একবার ভাবুন তো কেমন হয় যদি টিনের ঘরে পেয়ে যান এসির শীতল বাতাস! মন্দ হয় না, তাই না? হয়তো ভাবছেন এও কি সম্ভব? হ্যাঁ, সম্ভব। বাংলাদেশের বাজারে প্রথমবারের মতো আসছে পাট দিয়ে তৈরি পরিবেশবান্ধব উন্নত প্রযুক্তির ঢেউটিন জুটিন, যা সূর্যের তাপকে প্রতিরোধ করে প্রাকৃতিকভাবে ঘরকে রাখে শীতল ও আরামদায়ক। ঘরে এনে দেয় এসির ঠান্ডা পরশ।
আবাসনসংকটের অবসান আর পরিবেশবান্ধব শিল্প মূলত এই দুই লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে এসেছে যুগান্তকারী এই পণ্যটি। এর মাধ্যমে সোনালি আঁশ পাট ফিরে পাবে তার হারানো ঐতিহ্য। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে রয়েছে তীব্র আবাসনসংকট, যার প্রধান ভুক্তভোগী বিশ্বব্যাপী বসবাসকারী দরিদ্র মানুষ। শুধু বাংলাদেশেই নয়, সমগ্র বিশ্বের গৃহহীন মানুষের আবাসসংকট দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে পাট থেকে তৈরি জুটিন। পরিসংখ্যান বলছে, সারা বিশ্বে বর্তমানে রয়েছে প্রায় তিন কোটির বেশি গৃহহীন মানুষ। এর মধ্যে বাংলাদেশেই বাস করে ৮০ লাখের ওপরে। পৃথিবীব্যাপী এই আবাসহীন মানুষের আবাসন সমস্যার অন্যতম কারণ বসবাসের উপকরণসমূহের উচ্চমূল্য। এদিক দিয়ে জুটিন অনেক কমদামের টেকসই ও গুণগত মানসম্পন্ন বিশ্বমানের পণ্য এমনটাই বলছেন নির্মাণ বিশেষজ্ঞরা।
ঢেউটিনের রকমফের
নির্মাণশিল্পে টিন একটি অন্যতম উপাদান। গ্রামাঞ্চলে সাধারণত প্রায় সব ঘরবাড়িই টিন দিয়ে তৈরি হয় বলে নির্মাণশিল্পে এর চাহিদা অনেক বেশি। বাংলাদেশে অনেক ধরনের টিন পাওয়া যায়। তার মধ্যে তিন ধরনের টিন বেশি ব্যবহৃত হয়। এগুলো হলো ঢেউটিন, রঙিন টিন ও শিট। বাংলাদেশে ঢেউটিনের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়। রঙিন টিন শৌখিন মানুষের জন্য, যাঁরা শখের বসে বাড়িকে সুন্দরভাবে সাজাতে চান। রঙিন টিন ব্যবহার করলে ঘরবাড়ির সৌন্দর্য অনেক বেড়ে যায়। দরজা, জানালা ও স্টিলের আলমারি ইত্যাদি তৈরিতে সিট ব্যবহার করা হয়। আবাসনে ব্যবহৃত টিনগুলো বিভিন্ন সাইজে পাওয়া যায়। আড়াই ফুট প্রস্থের প্রতিটি টিন লম্বায় হয় ৫ থেকে ১২ ফুট পর্যন্ত। ঘর নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রস্থে আড়াই ফুট টিনগুলো বেশি ব্যবহার করা হয়। কারণ, পেস্টিং দেওয়ার জন্য বাড়তি কিছু টিনের প্রয়োজন হয়। তাই বাড়ি নির্মাণের সময় সঠিক মাপের উন্নত মানের টিন ব্যবহার বুদ্ধিমানের কাজ।

টিনের ব্যবহার
বর্তমান যুগে গ্রাম এবং শহরাঞ্চলে হচ্ছে টিনের ব্যবহার ব্যাপক। গ্রামাঞ্চলে প্রায় বাড়িই টিন দিয়ে তৈরি। বাংলাদেশে নির্মাণশিল্প ছাড়াও বিভিন্ন কাজে টিনের ব্যবহার হয়। শহরাঞ্চলে অনেক বাড়িতে একতলা ছাদের ওপর টিনশেডের দোতলা ঘর নির্মাণের প্রচলন রয়েছে। টিন দিয়ে নির্মিত এসব বাড়িতে রঙিন টিনের ব্যবহার নান্দনিক সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে। রঙিন টিন লাল, সবুজ, গোলাপিসহ বিভিন্ন রঙের হয়। শুধু ঘরের চাল নির্মাণই নয়, অনেক সময় দেখা যায় ঘরের বেড়া তৈরিতেও টিন ব্যবহার করা হয়। একটি ঘর তৈরিতে কত ফুটের টিন লাগবে তা নির্ভর করে ঘরের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের ওপর।
