সভ্যতার ঊষালগ্নেই বঙ্গবাসী বসতি গেড়েছে পঞ্চগড় ভূখন্ডে। প্রাচীন ও মধ্য যুগে মগধ, মিথিলা, গৌর, নেপাল, ভূটান, সিকিম ও আসাম রাজ্য ছিল এ জনপদ ঘিরেই। দেশের উত্তর ভূখন্ডের পার্বত্য ভূ-তাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য এখানে সুস্পষ্ট। ভূগর্ভের গভীরে প্রাচীন যুগের শিলাস্তর আর অল্প গভীরে রয়েছে অজস্র নুড়িপাথর। টারশিয়ারি যুগে পশ্চিমবঙ্গসহ বাংলার অনেক অংশই ডুবে গিয়েছিল সমুদ্রের প্লাবন আর জলোচ্ছ্বাসে। ফলে এসব চরাচরের বিভিন্ন অংশে পাওয়া যায় সমকালীন সমুদ্রজাত পাললিক শিলাস্তর, বালুপাথর, চুনাপাথর, কাদাপাথর প্রভৃতি। এসব শিলার কালানুক্রমিক নমুনা নিয়ে পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজে গড়ে তোলা হয়েছে রকস মিউজিয়াম বা পাথরের জাদুঘর। শুধু পাথরই নয়, পুন্ড্র, গুপ্ত, পাল, সেন ও মুসলিম শাসকদের দীর্ঘ শাসনামলে লোক-ব্যবহার্য অসংখ্য প্রত্ন নিদর্শনও স্থান পেয়েছে জাদুঘরটিতে। বিচিত্র সব পাথর ও নানা প্রাচীন প্রত্নবস্তুর সমন্বয়ে গড়ে তোলা এ জাদুঘর আগন্তুককে করে মুগ্ধ, বিমোহিত।
কোটি বছরের ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন বিভিন্ন আকারের পাথরসমৃদ্ধ এমন জাদুঘর বাংলাদেশে একটিই রয়েছে, এমনকি উপমহাদেশেও বিরল। বিশালায়তনের শিলা বা পাথরগুলো রাখা হয়েছে কলেজ প্রাঙ্গণে আর কলেজ ভবনের একটি বড় কক্ষে রাখা হয়েছে তুলনামূলক ছোট শিলা ও হাজার হাজার বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক নৃতাত্ত্বিক, প্রত্নতাত্ত্বিক ও জাতিতাত্ত্বিক সংগ্রহ। পাথর ও শিলাশ্রেণির মধ্যে রয়েছে নানা আকৃতির বেলেপাথর, কাদাপাথর, গ্রানাইট, ব্যাসল্ট, সিস্ট, কার্বন, কোয়ার্জাইট, সিলিকন, প্যাট্রিফাইড প্রভৃতি। এগুলো দেখতে যেমন বিচিত্র, তেমনি আকারেও ভিন্ন। কোনোটির ওজন অন্তত দুই টন। বৈশিষ্ট্যেও রয়েছে ভিন্নতা। যেমন, ক্লে রকস বা কাদা থেকে রূপান্তরিত পাথরের বয়স কম করে হলেও ২০ লাখ বছর। গাছ জমাট বেঁধে ফসিলে পরিণত হওয়া পাথরের বয়স ২৫ লাখ বছরের কম নয়; ওজনও অন্তত ১০ মণ। গ্রানাইট পাথরের বড় বড় চাঁই ভারতের উত্তরাঞ্চল, সুইজারল্যান্ড এবং কানাডার কিছু পাহাড়ে দেখা গেলেও পঞ্চগড়ের মতো সমতলে এ ধরনের বিশাল পাথর পাওয়া বেশ বিস্ময়করও। এখানে রয়েছে কোয়ার্জাইট পাথর, যা পৃথিবী সৃষ্টির আদিমতম শিলা। বয়স যার কোটি কোটি বছর। আরও আছে কোয়ার্জাইট পাথরের স্মৃতিস্তম্ভ, যা মেগালিথিক যুগের (৩৫০০-৪৫০০) আদিবাসীদের তৈরি। এসব পাথরের প্রত্নতাত্ত্বিক মূল্যমান অমূল্য। বিভিন্ন আকৃতি, রং ও বৈশিষ্ট্যের আগ্নেয় শিলা, পাললিক শিলা, নুড়িপাথর, প্রবাল পাথর, সিলিকা নুড়ি, সিলিকা বালু, হলুদ ও গাঢ় হলুদ বালু, খনিজ বালু, সাদা মাটি, তরঙ্গায়িত চ্যাপ্টা পাথর, লাইমস্টোন, পলি ও কুমোর মাটি এবং কঠিন শিলাও এসব সংগ্রহের আকর্ষণই বটে।

