গাছ ও প্রাণীর জীবনাচরণে প্রভাব ফেলছে আলোক দূষণ

কোনো স্থানে অবাঞ্ছিত, অনুপযুক্ত বা অতিরিক্ত কৃত্রিম আলোর উপস্থিতিই আলোক দূষণ। আলোক দূষণ বহুল চর্চিত বিষয় না, তাই বলে এর প্রভাবও কম তাও কিন্তু না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আলোদূষণের ফলে এখন বিশ্বের খুব কম জায়গায় রাতের আকাশের নির্মল রূপ দেখা যায়। কৃত্রিম আলোর মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে হারিয়ে যেতে বসেছে রাতের নিস্তব্ধতা, যা মানুষ ও প্রাণিজগতে ফেলছে নেতিবাচক প্রভাব। অথচ ভেবেচিন্তে আলোর ব্যবহার করলেই এই দূষণের মাত্রা কমানো সম্ভব। আলোদূষণের বিভিন্ন দিক নিয়ে বন্ধন ম্যাগাজিনের সঙ্গে কথা বলেছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষক স্থপতি সজল চৌধুরী। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাইফুল হক মিঠু 

বন্ধন: বিশ্বে দূষণের তালিকায় নতুন সংযোজন আলোক দূষণ। আলো কি আসলে দূষিত হয়? হলে তা কীভাবে?

সজল চৌধুরী: আলোক দূষণ আমাদের দেশে অনেকটাই নতুন ধারণা। কিন্তু উন্নত বিশ্বে আলোদূষণ নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। আলোদূষণ কমাতে বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে নানা প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় কোনো কিছুর আধিক্য যখন হয়, সেটাকেই আমরা দূষণ বলি। সে অনুযায়ী প্রয়োজনের তুলনায় কোনো স্থানে যখন আলোর ব্যবহার অতিরিক্ত করা হয়, সেটিই মূলত আলোক দূষণ। পানি বা বায়ুদূষণের মতোই আলোর এই দূষণেও মানুষের শরীর ও প্রাণ-প্রকৃতির স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হয়ে থাকে। 

বন্ধন: শব্দ, বায়ু, পানি ও পরিবেশদূষণের মতো আলোদূষণ নিয়ে কেন কম আলোচিত হয়? এর ক্ষতির মাত্রা বা ভয়াবহতা কি অন্যান্য দূষণের তুলনায় কম?

সজল চৌধুরী:  আলোদূষণ নিয়ে সাধারণ মানুষ খুব বেশি জানে না। তাদের জানার সুযোগও কম। আলো যেহেতু ধরা বা ছোঁয়া যায় না, সুতরাং এর দূষণ নিয়েও কারও মাথাব্যথা নেই। অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা তারাও এই বিষয়ে অজ্ঞ। তবে উন্নত বিশ্বের দেশগুলো আলোদূষণ নিয়ে অনেক আগে থেকেই কাজ করছে। জাপানের হোক্কাইডো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন ক্যাম্পাসের আলোদূষণ নিয়ে গবেষণা করেছি। ক্যাম্পাসের কোথাও মাত্রাতিরিক্ত আলো, আবার কোথাও অন্ধকার, আবার কোথাও আলোর ঝলকানিতে কিছু দেখা যায় না এই বিষয়টা আমি লক্ষ করি।

আন্তর্জাতিকভাবেই একটা বিষয় আছে, ক্রাইম প্রিভেনশন থ্রো এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন (সিপিটিইডি)। অর্থাৎ পরিবেশসহায়ক ডিজাইনের মাধ্যমে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ। আমরা যারা আরবান প্ল্যানিং করি, তাদের কিছু পরিমাপক টুলস নিয়ে কাজ করতে হয়। ভবন বা স্থাপনা নির্মাণের আগে আমাদের পরিমাপ করতে হয় তা পরিবেশের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। পরিবেশগত, জ্বালানি ও আলোর প্রয়োজনীয়তা সবকিছু বিশ্লেষণ করে দেখলাম, ওখানে যে লাইট বা আলোর বাহক আছে, সেগুলো ঠিকমতো বসানো হয়নি। লাইটের পাওয়ার ঠিক আছে, সঠিক স্থানে বসানো হয়নি। বাতির আলো সড়ক সারফেস অনেকটাই শোষণ করে ফেলে। এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখলাম একধরনের ফলাফল আসে যে কোথায় কতটুকু আলো হওয়া উচিত। কোথায় লাইট বসানো উচিত। আলোদূষণ নিতে উন্নত দেশে অনেক গবেষণা হয়। এটা প্রায় দুই যুগ ধরে হয়ে আসছে। এই গবেষণাসমূহের ফলাফলই ইকোটেক, ডায়ালাক্স, ভিয়েলাক্স প্রভৃতি সফটওয়্যার, যেগুলোর মাধ্যমে আলো পরিমাপ ও আলোবিষয়ক সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়। 

বন্ধন: আলোক দূষণ বা ঝলমলে আলোকসজ্জা ইত্যাদি পরিবেশের ওপর কতটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে বলে আপনি মনে করেন?

