রাজধানী উন্নয়নে রাজউক
রাজউকের প্রতিষ্ঠা, বিকাশ ও অর্জন

বাংলাদেশের প্রাণকেন্দ্র রাজধানী ঢাকা। মেগাসিটি ঢাকাকে সঠিক পরিকল্পনার আওতায় পরিচালনার জন্য প্রয়োজন দিকনির্দেশনার। আর রাজধানী উন্নয়ন কর্র্তৃপক্ষ (রাজউক) হচ্ছে এমনই একটি দিকনির্দেশনামূলক প্রতিষ্ঠান, যার জন্ম ১৯ এপ্রিল ১৯৮৭ সালে ডিআইটি নামে। ডিআইটি হচ্ছে বিচারাধীন ব্যক্তির আওতায় খুব ভালো এবং উন্নত শাসন। সরকার ১৯৫৩ সালে টাউন ইমপ্রুভমেন্ট অ্যাক্টের অধীনে সাত সদস্য নিয়ে ডিআইটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করে। যার কাজ ছিল নীতিমালা, পরিকল্পনা এবং ঢাকার উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ। কিন্তু পরিকল্পনাজনিত সমস্যা বাড়ায় রাজধানী উন্নয়ন কর্র্তৃপক্ষের আতœপ্রকাশ ঘটে। জনগণের সেবক রাজউকের ভূমিকা সম্পর্কে রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী মো. এমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘রাজউকের মূল উদ্দেশ্য উন্নয়ন, উন্নতি, বিস্তার ও শহর নিয়ন্ত্রণ, সঠিক পরিকল্পনা এবং নিয়ন্ত্রণ মাধ্যমে বাহ্যিক এলাকা নিয়ন্ত্রণ করা।’

রাজউকের গঠন

সরকারি নিয়োগের মাধ্যমে চেয়ারম্যান এবং পাঁচজন সদস্য নির্বাচিত হন, যার প্রধান নির্বাহী রাজউকের চেয়ারম্যান। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন প্রকৌশলী মোঃ নুরুল হুদা। সরকার দ্বারা পাঁচজন সদস্য ও একজন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর রাজউক নিজেই তার অভ্যন্তরীণ সদস্য নির্বাচন করে। এখানকার সর্বোচ্চ পদ প্রধান প্রকৌশলী। বর্তমানে মো. এমদাদুল ইসলাম প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্বরত। রাজউক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে সব কাজ করে থাকে।

পূর্বাচল প্রকল্পের নির্মাণ কাজের অংশবিশেষ ও পূর্বাচল প্রকল্পের নির্মাণাধীন ব্রীজ

রাজউকের কর্মকাণ্ড

  • বিল্ডিং কোড মেনে জনসাধারণকে বিল্ডিং তৈরির অনুমতি
  • সরকারি সংস্থার জন্য জমি বরাদ্দ
  • অবৈধ জমি উদ্ধার
  • অবৈধ ভবন অপসারণ
  • আবাসিক প্রকল্পের উন্নয়ন
  • রাস্তাঘাট উন্নয়ন এবং বালু ভরাটকরণ
  • শহরের রাস্তার ম্যাপ তৈরি
  • হাউজিং প্রকল্প বাস্তবায়ন
  • যানজট নিরসনে রাস্তাঘাট, ফ্লাইওভার প্রভৃতি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ।

সেবাসমূহ

দেশের নিজস্ব প্রধান নগরায়ণ সীমানা এবং সীমানার সংযোগ সম্ভাবনা বৃদ্ধির জন্য অর্থাৎ সড়ক উন্নয়নে কাজ করে রাজউক। ডিআইটিএসের ট্রান্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট স্ট্রেটাজি-৬, অত্যাবশ্যকীয় প্রকল্প শোধনের মাধ্যমে পাবলিক পরিবহন সেবার উন্নয়ন করে থাকে। যেমনÑ বাস এবং রেল যোগাযোগ। মেট্রোপলিটন ঢাকার যোগাযোগব্যবস্থার পরিকল্পনা একত্রকরণে কাজ করে। এ ছাড়া ভূসম্পর্কিত, উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ, বিপিএ, সিটিজেন চার্টার সম্পর্কিত বিভিন্ন সেবা প্রদান করে।

ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ)

ঢাকা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান (ডিএমডিপি) ঢাকা শহর অর্থাৎ ঢাকা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট প্ল্যানের জন্য ড্যাপই হলো তৃতীয় এবং সর্বশেষ স্তর, যার উদ্দেশ্য হলো ডিএমডিপির কাঠামো পরিকল্পনা এবং অঞ্চল পরিকল্পনার (ইউএপি) নীতি এবং সুপারিশসমূহ বাস্তবায়ন করা। নির্দিষ্ট এলাকার বিস্তারিত জরিপ, পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণের ওপর ড্যাপের প্রস্তুতি গড়ে ওঠে। ড্যাপের প্রক্রিয়া তৈরি এবং বাস্তবায়ন করা হয় সমাজের লোকদের অংশগ্রহণে, যাতে করে এই পরিকল্পনাটি আরও বেশি জনসংশ্লিষ্ট হয়।  

ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্প রাজউক, ঢাকা। উত্তরা (৩য় পর্ব) প্রকল্পের ব্রীজের নির্মাণ কাজ, হাতিরঝিল প্রকল্পের ব্রীজ ও দৃষ্টিনন্দন হাতিরঝিল প্রকল্পের নির্মাণকালীন রূপ (উপরে বা থেকে)

ড্যাপের কার্যক্রম

  • সিএস এবং আরএর ম্যাপ সংগ্রহ
  • ভৌগোলিক ম্যাপ এবং তথ্য সংগ্রহ
  • প্রাথমিক পরিসংখ্যান সংগ্রহ
  • জিসিপি (গ্রাউন্ড কন্ট্রোল পয়েন্ট) স্থাপন
  • বাহ্যিক কাঠামোর তথ্যসেবা 
  • টোপোগ্রাফিক্স পরিদর্শন
  • বিশেষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ
  • তথ্য নিয়ে গবেষণা করা এবং উপস্থাপনা 
  • পর্যায়ক্রমিক পরামর্শ দেওয়া
  • ড্রাফট প্ল্যান তৈরি
  • পাবলিক সেক্টর পরিকল্পনার ভূমিকার গুরুত্ব দেওয়া
  • উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ, যোগাযোগ এবং ভূমি ব্যবস্থাপনার প্রস্তুতি
  • অনিয়ম প্রতিরোধে ন্যায়সংগত ডকুমেন্টের প্রস্ততি গ্রহণ
  • পাবলিকের মনোযোগ আকর্ষণ এবং তাদের বিচারের মতামত নেওয়া। 

ড্যাপের উদ্দেশ্য

ক. তথ্য ব্যবস্থাপনা এবং মৌজার দাগ লেভেল 

খ. বহু সেক্টরে বিনিয়োগের জন্য কর্মসূচি প্রদান করে

গ. বেসরকারি খাতের উন্নয়ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দাতা ও গ্রহীতার ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে

ঘ. উন্নয়নের নির্দেশনাস্বরূপ সমস্যা ও সম্ভাবনার ওপর আলোকপাত করে 

ঙ. টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করে। 

ড্যাপ প্রস্তাবনা

  • ড্যাপের প্রস্তাবনার ধারাগুলো কিছু উদ্দেশ্য নিয়ে করা। তা হলো-
  • নিয়মতান্ত্রিক পরিকল্পনার মাধ্যমে মূল অবকাঠামো এবং সেবা প্রদান
  • অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রবর্তনের উদ্দেশ্যে অনুকূল পরিবেশ তৈরি 
  • নির্দিষ্ট এলাকার নিষ্কাশন-প্রক্রিয়া উন্নত করা এবং বন্যা প্রতিরোধ করা
  • নগরায়ণ উন্নয়নের জন্য সেবাকেন্দ্রের ব্যবস্থা করে।
  • ড্যাপের আওতাভুক্ত অঞ্চল
  • উত্তর দিকের গাজীপুর রাজউকের আওতাভুক্ত এলাকার মধ্যে এক হাজার ৫২৮ বর্গকিলোমিটার অথবা ৫৯০ বর্গমাইল অঞ্চল ড্যাপের আওতাধীন । 

