ইরানের রয়েছে সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও আকর্ষণীয় স্থাপত্যকর্মের এক দীর্ঘ ইতিহাস। ইরানি স্থাপত্য অনন্য শৈলী, জটিল জ্যামিতিক নিদর্শন, প্রাণবন্ত রং এবং অসাধারণ ডিজাইনের টাইলওয়ার্ক ব্যবহারের জন্য সুপরিচিত। সাম্প্রতিক সময়ে ইরানের শহরাঞ্চলে আধুনিক স্থাপত্য আর সুউচ্চ ভবন নির্মাণের প্রবণতা বেশ লক্ষণীয়। ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক দিয়ে দেশটি হরমুজ প্রণালির কাছাকাছি অবস্থিত হওয়ায় এই এলাকার ইতিহাস, নিরাপত্তা, নির্মাণ, স্থাপত্য, বাণিজ্যিক কাঠামোতে অনেক বৈচিত্র্য এসেছে। হরমুজ দ্বীপের ইতিহাস, হরমুজ প্রণালির সঙ্গে এর সম্পর্ক আর সবশেষে এই মারজান রেসিডেন্স নিয়ে জানার আগ্রহ থাকলে আজকের লেখাটি আপনার জন্য!
হরমুজের দ্বীপের ইতিহাস
হরমুজ একটি ফারসি শব্দ। ফারসি ভাষায় একে বলা হয় ‘তাঙ্গেইয়ে হোর্মোয’ আর আরবিতে ‘মাদিক্বে হুরমুজ’। এটি পারস্য উপসাগরের একটি ইরানী দ্বীপ, যা হরমোজগান প্রদেশের অংশ। এটি ইরানের মূল উপকূল থেকে ৮ কিলোমিটার বা ৫ মাইল দূরে অবস্থিত। কম ঘনবসতিপূর্ণ দ্বীপটিতে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন লক্ষ করা যায় বিশ শতকের শেষ ভাগে। এ দ্বীপে মানুষের উপস্থিতির সবচেয়ে প্রাচীন প্রমাণ মেলে দ্বীপের পূর্ব উপকূলে আবিষ্কৃত বেশ কিছু পাথুরে নিদর্শনের মাধ্যমে। ‘চাঁদ-দেরখত’ নামক স্থানে পাথরের বেশ কিছু শিলাখÐ পাওয়া গেছে, যা ওই অঞ্চলে থাকা উন্নত প্লাইস্টোসিন সোপানের উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। লেভালোইস পদ্ধতিতে চিহ্নিত শিলাখÐগুলো ৪০ হাজার বছরের বেশি সময় ধরে সেখানে মানুষের বসবাসের প্রমাণ বহন করে চলেছে।
এ দ্বীপটি প্রাচীন গ্রিকদের কাছে অরগ্যানা ও ইসলামি যুগে জারুন নামে পরিচিত ছিল। বন্দর শহর হরমুজ বা অরমাস মূল ভূখÐ থেকে মাত্র ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। হরমুজ ছিল প্রণালির উভয় পাশে স্থাপিত মোঙ্গল-শাসিত রাজত্বটির কেন্দ্রবিন্দু এবং সামুদ্রিক বাণিজ্য ছিল এর আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। আরবদের এ অঞ্চল বিজয়ের পর, হরমুজ প্রথম দিকে কেরমানের প্রধান বাজার হয়ে ওঠে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল খেজুর, নীল, নানা রকম শস্য ও মসলা। ১৩০০ সালের দিকে শহরটির আরব শাসক এলাকাটি থেকে মঙ্গোলিয়ান এবং তুর্কি ডাকাতদের আক্রমণ এড়াতে এ দ্বীপে বসবাস করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর জারুন দ্বীপের উত্তর প্রান্তে একটি নতুন শহর তৈরি করা হয় এবং শহরটির নাম দেওয়া হয় নিউ হরমুজ। ধীরে ধীরে নতুন এ শহরটি চারদিকে পরিচিতি পেতে শুরু করে। ধারণা করা হয়, এ শহর থেকেই ‘হরমুজ’ নামটি এসেছে। ১২৯০ সালে মার্কো পোলো তাঁর ভ্রমণকাহিনিতে হরমুজ শহর ভ্রমণের বর্ণনা করেন।