সজল চৌধুরী: আলোদূষণের ফলে প্রাণ-প্রকৃতির অনেক ক্ষতি হচ্ছে। আগে দেখা যেত গাছে গাছে অনেক পাখপাখালি। এখন দেখা যায়, কোনো একটা নির্দিষ্ট গাছে অনেক পাখি। এ ছাড়া গাছ ও প্রাণীর জীবনাচরণে বড় প্রভাব ফেলছে এই আলোদূষণ। 

বন্ধন: অতিরিক্ত আলোর ব্যবহার মানবস্বাস্থ্যের ওপর কী কী নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে? প্রাণিবৈচিত্র্যই-বা কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে?

বন্ধন: মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর অনেক বড় প্রভাব ফেলে এই আলোদূষণ। মানসিক স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে অভ্যন্তরীণ ও বাইরের পরিবেশকে ভালো রাখতে হবে। সারা দিনে আমাদের শরীর থেকে বিভিন্ন হরমোন নিঃসরণ হয়। আলোক দূষণের ফলে এই নিঃসরণ ব্যাহত হয়। অনেকে বলে ঘুম হয় না, অনেকের মেজাজ খিটিখিটে হয়। এটা আমরা প্রত্যক্ষভাবে অনুভব করতে পারি না। এ জন্যই এই দূষণ আমাদের ভাবায় না। আলোদূষণ সম্পর্কে একদিকে যেমন আমরা জানি না, অন্যদিকে সচেতনও না। সরকারি সংস্থাগুলোও এই বিষয় সম্পর্কে খুব বেশি ওয়াকিবহাল না। সাধারণ মানুষ কীভাবে জানবে। আলোক দূষণ নিয়ে কারই-বা মাথাব্যথা। একটা শহর শুধু মানুষ নিয়ে বাঁচে না। বাঁচে তার প্রাণ-প্রকৃতি, জীবজন্তু নিয়ে। মাত্রাতিরিক্ত আলোর কারণে পাখি ও প্রাণীর বিচরণেও সমস্যা হয়। পাখিদেরও তো ঘুম দরকার। ওরা ঘুমাবে কোথায়!

বন্ধন: দেশের গার্মেন্টস শিল্পে ও অন্যান্য শিল্পকারখানায় প্রচুর আলোর ব্যবহার লক্ষণীয়। আপনার গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যে দেশের কোন শিল্প খাতে মাত্রাতিরিক্ত আলোর ব্যবহার করা হচ্ছে?

সজল চৌধুরী: পোশাক খাতের কারখানায় সব ক্ষেত্রে অতিরিক্ত আলো ব্যবহার হয় না। যেমন, সুইংয়ে অতিরিক্ত আলোর ব্যবহার হয়। সেখানে শ্রমিকদের নানা রকম স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা যায়। সুইং, ডায়িং বা ফিনিশিং এমন প্রতিটা সেকশনের জন্য বিল্ডিং কোডে লাইট নির্দিষ্ট করা আছে। কিন্তু সেটা মানা হয় না।

বন্ধন: সভ্যতা মানেই আলো, আলো জ্বাললে দূষণ হবেই; তাহলে দূষণ থেকে রক্ষা পাওয়া কীভাবে সম্ভব?

