টানেল সড়ক নির্মাণ এবং টানেলের মাধ্যমে অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন উন্নত বিশ্বে শুরু হয়েছে অনেক আগে থেকেই। ইতিহাস থেকে জানা যায়, আদি যুগেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন পদ্ধতিতে এসব টানেল নির্মিত হয়েছে। ৪ হাজার বছর আগে মিসরীয় ও ব্যাবিলনীয়রা প্রথম টানেল নির্মাণ করেন বলে জানা গেছে! ইংল্যান্ডে ১৭৯৩ সালে ডার্বিশায়ারে প্রথম নদীর নিচ দিয়ে রেল টানেল নির্মিত হয়। এরপর ১৮৪৩ সালে টেমস নদীর নিচ দিয়ে প্রথম টানেল সড়ক নির্মিত হয়। এভাবে এখন সমগ্র বিশ্বে টানেল সড়ক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়ে চলেছে, যার ছোঁয়া লেগেছে বাংলাদেশেও। চীনের সহযোগিতায় উভয় সরকারের মধে্য জিটুজি পদ্ধতিতে দেশের প্রথম টানেল সড়ক প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই সুড়ঙ্গপথের মাধ্যমে চট্টগ্রাম মূল শহরের পাশে কর্ণফুলী ও আনোয়ারা থানায় চীনের সাংহাই বা লন্ডন বা প্যারিস নগরীর মতো চট্টগ্রামেও একটি টুইন সিটির জন্ম হবে। এতে চট্টগ্রাম মহানগরীর আয়তন ও উন্নয়নের পরিধি আরও অনেক বৃদ্ধি পাবে।
ইংল্যান্ডের টেমস নদীর নিচ দিয়ে টানেল সড়ক নির্মাণের প্রায় দেড় শ বছর পরে ১৯৮৫ সালে ভূগর্ভস্থ টানেল সড়ক এবং লন্ডনের পাতাল (মেট্রো) রেল ভ্রমণের সুযোগ হয়। বাংলাদেশেও টানেল টেকনোলজিতে সুড়ঙ্গপথ নির্মাণ শুরু হয়েছে। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর নিচ দিয়ে বর্তমানে দেশের প্রথম টানেল সড়ক নির্মিত হচ্ছে এবং অচিরেই ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর নিচ দিয়ে পাতাল রেল নির্মাণের পরিকল্পনাসহ দেশের অন্যান্য শহর/নগর এলাকায়ও আন্ডারগ্রাউন্ড ইউটিলিটি লাইনে বা ট্রেঞ্চলেস আকারে বিদ্যুৎ, টেলিফোন, গ্যাস, ইন্টারনেট ইত্যাদি সেবা-সুবিধা সরবরাহের কথাবার্তা ও পরিকল্পনা হচ্ছে।
এই টানেল সড়ক ও পাতাল রেলের নামও একেক স্থানে একেক রকম, যেমন কোথাও আন্ডারপাস, কোথাও আন্ডারগ্রাউন্ড বা সাবওয়ে, কোথাও মেট্রো, আবার কোথাও টিউব। অবশ্য পৃথিবীর প্রথম এই টেকনোলজির উদ্ভাবন হয় পাহাড়-জঙ্গলের ভেতর দিয়ে বা দুর্গম পথে মিলিটারিদের গোপন সুড়ঙ্গপথ তৈরিতে পাহাড় কেটে, ড্রিলিং বা বোমা বিস্ফোরণ ইত্যাদির মাধ্যমে। পরে প্রায় একই পদ্ধতিতে খনিজ সম্পদ আহরণে এটি ব্যবহার হতো। যখন মিনারেল এক্সপ্লোরেশন টেকনোলজি উদ্ভাবিত হয় তখন এই টানেল টেকনোলজির সহায়তায় বিশেষ করে উন্নত ও উন্নয়নশীল বিশ্বে নগরীর প্রধান যোগাযোগব্যবস্থাই গড়ে উঠেছে।
এত দিন বাংলাদেশে মাটির নিচ দিয়ে টানেল সড়ক বা পাতাল রেল নির্মাণ ছিল স্বপ্নের মতো। আশি-নব্বইয়ের দশকেও দেশ-বিদেশের অনেক বিশেষজ্ঞই বলতেন, বাংলাদেশের মাটির নিচ দিয়ে টানেলিং করা উপযুক্ত নয়!! কারণ, মাটি নরম এবং এতে টানেলিং করা সম্ভব নয়। কিন্তু এখন তা ভুল প্রমাণিত। আমরা যদি আশি-নব্বইয়ের দশক থেকে টানেল টেকনোলজি শুরু করতে পারতাম, তাহলে এত দিন দেশ আরও এগিয়ে যেত!! ইতিমধে্য দেশের অনেক খাল-নদীর ওপর অপরিকল্পিতভাবে ব্রিজ-সেতু নির্মাণ করে ওইসব নদীর নাব্যতা সংকটের সৃষ্টি করা হয়েছে। এ রকম কয়েক শত ব্রিজ-সেতু এখন ভেঙে ফেলার অপেক্ষায় আছে।
