স্থান কম, অথচ ব্যবহারযোগ্য জায়গার প্রয়োজন অনেক বেশি, এ সমস্যা বাংলাদেশে এখন প্রকট। স্থানাভাবে এখন বাংলাদেশে দেশের দীর্ঘদিনের চর্চিত সংস্কৃতিও বদলে যাচ্ছে। বৃদ্ধ বয়সে আমাদের পিতামাতার আশ্রয় বৃদ্ধনিবাস নয়, সন্তানের গৃহ। তা সত্তে¡ও অনেকে যে মাতাপিতাকে সাথে রাখতে পারেন না তার একটি প্রধান কারণ, উপযুক্ত কক্ষ সংখ্যার বাসা না পাওয়া, অথবা তার ভাড়া অত্যন্ত বেশি হওয়া। আমাদের দেশে একটি পরিবারে অধিকাংশ সময়ই একটি বা দুটি কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া ছাত্র থাকে, যাদের পড়ার ব্যবস্থাসহ একটি ছোট কক্ষ হলেই চলে। তাদের জন্য কম স্থানে ছোট কক্ষ থাকলে নির্বাহ খরচ কম হয়, বাবা মাকে রাখার অতিরিক্ত কক্ষ পাওয়াসহ অনেক সমস্যাই সমাধান হয়ে যায়। আবার ছোট প্লটে বেশি কক্ষের বাড়ি করার সময় চারপাশের খোলা স্থানের উপর যে চাপ পড়ে কম পরিসরে বাড়ি করা সম্ভব হলে সেই সমস্যারও সমাধান হয়।
সাধারণভাবে পৃথিবীর সব দেশেই শহরাঞ্চলে মানুষের বসবাস এবং কাজ করার জন্য যে জমি পাওয়া যায় তার পরিমাণ দিনে দিনে কমছে। এই সমস্যারও অন্যতম প্রধান সমাধান, স্বল্পতম পরিসরে বাড়ির ডিজাইন করা। স্বল্প পরিসরে একাধিক মানুষকে রাখার জন্য দুই বা তিন স্তরের খাট বিদেশে বহুল প্রচলিত। কিন্তু বাংলাদেশে এটি জনপ্রিয় হয়নি। বাঙালির ‘প্রাইভেসি’ সম্পর্কিত মনোভাব এর কারণ হতে পারে। এ প্রবন্ধে স্বল্প পরিসরে বাঙালির প্রাইভেসি সংক্রান্ত মনোভাব বজায় রেখে তার চেয়েও বেশি সুবিধা পাওয়া সম্ভব এমন একটি স্থাপত্যিক ডিজাইন দেখানো হয়েছে, যা ওভারল্যাপ পদ্ধতিতে করা এবং যা উপরে বর্ণিত অনেক সমস্যারই সমাধান দিতে পারে। উল্লেখ করা যায় যে, এই ডিজাইনটি নতুন নির্মাণে যেমন প্রয়োগ করা যায়, তেমনি উপযুক্ত জায়গা (সর্বনিম্ন ১৬ ফুট বাই ১০ ফুট বাই উচ্চতা ৯ ফুট ৮ ইঞ্চি) পাওয়া গেলে পুরনো ভবনেও করা সম্ভব।
ভূমিকা
জায়গা আছে কম, অথচ প্রয়োজন অনেক বেশি, এমন সমস্যায় সাধারণভাবে স্থপতিরা নিচের পন্থাগুলো অনুসরণ করে থাকেন।
১. প্রতিটি ব্যবহার স্থানকে ন্যূনতম পরিসরে ডিজাইন করা,
২. একই স্থান একাধিক কাজে ব্যবহার করা,
৩. দুই বা ততোধিক স্বতন্ত্রভাবে ব্যবহৃত স্থানকে সংযুক্ত করা,
৪. বিল্ট-ইন ফার্নিচার ব্যবহার করা,
৫. ব্যবহৃত দেয়ালের পুরুত্ব কমিয়ে ফেলা ইত্যাদি।
