নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর

দেশের প্রতিটি এলাকাতেই গড়ে উঠছে অনিয়ন্ত্রিত আর অপরিকল্পিত নগর। গড়ে উঠছে নতুন নতুন নগর অঞ্চল। আর এ কারণেই প্রয়োজন পরিকল্পিত নগরায়ণের। নগর উন্নয়ন পরিকল্পনার কাজে নিয়োজিত দিকনির্দেশনামূলক প্রতিষ্ঠান নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটি ভৌত পরিকল্পনা ও গবেষণামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা ও মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নের মাধ্যমে দেশের ছোট, বড় ও মাঝারি শহর, নগর, বন্দর ও শিল্প এলাকাসমূহ এবং শহর এলাকার উন্নয়নে কাজ করছে। সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম সম্পর্কে পরিচালক আবুল হাসনাত ফুয়াদ জানালেন, ‘নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, এবং পৌরসভার মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নের মাধ্যমে পরিকল্পিত নগর উন্নয়নে ভূমির সর্বোচ্চ ও কাঙ্খিত ব্যবহারের দিকনির্দেশনা দেয়। এ ছাড়া দুর্যোগ প্রশমনে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পালন করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।’

প্রতিষ্ঠার ইতিকথা

সরকারি এক আদেশের মাধ্যমে নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর ১৯৬৫ সালে ৫ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি শুরু থেকে জনসাধারণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে এটি কাজ করে। প্রতিষ্ঠানটি আশির দশকে বিদেশি সাহায্যে ন্যাশনাল ফিজিক্যাল প্ল্যানিং প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। সম্প্রতি সিলেট ও বরিশাল বিভাগীয় শহরের স্ট্রাকচার প্ল্যান, মাস্টার প্ল্যান ও ডিটেলড এরিয়া প্ল্যান শীর্ষক প্রকল্পের কাজ শেষ করেছে। এ ছাড়া কক্সবাজার শহর ও শহরতলি থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সমুদ্রসৈকত এলাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ করছে। সীমিত জনবল আর আর্থিক সামর্থ্যরে সীমাবদ্ধতার মধ্যে দেশের উন্নয়নে অবদান রেখে চলছে।

প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রমসমূহ

  • নগরায়ণ, নগর এলাকার ভূমির সুষ্ঠু ব্যবহার ও ভূমি উন্নয়ন বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ প্রদান।
  • দেশের চারটি মেট্রোপলিটন সিটি ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রাজশাহী বাদে সব নগর এলাকার মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন, নগর এলাকার অভ্যন্তরে এলাকাভিত্তিক বিস্তারিত ভূমি ব্যবহার নকশা ও অঞ্চলভিত্তিক প্ল্যান প্রণয়ন ও সমন্বয় সাধন।
  • নগরায়ণ প্রক্রিয়ায় আর্থসামাজিক বিষয়ে গবেষণা করা ও ভবিষ্যতে নগর উন্নয়নের ক্ষেত্রে দেশব্যাপী নগর উন্নয়নসংক্রান্ত স্থান নির্ণয়করণ।
  • নগরায়ণ কর্মসূচি প্রণয়ন করা এবং এই কর্মসূচি সংশ্লিষ্ট সেক্টর এজেন্সিগুলোর উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের স্থান নির্ধারণে সহায়তাদান।
  • মানববসতি উন্নয়ন পরিকল্পনাকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর আন্তর্জাতিক কারিগরি সাহায্যবিষয়ক কর্মসূচি বাস্তবায়নে দেশে ফোকাল পয়েন্ট ও প্রতিরূপ সংস্থা হিসেবে কার্যাদি সম্পাদনকরণ।
  • ভৌত পরিকল্পনা এবং জনসাধারণের নগরায়ণ ও মানববসতি-সংক্রান্ত বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সেমিনার/ওয়ার্কশপ এবং নগরায়ণ ও মানববসতি-সংক্রান্ত গবেষণালব্ধ বিষয় সম্পর্কে প্রকাশনা প্রকাশ।
  • পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিষয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ইন-সার্ভিস প্রশিক্ষণ প্রদান।
  • নগর উন্নয়ন সংস্থাসমূহকে তাদের অনুরোধক্রমে পরামর্শ প্রদান।

নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটির এখতিয়ারভুক্ত নিম্নলিখিত থানা যথা: কোতোয়ালি, লালবাগ, রমনা, সূত্রাপুর, মতিঝিল, কেরানীগঞ্জ, ধানমন্ডি, তেজগাঁও, গুলশান, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, টঙ্গী, রূপগঞ্জ, ক্যান্টনমেন্ট, সাভার, জয়দেবপুর, নারায়ণগঞ্জ, ফতুল্লা/ বন্দর, সিদ্দিরগঞ্জ, নরসিংদী এবং ডেমরা (১৯৮০ সালের পর উল্লেখিত থানা বিভক্ত হয়ে কোনো নতুন থানা সৃষ্টি হলে কিংবা ভবিষ্যতে আরও বিভক্ত হলে ওই এলাকাও অন্তর্ভুক্ত হবে)। নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর জমি অধিগ্রহণের জন্য সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা কর্তৃক চাহিদা ভূমির পরিকল্পিত ব্যবহার বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক অনাপত্তিপত্র প্রদান করে থাকে।

নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের পূর্ববর্তী অর্জন 

 নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর যেসব প্রকল্প সম্পাদন এবং রিপোর্ট প্রণয়ন করেছে- 

  • আরবান হাউজিং পলিসি অ্যান্ড প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট (ফার্স্ট ফেইজ), সহযোগিতায় ইউএনডিপি (১৯৭৮-১৯৮১)।
  • ন্যাশনাল ফিজিক্যাল প্ল্যানিং প্রজেক্ট (ফার্স্ট ফেইজ), সহযোগিতায় ইউএনডিপি (১৯৭৮-১৯৮২)।
  • ড্রাফট ফিজিক্যাল প্ল্যানিং (ল্যান্ড ইউজ) অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডিন্যান্স ইন ইটস ল্যান্ড পলিসি কনটেক্সট (জানুয়ারি, ১৯৮৩)।
  • ন্যাশনাল ফিজিক্যাল প্ল্যানিং প্রজেক্ট (ফার্স্ট ফেইজ), সহযোগিতায় ইউএনডিপি, ইউএনসিএইচএস (১৯৮৩-১৯৮৭)।
  • আরবান হাউজিং পলিসি অ্যান্ড প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট (সেকেন্ড ফেইজ), সহযোগিতায় ইউএনডিপি এবং ইউএনসিএইচএস (১৯৮৪-১৯৮৬)।     
  •  ৩৯২টি পৌরসভার ভূমি ব্যবহার/ মাস্টার প্ল্যান প্রস্তুতকরণ (১৯৮৪-১৯৯১)।
  • প্রিপারেশন অব স্ট্রাকচার প্ল্যান, আরবান এরিয়া প্লান অ্যান্ড ডিটেইলড এরিয়া ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান অব ফিফটি ডিস্ট্রিক্ট টাউনস (১৯৮৪-১৯৯১)।
  •  ফিজিক্যাল প্লানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডিন্যান্স, মার্চ ১৯৮৫।
  •  ফাইনাল রিপোর্ট ইন ফিজিক্যাল লেজিসলেশন, সেপ্টেম্বর ১৯৮৫।
  • হাউজিং সেক্টর ইনস্টিটিউশনাল স্ট্রাংদেনিং প্রজেক্ট, সহযোগিতায় এডিবি (১৯৯২-১৯৯৩)।
  • আরবান অ্যান্ড শেল্টার সেক্টর রিভিউ, সহযোগিতায় ইউএনডিপি, ইউনিসেফ অ্যান্ড ইউএনসিএইচএস (১৯৯২-১৯৯৩)।
  • প্রিপারেশন অব বাংলাদেশ ন্যাশনাল রিপোর্ট অন হিউম্যান সেটেলমেন্ট (ইউএন হ্যাবিটেট) (১৯৯৬)।
  • প্রিপারেশন অব বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপোর্ট অন আরবান ইনডিকেরটস (২০০১)।
  • দেশের আটটি পৌরসভার ভূমি ব্যবহার/মাস্টার প্ল্যান প্রস্তুতকরণ (২০০৪-২০০৮)

নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের সাম্প্রতিক অর্জন

সিলেট ও বরিশাল বিভাগীয় শহরের স্ট্রাকচার প্ল্যান, মাস্টার প্ল্যান ও ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান প্রণয়ন। নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক ‘সিলেট ও বরিশাল বিভাগীয় শহরের স্ট্রাকচার প্ল্যান, মাস্টার প্ল্যান ও ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান প্রণয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ গত জুন ২০১০ সমাপ্ত হয়েছে। প্রকল্পটির উদ্দেশ্য ছিল সিলেট ও বরিশাল বিভাগীয় শহরের আগামী ২০ বছরের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণের জন্য স্ট্রাকচার প্ল্যান, মাস্টার প্ল্যান ও ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান তৈরি ও ভূমির সর্বোচ্চ ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণের জন্য নীতিমালা তৈরিসহ সিলেট শহরের উন্নয়ন, আর্থিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, বাসস্থান, উš§ুক্ত স্থান, সেবা, স্বাস্থ্য, বিনোদন প্রভৃতি সেক্টরে নিয়োজিত বিভিন্ন সরকারি কিংবা আধা-সরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের জন্য প্ল্যানিং স্ট্যান্ডার্ড প্রণয়ন করা। প্রকল্পটি দিয়ে আগামী ২০ বছরের জন্য অর্থাৎ ২০১০ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সিলেট ও বরিশাল বিভাগীয় শহরের যথাক্রমে প্রায় ২১,০৩৯ একর এবং প্রায় ১৮,৬৭০ একর জায়গায় পরিকল্পিত ভূমি ব্যবহার নিশ্চিতকরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সিলেট ও বরিশাল শহরের প্ল্যান দুটি সম্প্রতি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদন পেয়েছে।

চলমান কর্মকাণ্ড

সিডিএমপি-২ (সমন্বিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি) এবং নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর যৌথভাবে Mainstreaming Disaster Risk Prevention Measures into Comprehensive Land Use Planning and Management-এর জন্য ২০ বছর মেয়াদি (২০১১-২০৩১) ময়মনসিংহ পৌরসভা এবং সংলগ্ন এলাকার কৌশলগত উন্নয়ন পরিকল্পনা (Mymensingh Strategic Development Plan-MSDP) ও দীর্ঘমেয়াদি ভূমি ব্যবহার ব্যবস্থাপনা প্রণয়নের জন্য সমগ্র দেশে বাস্তবায়নের নিরিখে মডেল হিসেবে এই পাইলট প্রজেক্ট গ্রহণ করেছে।

নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর

সিডিএমপি-২-এর ব্যাপক কার্যক্রমের মাধ্যমে দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার জন্য সব স্টকহোল্ডারকে সম্পৃক্ত করে জাতীয় পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যায়ের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলার এক অপরিসীম ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সিডিএমপি-২-এর কার্যক্রমের বাস্তব চিত্র সুচারুরূপে পরিস্ফুটিত হয়েছে। অংশীদারির ভিত্তিতে পরিচালিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সিডিএমপি-২ এবং নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র চিহ্নিত হয়েছে; যার ফলে সিডিএমপি-১-এর মাধ্যমে গৃহীত নীতিমালা ও বিধিমালাসমূহের প্রায়োগিক দিকসমূহ দীর্ঘমেয়াদি ভূমি ব্যবহার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে প্রত্যক্ষ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সমগ্র দেশের সামনে মডেল হিসেবে ময়মনসিংহ শহর ও শহরতলি এলাকাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ময়মনসিংহ শহর বাংলাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ মাত্রার ভূমিকম্প ঝুঁকির মধ্যে অবস্থিত। ইতিমধ্যে প্রকল্প সম্পর্কে সচেতনতা এবং অংশগ্রহণের নিমিত্তে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা এবং অভিভাবকগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে পিআরএ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। উপরন্তু প্রকল্প এলাকাভুক্ত ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ অন্য মেম্বারদের উপস্থিতিতে পিআরএ কার্যক্রম শেষ হয়েছে। 

MSDP প্রকল্পের মাধ্যমে এ প্রথম কতিপয় মাত্রাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এগুলো হচ্ছে          

  • Geo-morphological Structure.
  • PRA- Participatory Rural Appraisal process. 
  • 3-D (Three Dimensional) GIS Survey. 
  • Social Dynamics of Social Space. 
  • Historical Pattern of Spatial Transformation.
  • Mail Questionnaire.

ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ড

১. বাংলাদেশের স্ট্র্যাটেজিক ইনটিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান প্রস্তুতি।

২. রংপুর বিভাগের জন্য কম্প্রিহেনসিভ রিজিওনাল ডেভেলপমেন্ট প্ল্যানিং প্যাকেজ প্রস্তুতি।

৩. কুয়াকাটা কোস্টাল এলাকার ইকো-ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান প্রস্তুতি।

৪. রাজশাহী বিভাগে কম্প্রিহেনসিভ রিজিওনাল ডেভেলপমেন্ট প্ল্যানিং প্রস্তুতি।

৫. নয়টি উপজেলার ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান প্রস্তুতি।

৬. ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান প্রস্তুতি বেনাপোল-যশোর হাইওয়ে করিডোর (বেনাপোল মিউনিসিপ্যালিটি অ্যান্ড  ল্যান্ড পোর্ট, শার্শা অ্যান্ড ঝিকরগাছা উপজেলা টাউন অ্যান্ড যশোর ডিসট্রিক টাউন অ্যালোং বেনাপোল-যশোর হাইওয়ে করিডোর।

