তরুণ স্থপতি নোয়েল স্যাম্পসন তাঁর স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান ডেভ স্টুডিও (Dev Studio)-এর মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন অসংখ্য নান্দনিক প্রকল্প। এসব প্রকল্পের বেশির ভাগই দুর্যোগসহনীয় ব্যয়সাশ্রয়ী সামাজিক প্রকল্প। এসব প্রকল্প সামাজিক চাহিদা পূরণের পাশাপাশি নগর উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখায় জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অর্জন করেছে ব্যাপক সুখ্যাতি। এসব প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম সাসলে (Sasle) স্কুল প্রকল্প। নিকারাগুয়ার জিনোতেগা শহরের দুর্যোগপ্রবণ মিরাফ্লোরস নেচার রিসার্ভ পর্বতমালা এবং বাফার জোনের বাসিন্দাদের শিক্ষাসুবিধা প্রদান করছে বিদ্যালয়টি।
সাসলে স্কুলটি মূলত ধাতু এবং কাঠের সমন্বয়ে তৈরি। তিনটি শ্রেণিকক্ষের ভেতরে তাপের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য প্রাচীরসমেত নানা উপকরণে নির্মিত। অভ্যন্তরীণ সব দরজা খোলা রাখলে স্কুলটিকে একটি কমিউনিটি সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। Translucent vestibules দ্বারা সংযুক্ত তিনটি ক্লাসরুমের এই স্কুলটি চালু হওয়ার চার বছরে এসে স্কুলে ভর্তির অনুপাত উচ্চহারে বাড়ছে। বর্তমানে সাপ্তাহিক কর্মদিবসে ১৯০ জন প্রাথমিক এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয়।
নকশায় যা আছে
এমনকি স্কুলটি কমিউনিটি সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগকালীন জরুরি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে এবং পণ্য সংরক্ষণের জন্য গুদাম হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। ১৯৮৮ সালে ঘটে যাওয়া হারিকেন মিচ নিকারাগুয়ার জাতীয় জনসংখ্যার ১০ শতাংশ মানুষকে গৃহহীন করে, নদী ভরাট করে এবং সানগ্যাব্রিয়েল ধ্বংস করে, যা পুরো কমিউনিটিকে কয়েক সপ্তাহের জন্য আবাসন-বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

শক্তির খরচ এবং অপারেশন ব্যয় কমাতে প্রাকৃতিক বায়ু চলাচল এবং আলো বৃদ্ধিটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্কুলের দুই প্রবেশচত্বরে Translucent Sheets ব্যবহার করার মাধ্যমে প্রাকৃতিক বায়ু চলাচল এবং আলোর পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করা হয়েছে। কাঠের উপকরণে ডিজাইন করা হয়েছিল সৌর এক্সপোজার এড়িয়ে চলার জন্য এবং ম্যাসোনারি ব্রিক ওয়াল ডিজাইন করা হয়েছে তাপীয় ভারসাম্য অর্জনের জন্য।
স্কুল ভবনটিতে Cladding হিসেবে ধাতু এবং কাঠের সমন্বয় স্থানীয় নির্মাণকৌশলকেই সম্মান জানায়। ওই অঞ্চলে প্রবেশযোগ্য এমন উপকরণ নির্বাচন স্কুল নির্মাণকে অনেক বেশি কার্যকর এবং Jinotega বিভাগের অন্যান্য গ্রামীণ সম্প্রদায়ের কাছে করে তুলেছে অনেক বেশি আকর্ষণীয়।
কেন্দ্রীয় ক্লাসরুমের বৈশিষ্ট্য একটি হেলানো দেয়াল, যা হেলান দেওয়ার জন্য ফার্নিচারের একটি অংশও গঠন করে। ক্লাস শেষে স্থানীয় কমিউনিটি এবং ওই প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করা এনজিওদের মিটিং এবং ওয়ার্কশপ এই ক্লাসরুমে অনুষ্ঠিত হয়। যখন সব দরজা খোলা হয়, তিনটি শ্রেণিকক্ষে একক স্থান হিসেবে এটিকে ব্যবহার করা যায়।