অন্যান্য সংগ্রহ বৈচিত্র্যের মধ্যে রয়েছে এলাকাটির হাজার বছরের দুর্লভ সম্ভার। আদিবাসীদের ব্যবহৃত বিলুপ্তপ্রায় মৃৎপাত্র, পাথরের বাটি, কাচিয়া, প্রদীপ, পঞ্চপ্রদীপ, কুঠি (কাসা দিয়ে তৈরি), কাত্তি, ফুতি, খরম, টপুনি, তাড়ি, ঘোট, কিয়া, সিঁদুরদানি, তির-ধনুক, হুলির গানে ব্যবহৃত ঢোল, বিয়ের ডালা, একতারা, পাথরের সেতুতে ব্যবহৃত আয়ুধ, সাকামচুকি (সাওতালদের ব্যবহৃত বিড়ি বিশেষ) প্রভৃতি। রয়েছে কালনাগ, মনসা, বিষহরি, বিষ্ণু, গণেশসহ বিভিন্ন পাথর, পিতল ও পোড়ামাটির মূর্তি। সংগ্রহের তালিকায় জীবজন্তু, ফুল, বর্ণ, লিপি, চোখ ও জ্যামিতিক নকশা আঁকা ও খোদাই করা কাঠ, খিলান, চিত্রাঙ্কিত শিলা ও বাঁশের বেড়া সবার নজর কাড়ে। লিপিগুলো বেশ দুর্বোধ্য। কোনোটি চায়নিজ, কোনোটি ব্রাক্ষ্নী, খরোষ্ঠি অথবা অশোকলিপি। চার থেকে পাঁচ হাজার বছরের পুরোনো নব্য প্রস্তর যুগের ডলোরাইট পাথরের হস্তকুঠারও রয়েছে। অন্যান্য সংগ্রহের মধ্যে অশ্মীভূত পিঁপড়ার বাসা, সামুদ্রিক ঝিনুক ও শঙ্খ, প্রাচীন মুদ্রা, মোগল সৈনিকদের তরবারি, ব্রিটিশ ও মুক্তিযুদ্ধের নিদর্শনসহ নানা উপকরণ।
জাদুঘরটির অন্যতম আকর্ষণ দুটি সুদীর্ঘ নৌকা। নির্মাণকৌশল ও বয়স এগুলোর অনন্য বৈশিষ্ট্য। বিশাল শালগাছ খোদাই করে কোনো জোড়া ছাড়াই তৈরি করা হয় এ নৌকাগুলো। কাঠ সংগ্রহকারী একদল শ্রমিক করতোয়া নদীর তলদেশ খনন করে ৩৩ ফুট দৈর্ঘ্য, ২ ফুট ৩ ইঞ্চি প্রস্থ, ১ ফুট ৯ ইঞ্চি গভীর এবং ৬ ফুট ৩ ইঞ্চির এই নৌকাটির সন্ধান পায়। প্রাচীন এ নৌকার দুই প্রান্ত মোটামুটি তীক্ষ্ন এবং মূল অংশটি সামান্য গোলাকৃতি। ২৫ ফুট দৈর্ঘ্যরে অপর নৌকাটি পঞ্চগড় সদর থানার অমরখানা গ্রামে চাওয়াই নদীর ৮ ফুট মাটির নিচে পাওয়া যায়। ভৌগোলিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী অনুমান করে দেখা যায়, প্রাপ্ত নৌকা দুটি ডিঙি জাতীয় এবং এর ব্যবহারকারীরা ছিল আদিবাসী কোনো জনগোষ্ঠী। সম্ভবত এরা উত্তরের পাহাড়ি এলাকা থেকে এসেছিল। নৌকা দুটির বয়স হাজার বছরের ওপরে বলে অনুমান করা হয়। সংগৃহীত নৌকা দুটির সঙ্গে জাতীয় জাদুঘরে রক্ষিত ৫০টি নৌকার কোনো মিল নেই। কেবল সিলেট অঞ্চলে প্রচলিত জৈন্তাপুরী নৌকার সঙ্গে এর কিছু সামঞ্জস্য লক্ষ করা যায়। এসব নৌকা প্রাচীনকালে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের আদিবাসীরা ব্যবহার করত। আফ্রিকার কিছু দেশের আদিবাসীদের মধ্যে এ গাছের লম্বা অংশ অথবা গুঁড়ি কেটে নৌকা বানানোর চল এখনো রয়েছে। এ নৌকা দুটি আফ্রিকায় দুগোট নামে পরিচিত।
জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠিত হয় পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ নাজমুল হকের প্রচেষ্টায়। ১৯৮৪ সালে কলেজ স্থাপনের পর ১৯৯৭ সালের ১ মার্চ তিনি এই মিউজিয়ামটি প্রতিষ্ঠা করেন। অধিকাংশ পাথর জেলার ভিতরগড় দুর্গ ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। শহর থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে লাঠুয়াপাড়া গ্রামে মহিলা কলেজের কর্মচারী তবিবর রহমানের জমিতে পড়ে থাকা দুটি বিশালায়তনের বেলে ও গ্রানাইট পাথর সংগ্রহের মাধ্যমে নাজমুল হক শুরু করেন এ জাদুঘরের কাজ। কলেজ পরিচালনার দায়িত্ব পালনের ফাঁকে ফাঁকে তিনি চলে যেতেন প্রত্যন্ত অঞ্চলে। যাঁর নিয়ন্ত্রণে পাথর, তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করতেন এর প্রত্নতাত্ত্বিক মূল্যমান। কখনো পাথরের বিনিময়ে কাঠ দিয়ে, কখনো পাথরের পাশে দাতার নাম লেখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে, কখনো স্বল্পমূল্য প্রদান করে তা সংগ্রহ করতেন। সহকর্মীরা প্রথমে পাগলামি কর্মকান্ড বলে মনে করলেও যখন তা দেখতে দেশের বিভিন্ন জ্ঞানী-গুণী মানুষজন আসতেন এবং প্রশংসা করতেন তখন সহকর্মীরাও এ প্রয়াসে সহযোগী হন।

তবে পাথর সংগ্রহের বিড়ম্বনাও কম ছিল না। কোনো পাথর আনতে গেলে গ্রামের লোকজন জানায়, ওতে জিন আছে। কোনো কোনো পাথরে তখনো পূজা দেওয়া হচ্ছে। কোনো পাথর ৩০-৪০ জন লোকও নাড়াতে পারেনি। কোনো পাথরে রাতের বেলা আলোক রশ্মি দেখা গেছে। পাথর আনার পর রাতের বেলা স্বপ্ন দেখিয়েছে মালিককে। কেউ হয়েছে অসুস্থ। এক টন, দুই টন ওজনের পাথর গাড়িতে তোলার পর বারবার গড়িয়ে পড়েছে। ভেঙে গেছে গাড়ি, ভ্যান। এত কিছুর পরও দমেননি তিনি। দুই টন ওজনের ‘ক্লে রকস’টি ১০ ফুট মাটি খুঁড়ে কপিকল দিয়ে টেনে তোলা হয়েছে। ওই পাথরটি ছিল শোয়া অবস্থায়। তার ওপর ছিল আর একটি পাথর, এক টন ওজনের। আবার কিছু পাথর কোনো ক্রমেই দিতে চাইছিলেন না মালিকেরা। বুঝিয়েও রাজি করা যায়নি। অবশেষে পুলিশ সুপারের সহযোগিতায় সেগুলো সংগ্রহ করা সম্ভব হয়।
এসব শিলা-পাথরের মধ্যেই স্তব্ধ হয়ে আছে কোটি বছরের ইতিহাস। বাংলার প্রাচীন জনপদসমূহে ভৌগোলিক অবস্থিতি অনেকাংশে ভূ-প্রকৃতি এবং বিশেষ করে নদীর স্রোত দিয়ে নির্ধারিত হয়েছে। উত্তরের পাহাড়ি নদী করতোয়া, ডাহুক, চাওয়াই, মহানন্দা, তালমা, পাঙ্গা, কুরুম, পাম বর্ষাকালে দুই কূল প্লাবিত করে নিয়ে আসে পাথরের বালু ও নুড়িপাথর। ভূখন্ডের বয়স, ভূমি-পাথরগুলোর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ থেকে অনুমান করা যায়, নব্য প্রস্তর যুগের সংস্কৃতির সঙ্গে এ অঞ্চলের নিবিড় সংযোগ স্থাপিত হয়েছিল। পার্শ্ববর্তী দার্জিলিংয়ের সমকালে পঞ্চগড় অঞ্চলেও নব্য প্রস্তর যুগের সংস্কৃতি ও জীবনাচরণ ভালোভাবেই বিস্তার লাভ করেছিল। এসব নিদর্শনই রয়েছে এ জাদুঘরে, যা ব্যাপক গবেষণার সুযোগ করে দেয়। প্রত্নতত্ত্ব, নৃবিজ্ঞান, ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান, ভূগোলের গবেষক ও শিক্ষার্থীদের