রাজউক থেকে কোনো কাজের অনুমতি পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য

যেকোনো এলাকার সাধারণ ভূমি ব্যবহার অনুমতি আদেশ দেওয়া এবং টিআই চুক্তি অনুসরণ যদি কোনো এলাকার ভূমি ব্যবহারের মানদণ্ড ১৯৫৯ সালের প্রধান পরিকল্পনার সঙ্গে মিলে যায়, তাহলে সরাসরি ভূমি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়। অপর দিকে প্রধান পরিকল্পনার সঙ্গে যেকোনো ধরনের পার্থক্য অথবা অমিল থাকলে তা টিআই চুক্তির মাধ্যমে সমাধান করা হয়। সাধারণ ভূমি ব্যবহারের ছাড়পত্র ছয়তলা উচ্চতার জন্য সরকারকে কোনো ফি দিতে হবে না। রেসিডেন্সিয়াল ভবন ছয়তলার অধিক উচ্চতার জন্য ফি ৪০০ টাকা। ছয়তলার অধিক উচ্চতাসম্পন্ন বাণিজ্যিক ভবনের জন্য ৪০০ টাকা। বাণিজ্যিক শিল্পকলকারখানার জন্য ছয়তলার অধিক উচ্চতাসম্পন্ন ভবনের জন্য ৫০০ টাকা। অর্থাৎ ভবনের উচ্চতা ছয়তলার বেশি হলে সেই অনুপাতে ফির ধরনের পরিবর্তন হয়।

কুড়িল ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজের একাংশ

ছাড়পত্র সার্টিফিকেটের প্রাধান্য পায় নিচের প্রতিষ্ঠান অনুযায়ী

০ পরিবেশ অধিদপ্তর

০ ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ

০ পানি এবং পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ (ওয়াসা)

০ তিতাস গ্যাস

০ ঢাকা মেট্রেপিলিটন ট্রাফিক পুলিশ

০ ঢাকা সিটি করপোরেশন

০ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।

০ ভূমি ব্যবহারের অনুমতি পেতে প্রায় তিন সপ্তাহের মতো সময় লাগে।

০ যদি ব্যক্তিগত কোম্পানি রাজউকের ভূমি ব্যবহারের অনুমোদন থাকে তাহলে পরবর্তী সময়ে ব্যক্তিগত কোম্পানি থেকে প্লট ক্রয় করতে কোনো শর্ত পূরণ করতে হবে না।

০ রাজউক প্লটের জন্য আর কোনো ভূমি ব্যবহারের অনুমতির প্রয়োজন নেই। শুধু পরিকল্পনাটি রাজউকের অনুমোদিত বিভাগ থেকে সত্যায়িত করতে হবে।

০ আবাসিক প্লটের ওপর বাণিজ্যিক অথবা অনাবাসিক ভবনের নকশার অনুমোদন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পার্থক্য হয়, এটা নির্ভর করে নিকটবর্তী এলাকার ভূমি ব্যবহারের ধরনের ওপর। যদি এ ধরনের সরকারি পরিবর্তনে সরকারি গেজেট থাকে, তাহলে এটা তৎক্ষণাৎ করা হয়। অন্যথায় এটা শহর উন্নয়নের চুক্তির মাধ্যমে করতে হয়। 

