পানাম সুবর্ণ সময়ের এলিজি ২

‘জন্মের আগেও জন্ম পরেও জন্ম তুমিই এমন
সুরের কথার সুরে পদাবলির ধরন যেমন।’

পানামের পথে পথে হাঁটতে হাঁটতে একসময় নিজেকে সেই আমলের কেউ ভেবে জাতিস্মর হতে পারেন আপনি। কোনো বাড়ির চিলেকোঠা দেখে হঠাৎ করেই মনে হতে পারে হয়তো এখানেই এককালে আপনি বিশাল এক ঘোড়ার গাড়িতে চেপে সওদা করতেন মসলিন। কিংবা কোনো বাড়ির বারান্দায় হঠাৎ করেই হয়তো চোখে ডিউটোপিয়ান ভ্রান্তি এসে খেলা করল আপনার। মনে হলো, এই তো এখানেই আপনি কোনো এককালে দেখেছিলেন নাম না-জানা কোনো কন্যাকে হাতে রেশমি চুরি, পরনে জামদানি, মুখে পানের খিলি- আপনাকে দেখেই যে লজ্জায় রাঙা হয়ে পালিয়েছিল অন্দরমহলে। আর কখনও দেখা হয়নি তাঁর সঙ্গে আপনার। ধীরে ধীরে হাঁটতে শুরু করলেন। হাঁটতে হাঁটতেই দেখা পেলেন বড় সরদারবাড়ির। নাকে এসে লাগল পুরোনো সোঁদা গন্ধ। ঝলকে ফিরে এলো ফেলে আসা সোনালি অতীত। চলুন ঘুরে আসি পুরোনো সেই দিনের গৌরবময় কীর্তিতে।

আনন্দ মোহন পোদ্দার হাউস
আনন্দ মোহন পোদ্দার হাউস

বড় সরদারবাড়ি
পানাম নগরে ঢোকার ৪৬০ মিটার আগেই পেয়ে যাবেন বড় সরদারবাড়ি। ১৯৭৫ সালে এটাকেই শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন ঘোষণা করেছিলেন লোকশিল্প জাদুঘর হিসেবে। বিশাল কম্পাউন্ডের টাইপোলজির এ বাড়িটি দেখতে খুবই মনোমুগ্ধকর। এখন যদি আপনি ওখানে যান তবে দেখতে পাবেন কিছু রাজমিস্ত্রি বাড়িটির আগের রূপ ফিরিয়ে আনতে যত্নের সঙ্গে কাজ করছে। কর্মব্যস্ততার মাঝেই নিজের পা বাঁচিয়ে কাদা-পানি ভেঙ্গে দেখে ফেলতে পারেন বাড়িটি। বাড়িটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছেন কবি রবীন্দ্রগোপ।

বড় সরদারবাড়িটি বানানো হয়েছিল ১৯০১ সালে। এই বাড়িটিতে আছে দুটো বড় উঠোন। দক্ষিণের উঠোনটি ১৫.২৪ X ১৫.২৫ মিটারের একটি বর্গাকার উঠোন। আর ছোট উঠোনটি ১৫.২৪ X ৭.৬২ মিটার রেক্টেঙ্গুলার উঠোন। দুটোর মাঝে করিডর দিয়ে সংযোগ স্থাপন করা। দোতলা বাড়িটির মাঝে প্রায় ৭০টি বড়-ছোট ঘর আছে এই দুটো উঠোনের চারপাশ ঘিরে। দোতলা বাড়িটি এ কারণেই জয়নুল আবেদিন বেছে নিয়েছিলেন জাদুঘরের জন্য।

