বিদ্যুৎ ছাড়া আধুনিক বিশ্বের প্রতিটি মুহূর্তই অচল। বিদ্যুৎ ছাড়া একটি মুহূর্তও ভাবতে পারি না। সেই বিদ্যুতের উৎপাদন যে দেশে যত বেশি, সে দেশ উন্নয়নের সূচকেও তত এগিয়ে। বিদ্যুৎ বিভিন্নভাবে আমরা পেয়ে থাকি। তাপশক্তিকে রূপান্তর করে, রাসায়নিক শক্তিকে রূপান্তর করেও আমরা বিদ্যুৎ পাই। সবচেয়ে সহজ উৎপাদনপ্রক্রিয়া হলো জল¯্রােত। আজ এমনই এক জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কথা বলব, যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
থ্রি গর্জেস ড্যাম বা তিন গিরিসংকটের বাঁধ ও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র। পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম নদী চীনের ইয়াংৎসি। এ নদীকে সমুদ্রের সন্তানও বলা হয়। আমাজন ও নীল নদের পর এটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম এবং এশিয়ার সবচেয়ে বড় নদী। তিব্বতের তাংগুলা পর্বতমালা থেকে সৃষ্টি হয়ে বহু দেশ-প্রদেশ ঘুরে প্রায় ৬ হাজার ৩০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে চীন সাগরে মিলেছে। ইয়াংৎসি নদীতে বাঁধ দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে ‘থ্রি গর্জেস ড্যাম’।
ইয়াংৎসি নদীর রয়েছে ব্যাপক ভৌগোলিক বৈচিত্র্য। কোথাও উঁচু মালভূমি, কোথাও নি¤œভূমি দিয়েও প্রবাহিত। তবে মোট দৈর্ঘ্যরে তিন-চতুর্থাংশই পাহাড়ি অঞ্চল। কোথাও রয়েছে গভীর উপত্যকা, গিরিখাত ও গিরিসংকট। নদীর মাঝামাঝি অংশে আছে তিনটি গিরিসংকট কিউট্যাং, উ এবং শিলিং শিয়া। এই শিলিং গিরিসংকটেই নির্মাণ করা হয়েছে থ্রি গর্জেস ড্যাম। তিন গিরিসংকটে এই বাঁধ নির্মাণ করায় একে থ্রি গর্জেস ড্যাম বলা হয়।
এই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে সময় লেগেছে প্রায় ২০ বছর। ২০০৮ সালে বাঁধটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। এর উচ্চতা ১৮৫ মিটার। প্রস্থে প্রায় ২ হাজার ৩০৯ মিটার। বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা ২২ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। উৎপাদনক্ষমতার বিবেচনায়ও এই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। এর পরেই রয়েছে ব্রাজিলের ইতাইপু, যার উৎপাদন ক্ষমতা ১২ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ উৎপাদনে এ বাঁধের ব্যাপক গুরুত্ব থাকলেও বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য সমালোচনাও রয়েছে যথেষ্ট।
বাঁধ নির্মাণের আগের কথা
চীনে বাঁধ নির্মাণের গল্প অনেক পুরানো। খ্রিষ্টপূর্ব ৫৯৮ অব্দ থেকে বাঁধ নির্মাণ হয়ে আসছে। ইয়াংৎসি নদীতেও প্রথম বাঁধ নির্মাণ করা হয় খ্রিষ্টপূর্ব ৩৪৫ অব্দে। তবে আধুনিক বাঁধ নির্মাণের গল্প একেবারেই পুরোনো নয়। ১৯৪৯ সালে মাও সে তুং ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত চীনের বড় বাঁধের সংখ্যা ছিল মাত্র ২২টি। ১৯৪৯ সালের পর থেকে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য নির্মিত বাঁধের সংখ্যা বাড়তে থাকে। বর্তমানে চীনে মোট বাঁধের সংখ্যা প্রায় ৮৭ হাজার, যার মধ্যে ২৩ হাজার বাঁধই বড় বাঁধ।
১৯১৯ সালে প্রথম এই নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে বিদ্যুৎ নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়। তৎকালীন বিপ্লবী নেতা সান ইয়াৎ সেন এ প্রস্তাব করেন। পরে ১৯৪৪ সালে জরিপ শেষে আমেরিকার সঙ্গে বাঁধ নির্মাণের চুক্তি হয়। সে অনুযায়ী ৫০ জন চীনা প্রযুক্তিবিদকে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয় আমেরিকায়। ঠিক সে সময় চীনে দেখা দেয় অর্থনৈতিক মন্দা ও গৃহযুদ্ধ। সে কারণে ১৯৪৭ সালে এ প্রকল্প বাতিল করে চীনা সরকার। ১৯৫৩ সালে মাও সে তুং ক্ষমতায় আসার পর আবারও গতি পায় ইয়াংৎসি নদীর বাঁধ প্রকল্প। ১৯৫৪ সালের বন্যায় ৩০ হাজার মানুষ মারা গেলে এ বাঁধ নির্মাণে আরও জোরদার তৎপরতা শুরু করেন প্রেসিডেন্ট মাও সে তুং। থ্রি গর্জেস প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট নকশা ও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রস্তাবনা ওঠে ২৫০ মিটার উচ্চতার বাঁধ নির্মাণের। কিন্তু, বিদ্যুৎ শক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা লি রুই বাঁধটির বন্যা নিয়ন্ত্রণক্ষমতা সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করেন এবং তুলনামূলক কম উচ্চতার বাঁধ নির্মাণের প্রস্তাব দেন।