এর মধ্যে কেবল শেষ পন্থায়ই অতিরিক্ত জায়গা পাওয়া যায়। তবে প্রশ্ন করা যায়, এই অতিরিক্ত জায়গার পরিমাণ কত? এটি নির্ণয় করার জন্য আমরা বাইরের মাপ ১৬ ফুট ঢ ১০ ফুট এমন একটি কক্ষ ধরে নেই। তারপর দেখি, এই কক্ষের দেয়ালগুলোর পুরুত্ব কমিয়ে কতটুকু অতিরিক্ত জায়গা পাওয়া যায়। নিচের টেবিলে এই পরিমাণ দেখানো হয়েছে।
ক্রমিক নং বাইরের পরিমাপ দেয়ালের পুরুত্ব ভেতরের স্থান ভেতরের স্থান (বঃফুঃ) অতিরিক্ত স্থান (বঃফুঃ) অতিরিক্ত স্থান (%)
০১ ১৬ ফুট x ১০ ফুট সব ১০ ইঞ্চি ১৫ ফুট ২ ইঞ্চি x ৯ ফুট ২ ইঞ্চি ১৩৮.৮৬ মূল ০০
০২ ১৬ ফুট x ১০ ফুট সব ৫ ইঞ্চি ১৫,৭ ইঞ্চি x ৯,৭ ইঞ্চি ১০.৩৯ বেশি) ৭.৪৮
০২ ১৬, x ১০ ইঞ্চি সব ৩” ১৫’৯” x ৯,৯” ১৫৩.৫৬ ১৪.৭ বেশি) ১০.৫৮
দেয়ালের পুরুত্ব কমিয়ে যেখানে ১৬’ x ১০’ জায়গায় সর্বোচ্চ সাড়ে দশ বর্গফুট অতিরিক্ত জায়গা পাওয়া সম্ভব, সেখানে ‘ওভারল্যাপ’ পদ্ধতি প্রয়োগ করে প্রায় একই পরিমাণ স্থানে সর্বোচ্চ ৮০ বর্গফুট অতিরিক্ত জায়গা পাওয়া সম্ভব।
ডিজাইনের শর্তাবলী
ধরে নেওয়া হচ্ছে, যে স্থানে ডিজাইন করা হবে তার পরিমাপ দৈর্ঘ্য ১৬ ফুট, প্রস্থ ১০ ফুট, মুক্ত উচ্চতা ৯ ফুট ৮ ইঞ্চি। বাংলাদেশে অধিকাংশ আবাসিক ভবনের তলা ১০ ফুট উঁচু করে নির্মাণ করা হয়, আর কংক্রিট স্ল্যাবের পুরুত্ব হয় ৪ ইঞ্চি। এই বিবেচনা থেকেই এই উচ্চতা ধরে নেওয়া হয়েছে। এই পরিসরে একটি ছেলে ও একটি মেয়ের জন্য ৫ ইঞ্চি পুরু বিভাজন দেয়াল দিয়ে দুটি আলাদা শয়ন কক্ষ নির্মাণ করা হলে প্রতি কক্ষে জায়গা পাওয়া যাবে ১০ ফুট বাই ৭ ফুট ৯ ইঞ্চি, যা একটি শয়ন কক্ষের জন্য পর্যাপ্ত নয়। আমাদের সাধারণ অভিজ্ঞতা হচ্ছে, বিছানার নিচের প্রায় দেড় ফুট উচ্চতার স্থান আমাদের তেমন কোনো কাজে লাগে না। আবার বিছানার কাছে প্যাডেস্টাল ফ্যান ব্যবহার করা গেলে এর উপরে প্রাপ্ত স্থানটি উচ্চতায় ৩/৪ ফুট কম হলেও সমস্যা হয় না। আমরা ধরে নিচ্ছি, আমাদের দেশের ছেলেমেয়েদের যে স্বাভাবিক উচ্চতা, তাতে ঘরের কোনো কোনো স্থানের উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি হলেও তারা চালিয়ে নিতে পারবে। তবে এর চেয়ে বেশি উচ্চতা কি করে নিশ্চিত করা যায় তাও নিচে বর্ণনা করা হয়েছে।
ডিজাইনের সাধারণ বর্ণনা
