ইস্টেট ম্যানেজমেন্ট পার্টনারস্ লিমিটেড সাধ ও সাধ্যের সমন্বয়

‘বিউটি অব লিভিং’ অর্থাৎ বসবাসে সৌন্দর্য এই স্লোগান নিয়ে ২০০৩ সালে যাত্রা শুরু করে ইস্টেট ম্যানেজমেন্ট পার্টনারস্ লিমিটেড (ইএমপিএল)। প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা শহরের সব প্রাইম লোকেশন ও স্বল্পমূল্যে গুণগত মানসম্পন্ন আবাসন সেবা দিয়ে আসছে। এ ছাড়াও বিশেষভাবে ডিজাইনকৃত এ নির্মাণ প্রতিষ্ঠানটির প্রতিটি ভবন পেয়েছে নান্দনিকতার ছোঁয়া। আরামদায়ক আবাসন নিশ্চিত করার পাশাপাশি সব ধরনের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা প্রদান করাসহ ভবনের সৌন্দর্যবর্ধনেও যথেষ্ট গুরুত্ব দেয় ইএমপিএল। প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বাস করে, একটি প্রকল্প বাস্তবায়নে জমির মালিক, ক্রেতা এবং ডেভেলপারের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতাই সফলতার চাবিকাঠি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফ্ল্যাট নির্মাণ এবং তা ক্রেতাকে হস্তান্তরের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে অর্জন করেছে ঈর্ষণীয় সুনাম। 

সেই সুনাম ও প্রতিষ্ঠানের সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ঢাকা শহরের বুক জুড়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে বেশ কিছু নয়নাভিরাম প্রকল্প। প্রতিটি রিহ্যাব মেলায় অংশগ্রহণ এবং নির্মাণ প্রকল্প সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করে আসছে এ স্বনামধন্য আবাসন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানটি।

ইএমপিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসলিম মোঃ খান জানান, ঢাকা শহরে জায়গা স্বল্পতার কারণে গত ২০ বছর যাবৎ ফ্ল্যাটে বসবাসের প্রবণতা মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এ শহরের মানুষের আবাসন সমস্যা একটি বড় রকমের সমস্যা। তা ছাড়া নির্মাণকৃত ভবনগুলোতে খুব একটা শৈল্পিক ছোঁয়া লক্ষ করা যায় না। অধিকাংশ ভবনেরই গুণগতমান নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। আর তাই মানুষ যেন সাধ ও সাধ্যের মধ্যে দৃষ্টিনন্দন এবং গুণগত মানসম্পন্ন আবাসন সেবা পেতে পারে সেটা মাথায় রেখেই প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু। 

মানের ব্যাপারে ইএমপিএল আপোসহীন। সঠিক সময়ে প্রকল্প হস্তান্তর আর দক্ষ জনবল ও প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সম্ভাবনাময় এ আবাসন প্রতিষ্ঠানটি। শুরু থেকেই মানসম্মত উপকরণ ব্যবহার, কমিটমেন্ট ও পরিকল্পনায় সৃজনশীলতা এ প্রতিষ্ঠানের মূল ভিত্তি। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদানে কর্তৃপক্ষ সর্বাত্মক সচেষ্ট। আর তাই সবাই সবার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে। ফলে ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি দেখতে শুরু করেছে সফলতার মুখ। 

প্রকল্পসমূহ 

প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ১৩০০-৩৩০০ স্কয়ার ফুটের নয়নাভিরাম সব ফ্ল্যাট। সর্বাধিক আলো এবং বাতাস চলাচলের বিষয়টিকে ফ্ল্যাট নির্মাণে খুব গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়। ভবন তৈরিতে উৎকৃষ্ট মানের উপকরণ ব্যবহার করা হয়। রড, সিমেন্ট, কংক্রিট রেশিওর উৎকর্ষের ব্যাপারে সব সময় লক্ষ রাখা হয়। প্রত্যেকটি প্রকল্প সৌন্দর্যমন্ডিত। প্রকৃতির ছোঁয়া পেতে খালি জায়গাগুলোতে রয়েছে সবুজ বাগান। ১০ কাঠা জায়গার ভবনে সুইমিংপুল করা সুবিধার সুব্যবস্থা রয়েছে।

ইএমপিএলের বৈশিষ্ট্য

কাঠামো : ভবন নির্মাণে অঈও, অঝঞগ এবং ইঘঝঈ কোড মেনে রিইনফোর্সড সিমেন্ট কংক্রিট ফ্রেম কাঠামোর নকশা অনুসরণ করা হয়। ভবনসমূহের ভিত্তি এবং কলাম পাথর মিক্সড কংক্রিট দিয়ে তৈরি করা হয়, যাতে অধিক বাতাস ও ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। এ ছাড়াও উপাদানসমূহকে বুয়েট গবেষণাগার থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সঠিক মান নিশ্চিত করা হয়।

পানি সুবিধা 

প্রতিটি প্রজেক্টে হেভি ডিউটি পাম্পের সাহায্যে কমপক্ষে ২ দিনের পানি ভবনের নিচে সংরক্ষণ করা হয়। 

জেনারেটর সুবিধা 

বিদ্যুৎ না থাকলেও তাৎক্ষণিক জেনারেটরের সাহায্যে লিফ্ট, লবি, পার্কিং এলাকা, সিকিউরিটি লাইট, পানি উত্তোলন ইত্যাদি সুবিধাসহ ২টি বাল্ব এবং ২টি পাখা চালানোর সুবিধা প্রতিটি অ্যাপার্টমেন্টে রয়েছে।