বাড়িটিতে ঢোকার মুখেই আছে একটি অর্ধবৃত্তাকার আর্চ ওয়ে। এর কারুকাজ সত্যিই চোখে পড়ার মতো। সুন্দর কারুকাজময় এ বাড়িটির একপাশেই রয়েছে বিশাল এক পুকুর। আর পুকুরসংলগ্ন ঘাটের পাশে দুটো ঘোড়সওয়ারের স্কাল্পচার, যা পুরো বাড়িটিকে দিয়েছে রাজকীয় রূপ। এর পশ্চিম অংশের দেয়াল সামনের দিকে বেরিয়ে গেছে। যার মধ্যে আছে নয়টি অর্ধবৃত্তাকার আর্চ ওপেনিং। ওপর ও নিচতলার এই ওপেনিংগুলোর কারুকর্যময় কলাম ডিটেইলিং আসলেই চোখে পড়ার মতো। ওপরের তলার ওপেনিংগুলো স্লেন্ডার প্রপোরশনের। উচ্চমানের কারুকাজ করা একটা প্যারাপেট বসানো আছে ছাদে, যাতে আরও আছে ফুলেল কারুকার্য।

পুরাতন কারুকাজ ও প্রস্তাবিত কারুকাজ
পুরাতন কারুকাজ ও প্রস্তাবিত কারুকাজ

এই ফ্যাকেডের প্রধান অক্ষে প্রতিষ্ঠিত ছিল একটি কৃষ্ণমন্দির। এটিতে সৌন্দর্যবর্ধণের জন্যই এর কলামগুলোকে করা হয়েছিল আরও সূক্ষ্ম কারুকাজময়। দুটো বিশালাকার প্যারাপেট তৈরি করা হয়েছিল, যা স্কাইলাইনের দিকে বাড়িটিকে সম্প্রসারিত করার কাজে নিখুঁতভাবে সাহায্য করেছিল। মন্দিরের দেয়ালটি কারুকাজময়। উত্তরে দেয়ালটি একটি ছোট উঠোনকে ধরে রেখেছে। ছোট্ট সুন্দর এই উঠোনটি একেবারেই সাদামাটা। বাইরের বাড়ি ও ভেতর বাড়ির এই বৈশিষ্ট্যগুলো দেখলেই বোঝা যায় এর স্থপতি ও চিন্তাবিদ অনেক দিন ধরে চিন্তাভাবনা করে তৈরি করেছিলেন এ বাড়িটি।

বাড়িটির প্রতিটি দেয়াল দরজা ও জানালায় সজ্জিত। তবে এসব দরজা-জানালা একেবারেই সাধারণ সাদামাটা, যেন বাড়ির সৌন্দর্য ব্যাহত না হয়। একটি বিশাল পুকুরসদৃশ খাল দিয়ে পুরো বাড়িটি রাস্তা থেকে পৃথক করা। খুব ধীরলয়ে এতকাল কাজ চললেও এখন কিছুটা অগ্রগতির সঙ্গে কাজ করছে আর্কিওলজি ডিপার্টমেন্ট। সে কাজের কিছু নমুনা দেখে আমরা এখন ফিরব আবারও পানামে।

আনন্দ মোহন পোদ্দার হাউস
আনন্দ মোহন পোদ্দার হাউস আরেকটি কম্পাউন্ড হাউসের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এটি পানাম নগরের উত্তরে পানাম বাজারের পথে যাওয়ার রাস্তায় অবস্থিত। বর্তমানে এ বাড়িটির নাম সোনাঝিল। এলাকার লোকজন একে আওয়াল মঞ্জিল নামেও ডাকে, যদিও এটি আনন্দ মোহনের কাছ থেকে কিনে নেন বর্তমান পরিচালকের পূর্বসূরি আওয়াল নামের একজন। কথিত আছে, এই বাড়িতে ১০১টি কক্ষ আছে। বাস্তবিক ওখানে গিয়ে এত কক্ষ দেখতে না পেলেও অনেক কক্ষ দেখতে পাওয়া যায়। বাড়িটি ১২৫ X ৮০ মিটার এলাকার মধ্যে অবস্থিত। পুরো বাড়িটি দুটো বিশাল উঠোন দিয়ে বিস্তত। বাড়িটি উত্তর-দক্ষিণমুখী। মাঝে দুটো উঠোনকে পুঁজি করে সারি সারি ঘর নকশা করা। দুই দিকে দুটো বিশাল পুকুর আর পুকুরঘাটসমৃদ্ধ এই বাড়িটি দেখতে বড়ই মনোরম। মধ্যের উঠোন দিয়ে দুইভাগে ভাগ করা বাড়িটির প্রধান অংশটি লম্বাকার, যা কি না পূর্ব-পশ্চিমে প্রসারিত। এটি বাড়িটির উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত, যাতে ‘পোদ্দারবাবু’ থাকতেন। এর সামনেই একটি বিশাল লন অবস্থিত।