আমরা এখন ওভারল্যাপ পদ্ধতিতে করা স্থাপত্যিক ডিজাইনটি সাধারণভাবে বর্ণনা করব। চিত্রে (প্ল্যান) দেখা যাচ্ছে, ১৬ ফুট বাই ১০ ফুট স্থানের মাঝামাঝি একটি ৫ ইঞ্চি দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। দেয়ালটির বাঁদিকে তিনটি স্থানে দুটি লকার নির্মাণের জন্য ২ ফুট করে দেয়াল বাড়িয়ে রাখা হয়েছে। একটি নির্দিষ্ট উচ্চতার পর লকারের উপরে কংক্রিট স্ল্যাবের ছাদ নির্মাণ করা হয়েছে। এর উপর আবার কিছুটা দেয়াল গাঁথা হয়েছে এবং বাঁদিকের লাইন থেকে ৪ ফুট ঢ ৫ ইঞ্চি চওড়া স্ল্যাব নির্মাণ করা হয়েছে। এই স্ল্যাবের একেবারে ডানে ৫ ইঞ্চি দেয়াল ছাদ পর্যন্ত তুলে দেওয়া হয়েছে। ছবিতে দেখানো স্থানগুলোতে দরজা ও জানালা রাখা হয়েছে। লকারের ছাদে ওঠার জন্য ল্যাডার (মই) রাখা হয়েছে এবং লকারের বাঁ পাশের লাইন বরাবর রেলিং দেওয়া হয়েছে।

কক্ষে যা যা আছে
মেয়েটির কক্ষে আছে একটি ৭ ফুট x ৪ ফুট খাট, একটি ৪ ফুট x ২ ফুট লকার, একটি ৩ ফুট x ২ ফুট পড়ার টেবিল, একটি চেয়ার, একটি ৩ ফুট x ১ ফুট ৬ ইঞ্চি ড্রেসিং টেবিল, একটি ২ ফুট x ২ ফুট সোফা ইত্যাদি। মাঝে হাঁটার স্থানটি ৪ ফুট ৯ ইঞ্চি চওড়া।
ছেলেটির কক্ষে আছে
নিচে : একটি ৪ ফুট x ২ ফুট লকার, একটি ৩ ফুট x ২ ফুট পড়ার টেবিল, একটি চেয়ার, একটি ৩ ফুট x ১ ফুট ৬ ইঞ্চি র্যাক, একটি ২ ফুট x ২ ফুট সোফা ইত্যাদি। মাঝে হাঁটার স্থানটি ৫ ফুট x ৭ ইঞ্চি চওড়া।
উপরে : একটি ৭ ফুট x ৪ ইঞ্চি খাট এবং একই উচ্চতার ৪ ফুট ৩ ইঞ্চি খালি জায়গা।
কক্ষের বিভিন্ন স্থানে যে মুক্ত উচ্চতা পাওয়া যাচ্ছে তা হলো, মেয়েটির কক্ষে সাধারণভাবে ৯ ফুট ৮ ইঞ্চি, বিছানার সামনে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি এবং বিছানার উপরে (খাটের উচ্চতা ১ ফুট ৬ ইঞ্চি ধরে নিয়ে) ৪ ফুট। ছেলেটির কক্ষে সাধারণভাবে ৯ ফুট ৮ ইঞ্চি, বিছানার পাশে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি এবং বিছানার উপরে ৩ ফুট ১০ ইঞ্চি ।

সমস্যা
সাধারণভাবে বলতে গেলে এই ডিজাইনে ঝুলানো ফ্যানের বদলে প্যাডেস্টাল বা টেবিল ফ্যান রাখতে হবে এবং একটি অসুবিধা ছাড়া আর কোনো অসুবিধা নেই। কক্ষ ছোট হওয়ায় পরিষ্কার রাখার ঝামেলা কম, ছোট বলে এয়ার কন্ডিশন করা বা তা নির্বাহ করার খরচও কম, ছাত্রছাত্রীরা অনেক সময় পড়াশোনার জন্য ছোট পরিসর পছন্দ করে, এটি তারও পরিপূরক। যে সমস্যাটি নিয়ে আলোচনা হতে পারে তা হচ্ছে, মুক্ত উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি থেকে বাড়ানো যায় কি না। এর উত্তর ‘হ্যাঁ’। কিভাবে এটি করা যায় তা বোঝানোর জন্য আমরা প্রথমে ওভারল্যাপ নিরূপণের পদ্ধতিটি বর্ণনা করব এবং তারপর মূল সমস্যায় যাবে।