একচালা ও দোচালা ঘরও নির্মাণ করা যায় টিন দিয়ে। দোচালা ঘরের টিন দুই দিক দিয়ে ঢালু করে দিতে হয়। একচালা ঘরের টিন কিছুটা কম লাগে। একটি দোচালা ঘরের ক্ষেত্রে যদি ঘরের দৈর্ঘ্য ২০ ফুট হয় এবং প্রস্থ ১০ ফুট হয়, তবে এক পাশের জন্য ১২ ফুটের ৯টি এবং অপর পাশের জন্য একই পরিমাণের ৯টি টিন লাগবে।
দরদাম ও প্রাপ্তিস্থান
বর্তমানে বাংলাদেশে টিনের ব্যাপক চাহিদা থাকায় খুচরা ও পাইকারি উভয় হিসেবেই টিন বিক্রি হয়। চাহিদা থাকা টিনগুলো দুই ধরনের হয়ে থাকে। উন্নত এবং অনুন্নত। উন্নতমানের টিনগুলোর দাম একটু বেশি এবং অনুন্নতমানের টিনের দাম একটু কম। উন্নত এবং অনুন্নতমানের টিনের প্রধান পার্থক্য পাতলা ও মোটা। উন্নতমানের টিন মোটা এবং অনুন্নতমানের টিন পাতলা। সাধারণত টিন বান হিসেবে বিক্রি হয়। ৭২ ফুটকে এক বান হিসেবে ধরা হয়। উন্নতমানের টিন এক বান পাঁচ হাজার থেকে সাত হাজার টাকার অধিক দাম হয়ে থাকে। অনুন্নত টিনগুলোর দাম চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে। আবার দোকানিরা খুচরা টিনও বিক্রি করে থাকেন। অন্যদিকে যে শিট রয়েছে তা বিক্রি হয় স্কয়ার ফিট হিসাবে। এই শিটের মধ্যে উন্নত এবং অনুন্নত শিট পাওয়া যায়। উন্নতমানের শিট প্রতি স্কয়ার ফিট ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে কেজি হিসেবেও বিক্রি করা হয় ৫০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে। বিশিষ্ট টিন ব্যবসায়ী ওয়াজেদ প্রধানের মতে, শহরের চেয়ে গ্রামে অনুন্নত টিনের চাহিদা বেশি।
টিন বিভিন্ন কারখানায় প্রস্তুত করা হয়। যেহেতু বাংলাদেশে টিনের চাহিদা ব্যাপক এবং সস্তা শ্রমিক, তাই দেশীয় চাহিদার পুরোটাই দেশীয় কারখানায় তৈরি হয়। সবচেয়ে বেশি টিন উৎপাদন হয় চট্টগ্রামে। এ ছাড়া ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে টিন তৈরি হয়। চাহিদার কারণে টিনের কারখানার পরিসর দিনকে দিন বেড়েই চলেছে।
ঢাকার মধ্যে টিনের দোকান রয়েছে বাবুবাজার, চকবাজার, শ্যামপুর ও মিরপুরে। এসব জায়গায় কমদামে পাইকারি ও সুলভমূল্যে টিন বিক্রি হয়। খুচরা হিসেবে দেশের সব জায়গায় অতি সহজেই যে কেউ টিন কিনতে পারেন।
জুটিনের যত কথা
পাটের ইংরেজি শব্দ জুট। পাটভিত্তিক উপকরণে তৈরি বলে এর নাম জুটিন। জুটিনকে পরিবেশবান্ধব বলা হয়। কারণ, টিনের ক্ষতিকারক বা বিষাক্ত পদার্থ যেমন সিসা বা সালফার এটি থেকে পরিবেশে নির্গত হয় না। ফলে চারপাশের পরিবেশ থাকে দূষণমুক্ত। এর অনন্য বিশেষত্ব হচ্ছে বাজারে বিদ্যমান অন্য ঢেউটিন থেকে দেড়গুণ মজবুত, সূর্যের তাপে কম প্রসারণশীল, শব্দনিরোধক এবং মরিচারোধী। প্রচলিত টিনের চেয়ে কমদামে পাওয়া যায়। কারণ :
- কাঁচামাল সহজলভ্যতা
- দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি
- তুলনামূলক কম শ্রমিক খরচ।