১৫১৪ সালে পর্তুগিজরা হরমুজ দখল করে একটি দুর্গ নির্মাণ করেন। এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে দ্বীপটি পর্তুগিজদের অধীনে ছিল। কিন্তু স্থানীয়ভাবে ইংরেজদের উত্থান এবং পর্তুগিজ দখলের প্রতি পারস্য শাহের অসন্তোষের ফলে ১৬২২ সালে যৌথ অ্যাংলো-পার্সিয়ান বাহিনী হরমুজ পুনরায় দখল করে। ১৭৯৮ ও ১৮৬৮ সালের মধ্যে হরমুজের নিকটবর্তী বৃহত্তর দ্বীপ জেশুন এবং আব্বাস বন্দর মাসকাট ও ওমানের শাসকদের কাছে ইজারা দেওয়া হয়। কিন্তু এটি অতীতের পর্যায়ে আর পৌঁছাতে পারেনি। পুরোনো ও বিখ্যাত এই শহরটিতে এখন পর্তুগিজ দুর্গের কিছু অংশ ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।
বর্তমানে দ্বীপটিতে প্রায় ৬ হাজার মানুষের বাস, মাছ ধরা যাদের প্রধান পেশা। দ্বীপটির বেশির ভাগ অংশই শুষ্ক ও জনবসতিহীন এবং অর্থনৈতিকভাবে এলাকাটি তেমন শক্তিশালী নয়। এ দ্বীপের নামটি হরমুজ প্রণালির সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ তেল ট্রানজিট চেকপয়েন্ট। দ্বীপটির প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য এবং ভূত্বক যথেষ্ট সমৃদ্ধ। মাত্র ৪২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দ্বীপটি আকর্ষণীয় পাহাড় এবং সমুদ্রতীরবর্তী প্রাকৃতিক দৃশ্যের জন্য সুপরিচিত।
দ্বীপের মাজারা রেসিডেন্স
মাজারা রেসিডেন্সের মাজারা শব্দটি একটি ফারসি শব্দ, যার অর্থ অ্যাডভেঞ্চার বা দুঃসাহসিক কাজ, যেটি ইরানের দক্ষিণে পারস্য উপসাগরের হরমুজ দ্বীপে অবস্থিত একটি সমুদ্রতীরবর্তী আবাসন কমপ্লেক্স। পুরো প্রজেক্টটি হরমুজ দ্বীপের স্থানীয় জনগণের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণে নির্মিত। প্রকল্পটির লক্ষ্য একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তৈরি করা, যা দ্বীপের স্থানীয় সংস্কৃতি ও ইতিহাসকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরে। ২০২০ সালে হরমুজ দ্বীপের প্রথম এবং প্রধান ইকো-ট্যুরিস্ট হোটেল হিসেবে মাজারা রেসিডেন্সের কাজ সম্পন্ন হয়। এটি ডিজাইন করে তেহরানভিত্তিক আর্কিটেকচারাল ফার্ম জেভ আর্কিটেক্টস। প্রজেক্টটি সমাপ্তির পর থেকেই এটি আন্তর্জাতিকভাবে বেশ কয়েকটি পুরস্কারে ভূষিত হওয়ার পাশাপাশি বিশেষভাবে স্বীকৃত হয়েছে।
পুরো কমপ্লেক্সের নকশাটি হরমুজ দ্বীপের রঙিন মাটি এবং শিলা দ্বারা অনুপ্রাণিত, যা খনিজসমৃদ্ধ এবং দ্বীপটিকে আলাদা করে একটি অনন্য রূপ দান করেছে। স্থপতিরা দ্বীপটির প্রাণবন্ত ল্যান্ডস্কেপকে আরও উসকে দিতে উজ্জ্বল রঙের সঙ্গে পাথর, কাদা ও মাটির মতো উপকরণের সংমিশ্রণ করেছেন। প্রকল্পটিতে রয়েছে একটি জাদুঘর, গ্রন্থাগার, অ্যাম্ফিথিয়েটার, প্রদর্শনী হলসহ বেশ কয়েকটি আলাদা ভবন। ভবনগুলো উঠান ও ওয়াকওয়েগুলো পরস্পর আন্তসংযুক্ত, যা সেখানকার দর্শনার্থীদের জন্য উষ্ণ পরিবেশ তৈরি করে।