ভবনে চলছে সংস্কার কাজ
ভবনে চলছে সংস্কার কাজ

বাইরে থেকে বাড়িটি একেবারেই সরল ডিজাইনের। খুব সাধারণ আর্চ ওপেনিং দিয়ে কলামগুলো একেবারেই সাদামাটা ডিজাইনের। কিন্তু সবকিছুর মধ্যে এতই নিখুঁত কারুকাজ যেন মনে হয় এক জমকালো আকার ধারণ করেছে সবকিছু। উঠোনের ভেতরের দিকের দেয়ালগুলোতে চমৎকার ডিজাইন চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। নিচ থেকে ওপরের দিকে যতই কলামগুলো উঠে গেছে, ততই কারুকাজ যেন বেড়েছে। কিন্তু মূল ভবনের ভঙ্গুর দশার কারণে এ বাড়িটি এখন বিপজ্জনক তকমা গায়ে লাগিয়ে মৃত্যুর ক্ষণ গুনছে। বাড়ির দুই দিকে দুটো বিশাল বাগান। তাতে নানা রকম ফলফলাদির চাষাবাদ করে চলেছে বর্তমান বাসিন্দারা। কিন্তু মূল স্থাপনার কোনো রকম উন্নয়ন করেনি কেউই। এ রকম আরও কিছু কম্পাউন্ড বাড়ির মধ্যে ছোট সরদারবাড়ি, হিরন্ময় সেনের বাড়ির নাম করা যায়। ছোট সরদারবাড়ি এখনো অনেক নতুন। স্ট্রাকচারলি এখনো অনেক সাউন্ড। বড় সরদারবাড়ির খানিকটা দক্ষিণে এর অবস্থান। আর ভানুবাবুর বাড়ি বা হিরন্ময় সেনের বাড়ি পানামের উত্তরে পঙ্খিরাজ নদীর তীরে অবস্থিত।

রাস্তাসংলগ্ন বাড়ি
স্ট্রিটফন্ড হাউস বা রাস্তাসংলগ্ন বাড়ির উদাহরণ হিসেবে পানাম নগর হলো প্রথম সারির একটি উদাহরণ। পানামের রাস্তাটি প্রস্থে প্রায় পাঁচ মিটার এবং লম্বায় প্রায় ৬০০ মিটার। এর আশপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে বিভিন্ন সারির বিভিন্ন আয়তনের বাড়ি। এসব বাড়িতে আছে হরেক রকম ডিজাইন। এর মধ্যে একেক সময় একেক রকম রূপ পাল্টেছে রাস্তাটি। একেকটি বাড়ির সামনে এসে পুরো ভিস্তা পরিবর্তন আপনাকে দেবে দুর্লভ অনুভূতি।

বর্তমানে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে সেই সোনালি অতীতের পানামের ধ্বংসাবশেষের অবশিষ্টাংশ। তবে দিন দিন সবকিছুই এগুচ্ছে ধ্বংসের পথে। লম্বা রাস্তাটির উত্তর পাশে ৩২টি আর দক্ষিণে মাত্র ২১টি বাড়ি অবশিষ্ট আছে। এর মাঝে আছে মাত্র আটটি একতলা বাড়ি। বাকিগুলো সব দোতলা বাড়ি। বড় বাড়ি আপাতদৃষ্টিতে তিন তলা মনে করা হলেও পুরো তিন তলা বাড়ি পানামে নেই। কিছু অংশ টেরেসের মতো করে উঠে গিয়ে তিন তলার সৃষ্টি করেছে কোথাও কোথাও।