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোবারক আহমদ খান দীর্ঘ গবেষণার মাধ্যমে এ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেন। তিনি পরমাণু শক্তি কমিশনের গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ইনস্টিটিউট অব রেডিয়েশন অ্যান্ড পলিমার টেকনোলজির পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন। এই প্রতিষ্ঠানেই পাটের তৈরি চটের সঙ্গে বিভিন্ন উপাদান দিয়ে পলিমারের মিশ্রণে তৈরি করা হয়েছে জুটিন। এতে টিনের মতো মরিচা পড়ে না লোনা পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক সিসাযুক্ত পদার্থ নেই। শত বছরের অধিক টেকসই পণ্য।

বাজারে প্রচলিত ঢেউটিনগুলোর সঙ্গে এর পার্থক্যের হলো, বাজারের ঢেউটিনগুলো মেটালিক কোরুগেটেড শিট আর জুটিন হলো প্লাস্টিক বেইসড টিন এবং এর মূল উপাদান পাট রয়েছে ৩৫-৪০ শতাংশ। এখন পর্যন্ত গবেষণায় জুটিনে প্রায় ৭০ শতাংশ পর্যন্ত পাট ব্যবহার করা গেছে। বাজারের ঢেউটিন ধাতব এতে দ্রুত মরিচা ধরে খসে যায় আর জুটিনে যেহেতু মেটাল নেই, তাই মরিচা পড়ার ঝামেলামুক্ত। দ্বিতীয়ত, জুটিনের তাপ পরিবহনক্ষমতা শূন্য। সে কারণে প্রচলিত ঢেউটিন দিয়ে তৈরি ঘরের মতো গরম হবে না বরং গরমকালে ঠান্ডা এবং শীতকালে মাটির ঘরের মতো গরম অনুভূত হয়। এটি ঢেউটিনের তুলনায় হালকা ও টেকসই। বাজারে যে ঢেউটিন পাওয়া যায় তা সম্পূর্ণ বিদেশ থেকে আমদানিকৃত এবং এতে পারদ ও সিসা থাকে। জুটিনে এমন বিষাক্ত পদার্থ নেই। নিঃসন্দেহে এটি পরিবেশবান্ধব পণ্য। যদিও কারিগরিভাবে এটাকে বলা হচ্ছে ঢেউটিন কিন্তু এটা দিয়ে কাঠের বিকল্প হিসেবে চেয়ার, টেবিল তৈরি করা যায়। নিঃসন্দেহে এটি পাটের সর্বোত্তম ব্যবহার করে পরিবেশরক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।
জুটিন তৈরিতে স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই। জুটিন নির্মাণে কোনো ধাতব পদার্থ ব্যবহার করা হয় না। প্রচলিত ঢেউটিনের চেয়ে মজবুত, দৃঢ়, তাপ বিকরণরোধী। জুটিন তৈরিতে পাটের তৈরি কয়েক স্তর দেওয়ার ফলে তাপ পরিবহন হয় না বললেই চলে ফলে এটি কম উত্তপ্ত হয়। ঝড় বা জলোচ্ছ্বাসে ঢেউটিনের আঘাতে মানুষের যে রকম শারীরিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে, এটার ফলে তার আশঙ্কাও অনেক কম।
জুটিনের উদ্ভাবক ড. মোবারক আহমদ খান জানান, জুটিনের বিশেষত্ব হলো এটি পুরোপুরি মাটিতে মিশে যেতে সক্ষম। তাই এটি দূষণ ছড়ায় না। উন্নত বিশ্বে পাট ও অন্যান্য প্রাকৃতিক কম্পোজিট হিসেবে ব্যবহার করে যানবাহন ও বিমানের বডি নির্মিত হচ্ছে কিন্তু এসব নির্মাণে কোনো প্রতিষ্ঠান না থাকায় ঢেউটিন তৈরিতেই মনোযোগ দিয়েছি। যার সুফল সিংহভাগ জনগোষ্ঠী ভোগ করতে পারবে, সেই সঙ্গে পাটের সুদিনও ফিরে আসবে। এর ফলে একদিকে কৃষকেরা পাটের উৎপাদনের দিকে ঝুঁকবে, অন্য দিকে জনসাধারণ স্বল্পমূল্যে পরিবেশবান্ধব টিনও পাবে।
পাটের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ২০০৬ কোনো একসময়ে পাটের সনাতন ব্যবহারের পাশাপাশি আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত ব্যবহারের তাগিদ অনুভব করেন, এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সালের মার্চে সেমিনারের মাধ্যমে জুটিন উদ্ভাবনের ঘোষণা দেন। বিগত বছরগুলোতে উন্নত গবেষণার মাধ্যমে পাটের তৈরি স্যানেটারি ল্যাট্রিন, চেয়ার, টেবিল, টাইলস, কাঠের দরজার মতো জুটিন ফ্রেম, ফলস সিলিং এবং মোটরসাইকেল আরোহীর জন্য উন্নতমানের হেলমেট তৈরি করেন। তাঁর এ কৃতিত্ব দেখে তৎকালীন ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত স্টিফেন ফ্লোরেল বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন।
