সাহারার মরূদ্যান ম’জাব

সাহারার তপ্ত মরুর বুকে এক টুকরো উদ্যান ম’জাব উপত্যকা (M’Zab Valley)। এখানকার স্থাপনাগুলো একটি আরেকটির সঙ্গে লাগানো। বাড়িগুলোর স্থাপত্যিক গঠন ও নির্মাণশৈলী শহরটিকে অনন্য সৌন্দর্য ও বৈশিষ্ট্য এঁকে দিয়েছে। আর জালের মতো ছড়ানো সরু গলিগুলো প্রবাহিত হয়েছে অনেকটা ধমনির মতো, যা উপত্যকাটিকে করে তুলেছে রহস্যময়। নিজেদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ আর প্রতিবেশীসুলভ নিবিড় সম্পর্ক বজায় রাখতেই ম’জাব সম্প্রদায় গড়ে তোলে বিচিত্র নকশার এ উপত্যকাটি।

ম’জাব উপত্যকাটি আলজিয়ার্স শহর (আলজেরিয়ার রাজধানী) থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। অভিন্ন স্থাপত্য আর সংস্কৃতির পাঁচটি শহরের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এমন নগরীকে ইংরেজিতে ‘পেন্টাপলিস’ বলা হয়। এই ম’জাব নগরীর গোড়াপত্তন হয়েছিল উত্তর আফ্রিকার মাগরেব নামক স্থান থেকে আগত ইবাদি মুসলমানদের একটি দলের হাতে। এই জাতিটি আসলে বর্বর মজাবিত উপজাতি নামে খ্যাত। ৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে এক ভয়াবহ দাবানলে বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হলে এরা তাহেরত শহর (মাগরেবের রাজধানী) থেকে কেউ কেউ ম’জাবে এসে বসবাস শুরু করে। মূলত পারস্য বংশোদ্ভূত রুস্তামিদ রাজবংশ থেকে আগত এই মুজাবিতগণ ৭৭০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে সুন্নি মুসলিম স¤প্রদায়ের পরিবর্তে নিজেরা ইবাদি মুসলমান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। পরে ১০১০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে সুন্নি স¤প্রদায়ের লোকেরা এই ইবাদি স¤প্রদায়কে নিজেদের আবাসভ‚মি থেকে উচ্ছেদ করলে এরা মাগরেব ত্যাগ করতে বাধ্য হয় এবং দক্ষিণের ম’জাব উপত্যকায় এসে স্থায়ীভাবে নতুন আবাসভূমি গড়ে তোলে। ম’জাব নগরী গড়ে ওঠার পেছনে ইবাদি মুসলিমদের নিজেদের সংস্কৃতি রক্ষা ও বংশধরদের জন্য একটি সুরক্ষিত স্বাধীন আবাসস্থল নির্মাণের তাগিদই ছিল প্রধান। নিভৃতচারী ইবাদিরা তাই বিরাণ সাহারা মরুভূমিতে গড়ে তুলেছিল এক মরূদ্যান, যা কি না সহস্রাব্দের পরেও টিকে আছে নিজস্ব সংস্কৃতি ও জীবনাচরণের অপূর্ব এক নিদর্শন হিসেবে।

ম’জাব উপত্যাকার ঘরবাড়ি, আলজেরিয়া। ছবি: পিন্টারেস্ট

ম’জাবের পাঁচটি শহরই দেয়াল দ্বারা সুরক্ষিত। এর প্রতিটি শহরের গঠন-প্রকৃতি একই ধরনের। এই পাঁচ শহর গারডিয়া (ম’জাবের রাজধানী শহর), মালেকা, বেনি ইসগুয়েন, বো নরা এবং এল আতেফ প্রতিটিই গোলাকৃতি টিলার ওপর অবস্থিত। প্রতিটি শহরের কেন্দ্র হচ্ছে একটি মসজিদ, যেটি শহরের সবচেয়ে উঁচু দালান। এই মসজিদ একাধারে দুর্গ, অস্ত্রাগার এবং শস্যভান্ডার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মসজিদের মিনার হচ্ছে শহরের ওয়াচটাওয়ার। পাহাড়ের চ‚ড়ায় অবস্থিত এই কেন্দ্রীয় মসজিদকে ঘিরেই শহর স¤প্রসারিত হয়েছে। প্রায় একে অন্যের সঙ্গে গায়ে লাগানো বাড়ি শহরের সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত। বাড়িগুলোর গঠন এবং গড়ে ওঠার ধরনই আপনাকে বলে দেবে যে ম’জাব নগরী আসলে সাম্যবাদের নগর, যেখানে সবাই সমমর্যাদা নিয়ে একই সঙ্গে বসবাস করে এবং সবাই একটি অবিচ্ছিন্ন স¤প্রদায়ের অংশ। লাগোয়া বাড়িগুলোর মধ্যে আচ্ছাদিত সরু গলি বাতাস চলাচলের জন্য এবং অন্যদের সঙ্গে সংযোগ রক্ষার কাজে ব্যবহৃত হয়।