‘বঙ্গবন্ধু টানেল’ দেশের প্রথম সুড়ঙ্গপথ। এই টানেল রুটটির মোট দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার এবং উভয় প্রান্তে অ্যাপ্রোচ রোড ও ওভারব্রিজসহ এর মোট দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৪৭ কিলোমিটার। এর একপাশে পতেঙ্গা আর অপর প্রান্তে আনোয়ারা ও কর্ণফুলী থানা। দুটি টিউবে (প্রতিটি ৩৫ ফুট প্রশস্থ ও ১৬ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট) চার লেনের এই টানেল সড়কটি কর্ণফুলী নদীর ১৫০ ফুট গভীরতায় নির্মিত হচ্ছে। দুটি টিউব/সুড়ঙ্গের মধ্যে তিনটি সংযোগপথ বা ক্রস প্যাসেজের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে টানেলের অভ্যন্তরে যেকোনো দুর্ঘটনা বা আপদ-বিপদে যাত্রীদের উদ্ধার করা যায়। বাস্তবে টানেলে এই ক্রস প্যাসেজের কাজটি একটি খুবই জটিল বিষয়, যা খুব সাবধানতার মাধ্যমে (ফ্রিজিং প্রসেসে) সম্পাদন করতে হয়।
চীন সরকারের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভেব’ (বিআরআই) কর্মসূচির আওতায় ও আর্থিক ঋণে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২০১৬ সালের অক্টোবরে চীনের রাষ্ট্রপতি সি চিন পিং বাংলাদেশ সফরকালে এর ঋণচুক্তি স্বাক্ষর এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। ২০১৮ সালে চীনা এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে এর ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এরপর ২০১৯ সালের ফেব্রæয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রকল্পটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। চীন সরকারের নিয়োজিত চায়না কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি (ঈঈঈঈ) লি. প্রকল্পটির বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮,৪৪৬.৬৪ কোটি টাকা, যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০,৩৭৪.৪২ কোটি। তবে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ও আনুষঙ্গিক কাজের ব্যয় নির্বাহে প্রকল্পটির ব্যয় আরও বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে এই প্রকল্পটির কাজের অগ্রগতি প্রায় ৯০%।
২০১৯ সালের ফেব্রæয়ারি কাজ শুরু হলেও করোনা, চীনের এক্সিম ব্যাংক থেকে অর্থছাড় এবং প্রকল্পটির ভারী যন্ত্রপাতি ও মালামাল আমদানিতে বিভিন্ন সমস্যা (যেমন ভূমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ পরিশোধ), কারণে কাজের গতি কিছুটা মন্থর হয়ে যায়। এরপর বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা শেষে পূর্ণোদ্যমে কাজ শুরু হয়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে টানেল সড়কটি চালু করার কথা থাকলেও তা শেষ হয়নি বরং সমাপ্ত হয়েছে পূর্তকাজ। এই টানেলের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর এবং পতেঙ্গা-আনোয়ারার সঙ্গে সংযোগের পাশাপাশি বে-টার্মিনাল, মিরেরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল, চট্টগ্রাম (ঈটঋখ) ও কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানিজ, চায়না ও কোরিয়ান ইপিজেডসহ দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার/মাতারবাড়ীর সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থা সহজতর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, চীনে ডিজাইনকৃত ও চীন সরকার কর্তৃক নির্ধারিত দেশটির একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই প্রকল্পটির মূল ঠিকাদার হলেও এর নকশা, নির্মাণশৈলী ইত্যাদি পরীক্ষা-নিরীক্ষা (রিভিউ) করা ও প্রকল্পটির সুপারভিশনের জন্য কারিগরি উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োজিত আছে- ঝঅইঞ ওহঃবৎহধঃরড়হধষ চৎরাধঃব খঃফ, অঁংঃৎধষরধ এবং ছটডও উবহসধৎশ রহ ধংংড়পরধঃরড়হ রিঃয ঙইঅণ জট ও চধৎঃহবৎং উবহসধৎশ খঃফ, অঈ ঈড়হংঁষঃধহঃ খঃফ ও ঝঃৎধঃবমু ঈড়হংঁষঃধহঃ খঃফ ড়ভ ইধহমষধফবংয, যাতে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা মতো। প্রসঙ্গত, আমাদের দেশেও এখন এসব কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন টানেল এক্সপার্ট আছে এবং তাদেরকে এই প্রকল্পের কাজে লাগানো হলে আরও কম ব্যয়ে এই কাজটি করা যেত!
এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে সরকারের সেতু বিভাগের আওতায়। যেহেতু টানেলিং পদ্ধতিতে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং অচিরে এ ধরনের আরও অনেক অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের জন্য সরকার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তাই এমআরটি, বিআরটি, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের মতো অত্র কাজের বাস্তবায়ন, পরিচালনা ও ভবিষ্যতের জন্য প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা অর্জনের স্বার্থে উচিত ছিল এই প্রকল্পটির বাস্তবায়নের শুরুতে একটি টানেলিং অথরিটি গঠন ও প্রতিষ্ঠা করার। যার মাধ্যমে টেকনোলজি ট্রান্সফার হয়ে ভবিষ্যতে অনুরূপ প্রকল্পগুলোর নকশা প্রণয়ন, সমন্বয় সাধন, বাস্তবায়ন, তদারকি ও মনিটরিংয়ের কাজে অভিজ্ঞতা অর্জনে সুবিধা হতো। তা ছাড়া টানেলিং ইঞ্জিনিয়ারিং হলো একটি আন্তবিষয়ক ক্ষেত্র, যার সঙ্গে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, জিওলজিক্যাল ও মিনারেল ইঞ্জিনিয়ারস, ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারস, জিওফিজিকসদের সম্পৃক্ততা রয়েছে।
উল্লেখ্য, বিশ্বের প্রায় দেশেই রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় টানেলিং অথরিটি আছে। এর মাধ্যমে সেসব দেশে অনেক বড় বড় নদী ও সমুদ্রের অববাহিকায় পরিকল্পিতভাবে লম্বা লম্বা অনেক টানেল নির্মিত হয়েছে। কয়েক বছর আগে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের মধ্যে ৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে নির্মিত হয়েছে চ্যানেল টানেল। এ ছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে অনেক লম্বা লম্বা টানেল রয়েছে, যেমন ইউরোপের সুইজারল্যান্ড-ইতালিজুড়ে ৫৭ কি.মি. গট্হার্ড বেস টানেল, নরওয়েতে ২৪.৫ কি.মি. লায়েরডাল টানেল, জাপানে ১৪ কি.মি. টোকিও বে-একুয়া লাইন টানেল, আমেরিকার কলোরাডোতে ২.৭২ কি.মি. এইসেনহাওয়ার টানেল, চীনের হেনান প্রদেশে ১.২ কি.মি. গাওলিয়াং টানেল, মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে ৯.৭ কি.মি. স্মার্ট টানেল ইত্যাদি।
কিন্তু বাংলাদেশে টানেলিং পদ্ধতিতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন শুরু হলেও এর জন্য কোনো টানেলিং কর্তৃপক্ষ না থাকা এবং সমন্বয়ের অভাবে এই প্রকল্প থেকে কাক্স্ক্ষিত সফলতা আসবে কি না, তা একটি বড় প্রশ্ন? কারণ এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে অনেক ধরনের পুরকৌশল ও ইলেট্রো-মেকানিক্যাল কাজ। এর মধ্যে টানেলের ভেতরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস, সর্বক্ষণ বিদ্যুতের ব্যবস্থা, অগ্নিপ্রতিরোধক ব্যবস্থা, পাম্প স্থাপন, ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তা ছাড়া সংবাদে প্রকাশ, কর্ণফুলী টানেলের আশপাশে নির্মাণাধীন অপরাপর দপ্তরের সড়ক, রিং রোড, রাউন্ড অ্যাবাউট, ইউলুপ, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও অন্যান্য অবকাঠামোগত কার্যক্রমের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব প্রতীয়মান (২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ দৈনিক প্রথম আলো)! যা নিয়ে এখন পরস্পরের মধ্যে দোষারোপের খেলা চলছে!!