এর সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটির লক্ষ্য এখানকার স্থানীয় শিল্প ও সংস্কৃতির প্রচার করা এবং দ্বীপটির পর্যটনকে আরও উৎসাহিত করা। স্ট্রাকচারগুলোকে দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই করার জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কনস্ট্রাকশনের সময় কার্বনের ব্যবহার কমাতে পুনঃ বিকিরণযোগ্য শক্তির উৎস এবং প্যাসিভ কুলিং কৌশল ব্যবহার করা হয়েছে। পুরো কমপ্লেক্সটিতে আবাসন ছাড়াও এর নিজস্ব রেস্তোরাঁ ও ক্যাফে রয়েছে।
জেভ আর্কিটেক্টসের প্রধান স্থপতি নাদের খলিলি (জন্ম ১৯৩৬ সালে তেহরানে এবং ২০০৮ সালে লস অ্যাঞ্জেলসে মৃত্যুবরণ করেন) মূলত দুটি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে কাজ শুরু করেন। প্রথমত, এটির লক্ষ্যই ছিল নগর উন্নয়নের মাধ্যমে এলাকাটিতে থাকা স্থানীয় সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা আর সেই অনুপ্রেরণার একটি অংশ ছিল দ্বীপটির নিজস্ব ইতিহাস থেকে প্রাপ্ত। হরমুজের কৌশলগত অবস্থান এটিকে পারস্য উপসাগরের প্রণালিতে একটি ঐতিহাসিক বন্দর হিসেবে পরিচিতি দিয়েছে, যা মধ্যপ্রাচ্যের একটি উল্লেখযোগ্য বাণিজ্যিক অংশ নিয়ন্ত্রণ করে যার মধ্যে পেট্রোলিয়াম বাণিজ্য হলো সর্ববৃহৎ। অসাধারণ প্রাকৃতিক দৃশ্যের কারণে এই স্থানটি পর্যটকদের কাছে বিখ্যাত।
কিন্তু হরমুজের স্থানীয় বাসিন্দারা অর্থনৈতিকভাবে খুব একটা সচ্ছল নয় আর তাদের বসবাস প্রণালির কাছাকাছি হওয়ায় জীবিকার তাগিদে তারা নৌকা ব্যবহার করে অবৈধভাবে সারা বছর নানা রকম পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকে। জেভ আর্কিটেক্টস এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে এই গ্রামীণ সম্প্রদায়ের মানুষগুলোর পুনর্বাসনের দিকেও নজর দেন। এ ছাড়া আরও উদ্দেশ্য ছিল স্থানীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে দ্বীপের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়ন এবং দ্বীপের ক্ষতিগ্রস্ত ইকোসিস্টেম সম্পর্কে স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা ও এর পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করা। এসব লক্ষ্যের ওপর ভিত্তি করে মাজারা রেসিডেন্স হলো হরমুজ এলাকাটি উন্নয়নের যে উদ্যোগ, তার দ্বিতীয় পর্যায়। তাই এর অপর নাম ‘প্রেজেন্স ইন হরমুজ ২’।
স্থাপত্য
মাজারা রেসিডেন্সটি ২০০টি গম্বুজ নিয়ে গঠিত। যার মধ্যে কয়েকটি গম্বুজ নিজেদের মধ্যে পরস্পর সংযুক্ত। প্রকল্পটি মূল হরমুজ শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ছোট আকারের গম্বুজগুলো নানা রকম আকার ধারণ করে এবং বিভিন্ন উপায়ে সংযুক্ত হয়ে একগুচ্ছ কাঠামো তৈরি করে। এই ক্লাস্টারগুলোর মধ্যে বিভিন্ন পাবলিক ফাংশন যুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া আছে খোলা ও আলাদা ওয়াকওয়ে। প্রকল্পটির মোট আয়তন ১০ হাজার ৩০০ বর্গমিটার এর মধ্যে ৬ হাজার ৩০০ বর্গমিটার খোলা জায়গা এবং ৪ হাজার বর্গমিটার নির্মিত এলাকার অন্তর্ভুক্ত। গম্বুজগুলোতে অবসর যাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা রয়েছে। এতে ১৩০টি গম্বুজ এবং ১৭টি স্যুট রয়েছে, যা একই সময়ে সর্বোচ্চ ৮৫ জন অতিথিকে একত্রে সেবা দিতে পারে!