Bridges to Community Canada স্কুলটিকে স্পন্সর করে এবং সাসলে সম্প্রদয় ও সংস্থাটির স্বেচ্ছাসেবকেরা মিলে স্কুলটি গড়ে তোলেন। অংশগ্রহণের এই স্কিম শুধু নির্মাণখরচই কমায়নি, বরং স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রকল্পের মালিকানা সৃষ্টি করেছে, যা গত চার বছরে স্কুলে উপস্থিতির হার বাড়িয়েছে। ইদানীং স্কুলটি তার উন্নত নকশা এবং অবস্থানগত সুবিধার ফলে সালসের ছাত্র এবং পার্শ্ববর্তী সম্প্রদায়ের মধ্যে শনিবার মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে।
এ ধরনের প্রকল্পের মাধ্যমে স্থপতি নোয়েল স্যাম্পসন নিকারাগুয়ার সবচেয়ে অনগ্রসর ও বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়ের কিছু টেকসই স্থাপত্য ও সম্প্রদায়ের উন্নয়ন প্রকল্পের একটি সিরিজ বাস্তবায়ন করেছেন। তাঁর কাজ সামাজিক চাহিদা, পরিবেশগত স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক সামর্থ্য এবং কাঠামোগত নিরাপত্তা থেকে ভূতাত্ত্বিক, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত বিপদের মধ্যে একটি ভারসাম্য খুঁজে বের করেছে। নিকারাগুয়ার বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার অনুরোধে তাঁর প্রকল্প পরিমাপিত হয়েছিল সম্প্রদায়ের খুব শক্তিশালী অংশগ্রহণে, যা প্রকল্পের মালিকানা বাড়িয়েছে এবং বাস্তবায়নের খরচ কমিয়েছে। নোয়েলকে নিকারাগুয়াতে তাঁর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করায় যা জানালেন-

১. প্রকল্পের কাঠামো এবং অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত সুবিধা
আমার প্রকল্পের স্থাপত্য মানুষের চাহিদা ও এর আশপাশ থেকে সাড়া দেয়। নিওল স্যাম্পসনের ডেভ স্টুডিওর একটি অন্যতম প্রধান নীতি হলো উন্নয়ন প্রকল্প এবং সামাজিক স্থাপত্য ন্যূনতম মানদন্ডের ভিত্তিতে পরিমাপ করা হয় না, তাদের শ্রেষ্ঠের পরিবর্তে থাকতে হবে শ্রেষ্ঠ উপকরণ, শ্রেষ্ঠ সমাপ্তি, কমিউনিটির অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়নের প্রতি সর্বোত্তম কার্যাভ্যাস, সেরা অর্থায়ন পদ্ধতি আর শ্রেষ্ঠ নির্মাণ চর্চা। এ ছাড়া নিকারাগুয়ায় নোয়েল স্যাম্পসন দ্বারা পরিকল্পিত চমৎকার উপাদানের টেকসই স্থাপত্য প্রকল্পের সিরিজে বাস্তবায়ন খরচ খুব কম। এর কারণ হলো বাস্তবায়নকারী এনজিওসমূহ যেমন-কমিউনিটি সেতু উৎসাহিত করেছে স¤প্রদায়ের শক্তিশালী অংশগ্রহণে। তেমনি কমিয়েছে এটির উন্নয়ন ব্যয় এবং বিদ্যালয়, পাঠাগার, শ্রেণিকক্ষ ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নির্মাণের পেছনের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার প্রভাব বাড়িয়েছে।
কাঠামোগুলোর সুবিধা হলো এগুলো সামাজিক পরিবেশ ও অর্থনৈতিক ভারসাম্যে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে ডিজাইন করা। সিউনাতে Amparo সাসটেইনেবল রুরাল স্কুল, ফনসেকা কমিউনিটি Siuna সেন্টার এবং Jinotega নিকারাগুয়ার সাসলে স্কুল প্রজেক্টগুলো ডিজাইন এবং বানানো হয়েছিল প্রাথমিকভাবে শিক্ষাগত সুবিধা প্রদানের জন্য। এ ছাড়া কমিউনিটি সেন্টার এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষেত্রে আশ্রয় হিসেবে। এই তিনটি ভবনের কাঠামো ভূমিকম্প এবং ঘূর্ণিঝড় হারিকেন প্রতিহত করার জন্য ডিজাইনকৃত এবং দুর্যোগের ক্ষেত্রে আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহার করার জন্য প্রস্তুতকৃত।
২। কীভাবে এই কাঠামো নির্মাণ করা হয়েছিল?