খুবই এই জাদুঘর বেশ গুরুত্বপূর্ণ। দেশের আদিম অধিবাসী ও তাদের জীবনধারণ সম্পর্কে জানার অনেক রসদই রয়েছে এখানে। বাংলাদেশে এখনো প্রত্ন ঐতিহাসিক ও প্রস্তর যুগের হাতিয়ার ও উপকরণ খুব বেশি একটা পাওয়া যায়নি। এখানে অনেক পাথর রয়েছে এখনো, যেগুলোর সঠিকভাবে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। অনুসন্ধান অব্যাহত রাখলে এ অঞ্চলে হয়তো প্রস্তর যুগের প্রত্নবস্তু আবিষ্কৃত হতে পারে। এ বিষয়ে ভারতের পুনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষকও এখানে গবেষণা করে গেছেন।
প্রতিদিনই এই জাদুঘর দেখতে আসেন দর্শনার্থীরা। কিন্তু নিয়োগপ্রাপ্ত কিউরেটর ও সরকারি তেমন অর্থায়ন না থাকায় নতুন উপকরণ সংগ্রহ কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে। আসছে না নতুন কোনো সংগ্রহ। ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে গবেষণা করার এখানে পর্যাপ্ত উপাদান রয়েছে। কিন্তু তেমন প্রচারণা ও গবেষণার পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকায় গবেষকেরা গবেষণার সুযোগ পাচ্ছেন না অথবা তাঁরা আগ্রহী নন। তা ছাড়া জাদুঘরটি মহিলা কলেজের ভেতরে হওয়ায় ভেতরে প্রবেশ নিয়ে অনেকে দ্বিধায় ভোগেন। অথচ আমাদের আদি ঐতিহ্যের প্রচীন ইতিহাসকে জীবিত রাখতে দেশের দুর্লভ এই জাদুঘরটিকে আরও সমৃদ্ধ করতে প্রয়োজন ব্যাপক পৃষ্ঠপোষকতা। আর তা পেলে ইতিহাস, ঐতিহ্য আর গবেষণার প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হতে পারে ব্যতিক্রমী এ জাদুঘরটি।

এক নজরে জাদুঘরের সংগ্রহশালা
পাথর/শিলা
- কোয়ার্জাইট পাথর
- গ্রানাইট পাথর
- নীলাভ গ্রানাইট পাথর
- নকশাখচিত প্রস্তরখন্ড
- মাইকাসিস্ট
- আগ্নেয় শিলা
- পাললিক শিলা
- তরঙ্গায়িত চ্যাপ্টা পাথর
- জীবাশ্ম পাথর (Petrified Wood)
- খোদাই পাথরের স্লাব
- সেতুতে ব্যবহৃত স্লাব
- রেখা, লেখা ও মিথযুক্ত প্রস্তরখন্ড
- ব্যাসাল্ট
নুড়ি ও বালু
- সিলিকা নুড়ি ও বালু
- হলুদ ও গাঢ় হলুদ বালু
- খনিজ বালু
- সাদা মাটি
- লাইমস্টোন
জাতিতাত্ত্বিক
- জাতিতাত্ত্বিক ডিঙিনৌকা
- একতারা
- তির-ধনুক
- পাথরের বাটি
- পলি ও কুমোর মাটি
- কাচিয়া
- কাত্তি
- ফুতি
- খরম
- টপুনি
- তাড়ি
- ঘোট
- কিয়াৎ
- সিঁদুরদানি
- কালনাগ মূর্তি
- মনসার পিতলের মূর্তি
- বিষহরির মূর্তি
- বিষ্ণু-গণেশের মূর্তি
- পাথরের মূর্তি
- পোড়ামাটির নকশা
- ধাতব পাত্র
- প্রদীপ
- পঞ্চপ্রদীপ
- কুঠি
- হুলির গানে ব্যবহৃত ঢোল
- হিন্দু আদিবাসীদের ব্যবহৃত বিয়ের ডালা

কাঠ-জাতীয়
- অশ্মীভূত পিঁপড়ার বাসা
- প্রবাল পাথর
- জীবজন্তু ও ফুলের নকশা উৎকীর্ণ বাঁশের বেড়া
অন্যান্য
- প্রাচীন মুদ্রা
- মোগল সৈনিকদের ব্যবহৃত তরবারি
- ব্রিটিশ আমল ও মুক্তিযুদ্ধের নিদর্শন
মারুফ আহমেদ
প্রকাশকাল: বন্ধন ৭১ তম সংখ্যা, মার্চ ২০১৬