দেশীয় ইটের নান্দনিক আর্চ
দেশীয় ইটের নান্দনিক আর্চ

পানামে ঢুকতেই এভাবে জরাজীর্ণ ভবন সামনে এসে দাঁড়ায়। এলাকার লোকজন অনেক দিন ধরে ভোগ-দখল করে চলেছে। একটি ঢালাই দোকানে ঠুং ঠুং করে ঠুকে চলেছে ঢালাই লোহা। সে হয়তো জানেই না এখানে এককালে কত সমৃদ্ধ মানুষগুলো ওদের চেয়ে অনেক কারুকাজময় ঢালাই লোহার কাজ করে গেছে সৌন্দর্যবর্ধনের নিমিত্তে।

বাড়িগুলোর মূল কনস্ট্রাকশন ম্যাটেরিয়াল অবশ্যই ইট। কিন্তু সাইজে ছোট এই ইটগুলো সুরকি আর চুন-সুরকি দিয়ে জুড়ে দেওয়া। এসব ইটের ওপর এককালে পুরু সুরকির আস্তরণ ছিল বলাই বাহুল্য। কিন্তু কালের অতলে হারিয়েছে সব। এখন শুধু কঙ্কাল দাঁড়ানো। এসব বাড়িতে এখন ঢুকতে দেওয়া হয় না। বাইরে থেকে তালা লাগানো। কিন্তু তাতে কি সৌন্দর্য কমেছে এতটুকুও? যাত্রা শুরু এই বাড়িটি থেকেই। আর প্রথমটির ঢালাই লোহার কারুকাজ দেখলে ভরে যায় মন।

এসব বাড়ির কারুকাজময় কলাম আর কোরিন্থিয়ান স্টাইলের ব্যবহারের সঙ্গে ব্রিটিশ ঢংয়ের মিশ্রণ দেখলেই বোঝা যায় কি অদ্ভুত উচ্চমানের রুচি নিয়ে এখানে বাড়িগুলো বানিয়েছিলেন সে সময়ের মানুষেরা। রোমান আর্চ আর ভারতীয় ফুলেল কারুকাজ যেন মিলেমিশে একাকার হয়েছে এখানে। যদিও এখন ইটের গাঁথুনি দিয়ে একেবারেই দর্শন অযোগ্য করে দেওয়া হচ্ছে এগুলোকে। 

এখানে দেশীয় ইটের এমন সব স্ট্রাকচার করা হয়েছিল, যা এখনকার সময়ে বেশ সহজসাধ্য বলে মনে হলেও সে সময় ছিল বেশ কঠিন। এভাবে ইটের আর্চ তৈরি করতে এখনো পারে না এখনকার অনেক মিস্ত্রিই। একটা লিন্টেল তৈরি করে এর ওপর ইট বসায়। কিন্তু এখানে শুধু লাইম মর্টার দিয়ে ইটের সুন্দর গাঁথুনি দিয়েই দাঁড় করিয়ে ফেলা হয়েছিল বাড়িটি।

সারি সারি বাড়ি এভাবে একটার সঙ্গে আরেকটা মিলে গিয়ে একই দেয়াল দুই বাড়ি ব্যবহারের পুরোনো অথচ অর্থকরী নিয়মটা সে আমলেই জেনে গিয়েছিল নির্মাতারা। আর দুই-তিন বাড়ি মিলে একটি উঠোন বা পুকুর ব্যবহার ছিল তাঁদের কাছেই বেশ গ্রহণযোগ্য।