একটা নকশা অনুমোদনের জন্য যেসব কাগজপত্রের দরকার

  • দলিল
  • অবিকল কার্বন রসিদ (ডিসিআর)
  • ভূমি ভাড়া রসিদ
  • পরিব্যক্তি (মিউটেশন)
  • খসড়া প্রকাশনা ফরম (ড্রাফট পাবলিকেশন ফরম)
  • পরিকল্পনার সাত কপি (ছয়তলা পর্যন্ত ভবনের জন্য)
  • যদি ভবনটি ছয়তলার বেশি হয়, একটি কাঠামোগত নকশার প্রয়োজন হয় 
  • একটা নকশার অনুমোদন রাজউকের অনুমোদন বিভাগের মাধ্যমে করা হয়। রাজউকের অনুমোদন বিভাগ এ ব্যাপারে তিন সপ্তাহের মধ্যে ছাড়পত্র দিতে বাধ্য থাকে। এটা তাদের সবার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হয়ে থাকে। 

অবৈধ্য ভবনের ব্যাপারে রাজউকের উদ্যোগ

০ যদি একটি পরিকল্পনা বাতিল হয় তাহলে এর মালিক টু সি কমিটির আপিল বিভাগে আবেদন করতে পারেন। কমিটি আবারও তার পরিকল্পনা পরীক্ষা করবে। যদি তাদের কাছে যথাযথ মনে হয়, তারা অনুমোদন করবে। আবার বাতিলও করতে পারে।

০ পূর্বানুমতি ছাড়া নির্মিত কোনো ভবনের নকশা অনুমোদনের ব্যাপারেও আইন আছে। ১৯৮৭ সালে এ আইন পাস হয়। যেখানে উল্লেখ রয়েছে, ‘যদি কোনো ভবন রাজউকের নীতি অনুযায়ী নির্মাণ করা হয় কিন্তু রাজউকের অনুমতি নেওয়া হয়নি। ভবনের মালিককে এ জন্য সর্বনিন্ম ৫,০০০ টাকা (বেশিও হতে পারে) জরিমানাসহ ১০ গুণ বেশি ফি প্রদান করতে হবে।

চলছে হাতিরঝিল প্রকল্পের পূর্ব-পশ্চিম বরাবর রাস্তা নির্মাণের কাজ

রাজউকের সমাপ্ত প্রকল্প

  • আবাসন প্রকল্প : গুলশান, বনানী, বারিধারা রেসিডেন্সিয়াল মডেল টাউন, উত্তরা রেসিডেন্সিয়াল মডেল টাউন (১ম ও ২য় সেক্টর)।
  • পূনর্বাসন প্রকল্প : বাড্ডা, গেন্ডারিয়া, জুরাইন (আই জি বাগান), জোয়ার সাহারা পুনর্বাসন এরিয়া।
  • বাণিজ্যিক প্রকল্প : দিলকুশা, কাওরান বাজার, মহাখালী (এরিয়া আই সি), গুলশান চত্বর (১ ও ২), বনানী, জোয়ার সাহারা, নওয়াব ইউসুফ মার্কেট, ডিআইটি এভিনিউর উত্তর-পূর্ব সড়ক, নওয়াব সিরাজউদ্দৌলা, চাষাড়া, বোয়াতখাল এবং খানপুর বাণিজ্যিক এরিয়া।
  • শিল্প-কলকারখানাসংক্রান্ত প্রকল্প : টঙ্গী, সিমপুর, কদমতলী, পোস্তগোলা শিল্প-কলকারখানা এরিয়া।
  • সড়ক তৈরির প্রকল্প : ডিআইটি, উত্তর দক্ষিণ, মালিবাগ, রামপুরা, মগবাজার, তেজগাঁও, ধোলাইখাল, মহাখালী, গুলশান, পান্থপথ (কেন্দ্র, পূর্ব, পশ্চিম), বিজয় সরণি, প্রগতি সরণি, বাংলা মটর, সিরনিরটেক, গুলশান এভিনিউ, মাদানী এভিনিউ, কামাল আতাতুর্ক, পার্ক রোড, বঙ্গবন্ধু রোড, নওয়াব সলিমুল্লাহ, শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী, নওয়াব সিরাজউদ্দৌলা, ঈশা খান রোড।
  • রোড উন্নয়ন প্রকল্প : পৌরসভার জনসন রোড, টিপু সুলতান, হাটখোলা, অভয় দাস লেন, টয়েনবি সার্কুলার রোড, পার্ক এভিনিউ, সিদ্ধেশ্বরী, আউটার সার্কুলার রোড।
  • সামাজিক প্রকল্প : উত্তরার আর এম টি, স্বামীবাগ এবং নারায়ণগঞ্জ স্কুল এবং কলেজ, শিল্পকলা একাডেমী, আম্বরশাহ্ মসজিদ, গুলশান (দক্ষিণ) মসজিদ, বনানী মসজিদ, বনানী স্মৃতিস্তম্ভ এবং আর এম টি। 
  • পার্ক এবং খেলার মাঠ : বাহাদুর শাহ্, নওয়াব সিরাজউদ্দৌলা, বঙ্গভবনের সামনের পার্ক, পাক বাগিচা, আরমানিটোলা পার্ক, গুলশান, বনানী, বারিধারা এবং আর এম টি পার্ক এবং খেলার মাঠ।
  • ফোয়ারা : বঙ্গভবন এবং রাজউক ভবনের সামনের ফোয়ারা, বিজয় সরণি, হোটেল সোনারগাঁওয়ের সামনের সার্ক ফোয়ারা, গুলশান মার্কেটের সামনে, আম্বরশাহ মসজিদের সামনের ফোয়ারা।
  • বিল্ডিং : রাজউক ভবন এবং ভবন সংযোগ, মালিবাগ, বনানী, উত্তরার আর এম টি, বাড্ডার স্টাফ কোয়ার্টার।