ওভারল্যাপ নিরূপণ
আনুভূমিক ‘ওভারল্যাপ’ : বিছানার প্রস্থ+বিভাজন দেয়ালের প্রস্থ+লকার (উপরে একজনের হাঁটার স্থান) = ৪ ফুট + ৫ ইঞ্চি + ২ ফুট = ৭ ফুট ৫ ইঞ্চি।
উলম্ব ‘ওভারল্যাপ’ নির্ণয় : দুইটি তলা করা হলে যে উচ্চতা প্রয়োজন : ছেলেটির উচ্চতা+মেয়েটির উচ্চতা+কংক্রিট স্টাবের পুরুত্ব = ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি + ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি + ৪ ইঞ্চি = ১১ ফুট ৪ ইঞ্চি।
এই কক্ষে প্রাপ্ত উচ্চতা = ৯ ফুট ৮ ইঞ্চি। তাই প্রয়োজনীয় ওভারল্যাপ = (১১’
ফুট ৪ ইঞ্চি বাদ ৯ ফুট ৮ ইঞ্চি) = ১ ফুট ৮ ইঞ্চি।
যা পাওয়া যাবে যেভাবে ডিজাইন করতে হবে
মুক্ত উচ্চতা লকারের ছাদের উচ্চতা (উপরের লেভেল) স্ল্যাবের উচ্চতা (নিচের লেভেল) ওভারল্যাপ ছেলেটির বিছানার উচ্চতা

৫ ফুট ৬ ইঞ্চি ৪ ফুট ২ ইঞ্চি ৫ ফুট ৬ ফুট ১ ইঞ্চি ৮ ইঞ্চি ১ ফুট ৪ ইঞ্চি + ৪ ইঞ্চি = ১ ফুট ৮ ইঞ্চি
৫’ ৯” ৩’ ১১” ৫’ ৯” ২’ ৩” ১’ ১১” + ৪” = ২’ ৩”
৫’ ১০” ৩’ ১০” ৫’ ১০” ২’ ৪” ২’ ০” + ৪” = ২’ ৪”
৫’ ১১” ৩’ ৯” ৫’ ১১” ২’ ৬” ২’ ২” + ৪” = ২’ ৬”
৬’ ০” ৩’ ৮” ৬’ ০” ২’ ৮” ২’ ৪” + ৪” = ২’ ৮”
দেখা যাচ্ছে, মুক্ত উচ্চতা বাড়াতে হলে লকারের ছাদের উচ্চতা কমাতে হয়, আর সেই সঙ্গে মাঝের মূল স্ল্যাবের উচ্চতা বাড়াতে হয়। এতে কোনো সমস্যা নেই। তবে এভাবে মুক্ত উচ্চতা বাড়ার সাথে সাথে লকারের ছাদ থেকে ছেলেটির উচ্চতাও বাড়তে থাকে। লম্বা ছেলেদের জন্য এটি তেমন কোনো সমস্যা নয়। তবে বিছানার উচ্চতা ২ ফুট ৪ ইঞ্চির বেশি হলে বিশদৃশ লাগে। এখানে উল্লেখ করা যায় যে, পুরনো নির্মাণের ৯ ফুট ৮ ইঞ্চি মুক্ত উচ্চতার মধ্যে এই ডিজাইন করা হয়েছে বলে এ সমস্যাটি হয়েছে। নতুন নির্মাণকালে প্রতি তলার উচ্চতা ৬ ইঞ্চি বা ৯ ইঞ্চি বাড়িয়ে নিলে কোনো সমস্যাই থাকে না।

উপসংহার