এই বাড়ির পেছন দিকটা ধীরে ধীরে নেমেছে পাশের খালের দিকে। একটি মাত্র দরজাবিশিষ্ট এই বাড়ির ভেতরে আছে সারি সারি কক্ষ। ওপরে সুন্দর কারুকাজময় ছাদ বসানো, যা শক্ত কংক্রিটের বলে এখনো বেশ শক্তপোক্তভাবেই টিকে আছে। বিভিন্ন স্থান থেকে চুন-সুরকি উঠে গেছে বলে ঘটেছে এর শ্রীহানি। কিন্তু এখনো এই বাড়িটি ব্যবহারের উপযোগী করা সম্ভব যদি এর সম্যক রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। লোকমুখে বোর্ডিং হাউস বলে খ্যাত বাড়িটি স্থাপত্যরীতিতে সমৃদ্ধ। এর কিছু অংশ এখনো ব্যবহারের উপযোগী থাকলেও সরকারিভাবে এটাকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে নিচতলার কলোনিয়ার স্থাপত্যকলা আর ওপরতলার প্রাচীন ভারতীয় স্থাপত্যকলার মিশ্রণ ঘটেছে। একই রকম আর্চ আর কলামের ওপেনিংগুলোতে কোনোটাতে দরজা, কোনোটাতে জানালা। কিন্তু সবগুলোর কারুকাজ দেখতে একই রকম।

বোর্ডিং হাউস
বোর্ডিং হাউস

মন্ত্রণালয়ের কার্যালয় হিসেবে নামাঙ্কিত ভবনটির মধ্যে এর অফিস খুঁজে পাওয়া না গেলেও ভবনটিকে অনেকটা স্বাস্থ্যকর ভবন হিসেবে পাওয়া যায়। অনেকাংশে নতুন এই ভবনের পুরু দেয়াল কলোনিয়াল ও ইন্ডিয়ান স্ট্রাকচার সিস্টেম ও অর্নামেন্টেশন সিস্টেমের ব্যবহার বলে দেয় এই বাড়িটি বেশ অবস্থাপন্ন কোনো ব্যক্তির বাসভবন ছিল এককালে। এখানে পুরু দেয়াল আর সুন্দর স্থাপনার পাশাপাশি এর সুন্দর পাথরের ফ্লোর, যা কি না দাবার ছকের মতো দেখতে, সেটা খুবই নজরকাড়া।

পানামের পথে-প্রান্তরে প্রবেশ করলাম মাত্র। তাতেই চোখ ধাঁধিয়ে গেল এর সৌন্দর্য আস্বাদন করতে করতে। স্ট্রাকচালার বেসিস ও আর্কিটেকচারাল বেসিস এ পানামের বহু মূল্য তা বিদেশিরা বুঝলেও বাংলাদেশিরা খুব একটা বুঝেছে বলে মনে হয় না। এখনো পানামকে নিয়ে রচিত হয়নি লিখিততেমন কোনো গবেষণাপত্র। যা আছে সবকিছুই হয় আউট অব স্টক অথবা লেখকের বদ্ধ লাইব্রেরিতে। কিছু বই আছে। তবে সঠিক ইতিহাস কোনোভাবেই পাবার নয়। ভাসা ভাসা কিছু জ্ঞান আর কিছু ‘ধরে নিই বা মনে করি’ টাইপের শব্দ দিয়ে লিখিত সেসব বইয়ের বাইরে বিদেশি লেখক ও আর্কিওলজিস্টদের লিখিত বইগুলো ছাড়া পানামের ওপর নেই তেমন কোনো তথ্যচিত্রও। ‘গেরিলা’র মতো সিনেমার কিছু অংশবিশেষ এই পানামে নির্মিত হলেও এই পানামকেই নিয়ে চিত্রিত হতে পারে বিশ্বমানের ডকুমেন্টারিতে। অপেক্ষা এখন তাঁরই জন্য. . . 
(চলবে)

স্থপতি রাজীব চৌধুরী

চিত্রগ্রহণ: রোকনউদ্দৌলা ও রাজীব চৌধুরী

প্রকাশকাল: বন্ধন ৫৩ তম সংখ্যা, সেপ্টেম্বর ২০১৪

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top