৭. বরিশাল বিভাগের কম্প্রিহেনসিভ রিজিওনাল ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান প্রস্তুতি।

৮. এ ছাড়া সমগ্র দেশের জন্য ন্যাশনাল লেভেল প্ল্যান রিজিওনাল লেভেল প্ল্যান, করিডোর, ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান, কনজারভেশন প্ল্যান ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্ল্যান। 

সেবা পেতে যা যা করণীয়

দেশের চারটি মেট্রোপলিটন সিটি যথা- ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনা ছাড়া অন্য যেকোনো উপজেলা, জেলা ও পৌরসভা শহরের ল্যান্ড ইউজ/মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে একটি পত্র পরিচালক মহোদয় বরাবর দাখিল করতে হবে। ঠিক অনুরূপভাবে ভূমি অধিগ্রহণের নিমিত্তে অনাপত্তি ছাড়পত্রের জন্য পরিচালক মহোদয় বরাবর চিঠি প্রেরণ করতে হবে। প্রণয়নকৃত জেলা/উপজেলা/পৌরসভা শহরের ল্যান্ডইউজ/মাস্টার প্ল্যানের কোনো কপি পেতে হলে নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক বরাবর একটি দরখাস্ত দাখিল করতে হবে। দরখাস্ত অনুমোদন প্রাপ্তির পর অধিদপ্তরের হিসাব খাতে ট্রেজারি চালান কোডের (১-৩২৩৫-০০০০-২৩৬৬) মাধ্যমে ৫০০ টাকা জমা প্রদান করতে হবে। জমা প্রাপ্তিসাপেক্ষে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে মাস্টার প্ল্যানের কপি দরখাস্তকারীকে প্রদান করা হয়।

নগর উন্নয়নশীর্ষক মতবিনিময় সভা

সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যসমূহ

ক. মাদারীপুর ও রাজৈর উপজেলার উন্নয়নের মাধ্যমে জাতীয় ও আঞ্চলিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা এবং ঢাকা শহরের ওপর থেকে ক্রমবর্ধমান চাপ কমানো। এসব উদ্দেশ্য সফল করতে মাদারীপুর ও রাজৈর উপজেলাকে গড়ে তুলতে হবে একটি ১) কৃষিশিল্পভিত্তিক শহর, (২) নির্মাণশিল্প এলাকা, (৩) ব্যবসা-বাণিজ্য কেন্দ্র, (৪) রপ্তানি কেন্দ্র এবং (৫) সর্বোপরি একটি যোগাযোগব্যবস্থার কেন্দ্র হিসেবে। 

খ. কৃষিজমি সংরক্ষণের জন্য আরবান প্রমোশন কনট্রোল এরিয়া চিহ্নিতকরণ এবং পরিকল্পিত নগরায়ণের জন্য আরবান প্রমোশন কনট্রোল এরিয়া নির্ধারণ।

গ. মাদারীপুর ও রাজৈর উপজেলার অর্থনৈতিক অবস্থার উত্তরণ ঘটানো।

ঘ. স্থানিক পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে পারিসরিক উন্নয়ন।

ঙ. কৌশলগত ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন।

চ. ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও কর্মসংস্থানের সমন্বয় সাধন।

ছ. সমতা ও ন্যায়সংগতভাবে নগরের মৌলিক সেবাসমূহের ব্যবস্থাকরণ।

জ. দারিদ্র্যবিমোচন।

বিবিধ

১. নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর বিভিন্ন সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানকে ভূমি ব্যবহারের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ছাড়পত্র (এনওসি) প্রদান।

২. নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রস্তাবিত খসড়া নিয়োগবিধি অনুমোদনের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

৩. নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রস্তাবিত জনকাঠামো সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে।

৪. নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর রংপুর, কুয়াকাটা, কক্সবাজার, সিলেট এবং অন্যান্য এলাকার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অ্যাক্ট প্রস্তুতে সহায়তা করেছে।

৫. জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষকে খসড়া জাতীয় গৃহায়ণ নীতি-২০১২ তৈরিতে সহায়তা প্রদান করেছে।

যোগাযোগ

নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর

৮২, সেগুনবাগিচা, ঢাকা-১০০০।

ফোন : ৯৫৬২৭২৮

ফ্যাক্স : ৯৫৫৭৮৬৮

ই-মেইল : [email protected]

ওয়েবসাইট : www.udd.gov.bd

তানজিনা আফরিন ইভা

প্রকাশকাল: বন্ধন ৩৭ তম সংখ্যা, মে ২০১৩

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top