সজল চৌধুরী: আমাদের দেশে ধুলাবালি অনেক বেশি। প্রতিটা বস্তুকণার ওপর যখন আলো পড়ে, তখন একটা প্রতিফলন হয়। সাদা রঙে এক ধরনের প্রতিফলন, কালো রঙে আরেক রকম প্রতিফলন হয়ে থাকে। এই প্রতিফলনগুলোর চিন্তা করে যদি আমরা আলোর ব্যবহার করি, তখন দূষণটা এড়ানো যেতে পারে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত আলো থাকলে চোখে তার প্রতিফলন হয়। এর ফলে বিভিন্ন দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।

আলো আমরা দেখতে পারি, অনুভব করতে পারি, কিন্তু ধরতে পারি না। এ জন্য এই বিষয়টা নিয়ে আমরা খুব বেশি চিন্তা করি না। ঘরে প্রয়োজনের অতিরিক্ত আলো ব্যবহারে তা জ্বালানি বা শক্তির ওপর একধরনের চাপ তৈরি করে। বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিডে সেই চাপটা পড়ে। আমরা যদি বাইরের ডে-লাইট না সূর্যের আলোকে ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারি ঘরের ভেতরে, তাহলে আলোর অপব্যবহার অনেকাংশে কমিয়ে আনতে সক্ষম হব। এ জন্য আমাদের জনসচেতনতা দরকার। 

বন্ধন: কৃত্রিম আলোর অনুপযুক্ত বা অতিরিক্ত ব্যবহার যদি আলোদূষণ হয়, তাহলে আলোর সঠিক ব্যবহারের কোনো উপায় আছে কি?

সজল চৌধুরী: আলোর একক লাক্স। পড়াশোনা বা অন্য যেকোনো কাজে কতটুকু আলোর প্রয়োজন, সেটার আন্তর্জাতিক মানদÐ রয়েছে। যেমন, বই পড়ার জন্য বা অন্য কোনো কাজের জন্য নির্ধারিত আলোর পরিমাপ রয়েছে। সেই আলোর পরিমাণ যদি বেশি থাকে, তাহলে তা চোখ ও মস্তিস্কে প্রভাব ফেলে। নানা স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দেয়। যেমন, মাথাব্যথা, চোখব্যথাসহ বিভিন্ন রকম উপসর্গ দেখা যায়। কোথায় কতটুকু আলো প্রয়োজন তা বিভিন্ন সফটওয়্যারের মাধ্যমে বের করে সেই অনুযায়ী আলোর ব্যবহার ও লাইটিং প্লেসমেন্ট করা যেতে পারে। আবার লাইট পরিমাপের লাইট মিটার রয়েছে। পাশাপাশি সূর্যের আলোর সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে দূষণ অনেকাংশেই কমে যাবে।

বন্ধন: বাংলাদেশে আলোক দূষণ বা আলোর বিজ্ঞানসম্মত ব্যবহার নিয়ে কোনো গবেষণা হচ্ছে কি? না হলে করণীয় আসলে কী?

সজল চৌধুরী: আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও এগুলো থিওরিটিক্যালি পড়ানো হয় ঠিকই কিন্তু এসবের প্রয়োগ হয় না। কাজের জায়গায় নান্দনিক দর্শনটাকেই কাজে লাগানো হয় বেশি। দেশে এখন অনেক সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপত্য বিভাগ আছে। স্থাপনায় আলোর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা স্থপতিদের কাজ। আমাদের দেশে গবেষণার জায়গা কম। বিদেশে যারা বড় ডিগ্রি নেয়, অনেকেই দেশে ফেরে না। কারণ বাইরে ল্যাব ফ্যাসিলিটি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ভালো। আমাদের এখানে প্রয়োগ ও গবেষণার সুযোগ নেই।

ভবন নির্মাণে আশপাশের কতটুকু জমি ছেড়ে দিতে হবে, এই কথাগুলো বলি। যখন এনার্জি ইস্যু আসে বা আলোর ইস্যু আসে তখন এসব নিয়ে কেউ কথা বলে না। এগুলো মূল্যায়ন করার কেউ নেই। সরকার একবার নির্দেশনা দিয়েছিল যে ভবনে সোলার প্যানেল বসাতে হবে। কিন্তু কেউ তা মানছে না। সেটা কেউ দেখছেও না। আমাদের দেশে আলোর ব্যবহারের প্র‍্যাকটিস না করার কারণ, বিল্ডিং সায়েন্স অবজ্ঞার সঙ্গে দেখা হয়। স্থপতি বানাচ্ছি, কিন্তু ভবনবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এই বিষয়ে পেশাজীবী তৈরির জন্য কোনো পড়াশোনা নেই। আজকে ভবনবিজ্ঞানী থাকলে আলোদূষণ কমানো বা আলোর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা যেত। রাজউক, হাউস বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট, গণপূর্ত বা সিটি করপোরেশনে এই ধরনের পেশাজীবীদের কাজে লাগানো যেতে পারে। বাংলাদেশে এই রকম বিষয়ের ওপর ব্যাচেলর ডিগ্রি দরকার।

বন্ধন: আলোর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা না গেলে তা কতটা সংকটময় হয়ে উঠতে পারে বলে আপনি মনে করেন?