এরই মধ্যে বন্যা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে থ্রি গর্জেস ড্যামের বিপক্ষে আন্দোলন দানা বাঁধতে শুরু করে। আন্দোলন একপর্যায়ে মাও সে তুংয়ের ক্ষমতাচ্যুতের কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং মাও সে তুংও তাদের কঠোর হস্তে দমন করেন। ১৯৫৯ সালে বাঁধ নির্মাণের জন্য স্যানদুওপিং অঞ্চলকে উপযুক্ত স্থান হিসেবে নির্বাচন করা হয়। কিন্তু মাওয়ের গ্রেট লিপ ফরোয়ার্ড পরবর্তী দুর্ভিক্ষ ও সাংস্কৃতিক বিপ্লবের কারণে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।
আরও ২০ বছর পর ১৯৭৯ সালে চীনের ক্ষমতায় আসেন দেং শিয়াওপিং। তিনিও এ প্রকল্পে জোর সমর্থন দেন। ১৯৮২-৮৩ সালে নতুন জরিপে ১৭৫ মিটার উচ্চতার বাঁধ নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়, যার কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল ১৯৮৬ সালে। কিন্তু থ্রি গর্জেস প্রকল্প নিয়ে চীনের অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরিবেশগত বিপর্যয়ের কথা চিন্তা করে বিজ্ঞানী ও বিভিন্ন আন্দোলন কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরেই এ প্রকল্পের বিরোধিতা করে আসছিলেন। ফলে, দফায় দফায় জরিপ কাজ চলতে থাকে। ১৯৮৯ সালে বেইজিংয়ের তিয়েনআনমেন চত্বরে সরকারবিরোধী আন্দোলন তীব্র হতে থাকে।
অবশেষে ১৯৯৩ সালে থ্রি গর্জেস প্রকল্প নির্মাণ কমিটি এর প্রাথমিক নকশা অনুমোদন করে। এ নকশায় বাঁধের উচ্চতা রাখা হয় ১৮৫ মিটার, যাতে আবদ্ধ জলাধারের পানির উচ্চতা থাকবে ১৭৫ মিটার। এক বছর পর ১৯৯৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় বিশে^র সবচেয়ে বড় এই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প।
থ্রি গর্জেস ড্যামের সুবিধা
নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদন: থ্রি গর্জেস ড্যামের অন্যতম প্রধান সুবিধা হলো এর নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনের ক্ষমতা। ৩৪টি জেনারেটর এবং ২২ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ক্ষমতাসহ, বাঁধটি চীনের জলবিদ্যুৎ উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে। এটি জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর দেশের নির্ভরতা হ্রাস করে এবং একটি পরিচ্ছন্ন বিদ্যুৎশক্তি উৎপাদনে অবদান রাখে।
বন্যা নিয়ন্ত্রণ: ইয়াংৎসি নদীর তীরে বিধ্বংসী বন্যার ঝঁুঁকি কমাতে থ্রি গর্জেস ড্যাম একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে, বাঁধটি ভারী বৃষ্টিপাতের সময় অতিরিক্ত জল সঞ্চয় করতে পারে এবং নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে তা ছেড়েও দিতে পারে। নি¤œধারায় বন্যার সম্ভাবনা হ্রাস করে। এটি বন্যাপ্রবণ এলাকার বাসিন্দাদের রক্ষা করতে সাহায্য করে।
পানি সরবরাহ: ড্যাম দ্বারা সৃষ্ট জলাধারটি গার্হস্থ্য, শিল্প এবং কৃষিক্ষেত্রে মিঠা পানির একটি উল্লেখযোগ্য উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। শুষ্ক মৌসুমে স্থিতিশীল পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিশেষ করে পানির ঘাটতি রয়েছে এমন এলাকায় সঞ্চিত পানি ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে। এটি বিভিন্ন জল-নির্ভর কর্মকাÐকে সমর্থন করে শহর ও গ্রামীণ উভয় স¤প্রদায়কে উপকৃত করে।
কয়লা খরচ কমানো: থ্রি গর্জেস ড্যামের বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপর চীনের নির্ভরতা কমাতে সাহায্য করেছে। জলবিদ্যুৎ দিয়ে কয়লা প্রতিস্থাপন করে, বাঁধটি কম কার্বন নির্গমন এবং বায়ুর গুণমান উন্নত করতে অবদান রাখে।
গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস: বাঁধের অপারেশনের ফলে, উল্লেখযোগ্য পরিমাণে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন এড়ানো গেছে। জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জলবিদ্যুতের প্রতিস্থাপন জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে লড়াই করতে এই ড্যামের অবদান বর্তমানে সবচেয়ে বেশি।
উন্নত সেচ ও কৃষি: বাঁধের পানি কৃষি ও সেচব্যবস্থার জন্য একটি অন্যতম উৎস। থ্রি গর্জেস ড্যামের ফলে কৃষকেরা আরও নির্ভরযোগ্য পানির সরবরাহ পাচ্ছে, যা ফসলেরও উৎপাদন বাড়াতে ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে আর্থিকভাবে উন্নত হবে কৃষকেরা।
থ্রি গর্জেস ড্যামের ফলে কী কী সমস্যার আশঙ্কা থাকে?
