ফ্লোর ফিনিশিংয়ের কাজে এখন টাইলসই প্রধান উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। মোজাইকের কাজের দীর্ঘসূত্রতা, ও ব্যয়বহুলতা এবং টাইলসের সহজলভ্যতা ও কাজের সুবিধাই এর প্রধান কারণ। টাইলস বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যেমন: গ্রানাইট, মার্বেল, মোজাইক, সিরামিক টাইলস ইত্যাদি। এগুলোর মধ্যে সিরামিক টাইলস ব্যবহারের প্রচলনই বেশি। কারণ হিসেবে কম দামের বিষয়টিই উল্লেখযোগ্য। কিন্তু সিরামিক টাইলস দিয়ে ফ্লোর নির্মাণে ব্যয় যেমন কম, তেমন এর স্থায়িত্বতা তুলনামূলকভাবে কম।
গুণগতমান, স্থায়িত্বতা ও উচ্চমূল্যের ক্রমানুসারে এসব টাইলসের তালিকায় রয়েছে:
১. গ্রানাইট
২. মার্বেল
৩. মোজাইক এবং
৪. সিরামিক টাইলস।
তবে কিছু কিছু বিদেশি সিরামিক টাইলস আছে, যার দাম আনুপাতিক হারে বেশি হলেও সৌন্দর্য ও স্থায়িত্বতাও অনেক বেশি। টাইলস ব্যবহার করে ফ্লোর নির্মাণের কর্মপদ্ধতি এবং রক্ষণাবেক্ষণের কাজ সিটু মোজাইকের তুলনায় অনেক সহজ। টাইলস বসানোর কর্মপদ্ধতি-আরসিসি ঢালাইকৃত ফ্লোরের ওপর ১ঃ৩ অনুপাতে সিমেন্ট ও বালুর মসলা তুলনামূলকভাবে শুকনো অবস্থায় বিছিয়ে তার ওপর সিমেন্ট গ্রাউট দিয়ে টালি বসানো হয়। এই কাজটি করার আগে আরসিসি ফ্লোর ভালোভাবে চিপিং করে পানি দিয়ে ওয়াশ করে নেওয়াটা জরুরি।

টালি বসানোর ১০ ঘণ্টা পর থেকে কমপক্ষে ৭ দিন কিউরিং করে জয়েন্টগুলো শুধু সাদা সিমেন্ট কিংবা সিমেন্টের সঙ্গে টালির রং অনুযায়ী রং মিশিয়ে পয়েন্টিং করে ব্যবহারের উপযোগী করতে হয়। অত্র কাজগুলো মোজাইকের কাজের তুলনায় অনেক কম সময়ে সম্পন্ন করা সম্ভব। টাইলসের ফ্লোর তুলনামূলকভাবে একটু পিচ্ছিল হয়, ফলে চলাফেরায় সাবধান হওয়া জরুরি। টাইলস ফ্লোর পরিষ্কার করা সহজ এবং পরিষ্কার করার জন্য বাজারে নানা রকম ডিটারজেন্ট পাওয়া যায়, যা ব্যবহারে কম শ্রমে অধিক ফল পাওয়া সম্ভব।
– প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুর রহমান, পিইঞ্জ
ভাইস চেয়ারম্যান, লাইফ ফেলো, দি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ
লাইফ সদস্য-বিএসটিকিউএম, বিএএএস, এওটিএস (জাপান)
লিড অডিটর, আইএসও-৯০০১:২০০৮ অ্যান্ড ২০১৫ (কিউএমএস)