সজল চৌধুরী: বিভিন্ন অনুষ্ঠান, মার্কেট, জুয়েলারি দোকান, ফুটপাত, সড়ক, রেস্তোরাঁ এমনকি, আমরা ঘরেও মাত্রাতিরিক্ত আলো ব্যবহার করি। রেস্তোরাঁর খাবার খারাপ হলে উচ্চবাচ্য করি। সেখানে জরিমানা হয়। কিন্তু আলোদূষণ দেখবে এমন কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থা আমাদের নেই। সেখানে শিশুরাও যাচ্ছে। এই আলোদূষণে বাচ্চাদের মনন ও বিকাশ বাধাগ্রস্ত করছে। দৃষ্টিশক্তি সমস্যা এখন অনেক শিশুর। ছোটবেলা থেকেই তাদের চশমা পরতে হয়। আমরা বাইরে থেকে ধুলা, মশা  আসবে এই ভয়ে ঘরের জানালা বন্ধ করছি। ডে লাইট বা সূর্যের আলো থেকে দূরে থাকছি। আবার ভবন নির্মাণে ত্রæটি থাকার কারণেও আলোবঞ্চিত হচ্ছি। অথচ সূর্যের আলো সঠিকভাবে ব্যবহার করলে কৃত্রিম আলোর প্রয়োজন পড়ে না। ভবনগুলো এত লাগোয়া করে বানানো হচ্ছে যে সূর্যের আলো প্রবেশ করতে পারে না। আলোদূষণ তো হবেই। আবার অনেক ধরনের লাইট আছে- স্পট লাইট, নিয়ন লাইট, ফ্লোরেসেন্ট লাইট, হ্যালোজেন লাইট। কিন্তু এসব লাইটের সঠিক ব্যবহার আমরা জানি না। আলোদূষণ বন্ধে দ্রæত পদক্ষেপ না নিলে, ধীরে ধীরে এর ব্যাপ্তি বাড়বে। মানুষ ও জীববৈচিত্র্যে নানা ক্ষতি হবে।

বন্ধন: আলোদূষণের ভয়াবহতা রোধে করণীয় সম্পর্কে আপনার মতামত।

সজল চৌধুরী: এই দূষণ বিষয়ে নীতিনির্ধারকদের জানা প্রয়োজন। অনেক বেশি লেখালেখি ও সচেতনতা প্রয়োজন। এখন অনেক সফটওয়্যার ছাড়াও নানা টুলস আছে। যেমন লাইট মিটার। মোবাইল ফোনে লাইটিং অ্যাপ্লিকেশনও আছে। কেউ যখন আলোদূষণ সম্পর্কে জানল, সে এই ধরনের জিনিস ব্যবহার করতে পারে। ইন্টারনেট ব্যবহার করেই জানা যাবে কোথায় কতটুকু আলো প্রয়োজন। স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা এখানে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। নিজের বাসা ছাড়াও প্রশাসনে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারে। পৌরসভা, ইউনিয়নে সভা-সেমিনার হতে পারে। যারা আলোদূষণ সম্পর্কে জানে, তাদের সম্পৃক্ত করে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। গণমাধ্যমে এই বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করতে পারে। কোনো কাজই এক দিনে হয়, ধীরে ধীরে মানুষ জানবে। মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি হবে। শহর ও গ্রামে বিষয়গুলোকে তুলে আনতে হবে। শিক্ষা কারিকুলামে আলোদূষণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। এনার্জি সেভিং নিয়ে অনেক কথা বলি। হেলথ সেভিং, মেন্টাল সেভিং নিয়ে কথা বলতে হবে। আলোকদূষণ মানব ও প্রাণ-প্রকৃতির ওপর কী বিরূপ প্রভাব ফেলছে বা দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে যদি জানতে পারি, জানাতে পারি, তাহলে জনসচেতনতা তৈরি হবে। সরকারের নীতিতে এই দূষণ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সরকারকে শুধু দোষ দিলে হবে না। আমাদের সচেতন হতে হবে। আইনকানুন দিয়ে এই দূষণ ঠেকানো যাবে না।

-স্থপতি সজল চৌধুরী

প্রকাশকাল: বন্ধন ১৫৯ তম সংখ্যা, নভেম্বর ২০২৩

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top