এল আতেফ ম’জাবের সবচেয়ে পুরোনো শহর। গারডিয়া হচ্ছে সবচেয়ে বড় শহর এবং এটি ম’জাবের রাজধানীও বটে। আর বেনি ইসগুয়েন হচ্ছে সবচেয়ে রহস্যময় শহর। বেনি ইসগুয়েনকে পবিত্রতম শহর বলা হয়। অতি স¤প্রতি অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন হলেও আগে এই শহরে বাইরের কাউকে সন্ধ্যার পর প্রবেশ করতে দেওয়া হতো না। রাতে সবগুলো প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়া হতো। বেনি ইসগুয়েন ইবাদি মুসলিমের সমস্ত ঐতিহ্য এখনো পর্যন্ত ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।

ম’জাব উপত্যকার প্রধান দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে আছে পর্যটকদের জন্য ‘এল আতেফ’ শহরে অবস্থিত ‘সিদি ব্রাহিম’ মসজিদ। মসজিদটি খুবই আকর্ষণীয় অনিয়িমিত ভাঁজের মোটা নিচু বহির্দেয়াল, ছোট ছোট জানালা আর ভেতরে খিলানের সমন্বয়ে তৈরি। বলা হয়ে থাকে, এটি সুইস-ফ্রেন্স স্থপতি লা কর্বুশিয়ার (Le Corbusier) কাজ রচ্যাম্প (Ronchamp)-এর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত। এ ছাড়া বেনি ইসগুয়েন শহরে আছে বলিলা টাওয়ার (The Boulila tower)। টাওয়ারের চূড়ায় ওঠার এবং প্রবেশের অনুমতি আছে দর্শনার্থীদের। এখান থেকে পুরো ম’জাব উপত্যকা এক নজর দেখা যায়।

মালিকা শহরে শেখ সিদি আয়শার সমাধি ও মাজারের অবস্থান। সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় মূল শহরে প্রবেশ না করেও এখানে যাওয়া যায়। মালিকা শহরে অন্যান্য শহরের মতো কোনো গাইড সুবিধা নেই। কেননা এই শহর কোনো দর্শনার্থীকে ভ্রমণে উৎসাহিত করে না। আর রাজধানী গারডিয়ার সীমানা দেয়ালের বাইরে পর্যটকদের জন্য বাজার বসে। এখানে মূলত কার্পেট আর খেজুরের বিকিকিনি হয়। শহরের দেয়ালের ওপাশেই অনেক গলিপথ, খিলান আর সবচেয়ে উঁচু মিনার থাকলেও সেখানে কেউ চড়তে পারে না। অনুমতি নেই। অন্য সব শহরের মতোই এখানে খেজুর বাগান থাকলেও গারডিয়ার খেজুরবীথি দারুণ আকর্ষণীয়। গারডিয়ানের খেজুর বাগানে মাটির নিচ দিয়ে সেচব্যবস্থা চালু আছে আর এই সেচনালা এখানে যত গাছ আছে, ঠিক ততা ভাগে বিভক্ত।

উপত্যাকার বিপনী বিতান। ছবি: এসবিসাইলি

এগারো শতকের শুরুতে গোড়াপত্তন হওয়া এই নগরী বহুদিন যাবৎ স্বাধীন নগরী হিসেবেই থেকেছে। ১৮৫৩ সালে এটি প্রথম ফ্রান্সের কলোনির অন্তর্গত হয়। মূলত ১৮৮২ সালে ফ্রান্সের কাছে আত্মসমর্পণের পূর্ব পর্যন্ত বহির্বিশ্বের সঙ্গে ম’জাব নগরীর কোনো সম্পর্কই ছিল না। ইবাদিদের জীবন দর্শন হচ্ছে বিচ্ছিন্নবাদিতা। তবে এদের মতাদর্শের সঙ্গে কারও অমিল হলে তাদের প্রতি এরা কোনো প্রকার বিদ্বেষ পোষণ করে না। নিভৃত থাকার ঐতিহ্য থেকেই এরা নিজেদের শহরকে গড়ে তুলেছে সুরক্ষিত দেয়ালের আড়ালে মরুভূমির বুকে পাহাড়ি উপত্যকায়। প্রায় ১০ কিলোমিটার বিস্তৃত এই নগরীর প্রতিটি শহরের প্রধান তিনটি বৈশিষ্ট্য আছে। সুরক্ষিত শীতকালীন শহর (স্থানীয় নাম কাসর), উপত্যকার গ্রীষ্মকালীন শহর (স্থানীয় নাম ওয়াহাত) এবং সমাধিস্থল বা গোরস্থান। প্রতিটি কাসরের বিপরীতে আছে একটি ওয়াহাত।