চলমান প্রকল্প

  • আবাসন প্রকল্প : ইফসুফগঞ্জ এবং রূপগঞ্জের পূর্বাচল শহর, উত্তর রেসিডেন্সিয়াল মডেল টাউন, বিস্তারিত সীমানা (ডি এ পি) প্রকল্প, ঝিলমিল রেসিডেন্সিয়াল প্রকল্প, গ্রামের নাম, ভিলা বনানী এবং গুলশান অ্যাপার্টমেন্ট।
  • বাণিজ্যিক প্রকল্প : সোনারগাঁও এবং কাওরান বাজারের কাছাকাছি বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স প্রকল্প, হাতিরঝিল এরিয়া (বেগুনবাড়ি) উন্নয়ন।
  • রাস্তার অবকাঠামো : প্রধান গেট (রমনা) এবং নটর ডেম কলেজের (মতিঝিল) মধ্যকার লিংক রোড, দয়াগঞ্জ এবং জুরাইনের মধ্যকার লিংক রোড, পূর্ব পান্থপথ থেকে রামপুরা ব্রিজের লিংক, গুলশান চত্বর ১ থেকে প্রগতি সরণির লিংক রোড।
  • তথ্য ব্যবস্থাপনা সিস্টেম : রাজউক নিয়মিত কার্যক্রম কম্পিউটারে সংযোগ করা, এক নজরে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন তথ্যের নিশ্চয়তা, রাজউকের স্থানীয় অফিসের মধ্যে নেট সংযোগ নিশ্চিত করে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে সরকারব্যবস্থা বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পনা এবং দক্ষতা তৈরি, পদ্ধতির বিভিন্ন ধাপে সহজবোধ্যতা তৈরি করে অরগানাইজেশনের সব শাখার মধ্যে তথ্যের সেবা বন্ধন নিশ্চিত করা।
  • অন্যান্য : গুলশান-বনানী-বারিধারার লেক উন্নয়ন, উত্তরা লেক ও বনানী পার্ক উন্নয়ন।

