নিজের বাড়ি নিজের মতো সাজিয়ে নিতে কে না ভালোবাসে? আর তা যদি হয় নারীর হেঁশেল, যেখানে গৃহিণীদের পদচারণ থেকে হরেক রকম রান্নার যে আয়োজনকেন্দ্র, অন্য সব জায়গার মতো সে পরিসরটিও সাজানোর ইচ্ছাই তাঁরা ধারণ করেন। কিন্তু কাজের সময় ঠিকভাবে আইডিয়াগুলোকে গুছিয়ে উঠতে না পারা, বাজেট ও অন্য নানা সমস্যা বেরিয়ে আসে। ইন্টেরিয়রের উদ্দেশ্য শুধু স্পেস বা জায়গার সৌন্দর্যবর্ধনই নয়, বরং সেই জায়গাকে আরও কাজের উপযোগী করে তোলা। ঘর সাজানোর এমনই বাহারি আইডিয়াগুলোকে ঢেলে সাজাতে মনের প্রস্তুতি থেকে অল্প বাজেট সব নিয়েই আজকের বিস্তারিত লেখা। ঘরোয়া উপায়ে সাজসজ্জা, রান্নার মতো সহজ করে তুলে ধরছেন স্থপতি তাহিয়া তাবাসসুম তৃণা
ডিজাইনের আগে পরিকল্পনা
যেকোনো ধরনের রান্নাঘর কীভাবে ব্যবহার করবেন এবং তার পরিসর ছোট হলে কীভাবে ঢেলে সাজাবেন, তার জন্য শুরুতেই সঠিক পরিকল্পনার প্রয়োজন। কাজের সময় সিঙ্ক, ফ্রিজ ও ওভেনজুড়ে ত্রিভুজাকার স্পেস ম্যানেজমেন্ট প্রতিটি রান্নাঘরের একরকম সাধারণ ব্যবহার। এ ছাড়া আপনার রান্নাঘরের মেঝের জায়গাটির যথোপযুক্ত ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত উপায় ছাড়াও উপকরণগুলো এমন হওয়া উচিত, যা প্রতিদিনের কাজের ফাঁকে সহজেই পরিষ্কার করা যায়। একটি ভালো রান্নাঘরের পরিকল্পনা এ জন্যই জরুরি, যেন এটা কাজের অসুবিধাগুলো দূর করার পাশাপাশি জীবনকে আরও সহজ করে।
শৈলী নির্বাচন
জায়গাস্বল্পতার কারণে আপনার স্বপ্নের রান্নাঘরের লে-আউটে আপস করার প্রয়োজন নেই। এখন রান্নাঘরও মূল বাড়ির সৌন্দর্যের অংশ হিসেবে নানা অনুষঙ্গ আর আইডিয়ার ছড়াছড়ি, শুধু আপনার জন্য সেখান থেকে প্রয়োজন বুঝে একটা বাছাই করে নেওয়া। যদি মাঝারি থেকে বড় পরিসরের রান্নাঘর হয়, তবে সেখানে চলাচলে সীমাবদ্ধতা এড়াতে আপনি একটি আইল্যান্ড কিচেন বা ঘরের পাশেই এক কোনায় ছোট্ট একটি ব্রেকফাস্ট টেবিল স্থাপন করতে পারেন মূল ডাইনিং স্পেসের বাইরে। চেয়ার ও টুলগুলো রান্নাঘরের আইল্যান্ডের নিচের দিকে স্টোর করা যেতে পারে, যেন প্রয়োজনমতো ব্যবহার করা যায়। পাশাপাশি ওয়ার্কটপ স্টোরেজের জন্যও জায়গাটিকে আলাদাভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
গ্যালারি স্টাইল রান্নাঘর