পরিবেশগত প্রভাব: থ্রি গর্জেস ড্যাম নির্মাণের ফলে পরিবেশে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা সব সময়ের জন্যই থেকে যায়। বাঁধের ফলে উপরের নদীর তলদেশ এবং তিন গিরি জলাধারে পলি জমে প্রাকৃতিক পলি প্রবাহে বাঁধা সৃষ্টি করে। এটি নি¤œধারার বাস্তুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং নদীতীরের ক্ষয় ও জলজ প্রাণীর আবাসস্থলের অবক্ষয় ঘটাতে পারে।
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ক্ষতি: বাঁধের কারণে সৃষ্ট বন্যায় ইয়াংৎসি নদীর তীরে অসংখ্য ঐতিহাসিক স্থান এবং সাংস্কৃতিক নিদর্শন তলিয়ে গেছে। প্রাচীন নিদর্শন, প্রত্মতাত্তি¡ক স্থান এবং সাংস্কৃতিকভাবে উল্লেখযোগ্য এলাকা হারিয়ে গেছে, যা চীনের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সংরক্ষণকে প্রভাবিত করছে।
পরিবেশগত ফলাফল: বাঁধটি ইয়াংৎসি নদীর অনেক জলজ প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। জলপ্রবাহের পরিবর্তন, পলির ধরনে পরিবর্তন এবং বাসস্থান ধ্বংস ইয়াংৎসি নদীর ডলফিন এবং চীনা স্টার্জনসহ বেশ কয়েকটি প্রজাতিকে বিপন্ন করেছে। এই অঞ্চলের জীববৈচিত্র্যের ক্ষতির জন্য থ্রি গর্জেস জলবিদ্যুৎ প্রকল্প এবং ড্যাম অনেকাংশে দায়ী।
পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব নিয়ে সবচেয়ে সমালোচনা ও বিতর্কের মুখোমুখি হয়েছে থ্রি গর্জেস ড্যাম বা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। এই বাধের ফলে সৃষ্ট কৃত্রিম জলাধার দৈর্ঘ্যে প্রায় ৬৬০ কিলোমিটার ও প্রস্থে ১.১২ কিলোমিটার, যার পানি ধারণক্ষমতা ৩৯.৩ ঘনকিলোমিটার এবং ভর ৩৯ ট্রিলিয়ন। বিপুল ভরের এই পানি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৭৫ মিটার উচ্চতায় থাকার ফলে তার প্রভাব পড়ছে পৃথিবীর ঘূর্ণন গতিতে। নাসার গবেষকদের মতে, এতে পৃথিবীতে দিনের দৈর্ঘ্য প্রায় ০.০৬ মাইক্রোসেকেন্ড বেড়ে যাবে।
বন্যা নিয়ন্ত্রণ, এ বাঁধ নির্মাণের উল্লেখযোগ্য একটি কারণ। বাস্তবে বন্যা নিয়ন্ত্রণে কতটা কার্যকরী থ্রি গর্জেস ড্যাম সে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বহুবার। ২০২০ সালের জুন মাসে ইয়াংৎসি নদীর অববাহিকায় ৬০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে, ইয়াংৎসি ও এর শাখা নদীগুলো বন্যার কবলে পড়েছে। এতে অন্তত ২১৯ জন মানুষ মারা যায় বা নিখোঁজ হয়। ৬ কোটি ৩৪ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রায় ৫৪ হাজার বাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। অর্থনৈতিক ক্ষতি হয় ২৫.৭৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ১৯৯৩ সালে ধারণা করা হয়েছিল এই বিদ্যুৎ প্রকল্পটি চীনের ১০ শতাংশ বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করবে। পরিকল্পনা ও ধারণা ঠিকই ছিলো কিন্তু ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় তা মাত্র ১.৩ শতাংশ পূরণ হচ্ছে।
আশা স্বপ্ন আর প্রত্যাশা সব সময় সহজ সমীকরণে হয় না। থ্রি গর্জেস জলবিদ্যুৎ প্রকল্প বিশ্বের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প হলেও এর নানা দিক রয়েছে। পরিবর্তনশীল সময় আর মানুষের বহুমুখী চাহিদার কারণে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তিও একই অনুপাতে চলে না। তবুও এই বিদ্যুৎ প্রকল্প এশিয়ার জন্য অন্যতম এক গর্বের বিষয়। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চীন সরকার এর উন্নয়ন অব্যাহত রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
রিগ্যান ভূঁইয়া
ৎরমধহনযঁরুধহ৪৩২@মসধরষ.পড়স
প্রকাশকাল: বন্ধন ১৫৭ তম সংখ্যা, সেপ্টেম্বর ২০২৩