ভবিষ্যৎ প্রকল্প

আবাসন প্রকল্প : রিমঝিম রেসিডেন্সিয়াল মডেল টাউন (২য় সেক্টর) প্রকল্প, উন্নয়নকৃত নতুন উপশহর, গাজীপুর, রিমঝিম হাউজিং প্রকল্প ডি এন ডি সীমানা, সাভারের ধামসোনা রেসিডেন্সিয়াল সীমানা, শহরকে সংযুক্ত করে একত্র করে পূর্ব বারিধারা, আশ্রয়হীনদের জন্য নির্ভেজাল আবাসভূমি। বহুতলবিশিষ্ট গাড়ি পার্কিং অফিস রাজউকের বিচারাধীনে।

সামাজিক অনুষ্ঠান প্রকল্প : মাদানী এভিনিউ বিস্তার, ইন্দিরা রোড থেকে পান্থপথ পর্যন্ত লিংক রোড প্রসারণ, বাসাবো, কদমতলী থেকে মানিকদী পর্যন্ত রাস্তা তৈরি, মালিবাগ মোড় থেকে জনপথ পর্যন্ত লিংক রোডের বিস্তার, আশুলিয়া বিনোদনকেন্দ্র, পূর্বাচল নতুন শহরের গলফ খেলার উন্নয়ন প্রকল্প, টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা কেন্দ্র, বিভিন্ন জায়গায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তৈরি, পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান প্রকল্প, বিভিন্ন জায়গায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তৈরি, বিভিন্ন গোত্রের জন্য সমাধি ফলক এবং গোরস্থান তৈরি।

ভবন বা অ্যাপার্টমেন্ট : রেসিডেন্সিয়াল অ্যাপার্টমেন্ট ভবন, উত্তরা রেসিডেন্সিয়াল মডেল টাউন, পূর্বাচল নতুন শহরে বর্ধিত উঁচু ভবন তৈরি, টিকাটুলী, মগবাজার, মহাখালী ইত্যাদি জায়গায় বহুতল ভবন তৈরি, ঝিলমিল, উত্তরা, আর এম টি পূর্বাচল ইত্যাদি জায়গায় বহুতলবিশিষ্ট অ্যাপার্টমেন্ট তৈরি।

কারপার্কিং-কাম বহুতল অফিস বিল্ডিং, গুলশান

রাজউকের অর্জন

প্রধান পরিকল্পনা এবং বিস্তারিত অঞ্চল পরিকল্পনার প্রস্তুতি। ১৯৯৫-৬০ সালের মধ্যে প্রথম ঢাকা শহর প্রধান পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। এটা করা হয়েছিল ৩২০ বর্গমাইল এলাকার জন্য। দ্বিতীয়টি হচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন প্ল্যান (ডি এম ডি পি) ১৯৯৫-২০১৫ নামে। যেখানে ১৫২৮ বর্গ কি.মি. এলাকাকে বিবেচনা করা হয় এবং নতুন ধরনের দৃষ্টিভঙ্গির কথা বলা হয়। কাঠামো পরিকল্পনা, নগর অঞ্চল পরিকল্পনা এবং বিস্তারিত অঞ্চল পরিকল্পনা বিভিন্ন ধরনের নগর কৌশল, নীতি এবং উন্নয়ন বিষয়কে একীভূত করে। এ ছাড়া পরিকল্পনা, দিকনির্দেশনা, কৌশল, পরিকল্পনা নিয়ম এবং উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ কার্যপ্রণালি ব্যাখ্যা করে। ডিএমপিডির আলোকে রাজউক তার সীমানার মধ্যে বিস্তারিত অঞ্চল পরিকল্পনা প্রস্তুত করে থাকে।

যোগাযোগ

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)

রাজউক ভবন, ঢাকা-১০০০

ফোন: ৮৮-০২-৯৫৫৭৬৯৫ 

ওয়েবসাইট : www.rajukdhaka.gov.bd

তানজিনা আফরিন ইভা

প্রকাশকাল: বন্ধন ৩৫ তম সংখ্যা, মার্চ ২০১৩

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top