শীতকালীন শহর কাসরে একটি মসজিদ, একটি শুক্রবারের মসজিদ (আজ্জাবা মসজিদ), নগরবাসীর জন্য আবাসিক, বাজার এবং সুরক্ষাজনিত সমস্ত উপকরণের (যেমন দুর্গ, ওয়াচ টাওয়ার, নগরের প্রবেশমুখ, দেয়াল ইত্যাদি) সমন্বয়ে গঠিত। অপর দিকে গ্রীষ্মকালীন উপত্যকায় খেজুর বাগানের ফাঁকে ফাঁকে নগরবাসীর জন্য রয়েছে দেয়ালঘেরা আবাসিক। দেয়ালের মাঝে মাঝে অবস্থিত টাওয়ার মালিকানা ও সেচ সীমানা নির্দেশের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই দেয়াল ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও নিজ নিজ আঙিনার সুরক্ষার কাজও করে। গ্রীষ্মকালীন উপত্যকার খেজুর বাগান ও এর সেচব্যবস্থা (এখানে মাটির নিচ দিয়ে সেচ দেওয়া হয়) মূলত অর্থনীতির মূল ভিত্তি। আর এর বাইরে অব্যবহারযোগ্য ভূমিতে সমাধিস্থল গড়ে তোলা হয়েছে। প্রতিটি সমাধিস্থল এর নিকটবর্তী নির্দিষ্ট শহরের জন্য আলাদা আলাদাভাবে নির্মিত। ঋতুভেদে নগরবাসী কাসর বা ওয়াহাতে বাস করে।

শহরগুলোর অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে এর চওড়া প্রধান সড়ক আর জালের মতো ছড়ানো সরু গলি। এই প্রধান সড়ক শহরের মূলধারার যোগাযোগ রক্ষার কাজে ব্যবহৃত হয়। ওয়াহাত থেকে কাসর যাওয়ার পথ, সমাধিস্থলে গমন, গাড়িঘোড়া চলাচল, মসজিদে বা আজ্জাবা মসজিদে যাওয়া, মাদ্রাসা ও বাজারে যাওয়া ইত্যাদি কাজে ব্যবহৃত হয়। সরু গলিগুলো প্রায়ই এর দুই পাশের দোতলা বাড়ির ছায়ায় ঘেরা, যা মরুভূমির তপ্ত সূর্যের নিচে মানুষজন ও গবাদিপশুর চলাচলে সহায়ক। ম’জাবের সমাজে মেয়েরা সচরাচর বাইরে বের হয় না। কোনো মেয়ের যদি বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে তো সে এমনভাবে বড় একটি চাদর দিয়ে নিজেকে আচ্ছাদিত করে রাখে যে শুধু একটি চোখের বেশি কিছু নজরে পড়ে না। অবিবাহিত মেয়েরা নিজেদের মুখ খোলা রাখতে পারলেও বিবাহিত মেয়েদের জন্য একটি চোখের বেশি খোলা রাখার অনুমতি নেই। এখানকার শহরে মানুষের ছবি তোলা নিষেধ। পর্যটকদের জন্যও চলাচলের স্থান নির্দিষ্ট ও সীমিত। সেই সব স্থানেও ম’জাবের স্থানীয় গাইড ছাড়া চলাচলের জন্য পর্যটক বা দর্শনার্থীদের অনুমতি নেই। পর্যটক বা দর্শনার্থীদের শালীন পোশাক পরে চলাচলের জন্য আরবি এবং ফরাসি, উভয় ভাষাতেই অনুরোধ জানিয়ে এসব চলাচলের পথে বিভিন্ন সাইনবোর্ড সাঁটানো আছে। সূর্যাস্তের পরে বহিরাগত কারও শহরে চলাচলের অনুমতি নেই, যদি না সে স্থানীয় কারও বাড়িতে আশ্রয় বা আতিথেয়তা গ্রহণ করে।