ডিজাইনার স্টাইল রান্নাঘর কার না পছন্দ? ম্যাগাজিন বা পত্রিকার পাতায় ঝা-চকচকে রান্নাঘর দেখে নিশ্চয়ই আপনারও এমন এক কিচেন সাজানোর ইচ্ছা হয়েছে। কিন্তু কিচেন যদি হয় লম্বায় বড় আর আয়তনে ছোট এই ধরনের কিচেনের জন্য ওয়াল ও বেস ক্যাবিনেট হতে পারে সবচেয়ে পছন্দসই। একে তো ছোট জায়গায় স্টোরেজের সমস্যা মিটবে সঙ্গে সাধারণ কাজগুলোর জন্য সাধ্যের মধ্যে আলাদা পরিসরও তৈরি করা যাবে। এই ধরনের বেস ক্যাবিনেটের মধ্যেই বিভিন্ন বেসিক কিচেন সার্ভিস যেমন গ্যাস, পানি, বিদ্যুতের লাইনগুলো বসানো হয়। ছোট কিচেনের জায়গাস্বল্পতার মধ্যে কাজের ক্ষেত্রের এমন সাধারণ পদক্ষেপগুলো ত্রিভুজ আকারের সার্কুলার ভিত্তিতে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। ছোট রান্নাঘরে কাজের ক্ষেত্রে অসুবিধা মনে হলেও এমন গোছানো কিছু পদক্ষেপ গৃহিণীদের কাজের ঝামেলা অনেকটাই দূর করবে।
রং নির্বাচন
পর্যাপ্ত আলোক ব্যবস্থায় একটি ছোট জায়গাকেও দেখতে বড় মনে হতে পারে। শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও পর্যাপ্ত আলো কোনো জায়গাকে শুধু উজ্জ্বলই করে না, একরকম দৃষ্টিবিভ্রম তৈরি করতে পারে। তাই সাদা রং যেকোনো ছোট স্পেসের জন্য হতে পারে একটি উপযুক্ত বিকল্প। ঘরের দেয়াল ও ক্যাবিনেটের রং সাদা হলে ঘর যেমন উজ্জ্বল দেখাবে, তেমন আলোর প্রতিফলনে ঘর আরও বড় মনে হবে। শুধু সাদা ব্যবহার করতে না চাইলে যেকোনো হালকা রং বেছে নিন। এ ছাড়া ব্যাক¯ø্যাশ, কাউন্টারটপ, দেয়াল এবং মিলওয়ার্কগুলোতে হালকা রং নিয়ে কাজ করা যেতে পারে। রান্নাঘরের সরঞ্জামগুলো ও আসবাবেরও একই প্রভাব তৈরি করে। আপনি চপিং বোর্ড, পাত্র, প্যান, প্লেট ও কাপ হালকা রঙের শেডগুলোতে রাখতে পারেন।
প্রিপারেশন স্পেস
এই প্রিপারেশন স্পেস টার্মটার সঙ্গে বোধ হয় আমরা পরিচিত নই কিন্তু হরহামেশাই প্রতিদিনের কাজে এমন স্বতন্ত্র পরিসর কাজের ঝামেলা অনেকটাই কমাতে পারে। ইন্টেরিয়রের মানে শুধু সৌন্দর্য, আলো, আসবাব আর রঙের মিশেল নয়, বরং রান্নার জন্য আরও স্বতন্ত্র পরিসর তৈরি করাই এর উদ্দেশ্য। ফরাসি ভাষায় ‘মিস এন স্পেস’ বলে একটা টার্ম আছে, যা রান্নার আগে উপাদানগুলোর প্রস্তুতিকে বোঝায়। এতে শাকসবজি কাটা, মসলা পরিমাপ করা এবং মাংস প্রস্তুত করার মতো কাজগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। রান্না শুরুর আগে সব উপাদান প্রস্তুত এবং সংগঠিত করা আপনার প্রয়োজনীয় সময় বাঁচাতে এবং রান্নাঘরের বাড়তি চাপ কমাতে সাহায্য করবে। এই জায়গাতে কাটা-বাছার সরঞ্জাম, বেøন্ডারের মতো জিনিসগুলো রাখতে পারেন। এ ছাড়া প্রতিবার কাজের পর জায়গা পরিষ্কার থাকলে রান্নাঘরের যতেœ বাড়তি ভাবনা আপনাকে ভোগাবে না।