প্রকল্পের অধিকাংশই নিকারাগুয়ার উত্তর ও ক্যারিবিয়ান উপকূলের খুব বিচ্ছিন্ন গ্রামীণ সম্প্রদায়ে গড়ে ওঠে। উদাহরণস্বরূপ এম্পেরো স্কুল, ফনসেকা কমিউনিটি সেন্টার এবং রোসা গ্র্যান্ডে স্কুল লাইব্রেরি বসাওয়াসের জীবমন্ডল রিজার্ভে নির্মিত হয়, যা আমাজনের পর লাতিন আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম জীবমন্ডল রিজার্ভ। আজকাল প্রাকৃতিক রিজার্ভ জোরালোভাবে অরণ্য ছেদন দ্বারা প্রভাবিত হয়। আমরা আশা করি স্কুলটি এলাকাতে শিক্ষা ও সচেতনতা উন্নত করার ওপর অবদান রাখবে।

এই বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছানোর আমাদের ছোট নৌকায় করে বৃষ্টি, অরণ্য, নদীর মধ্য দিয়ে সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছানোসহ স্থানগুলোতে যাওয়াটাই সহজ ছিল না, সেখানে নির্মাণসামগ্রী আনা আরও কঠিন। ফলে আমরা কংক্রিট নির্মাণের জন্য নদীর তীরের পানি ও নদীর পাথর থেকে প্রাপ্ত বালু ও নুড়িসহ স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত উপকরণ ব্যবহার করি। আমরা ছোট ধাতব ছাঁচ এবং স্থানীয় এগ্রিগেইট ব্যবহার করে স্থানীয়ভাবে নিজস্ব কংক্রিট ব্লক উৎপাদিত করি। সিমেন্ট কয়েকটি উপকরণের মধ্যে অন্যতম, যা নিকটতম শহর থেকে কমিউনিটির কাছে আনা হয়েছিল।
৩। প্রকল্পে দুর্যোগ মোকাবিলায় গুরুত্ব এবং কাঠামোগত স্থায়িত্ব
আমরা জাতীয় নির্মাণ মাপকাঠি অনুসরণ করেছিলাম। নিকারাগুয়া ভূমিকম্প, অগ্ন্যুৎপাত এবং হারিকেনপ্রবণ দেশ হওয়ায় আমাদের নির্মাণ নিয়ম তুলনামূলকভাবে ভালো হয়। তা সত্ত্বেও নির্মাণ কোড এবং তার প্রয়োগের মধ্যে একটা ফারাক আছে। নিকারাগুয়ার নির্মাণ অধিকাংশই অনানুষ্ঠানিক বা আত্মকৃত হয় এবং তাদের অধিকাংশই নিয়ম অনুসরণ করে না। আমরা গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর বিচ্ছিন্নতার কারণে সাইটে স্থায়িত্ব পরীক্ষা সঞ্চালন করা সম্ভবপর ছিল না, তবে আমরা উচ্চ নির্মাণ মান অনুসরণ করি। উদাহরণস্বরূপ, Amparo-তে টেকসই গ্রামীণস্কুলে, আমি ২ × ৪ ইঞ্চি এবং ১/৮ ইঞ্চি দুই সেট পারলিনের একটি Truss সিস্টেম ডিজাইন করি। Truss-টি হারিকেন এবং ঝড়প্রুফ করে ডিজাইন করা হয়েছে। উপরন্তু, আমরা লোহা তারের tensors ইনস্টল করি, প্রধান কংক্রিট কাঠামোর ওপর ছাদের দীর্ঘ Canopies-কে নিরাপদ রাখতে।

ফাউন্ডেশনগুলো একটি সিস্মিক নকশার সঙ্গে নির্মিত হয়েছিল। আন্ডারগ্রাউন্ডে ১ মিটার স্ট্রাকচারাল ফুটিং এবং উভয় দিকে ১২ সেমি. করে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ৩/৮ ইঞ্চি রেইনফোর্সবার ব্যবহার করে স্কুলটি নির্মাণ করা হয়েছে। দেয়ালগুলো সাইটে গড়া কংক্রিটের ব্লক দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এবং 0.20 m × 0.30 m সেকশনের একটি সিস্মিক বিমের ওপর নির্মিত, যা স্কুলের সব ওয়ালের ভিত্তি। কলাম এবং বিম রেইনফোর্স কংক্রিটের সাহায্যে নির্মিত, ভূমিকম্পসহনশীল কোড মেনে Stirrups এবং Ties ব্যবহার করা হয়েছে। এই বৈশিষ্ট্যগুলো বিদ্যালয়টিকে একাধারে সিস্মিক এবং সাইক্লোনের মতো দুর্যোগে প্রতিরোধী হিসেবে গড়ে তুলেছে।