জুট থেকে জুটিন
জুটিন তৈরিতে বড় কোনো স্থাপনা, আধুনিক যন্ত্রপাতি, দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজন নেই। শহর কিংবা গ্রামের উঠানে নারী-পুরুষেরা খুব সহজেই এটি তৈরি করতে পারে। বাজারে প্রচলিত ঢেউটিনের ওপর পলিথিন, মোম বা তেলের প্রলেপ দিয়ে এর ওপর পাটের চট বিছিয়ে তার ওপর পলিমারের মিশ্রণ লেপে দেওয়া হয়। এরপর পলিমারের মিশ্রণের ওপর পুনরায় আরেকটি চট বিছিয়ে তার ওপর আবারও পলিমারের মিশ্রণ লেপে দেওয়া হয়। এরপর পলিমার মিশ্রিত ওই চটটির ওপরে আরেকটি ঢেউটিন দিয়ে চাপ দিয়ে ২০ মিনিট রেখে দেওয়ার পর ঢেউটিন ও পলিথিন সরিয়ে ফেললে পাওয়া যায় ঢেউটিনের আদলে জুটিন। মজার কথা হচ্ছে তাপমাত্রা পরিবর্তনের মাধ্যমে চার-পাঁচ মিনিটের মধ্যে জুটিন তৈরি সম্ভব বলে মনে করেন এর আবিষ্কারক ড. মোবারক আহমদ খান।

চলমান কার্যক্রম
ঢাকার অদূরে আশুলিয়ার গণকবাড়ীতে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের গবেষণা প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে জুটিনের পাইলট প্লাট প্রকল্পের কাজ চলছে। পরমাণু শক্তি কমিশনের গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ কিছু কাজে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে। মডেল হিসেবে জুটিনের তৈরি একতলা ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া সাভারে একটি স্কুলে জুটিনের তৈরি চেয়ার, বেঞ্চ ও ডেস্ক সরবরাহ করা হয়েছে। এই পাইলট প্লাট প্রকল্পে পরীক্ষামূলক পাবলিক টয়লেটের জন্য রিং, স্লাব ও কমোড তৈরি করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে ঘরের ছাদ, দেয়াল ও চেয়ারে জুটিনের ব্যবহার।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা
জুটিন উদ্ভাবন বাঙালির অহংকারের মুকুটে নতুন সংযোজন। এর উদ্ভাবন গবেষণায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করেছে। পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদারের মতে, জুটিন উদ্ভাবন গবেষণাক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বাইরের দেশে এসব গবেষণায় নতুন প্রযুক্তির সহজলভ্যতা থাকলেও আমাদের দেশে সে সুযোগ নেই। এ ক্ষেত্রে সরকার যদি এগিয়ে আসে তবে সম্ভাবনাময় জুটিন শিল্পটি লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবে। দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশ নিয়ে কাজ করছেন ম. আব্দুর রহমান রানা। তিনি বলেন, এটা বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ, পৃথিবীব্যাপী যে হারে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, সে হারে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির উদ্ভব হচ্ছে না। কিন্তু জুটিন একাধারে পরিবেশরক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা রাখবে অপর দিকে ফিরিয়ে আনবে সোনালি আঁশ পাটের হারানো ঐতিহ্য।
শাফিউল আল ইমরান
প্রকাশকাল: বন্ধন ৩৫ তম সংখ্যা, মার্চ ২০১৩