ডিশওয়াশার ইনস্টল করুন
আমাদের দেশে ফ্রিজ যতটা প্রয়োজনীয় কিচেন ইনস্টলেশন হিসেবে সুপরিচিত ডিশওয়াশার অতটা জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারেনি। কিন্তু ডিশওয়াশার নামক এই যন্ত্রটিই আপনার কাজকে আরও সহজ করার পাশাপাশি সময়ও বাঁচাবে। রোজগার নাগরিক জীবনে আর কর্মব্যস্ত জীবনের রোজগার ঝামেলা এড়াতে গৃহিণী থেকে কর্মজীবী নারীদের অসামান্য হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে এটি। আপনার ডিজাইনারের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। আপনার রান্নাঘরে থাকা সিঙ্কের পাশে যদি কিচেন ক্যাবিনেট থাকে, তবে সেটি সরিয়ে একটি ডিশ ওয়াশারের জায়গা বরাদ্দ করুন। পোর্টেবল ডিশওয়াশারও বাজারে পাওয়া যায়। যেকোনো পোর্টেবল ডিশওয়াশার দিয়েই নাহয় এ যাত্রা শুরু করুন!
কিচেন আইল্যান্ড তৈরি করুন
আপনার রান্নাঘরটি যদি মাঝামাঝি আকারের বা খোলা হতো সে ক্ষেত্রে একটি কিচেন আইল্যান্ড স্থাপন করা সৌন্দর্যবৃদ্ধির পাশাপাশি নানা রকম সুবিধা দেবে। খাবার পরিবেশনের পাশাপাশি তাক, ক্যাবিনেট বা ড্রয়ার যোগ করে বাড়তি স্টোরেজের পাশাপাশি কিছু শোপিস আপনার রান্নাঘরে নতুন মাত্রা যোগ করবে। এ ছাড়া এটি একটি ছোট কুকিং স্টেশন হিসেবেও ডিজাইন করা যেতে পারে। যেমন, কফি মেশিন, স্যান্ডউইচ মেকার, টোস্টার রাখতে পারেন, যেন বাড়ির সদস্যরা নিজের মতো সেবাগুলো নিতে পারেন। আইস মেশিন, মিনি ফ্রিজ বা আলাদা করে সাউন্ড সিস্টেম ইনস্টল করার একটি পারফেক্ট জায়গা হতে পারে এই কিচেন আইল্যান্ড। আপনার রান্নাঘর সাজানোর আইডিয়ার চেকলিস্টে এটিকে রাখতে ভুলবেন না।
রং নিয়ে খেলা
রঙের সঙ্গে খেলা রান্নাঘরের ডিজাইনে ব্যক্তিত্ব এবং আপনার রুচি সম্পর্কে ধারণা যোগ করার একটি দুর্দান্ত মাধ্যম হতে পারে। রান্নাঘরে রং নির্বাচন করার জন্য এখানে কিছু সৃজনশীল ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। রান্নাঘরের ক্যাবিনেটের জন্য গাঢ় এবং উজ্জ্বল রং ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করতে পারেন। এমন রং বেছে নিন, যা আপনার বিদ্যমান সজ্জার পরিপূরক বা কন্ট্রাস্ট হিসেবে বিপরীত রঙের সঙ্গে মানানসই। উদাহরণস্বরূপ থাকতে পারে নেভি বøু, পান্না বা টকটকে হলুদ। এ ক্ষেত্রে দেয়ালের রং সাদা রাখতে পারেন। এ রংগুলো আপনার রান্নাঘরের নকশায় অন্য রকম নাটকীয়তা যোগ করতে পারে।
