ভবন নির্মাণ ও মান নিয়ন্ত্রণ – ১০ (অ্যালুমিনিয়াম)

বর্তমান বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকার ভবন নির্মাণ প্রকল্পের কাজে কাঠের বিকল্প হিসেবে অ্যালুমিনিয়াম অন্যতম একটি উপকরণ। অতীতে নির্মিত আবাসিক-অনাবাসিক সব ধরনের ইমারতের ক্ষেত্রেই জানালা-দরজা তৈরি করার জন্য কাঠের ব্যবহারই ছিল মুখ্য। প্রযুক্তিগত উন্নতি, ব্যবহারিক সুবিধা, উপকরণসমূহের দীর্ঘস্থায়িত্বতা এবং বিদ্যমান বাজারে কাঠের উচ্চমূল্য ও দুষ্প্রাপ্যতা বিবেচনায় এসব কাজের জন্য অ্যালুমিনিয়ামের ব্যবহার শুধু বৃদ্ধিই পায়নি বরং কাজগুলো অ্যালুমিনিয়াম-নির্ভর হয়ে গেছে, সেটা বলাই বাহুল্য। 

আবাসিক-অনাবাসিক সব ধরনের ইমারতেরই জানালা তৈরির ক্ষেত্রে সর্বত্রই অ্যালুমিনিয়াম ফ্রেমের মাধ্যমে কাচের পাল্লা ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়া স্লাইডিং দরজা, ল্যুভারড দরজা, ফোল্ডেড শিটেট সলিড দরজা এবং ফিক্সড পার্টিশন ওয়াল নির্মাণের কাজেও অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার করা হয়। বর্তমান বাজারে বিভিন্ন কোম্পানি কর্তৃক উৎপাদিত বিভিন্ন কোয়ালিটির অ্যালুমিনিয়াম সেকশনসহ এতদ্সংক্রান্ত অন্য সব মালামাল পাওয়া যায়। ফলে, উপরোল্লিখিত সব কাজের ক্ষেত্রেই সঠিক মালামাল নির্বাচন ও কাজের কোয়ালিটি নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এসব কাজে অ্যালুমিনিয়াম সেকশনের গুণগত মানের পাশাপাশি তালা (লক) ও চাকা (হুইল) এগুলোর গুণগতমান ভালো হওয়া অত্যন্ত জরুরি। কারণ, এই দুটি জিনিসের মান খারাপ হলে ব্যবহারিক স্বাচ্ছন্দ্যতা থাকে না, থাকে না নিরাপত্তাও। দুর্বল কিংবা নষ্ট তালার (লক) কারণে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এবং চাকা (হুইল) নিম্ন মানের হলে দ্রুত নষ্ট হয়ে পাল্লা অচল হয়ে পড়ে। অতএব ভালো মানের জিনিস ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। দাম একটু বেশি হলেও এর দীর্ঘস্থায়িত্বতা বিষয়টি পুষিয়ে দেয়।   

– প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুর রহমান পিইঞ্জ

ভাইস চেয়ারম্যান, লাইফ ফেলো, দি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ
লাইফ সদস্য-বিএসটিকিউএম, বিএএএস, এওটিএস (জাপান)
লিড অডিটর, আইএসও-৯০০১:২০০৮ অ্যান্ড ২০১৫ (কিউএমএস)

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top