বাকি গম্বুজগুলোতে গ্যালারি, রেস্তোরাঁ, ক্যাফে, প্রার্থনা কক্ষ, স্যুভেনির শপ এবং পর্যটকদের জন্য ইনফো পয়েন্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ ফাংশনগুলো রাখা হয়েছে। এই গম্বুজগুলো মূলত সুপারডোব কৌশলের মাধ্যমে তৈরি। এটি এমন এক নির্মাণপ্রযুক্তি, যা বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে ইরানি-আমেরিকান স্থপতি নাদের খলিলি দ্বারা সর্বপ্রথম প্রবর্তিত হয়, তাঁর এই উদ্ভাবনের জন্য পরে তিনি আগা খান পুরস্কার লাভ করেন। এ কৌশলের মাধ্যমে মাটি ও বালু দিয়ে ভর্তি করা ব্যাগ শুধু লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে গম্বুজ এবং অন্যান্য কাঠামোগত ফর্মগুলো তৈরি করা হয়। পরে এর ওপর মাটির প্রলেপ ব্যবহার করে একটি কম্প্রেশন কাঠামোতে নিয়ে আসা হয়, যা পরিপূর্ণ গম্বুজাকৃতিতে রূপ লাভ করে।
মাজারা রেসিডেন্সটি তৈরির সময় জেভের ডিজাইন টিম বড় ব্যাসার্ধ ও স্বল্প উচ্চতাবিশিষ্ট গম্বুজ তৈরির জন্য সুপারডোব প্রক্রিয়াটিকে তাদের ডিজাইনের প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন করেছে। অর্থাৎ, আলাদা আলাদা আকারের গম্বুজের জন্য সুপারডোবের আলাদা পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার শুরুতেই টিমটি ৫০ জন স্থানীয় অদক্ষ শ্রমিককে নির্মাণ-সুবিধার জন্য আলাদা করে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
এই ধরনের কাঠামো দ্বীপের শুষ্ক জলবায়ুর জন্য উপযুক্ত কারণ এমন শুষ্ক জায়গার জন্য পৃথিবীতে একটি উচ্চ তাপীয় ভর সৃষ্টি হয়। এমন মরুময় একটি অঞ্চল শুষ্ক হয়, যখন সেখানে তীব্রভাবে পানির অভাব দেখা যায়, যা উদ্ভিদ ও প্রাণিজগতের বৃদ্ধি ও বিকাশকে বাধা দেয়। এ ধরনের শুষ্ক জলবায়ুসহ অঞ্চলগুলোতে গাছপালা ও কম হয়। এমন আবহাওয়া ও আশপাশের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে মাজারা রেসিডেন্সের বাণিজ্যিক লক্ষ্য ছিল ন্যূনতম বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করা। সে লক্ষ্যেই প্রকল্পটির বাজেট ছিল ৯০০ ইউএস ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ১ লাখ টাকার মতো। এর স্বল্প বাজেটের মধ্যকার সিংহভাগটুকুই ব্যয় হয়েছে পরিবহন আর আমদানি খাতে। ভবনগুলোর আকৃতি ও রঙের সঙ্গে হরমুজের প্রাকৃতিক রঙিন ল্যান্ডস্কেপ, পাহাড়ের অপার সৌন্দর্য, সাগরের বেলাভূমি ও এর টপোগ্রাফি মিলে এক অসাধারণ গল্পগাথাই যেন প্রতিধ্বনিত হয়।
মাজারার গম্বুজগুলো হলুদ, লাল, নীল ও সবুজ রঙে রঙিন এবং এর অভ্যন্তরীণ অংশগুলোও একই রঙের টোন দ্বারা চিহ্নিত করা হয়, যার সঙ্গে এর মধ্যকার বৈচিত্র্যগুলোর বাইরের রঙের সঙ্গে মেলবন্ধন তৈরি করে। এখানে ব্যবহৃত আসবাবগুলোও এই অঞ্চলের আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে স্থানীয়ভাবে নির্মিত, যা হরমুজের কারিগরদের দ্বারা একেকটি কাস্টম ডিজাইনের মিশ্রণ!
শুরু থেকে প্রকল্পটির লক্ষ্যই ছিল একটি নতুন ধরনের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তৈরি করা, যা দ্বীপটির সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং একই সঙ্গে সেখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশকেও প্রতিফলিত করবে। এ ছাড়া রয়েছে ইরান থেকে উপকরণ ও মানবসম্পদ ব্যবহার করে, নির্মাণ ও পরিবহন খরচ কমিয়ে দেশটির জিডিপি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখা। ভিন্নধর্মী স্থাপত্য, সংস্কৃতি সঙ্গে সাগর, মরু, পাহাড় তিনটির মিশেলে যদি অ্যাডভেঞ্চারে নামার ইচ্ছে হয়, ঘুরে আসতে পারেন মরুর বুকের রঙিন এ জলসা থেকে। মাজারা রেসিডেন্স আপনারই অপেক্ষায়, তো দেরি কিসের?
তাহিয়া তাবাসসুম
লেখক
প্রজেক্ট আর্কিটেক্ট
অ্যাটেলিয়ার রবিন আর্কিটেক্টস
ঃধযরধঃধনধংংঁসঃৎবহধ@মসধরষ.পড়স
প্রকাশকাল: বন্ধন ১৫৩ তম সংখ্যা, মে ২০২৩