বলছিলাম, একটি অতিরিক্ত শয়নকক্ষ না থাকায় বৃদ্ধ পিতামাতাকে সাথে রাখতে না পারার মনোকষ্টের কথা। বলা যায়, বাড়ি ভর্তি লোকের মাঝে বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া ছেলে বা মেয়েটির একান্তে পড়াশোনা করার স্থান ও পরিবেশ সঙ্কটের কথা। বলা যায়, বিদ্যুতের উচ্চ মূল্যের কারণে গরমে অতিষ্ঠ পরিবারের কষ্টের কথা। সেই সঙ্গে স্থপতিদের অল্প পরিসরে সুবিধাদি ডিজাইন করার সমস্যা তো আছেই। স্থপতিদের এখন পর্যন্ত জানা কোনো পদ্ধতিই এ সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান দিতে পারেনি। ওভারল্যাপ পদ্ধতি অবশ্যই এই সমস্যার সমাধান দিতে পারে, যা উপরে দেখানো হয়েছে। এই পদ্ধতিতে সমস্যা যে একেবারে নেই তা বলা যায় না। যেমন মুক্ত উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি করা হলে সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। কিন্তু কোনো পরিবার তাদের সন্তানদের জন্য এর চেয়ে বেশি মুক্ত উচ্চতা পছন্দ করতে পারে। এ ক্ষেত্রে এটি ৬ ফুট ০ ইঞ্চি পর্যন্ত করা সম্ভব। তবে এতে উপরের বিছানার উচ্চতা ২ ফুট ৮ ইঞ্চি হয়ে যাবে, যা কম উচ্চতার মানুষ বা শিশুদের জন্য সমস্যাজনক হতে পারে। তবে একটি টুল ব্যবহার করেই এই সমস্যার সমাধান করা যায়। আর নতুন নির্মাণে ফ্লোরের উচ্চতা বাড়ালে এই সমস্যা আদৌ থাকে না। ওভারল্যাপ পদ্ধতি প্রয়োগ করে ডিজাইন করার পর এ রকম ঘর কেমন দেখা যাবে তা বোঝানোর জন্য কয়েকটি থ্রি-ডি ছবি দেওয়া হলো। ছবি দেখে মনে হতে পারে যে, একই সমতলে বসবাসে অভ্যস্ত মানুষের কাছে একই কক্ষে দুটি লেভেলে বসবাস একটি নতুন অভিজ্ঞতা এনে দেবে।

বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে নতুন আবিষ্কার বা প্রযুক্তি সব প্রফেশনেই চলে আসে। তবে স্থাপত্যে নতুন আবিষ্কার প্রায় দুর্লভ, আর প্রযুক্তির আগমনের হারও অত্যন্ত কম। বিদেশে স্থান সঙ্কুলানের জন্য ফার্নিচার হিসেবে ডবল ডেক বেড, আর স্থাপত্যিক সমাধান হিসেবে ঘুমানোর জন্য বিভিন্ন লেভেলে ‘তাক’ নির্মাণের পদ্ধতি প্রচলিত আছে। তবে কোনো রকমে উপরে উঠে মাচায় ঘুমানো আর আরাম করে বিছানার পাশে হেঁটে গিয়ে শুয়ে পড়া এক কথা নয়। এখানেই ওভারল্যাপ পদ্ধতিতে করা এই স্থাপত্যিক ডিজাইনের পার্থক্য।
লেখক : অধ্যাপক বিজন বিহারী শর্মা, স্থাপত্য বিভাগ, আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রকাশকাল: বন্ধন ২১ তম সংখ্যা, জানুয়ারি ২০১২