এই অবস্থায় এখন কথা হচ্ছে, সরকারের আগ্রহ থাকলেও ভবিষ্যতে দেশে টানেল টেকনোলজির বিস্তার যথাযথভাবে ঘটবে কি না? যেমন কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পের চীনা ঠিকাদার এই প্রকল্পের অনেক কমপোনেন্টসের কাজ চীনে তৈরি করে তা জাহাজযোগে দেশে এনে স্থাপন করেছে ও করছে। চীনের জিয়াংশু প্রদেশের জেং জিয়াং শহরে এসব টানেল সেগম্যান্টস সেখানকার কাস্টিং প্ল্যান্টে তৈরি করে তা সমুদ্রপথে পরিবহন করে এনে এখানে সংযোজন করা হয়েছে। একইভাবে আমরা ইতিপূর্বে দেখেছি, আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কাজ (যেমন পদ্মা ব্রিজের) চীনে তৈরি করে তা এখানে এনে স্থাপন ও সংযোজন করা হয়েছে। এতে স্বাভাবিকভাবে শঙ্কা জাগে, দেশে এসব কাজের টেকনোলজি ট্রান্সফার ও দক্ষতা নিয়ে!! অথচ বর্তমানে দেশে এসব কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
একইভাবে এসব কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ ও উদ্বোধন শেষে এর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও দেওয়া হচ্ছে চীনসহ অন্যান্য দেশের কিছু কোম্পানিকে। যেভাবে ইতিমধ্যে পদ্মা ব্রিজসহ আরও কিছু টোল রোডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিদেশি কোম্পানিগুলোকে! শোনা যাচ্ছে, কর্ণফুলী টানেলের রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ে অপারেটর হিসেবে চীনের একটি কোম্পানিকে নাকি দায়িত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে!! যদি এভাবে বিদেশিদের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষে তাদেরই রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে দেশীয় লোকজন কীভাবে প্রশিক্ষিত হবে বা টেকনোলজি ট্রান্সফার হবে?
ইতিমধ্যে সরকারের তরফ থেকে এই ঘোষণাও এসেছে যে ভবিষ্যতে দেশের যেকোনো নদীতে আর ব্রিজ নির্মাণ না করে, সেখানে টানেলিং (টিবিএম) পদ্ধতিতে সুড়ঙ্গপথ নির্মাণ করা হবে। এ জন্য অবশ্যই এখন থেকে সে ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা প্রয়োজন। তা ছাড়া বিশ্বব্যাপী এখন চতুর্থ বিপ্লব চলছে। কাজেই সংশ্লিষ্ট কাজের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে দেশে একটি টানেলিং অথরিটি গঠন ও প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন, যার মাধ্যমে দেশের প্রকৌশলী ও কারিগরেরা নিজেদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে পারেন।
প্রকৌশলী মো. এমদাদুল ইসলাম
লেখক
সাবেক প্রধান প্রকৌশলী, রাজউক
প্রকাশকাল: বন্ধন ১৫০ তম সংখ্যা, ফেব্রুয়ারি ২০২৩