একটি প্রাণবন্ত আর নজরকাড়া ফোকাল পয়েন্ট তৈরি করার জন্য আপনার রান্নাঘরে একটি রঙিন ব্যাকস্পø্যাশ ব্যবহার করতে পারেন। ডিজাইনের ক্ষেত্রে আলাদা ম্যাটেরিয়াল এবং টেক্সচার যোগ করার জন্য বিভিন্ন রং এবং প্যাটার্নের টাইলস নির্বাচন করুন, যা নজর কাড়ার পাশাপাশি খুব সহজে রান্নাঘর পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করবে। এ ছাড়া উজ্জ্বল রঙের রেফ্রিজারেটর, ডিশওয়াশার বা অন্য কোনো নজরকাড়া অ্যাপ্লায়েন্সেস যোগ করে আপনার রান্নাঘরের রঙের পপ আপ করে দেখুন। এটি যে কারও মনোযোগ আকর্ষণ করবে ও আপনার বাড়িতে আসা অতিথিদের মুগ্ধ করবে। রান্নাঘরের সৌন্দর্যকে আরেক দফা যোগ করতে কোনো একটি ওয়াল বা অংশে গাঢ় রং বা প্যাটার্নের দেয়াল রাখুন। এটি পুরো রান্নাঘরে নতুন মাত্রা দেওয়ার পাশাপাশি অল্প খরচে রান্নাঘরের ডেকোরেশনের একটি দুর্দান্ত আইডিয়া হিসেবে সবার প্রশংসা যোগ করবেই করবে।
থালাবাসন, তোয়ালে এবং এমনকি ছোট যন্ত্রপাতির মতো রঙিন জিনিসপত্রের সঙ্গে রঙের পপ যোগ করুন। এটি আপনার রান্নাঘরের ডিজাইনে রং যোগ করার একটি সহজ এবং সাশ্রয়ী উপায়। আপনার রান্নাঘরে রং অন্তর্ভুক্ত করার সময়, একে অপরের পরিপূরক এবং একটি সুসংহত চেহারা তৈরি করে এমন রংগুলো বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। আপনার রং পছন্দগুলো একসঙ্গে ভালোভাবে কাজ করে এবং পছন্দসই প্রভাব তৈরি করে তা নিশ্চিত করতে একজন পেশাদার ডিজাইনারের সঙ্গে কাজ করার কথা বিবেচনা করুন।
ডবল ব্যাঙ্ক ক্যাবিনেটের ব্যবহার
আপনার রান্নাঘরে ডবল ব্যাঙ্ক ওয়াল ক্যাবিনেট যোগ করা স্টোরেজ স্পেস সর্বাধিক করার এবং আরও কার্যকরী ও দক্ষ রান্নাঘরের নকশা তৈরি করার একটি অনন্য উপায়। জায়গাস্বল্পতা না থাকলে বা অল্প জায়গায় সবচেয়ে কার্যকরী ডিজাইন ব্যবহারের কিছু টিপস দিচ্ছি। ডবল ব্যাঙ্ক ওয়াল ক্যাবিনেট যোগ করার আগে ক্যাবিনেটগুলো সঠিকভাবে ফিট হবে তা নিশ্চিত করার জন্য স্থানটিকে শুরুতেই ভালোভাবে পরিমাপ করা জরুরি। আপনার বাড়ির সিলিংয়ের উচ্চতা, বিদ্যমান ক্যাবিনেট এবং রান্নাঘরে থাকা যন্ত্রপাতি স্থাপন এবং জানালা বা দরজার মতো ছোট ছোট ব্যাপারগুলো মাথায় রাখুন। রান্নাঘরের নকশার জন্য সঠিক আকার এবং ডিজাইনের ক্যাবিনেট বাছুন। এই ক্যাবিনেটগুলো আপনার ডিজাইনের সঙ্গে মেলে কি না তা নিশ্চিত করতে রং, ফিনিস এবং হার্ডওয়্যারের মতো বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখতে পারেন। এ ছাড়া ওয়াল ক্যাবিনেটের বিন্যাস এমনভাবে পরিকল্পনা করুন, যাতে সেগুলো সমানভাবে ফাঁকা থাকে এবং রান্নাঘরে আপনার চলাচলের জন্য যথেষ্ট জায়গা বরাদ্দ থাকে।