ম’জাবের গায়ে গায়ে লাগানো ঘরবাড়ি। ছবি: দ্যনিউইয়র্কার

ঐতিহ্যবাহী ম’জাবের বাড়ির স্থাপত্যের ক্ষেত্রে প্রায় একই ধরনের রীতি অনুসরণ করা হয়েছে। একটি বাড়িতে মূলত চারটি ভিন্ন অংশ থাকে- প্রবেশপথ ও নিচ তলার ঘর, ওপর তলার ঘর, ছাদ আর বেজমেন্ট। নিচতলা মূলত বাড়ির প্রধান অংশ। এখানে প্রবেশপথের পরেই প্রধান কক্ষ (এটি মূলত ছাদ দেওয়া আর হালকা দেয়াল দিয়ে ঘেরা উঠান), পারিবারিক বসার কক্ষ, রান্নাঘর আর অন্যান্য কাজের জন্য ব্যবহৃত কক্ষ। প্রধান কক্ষটি পারস্পরিক আন্তরিকতা, বাচ্চাদের খেলার জায়গা, বিয়ে বা অন্যান্য পারিবারিক অনুষ্ঠান, দৈনন্দিন কাজ যেমন বিশ্রাম, খাওয়া, ঘুম, সেলাইয়ের কাজ ইত্যাদির জন্য ব্যবহৃত হয়। পারিবারিক বসার কক্ষ ব্যবহার করা হয় মহিলা এবং শিশু অতিথিদের আপ্যায়ন ও নিতান্তই পারিবারিক কাজে। আর বাইরে অন্য কক্ষগুলো পরিবারের বাবা-মা এবং বাচ্চাদের ঘুমানোর জায়গা, গুদাম ও গবাদিপশু রাখার কাজে ব্যবহার করা হয়। ওপর তলায় নিচ তলার থেকেও বড় খোলা আঙিনা রাখা হয়। এ ছাড়া পুরুষ অতিথির জন্য থাকার জায়গা, শয়নকক্ষ ও বিবিধ কাজের জন্য প্রয়োজনীয় আলাদা জায়গা রাখা হয়। ওপর তলার খোলা আঙিনার পাশেই ছাদে যাওয়ার সিঁড়িঘর। এই আঙিনাসংলগ্ন দেয়াল পাশের বাড়ির সঙ্গে মিলে পাশাপাশি বাড়ির মধ্যে সংযোগ রক্ষা করে। ম’জাব পরিবারগুলোর মধ্যে সামাজিকতা রক্ষায় এই খোলা আঙিনার ভূমিকা অনেকখানি। ম’জাব পরিবারের মেয়েরা এখানেই একে অপরের সঙ্গে অবসরে গল্প করে বা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখে। বাড়ির ছাদ বিভিন্ন পার্টিশন দিয়ে ভাগ করে গ্রীষ্মকালে পারিবারিক কাজে ব্যবহৃত হয়। যেমন রাতে ঘুমানো বা বিশ্রাম নেওয়া।

ম’জাব স্থাপত্য এভাবেই মুসলিম পারিবারিক ঐতিহ্যকে ধরে রেখেই এর বাসিন্দাদের খোলা বাতাস এবং আবদ্ধ জীবনযাপন, উভয়ের স্বাদই দেয়। এখানে মুসলিম পরিবারের প্রতিবেশীর সঙ্গে যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সহবস্থানের সংস্কৃতি, সেই সঙ্গে অন্দরমহলের গোপনীয়তা, উভয়ই সুচারুভাবে সম্পন্ন হয়। মজাবিতদের সামাজিক মূল্যবোধ রক্ষা এবং মরুভূমির কঠোর আবহাওয়াকেও বশে রাখতে এ ধরনের স্থাপত্যের ভূমিকা বেশ।

ম’জাব শহরের দৈনন্দিন বাজার। ছবি: ফ্রিপিক

সা¤প্রতিক ঐতিহ্যবাহী ম’জাব বাড়ির স্থাপত্যে আধুনিকতারও ছোঁয়া লেগেছে। এর মূল কারণ, অটোমোবাইলের ব্যবহার বেড়ে যাওয়া। অটোমোবাইলের জন্য আলাদা জায়গা দিতে গিয়ে আগে অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত কিছু কিছু জায়গায় পরিবর্তন আনতে হয়েছে। ম’জাবের আধুনিক হওয়ার পেছনে ফ্রান্সের কলোনির অংশ হওয়া এবং সাহারায় তেলের খনি আবিষ্কার বেশ বড় ভূমিকা রেখেছে। এ ছাড়া ম’জাবের উচ্চ জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারও শহরের স¤প্রসারণ ঘটালেও দৈনন্দিন পারিবারিক কাজে ব্যবহৃত জায়াগাকে দিন দিন সংকুচিত করছে। ফলে দেখা যাচ্ছে, ম’জাবের এত দিনের সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করা এবং চিন্তাভাবনার বিনিময়ের ঐতিহ্য বহির্বিশ্বের বিভিন্ন নিয়ামক দ্বারা প্রতিনিয়ত প্রভাবিত হচ্ছে। ম’জাব যেন একটি স্বাধীন ইবাদি মুসলিম ঐতিহ্যের শহর থেকে আধুনিক মহানগরীর ধারণার দিকে ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে। এই দুই ভিন্ন সংস্কৃতির মিলন কীভাবে ঘটে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।

মহুয়া ফেরদৌসী
[email protected]

প্রকাশকাল: বন্ধন ৭০ তম সংখ্যা, ফেব্রুয়ারি ২০১৬

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top