়ে দিলেই রাস্তায় হাঁটার জায়গা বেড়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে Service Facilities Underground করা যেতে পারে। বিদ্যুৎ বাতি দালানের গা থেকে ঝুলে আসতে পারে।
দিনের কোনো একটি সময়ে শুধু Pedestrian চলাচল নিশ্চিত করতে হবে। নতুন স্থাপনার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যেন তা পুরোনো স্থাপনাকে Complement করে। নতুন স্থাপনার ক্ষেত্রে কিছু Proportion মেনে তৈরি করতে হবে, যেন তা রাস্তার ঐতিহ্য বজায় রাখে। পর্যটককে আকৃষ্ট করা গেলে দেখা যাবে সাধারণ বাসাবাড়িতে যে পরিমাণ ভাড়া পাওয়া যেত তার চেয়ে অনেক বেশি লাভ করা সম্ভব। বিদেশে এ ধরনের উদাহরণ প্রায়ই দেখা যায়। এটাই ছিল গ্রুপ ৫-এর প্রস্তাবনার বিষয় আশয়।
ম. শাফিউল আল ইমরান
প্রকাশকাল: বন্ধন ৪১ তম সংখ্যা, সেপ্টেম্বর ২০১৩