ক্যাবিনেটের সঙ্গে একটি ফোকাল পয়েন্ট তৈরি করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে কিচেন হুড বা ব্যাকস্পø্যাশের কথা। রান্নাঘরে ডবল ব্যাঙ্ক ওয়াল ক্যাবিনেট যোগ করার সময় আলো প্রবেশের দিকটি মাথায় রাখুন। আলোর স্বল্পতা থাকলে বা আরও ড্রামাটিক ও উষ্ণ অভ্যর্থনার পরিবেশ তৈরি করতে আন্ডার-ক্যাবিনেট ডিজাইন করার সময় আলাদা করে লাইটিং যোগ করতে পারেন। ডবল ব্যাঙ্ক ওয়াল ক্যাবিনেটগুলো নিরাপদে এবং দক্ষতার সঙ্গে ইনস্টল করা হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করতে একজন পেশাদার ইনস্টলারের সাহায্য নিন। তিনি এটি নিশ্চিত করবেন যে ক্যাবিনেটগুলো একই সঙ্গে সুরক্ষিত এবং সঠিকভাবে সারিবদ্ধ।
বেছে নিন হালকা আসবাব
হাই-ব্যাক চেয়ার আইল্যান্ডের পাশে স্থাপন করলে তা অনেক জায়গা দখল করে। রান্নাঘরের জায়গা বাঁচাতে দেয়ালে বা টেবিলের নিচে ঠেলে দেওয়া যায় এমন হালকা ডিজাইনের চেয়ার যোগ করে বসার জায়গার সর্বাধিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারেন।
একটি কাচের দরজা যোগ করুন
রান্নাঘর ছোট হলে বাড়তি জায়গার অনুভূতি যোগ করতে চাইলে একটি কাচের দরজা ব্যবহার করুন। এটি রান্নাঘর থেকে বসার ঘরকে আলাদা করার পাশাপাশি ঘরকে দেখতে আরও বড় লাগে। কারণ কাচের দেয়াল বা দরজা একরকম বিভ্রান্তি তৈরি করে, যার ফলে এমন মনে হয়। এ ছাড়া কোনো দেয়ালে আয়না ঝুলিয়েও আপনি একই রকম অনুভূতি পেতে পারেন।
রান্নাঘরে ছোট গাছ রাখুন
এত এত আসবাব, সরঞ্জামাদির ভিড়ে গাছের কথা ভুলে গেলে চলবে না। ঘরের কোণের এক টুকরো সবুজ কাজের ফাঁকে আপনার প্রশান্তির খোরাক হবে। ছোট টবে বা যেখানে রান্না হবে না, এমন জায়গার জানালার পাশে গাছ ঝুলিয়ে দিন। এ ছাড়া কিচেন বারান্দা, ক্যাবিনেটের ওপর গাছ রাখতে পারেন। এই ছোট এক টুকরো বারান্দায় আপনার সময় আর ক্লান্তি কাটবে নিমেষেই!
সবশেষে বলতে চাই, সৃজনশীল চিন্তার কোনো পরিসীমা নেই। তার ওপর মনের মতো নিজের বাড়ি গুছিয়ে নেওয়ার প্রশান্তিতে অনেকেই ঘুরপাক খান নানা চিন্তায়। চিন্তার প্রশমনে কিছুটা সাহায্য করাই ছিল আজকের লেখার লক্ষ্য। প্রয়োজনে কোনো দক্ষ ডিজাইনারের সাহায্য নিতে দ্বিধা করবেন না। আর কী চাই, এবার কাজে লেগে পড়ুন!
ঃধযরধঃধনধংংঁসঃৎবহধ@মসধরষ.পড়স
প্রকাশকাল: বন্ধন ১৫২ তম সংখ্যা, এপ্রিল ২০২৩