তরুণ স্থপতি নোয়েল স্যাম্পসনের জন্ম নিকারাগুয়ায়। তিনি নিজ প্রচেষ্টায় গড়ে তুলেছেন ডেভ স্টুডিও (Dev Studio). পূর্ণনাম নোয়েল স্যাম্পসন ডেভেলপমেন্ট স্টুডিও। এই স্টুডিওর মাধ্যমে ইতিমধ্যে তিনি আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় পর্যায়ে নগর উন্নয়ন, সামাজিক উন্নয়ন এবং দুর্যোগ প্রতিরোধ সম্পর্কিত ১৯টি প্রকল্প সম্পন্ন করেছেন। মাত্র ৩১ বছর বয়সে তিনি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও নগর উন্নয়ন ওপর বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেছেন এশিয়া প্যাসিফিক, মধ্যপ্রাচ্য ও লাতিন আমেরিকায় পেশাগত অভিজ্ঞতার সঙ্গে। ভিয়েতনাম ও নিকারাগুয়ার দরিদ্র শহুরে সম্প্রদায়ের জলবায়ু পরিবর্তনের স্থিতিস্থাপকতার উন্নতিকল্পে নোয়েল স্যাম্পসন একটি গবেষণা পরিচালনা করেছেন।

নোয়েল মোঙ্গলিয়ার রাজধানী উলানবাটরের Ger থেকে এলাকার অবকাঠামো ও সেবা উন্নয়ন কর্মসূচির UN-HABITAT Office-এর হয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এ ছাড়া পশ্চিমতীরের ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরের ক্যাম্পাসের সঙ্গে এবং উপকূলীয় শহর ইনিশিয়েটিভ প্রণয়নে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ইউরোপের জাতিসংঘ অর্থনৈতিক কমিশনকে প্রকল্পে জড়িত ছিলেন। নিকারাগুয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় এবং আটলান্টিক অঞ্চলে উন্নয়ন প্রকল্পের একটি সিরিজ বাস্তবায়ন করেছেন এবং বর্তমানে প্রো-আঞ্চলিক সহযোগী ও বোস্টনভিত্তিক সাশ্রয়ী মূল্যের হাউজিং ইনস্টিটিউটের (AHI) পরামর্শকের দায়িত্ব পালন করছেন। ডেভ স্টুডিও পরিচালনা ছাড়াও তিনি Emerge-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা। নোয়েল নিকারাগুয়া থেকে স্থাপত্যবিদ্যায় স্নাতক সম্পন্ন করার পর ইউরোপিয়ান কমিশনের এরাসমাস মুন্ডুস বৃত্তি নিয়ে জার্মানির Technological University of Darmstadt থেকে ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্টের ওপর এবং স্পেনের International University of Catalunya থেকে সাসটেইনেবল ইমার্জেন্সি আর্কিটেকচার বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। এ ছাড়া সুইজারল্যান্ডের জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় CERG-এ স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেছেন। তাঁর কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে www.noelsampson.net এই ওয়েবপেজটিতে।
– রামকৃষ্ণ মজুমদার,
সহকারী অধ্যাপক,
ভূমিকম্প প্রকৌশল গবেষণা ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]
প্রকাশকাল: বন্ধন ৭৪ তম সংখ্যা, জুন ২০১৬