দরজা ও জানালা

প্রতিটি দরজার জন্য আকর্ষণীয় ডিজাইনের উন্নতমানের কাঠ ব্যবহার করা হয়। জানালাতে ৫ মিলিমিটার পুরু কাচ এবং প্রাকৃতিক রঙের অ্যালুমিনিয়াম স্থাপন করা হয়।

ইলেকট্রিক্যাল

পর্যাপ্ত সাব স্টেশন, উন্নতমানের বিদেশী সুইস ও সকেট ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়াও আছে নিরাপত্তার জন্য আর্থিং সুবিধা। এ ছাড়াও লিফ্ট, টেলিভিশন কেবল, টেলিফোন, লবি, গার্ড ও কেয়ারটেকার রুম ইত্যাদি সুবিধা নিশ্চিত করা হয়। 

প্রকল্প নির্মাণে সমস্যা 

বর্তমানে আবাসন শিল্পে বিদ্যুৎ এবং গ্যাস প্রধান সমস্যা হিসেবে মনে করেন তাসলিম মোঃ খান। তিনি উদ্বিগ্নতার সাথে জানান, প্রতিষ্ঠানটির ৪০টি ফ্ল্যাট প্রায় ১ বছর যাবৎ অবিক্রীত অবস্থায় রয়েছে। এ ছাড়াও ঢাকা শহরের প্রায় ৫০০০ ফ্ল্যাট বিদ্যুৎ এবং গ্যাস সমস্যায় আছে। এ সমস্যার কারণে নির্মাণ শিল্পটি মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন। এ সমস্যার ফলেই এখন বাসা ভাড়া ক্রমেই বেড়েই চলেছে। তা ছাড়া মানুষ এখন এই খাতে বিনিয়োগে উৎসাহ হারিয়ে ফেলছে। আর তাই দ্রুত এ সমস্যা সমাধান করা না গেলে নির্মাণ শিল্পের সাথে জড়িত শ্রমিক, বিভিন্ন উপকরণ সরবরাহকারী, নির্মাণ সহায়ক সামগ্রী বিক্রেতা, উৎপাদক, আমদানিকারক সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের কথা বলা হলেও তা সঠিক উপায়ে কাজ করছে না এবং এটি স্থাপনও বেশ ব্যয়বহুল।

অন্যান্য প্রকল্প

ভালুকাতে ২৫ বিঘা জায়গার উপর রিসোর্ট তৈরি করা হচ্ছে (কান্ট্রি ক্লাব স্টাইল); যেখানে পরিবারের সব বয়সের প্রতিটি সদস্যের জন্য বিনোদনের সুব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়াও কুয়াকাটাতে হোটেল ও মোটেল নির্মাণকাজ চলছে। আগামী বছর ভালুকা ও কুয়াকাটাতে বৈধ আবাসন প্রকল্পের কাজও শুরু হবে।

ক্রেতাদের উদ্দেশ্য…

কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে নিম্নমানের ফ্ল্যাট বিক্রি করে এ ব্যবসার সুনাম নষ্ট করছে। ফলে সাধারণ মানুষ প্রতারিত হচ্ছে। অনেক সময় তারা আইনগত ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ছে। সে কারণে বহু মূল্যের ফ্ল্যাটটি কেনার পূর্বে অভিজ্ঞ উকিল এবং কনসালটেন্টের পরামর্শ নিন। সঠিক দলিলপত্র, সরকারি খাজনার কাগজপত্র, রাজউকের অনুমোদন ইত্যাদি যাচাই করে নেওয়া উচিত।

ইস্টেট ম্যানেজমেন্ট পার্টনারস্ লিঃ ইতিমধ্যে তাদের বেশ কিছু নিজস্ব প্রকল্প হস্তান্তর করেছে। এ ছাড়াও কতিপয় চলমান প্রকল্পসহ বেশ কিছু বাস্তবায়ন করতে চলেছে। আপনিও আপনার পছন্দসই ফ্ল্যাট কিনতে চাইলে দেখে আসতে পারেন উক্ত প্রকল্পসমূহ। ৬টি প্রকল্পে ১০৬টি ইউনিট হস্তান্তরিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অলকা তিলক ধানমন্ডিতে ২টি, প্যারাজল গুলশান, অলকানন্দাÑ মহাখালী, অপলক মিরপুর ১০ ও আনন্দধারা শেওড়াপাড়ায় ১টি করে।

চলমান প্রকল্প 

অধুনা 

বাড়ি # ৭৩, রোড # ০৮, ব্লক # বি, বসুন্ধরা ৪টি,

অর্পণ নিবাস, মহাখালী।

অরণ্য, ধানমন্ডি। 

ভবিষ্যৎ প্রকল্প : উত্তরা, গেন্ডারিয়া, মিরপুর, ধানমন্ডি।

যোগাযোগের ঠিকানা 

বাড়ি # ৯ রোড # ৮, ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা, ঢাকা – ১২০৫।

টেলিফ্যাক্স # ৯৬৭৩৩৭৯, ৯৬৭০৩৫৯

মোবাইল # ০১৭১৫০০৫২৭২

Email : [email protected]

Website : www.emplbd.com

মাহফুজ ফারুক

[email protected]

প্রকাশকাল: বন্ধন ২২ তম সংখ্যা, ফেব্রুয়ারি ২০১২

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top